অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ

প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮: ০১

অস্ট্রেলিয়া সরকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়ার জন্য ‘অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশ’ নামে বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে। এতে আবেদনকারীর একাডেমিক দক্ষতা, সম্ভাব্য ফল, বিশেষ করে বাংলাদেশে উন্নয়ন এবং পেশাদার ও ব্যক্তিগত নেতৃত্বের গুণাবলি যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে বৃত্তির জন্য যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা হবে। আবেদনপত্র যাচাইয়ের পর কেবল বাছাই করা প্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের জন্য যোগাযোগ করা হবে। বৃত্তি-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানাচ্ছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

বিসিএস ক্যাডার, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল কর্মকর্তা, উন্নয়ন সংস্থা; বিশেষ করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা, উদ্যোক্তা বা বেসরকারি সংস্থায় চাকরিজীবী, একাডেমিয়া বা শিক্ষক, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, মিডিয়া এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকর্তারা এ বৃত্তি নিয়ে পড়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে সবারই কমপক্ষে তিন বছরের চাকরির পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

সুযোগ-সুবিধা
অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ প্রাপ্তদের কোনো ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানোর প্রয়োজন হবে না। এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীর নিজ দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাতায়াতের খরচ, অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর বই ও শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য ভাতা, পড়ার বিষয় ও বিভাগ অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের ভাতা, স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা ভাতা, ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কোর্স, একাডেমিক সহায়তা, মাঠপর্যায়ের কাজ ও পুনর্মিলনীর জন্য যাতায়াত এবং বিমান ভাড়ার সুবিধাসহ পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় থাকার অনুমতি রয়েছে। তবে পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা কোনো ভাতা দেওয়া হবে না। বলে রাখা উচিত, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে যে পরিমাণ ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে, সেটি দিয়ে পরিবারের দুই থেকে তিনজন সদস্যের খরচ সহজেই বহন করা যায়।
 
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক, স্থায়ীভাবে বসবাসকারী বা অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের জন্য ভিসার আবেদন করেছেন–এমন কেউ এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের নাগরিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও আবেদন করা যাবে না। মিলিটারি সার্ভিসে কর্মরত ব্যক্তির আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করবেন অবশ্যই সেই প্রতিষ্ঠানের আবেদনের শর্ত পূরণ করতে হবে। মাস্টার্স রিসার্চ প্রোগ্রামে আবেদনকারীকে একজন পটেনশিয়াল সুপারভাইজার নির্বাচন করতে হবে এবং সেই সুপারভাইজারের যে করেসপনডেন্টস হয়েছে, সেটির প্রমাণ দেখাতে হবে।

ইংরেজি ভাষার দক্ষতা
আইইএলটিএসে ন্যূনতম স্কোর ৬.৫ থাকতে হবে। টোয়েফল সার্টিফিকেট দিয়ে আবেদন করতে হলে স্কোর ৮৪ থাকতে হবে। আর পিটিই দিয়ে আবেদন করতে চাইলে স্কোর ৫৮ থাকতে হবে। তবে নারী, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রার্থীরা আইইএলটিএস স্কোর ৬ বা সমমানের টোয়েফল/ পিটিই স্কোর দিয়েও আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের প্রক্রিয়া
অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশের নিজস্ব টেমপ্লেটে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সেখানে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৫ সেশনে বাংলাদেশ থেকে মাস্টার্স প্রোগ্রামে (Course work and research based program) ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। আবেদনসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত