অর্চি হক, ঢাকা

‘ও মারা যাওয়ার পরে আমার চোখে পানি আসে নাই। কিন্তু এখন ওর জন্য আমি কাঁদি। একা থাকলেই ওর কথা মনে পড়ে। অনেক কষ্টে এটা চাপা দিয়ে রাখি। ওর নামে বুয়েটের হলের নামকরণ হবে এই খবরটা পড়তে পারি নাই আমি, চোখে পানি এসে গেছে।’ কথাগুলো বলছিলেন, ছাত্রদলের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনির মা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা দিলারা বেগম।
বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন সনি। ২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন তিনি। এরপর থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীরা ১৯৮৭ সালে নির্মিত 'চার তলা ছাত্রী হল' হিসেবে পরিচিত আবাসিক হলটি সনির নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছিল। ১৯ বছর পর অবশেষে তাঁদের সেই দাবি পূরণ হলো। গত ২ নভেম্বর বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫২৬ তম সভায় পুরোনো ছাত্রী হলের নাম 'সাবেকুন নাহার সনি হল' হিসেবে অনুমোদন করা হয়।
বুয়েট কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টির কথা জানালেন সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। তবে সনির মৃত্যু কীভাবে হলো তাও হলের সামনে বা সনি স্মৃতি স্তম্ভের পাশে অল্প কথায় লিখিত আকারে থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। সনির বাবার এই চাওয়ার যথার্থতা বোঝা গেল বুয়েটের প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে। অন্তত চারজন শিক্ষার্থী জানালেন, সনি নামটার সঙ্গে পরিচিত তাঁরা। কিন্তু সনি মৃত্যুর প্রেক্ষাপটটা তাঁদের অজানা।
সনির মা বলেন, সনির জন্য একটি স্মৃতি স্তম্ভ হয়েছে। হলের নামও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন, কীভাবে ওর মৃত্যু হলো সেটা যদি কোথাও না লেখা থাকে, তাহলে তো নতুন প্রজন্ম এটা বুঝবে না যে কী কারণে এই নামকরণ।
এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, পুরোনো ছাত্রী হলটির কোনো নাম ছিল না। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হলটির নাম সাবিকুন নাহার সনির নামে রাখা হয়েছে। আর কীভাবে তাঁর মৃত্যু হলো সেটা স্তম্ভ বা হলের সামনে লিখিত আকারে রাখার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানানো হলে আমরা সেটা ভেবে দেখব।
সনির মৃত্যুর ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁর হত্যাকারীদের শাস্তি হয়নি। হাইকোর্টে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি এখনো রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। নিম্ন আদালতে সনি হত্যার মূল তিন আসামি তৎকালীন বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল ক্যাডার সূর্য সেন হলের টগর এবং নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরুর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত পালিয়ে অস্ট্রেলিয়া যায়। পলাতক রয়েছেন শুটার নুরু। জেলে রয়েছেন টগর।
সনির নামে হলের নামকরণ হওয়ায় সনির বাবা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও তাঁর কথায় ফুটে উঠল কিছু চাপা কষ্টও। তিনি বলছিলেন, ‘সনি মারা যাওয়ার আগেও শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রদের মৃত্যু হয়েছে। সনি মারা যাওয়ার পরেও এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সনিসহ শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণে যতজন মারা গেছে, কোনোটিরই বিচার কার্যকর হয়নি। বিচার না হলে আসলে সন্ত্রাসীরা ওই পথ থেকে ফিরে আসবে না। আর এ রকম মৃত্যু হতেই থাকবে।’
অবসরপ্রাপ্ত এই বিটিসিএল কর্মকর্তা সনি মারা যাওয়ার পর থেকেই শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণে শিক্ষার্থী মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করেন। সেই তথ্য বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৯ এর অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১৫৯ জন। আর আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। টেন্ডারবাজি, আধিপত্য বিস্তার এবং চাঁদাবাজির কারণেই এসব সংঘর্ষ ঘটছে বলে জানালেন হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বন্ধ ও দোষীদের শাস্তি কার্যকরের দাবি তাঁর। অন্যথায় সনির মতো ভবিষ্যতেও ছাত্রদের প্রাণ ঝরবে বলে আশঙ্কা তাঁর।

‘ও মারা যাওয়ার পরে আমার চোখে পানি আসে নাই। কিন্তু এখন ওর জন্য আমি কাঁদি। একা থাকলেই ওর কথা মনে পড়ে। অনেক কষ্টে এটা চাপা দিয়ে রাখি। ওর নামে বুয়েটের হলের নামকরণ হবে এই খবরটা পড়তে পারি নাই আমি, চোখে পানি এসে গেছে।’ কথাগুলো বলছিলেন, ছাত্রদলের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনির মা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা দিলারা বেগম।
বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন সনি। ২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন তিনি। এরপর থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীরা ১৯৮৭ সালে নির্মিত 'চার তলা ছাত্রী হল' হিসেবে পরিচিত আবাসিক হলটি সনির নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছিল। ১৯ বছর পর অবশেষে তাঁদের সেই দাবি পূরণ হলো। গত ২ নভেম্বর বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫২৬ তম সভায় পুরোনো ছাত্রী হলের নাম 'সাবেকুন নাহার সনি হল' হিসেবে অনুমোদন করা হয়।
বুয়েট কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টির কথা জানালেন সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। তবে সনির মৃত্যু কীভাবে হলো তাও হলের সামনে বা সনি স্মৃতি স্তম্ভের পাশে অল্প কথায় লিখিত আকারে থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। সনির বাবার এই চাওয়ার যথার্থতা বোঝা গেল বুয়েটের প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে। অন্তত চারজন শিক্ষার্থী জানালেন, সনি নামটার সঙ্গে পরিচিত তাঁরা। কিন্তু সনি মৃত্যুর প্রেক্ষাপটটা তাঁদের অজানা।
সনির মা বলেন, সনির জন্য একটি স্মৃতি স্তম্ভ হয়েছে। হলের নামও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন, কীভাবে ওর মৃত্যু হলো সেটা যদি কোথাও না লেখা থাকে, তাহলে তো নতুন প্রজন্ম এটা বুঝবে না যে কী কারণে এই নামকরণ।
এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, পুরোনো ছাত্রী হলটির কোনো নাম ছিল না। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হলটির নাম সাবিকুন নাহার সনির নামে রাখা হয়েছে। আর কীভাবে তাঁর মৃত্যু হলো সেটা স্তম্ভ বা হলের সামনে লিখিত আকারে রাখার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানানো হলে আমরা সেটা ভেবে দেখব।
সনির মৃত্যুর ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁর হত্যাকারীদের শাস্তি হয়নি। হাইকোর্টে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি এখনো রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। নিম্ন আদালতে সনি হত্যার মূল তিন আসামি তৎকালীন বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল ক্যাডার সূর্য সেন হলের টগর এবং নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরুর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত পালিয়ে অস্ট্রেলিয়া যায়। পলাতক রয়েছেন শুটার নুরু। জেলে রয়েছেন টগর।
সনির নামে হলের নামকরণ হওয়ায় সনির বাবা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও তাঁর কথায় ফুটে উঠল কিছু চাপা কষ্টও। তিনি বলছিলেন, ‘সনি মারা যাওয়ার আগেও শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রদের মৃত্যু হয়েছে। সনি মারা যাওয়ার পরেও এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সনিসহ শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণে যতজন মারা গেছে, কোনোটিরই বিচার কার্যকর হয়নি। বিচার না হলে আসলে সন্ত্রাসীরা ওই পথ থেকে ফিরে আসবে না। আর এ রকম মৃত্যু হতেই থাকবে।’
অবসরপ্রাপ্ত এই বিটিসিএল কর্মকর্তা সনি মারা যাওয়ার পর থেকেই শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণে শিক্ষার্থী মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করেন। সেই তথ্য বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৯ এর অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১৫৯ জন। আর আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। টেন্ডারবাজি, আধিপত্য বিস্তার এবং চাঁদাবাজির কারণেই এসব সংঘর্ষ ঘটছে বলে জানালেন হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বন্ধ ও দোষীদের শাস্তি কার্যকরের দাবি তাঁর। অন্যথায় সনির মতো ভবিষ্যতেও ছাত্রদের প্রাণ ঝরবে বলে আশঙ্কা তাঁর।
অর্চি হক, ঢাকা

‘ও মারা যাওয়ার পরে আমার চোখে পানি আসে নাই। কিন্তু এখন ওর জন্য আমি কাঁদি। একা থাকলেই ওর কথা মনে পড়ে। অনেক কষ্টে এটা চাপা দিয়ে রাখি। ওর নামে বুয়েটের হলের নামকরণ হবে এই খবরটা পড়তে পারি নাই আমি, চোখে পানি এসে গেছে।’ কথাগুলো বলছিলেন, ছাত্রদলের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনির মা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা দিলারা বেগম।
বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন সনি। ২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন তিনি। এরপর থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীরা ১৯৮৭ সালে নির্মিত 'চার তলা ছাত্রী হল' হিসেবে পরিচিত আবাসিক হলটি সনির নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছিল। ১৯ বছর পর অবশেষে তাঁদের সেই দাবি পূরণ হলো। গত ২ নভেম্বর বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫২৬ তম সভায় পুরোনো ছাত্রী হলের নাম 'সাবেকুন নাহার সনি হল' হিসেবে অনুমোদন করা হয়।
বুয়েট কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টির কথা জানালেন সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। তবে সনির মৃত্যু কীভাবে হলো তাও হলের সামনে বা সনি স্মৃতি স্তম্ভের পাশে অল্প কথায় লিখিত আকারে থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। সনির বাবার এই চাওয়ার যথার্থতা বোঝা গেল বুয়েটের প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে। অন্তত চারজন শিক্ষার্থী জানালেন, সনি নামটার সঙ্গে পরিচিত তাঁরা। কিন্তু সনি মৃত্যুর প্রেক্ষাপটটা তাঁদের অজানা।
সনির মা বলেন, সনির জন্য একটি স্মৃতি স্তম্ভ হয়েছে। হলের নামও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন, কীভাবে ওর মৃত্যু হলো সেটা যদি কোথাও না লেখা থাকে, তাহলে তো নতুন প্রজন্ম এটা বুঝবে না যে কী কারণে এই নামকরণ।
এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, পুরোনো ছাত্রী হলটির কোনো নাম ছিল না। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হলটির নাম সাবিকুন নাহার সনির নামে রাখা হয়েছে। আর কীভাবে তাঁর মৃত্যু হলো সেটা স্তম্ভ বা হলের সামনে লিখিত আকারে রাখার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানানো হলে আমরা সেটা ভেবে দেখব।
সনির মৃত্যুর ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁর হত্যাকারীদের শাস্তি হয়নি। হাইকোর্টে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি এখনো রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। নিম্ন আদালতে সনি হত্যার মূল তিন আসামি তৎকালীন বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল ক্যাডার সূর্য সেন হলের টগর এবং নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরুর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত পালিয়ে অস্ট্রেলিয়া যায়। পলাতক রয়েছেন শুটার নুরু। জেলে রয়েছেন টগর।
সনির নামে হলের নামকরণ হওয়ায় সনির বাবা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও তাঁর কথায় ফুটে উঠল কিছু চাপা কষ্টও। তিনি বলছিলেন, ‘সনি মারা যাওয়ার আগেও শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রদের মৃত্যু হয়েছে। সনি মারা যাওয়ার পরেও এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সনিসহ শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণে যতজন মারা গেছে, কোনোটিরই বিচার কার্যকর হয়নি। বিচার না হলে আসলে সন্ত্রাসীরা ওই পথ থেকে ফিরে আসবে না। আর এ রকম মৃত্যু হতেই থাকবে।’
অবসরপ্রাপ্ত এই বিটিসিএল কর্মকর্তা সনি মারা যাওয়ার পর থেকেই শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণে শিক্ষার্থী মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করেন। সেই তথ্য বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৯ এর অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১৫৯ জন। আর আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। টেন্ডারবাজি, আধিপত্য বিস্তার এবং চাঁদাবাজির কারণেই এসব সংঘর্ষ ঘটছে বলে জানালেন হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বন্ধ ও দোষীদের শাস্তি কার্যকরের দাবি তাঁর। অন্যথায় সনির মতো ভবিষ্যতেও ছাত্রদের প্রাণ ঝরবে বলে আশঙ্কা তাঁর।

‘ও মারা যাওয়ার পরে আমার চোখে পানি আসে নাই। কিন্তু এখন ওর জন্য আমি কাঁদি। একা থাকলেই ওর কথা মনে পড়ে। অনেক কষ্টে এটা চাপা দিয়ে রাখি। ওর নামে বুয়েটের হলের নামকরণ হবে এই খবরটা পড়তে পারি নাই আমি, চোখে পানি এসে গেছে।’ কথাগুলো বলছিলেন, ছাত্রদলের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনির মা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা দিলারা বেগম।
বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন সনি। ২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন তিনি। এরপর থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীরা ১৯৮৭ সালে নির্মিত 'চার তলা ছাত্রী হল' হিসেবে পরিচিত আবাসিক হলটি সনির নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছিল। ১৯ বছর পর অবশেষে তাঁদের সেই দাবি পূরণ হলো। গত ২ নভেম্বর বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫২৬ তম সভায় পুরোনো ছাত্রী হলের নাম 'সাবেকুন নাহার সনি হল' হিসেবে অনুমোদন করা হয়।
বুয়েট কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টির কথা জানালেন সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। তবে সনির মৃত্যু কীভাবে হলো তাও হলের সামনে বা সনি স্মৃতি স্তম্ভের পাশে অল্প কথায় লিখিত আকারে থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। সনির বাবার এই চাওয়ার যথার্থতা বোঝা গেল বুয়েটের প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে। অন্তত চারজন শিক্ষার্থী জানালেন, সনি নামটার সঙ্গে পরিচিত তাঁরা। কিন্তু সনি মৃত্যুর প্রেক্ষাপটটা তাঁদের অজানা।
সনির মা বলেন, সনির জন্য একটি স্মৃতি স্তম্ভ হয়েছে। হলের নামও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন, কীভাবে ওর মৃত্যু হলো সেটা যদি কোথাও না লেখা থাকে, তাহলে তো নতুন প্রজন্ম এটা বুঝবে না যে কী কারণে এই নামকরণ।
এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, পুরোনো ছাত্রী হলটির কোনো নাম ছিল না। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হলটির নাম সাবিকুন নাহার সনির নামে রাখা হয়েছে। আর কীভাবে তাঁর মৃত্যু হলো সেটা স্তম্ভ বা হলের সামনে লিখিত আকারে রাখার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানানো হলে আমরা সেটা ভেবে দেখব।
সনির মৃত্যুর ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁর হত্যাকারীদের শাস্তি হয়নি। হাইকোর্টে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি এখনো রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। নিম্ন আদালতে সনি হত্যার মূল তিন আসামি তৎকালীন বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল ক্যাডার সূর্য সেন হলের টগর এবং নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরুর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত পালিয়ে অস্ট্রেলিয়া যায়। পলাতক রয়েছেন শুটার নুরু। জেলে রয়েছেন টগর।
সনির নামে হলের নামকরণ হওয়ায় সনির বাবা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও তাঁর কথায় ফুটে উঠল কিছু চাপা কষ্টও। তিনি বলছিলেন, ‘সনি মারা যাওয়ার আগেও শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রদের মৃত্যু হয়েছে। সনি মারা যাওয়ার পরেও এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সনিসহ শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণে যতজন মারা গেছে, কোনোটিরই বিচার কার্যকর হয়নি। বিচার না হলে আসলে সন্ত্রাসীরা ওই পথ থেকে ফিরে আসবে না। আর এ রকম মৃত্যু হতেই থাকবে।’
অবসরপ্রাপ্ত এই বিটিসিএল কর্মকর্তা সনি মারা যাওয়ার পর থেকেই শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণে শিক্ষার্থী মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করেন। সেই তথ্য বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৯ এর অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১৫৯ জন। আর আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। টেন্ডারবাজি, আধিপত্য বিস্তার এবং চাঁদাবাজির কারণেই এসব সংঘর্ষ ঘটছে বলে জানালেন হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বন্ধ ও দোষীদের শাস্তি কার্যকরের দাবি তাঁর। অন্যথায় সনির মতো ভবিষ্যতেও ছাত্রদের প্রাণ ঝরবে বলে আশঙ্কা তাঁর।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
৯ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১২ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

'চার তলা ছাত্রী হল' হিসেবে পরিচিত আবাসিক হলটি সনির নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। ১৯ বছর পর তাঁদের সেই দাবি পূরণ হলো। গত ২ নভেম্বর বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫২৬ তম সভায় পুরোনো ছাত্রী হলের নাম 'সাবেকুন নাহার সনি হল' হিসেবে অনুমোদন করা হয়।
০৬ নভেম্বর ২০২১
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
৯ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১২ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

'চার তলা ছাত্রী হল' হিসেবে পরিচিত আবাসিক হলটি সনির নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। ১৯ বছর পর তাঁদের সেই দাবি পূরণ হলো। গত ২ নভেম্বর বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫২৬ তম সভায় পুরোনো ছাত্রী হলের নাম 'সাবেকুন নাহার সনি হল' হিসেবে অনুমোদন করা হয়।
০৬ নভেম্বর ২০২১
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৫ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

'চার তলা ছাত্রী হল' হিসেবে পরিচিত আবাসিক হলটি সনির নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। ১৯ বছর পর তাঁদের সেই দাবি পূরণ হলো। গত ২ নভেম্বর বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫২৬ তম সভায় পুরোনো ছাত্রী হলের নাম 'সাবেকুন নাহার সনি হল' হিসেবে অনুমোদন করা হয়।
০৬ নভেম্বর ২০২১
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
৯ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১২ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

'চার তলা ছাত্রী হল' হিসেবে পরিচিত আবাসিক হলটি সনির নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। ১৯ বছর পর তাঁদের সেই দাবি পূরণ হলো। গত ২ নভেম্বর বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫২৬ তম সভায় পুরোনো ছাত্রী হলের নাম 'সাবেকুন নাহার সনি হল' হিসেবে অনুমোদন করা হয়।
০৬ নভেম্বর ২০২১
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
৯ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১০ ঘণ্টা আগে