মুসাররাত আবির
স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব স্ন্যাকসের ধারণা নিয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) তিন শিক্ষার্থী বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা ‘ব্যাটল অব মাইন্ডস’-এ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। তাঁদের উদ্ভাবনী পণ্য কাঁঠাল থেকে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত চিপস, বিচারক ও দর্শকদের মন জয় করেছে।
ব্যাটল অব মাইন্ডস
বিজনেস কম্পিটিশনের জগতে ব্যাটল অব মাইন্ডস একটি বহুল পরিচিত ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা। এটি তরুণদের সৃজনশীলতা, নেতৃত্ব, সমস্যা সমাধান এবং উদ্ভাবনী দক্ষতা প্রদর্শনের একটি অসাধারণ সুযোগ দেয়।
এবারের ব্যাটল অব মাইন্ডসের বৈশ্বিক আসরে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বিইউপির দল ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’। প্রথম ইন্দোনেশিয়া এবং দ্বিতীয় হয়েছে কেনিয়ার দল। ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’ সদস্যরা হলেন রিদাহ তারান্নুম মেহমুদ, আদীবা রুকাইয়া হাসান ও মো. নাহিয়ান হাসান।
সুপার স্ন্যাক জ্যাকো
‘পারডন আস, কামিং থ্রু’ দলের সদস্যদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনাটির নাম ছিল ‘জ্যাকো’, যা কাঁঠালকে একটি টেকসই এবং পুষ্টিকর সুপার স্ন্যাক হিসেবে উপস্থাপন করে। চিপসকে সবাই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে জানলেও তাঁরা কাঁঠালের তৈরি এমন একটি চিপস বাজারে আনতে চান, যা একই সঙ্গে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যসম্মত। তাঁরা বিচারকদের এই চিপসের চার ধরনের স্বাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন—ক্ল্যাসিক স্যাভরি, আচারি টুইস্ট, বিবিকিউ ডিলাইট এবং গ্রিলড চিজ। সঙ্গে চমক হিসেবে ছিল তাঁদের পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং।
বৈশ্বিক আসরের যাত্রা
প্রতিযোগীদের জাতীয় পর্যায় থেকে বৈশ্বিক আসরে তৃতীয় হওয়ার যাত্রাটা বেশ লম্বা ছিল। কারণ, চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার জন্য দলগুলোকে বেশ কয়েকটি ধাপ পার হতে হয়। প্রথম ধাপে অনলাইনে তাদের বাস্তব জীবনের কোনো সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান দিতে হয়। এরপর তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রবেশ করে, যেখানে একটি আকর্ষণীয় ভিডিও প্রেজেন্টেশন জমা দিয়ে তারা আরও এগিয়ে যায়। এরপর আসে বুটক্যাম্প, যেখানে তাদের ধারণাটি আরও পরিমার্জন করা হয়। সেখানে তারা অন্য দলের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং ও মজার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
দলগুলোর যাত্রার উল্লেখযোগ্য অধ্যায় ছিল সেমিফাইনাল এক্সপো, যা এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়। এখানে প্রতিযোগীরা স্টল বসিয়ে তাঁদের ধারণাগুলো সবার সামনে উপস্থাপন করেন। এই এক্সপোতে তাঁদের দল ‘জ্যাকো’ দিয়ে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়।
চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারীদের ব্যবসায়িক দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী চিন্তার ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হয়। জাতীয় পর্যায়ে যেই দল বিজয়ী হয়, তারা পরবর্তী সময়ে ২৫টি দেশের বিজয়ীদের সঙ্গে বৈশ্বিক পর্বে প্রতিযোগিতা করে।
২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি তরুণকে দক্ষ করে তুলেছে, যাঁদের অনেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করছেন। এবারের প্রতিযোগিতার মূলমন্ত্র ছিল উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন করা। এবারের প্রতিযোগিতায় ৭০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৭০০-এর বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে ২৫০টি দল ভিডিও পিস জমা দেয় এবং কঠিন প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত পাঁচটি দল ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আর এ দলগুলোর মধ্যে থেকে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’ বৈশ্বিক আসরে লড়াই করার সুযোগ পায়। বিইউপি থেকে এবারই প্রথম কোনো দল এই প্রতিযোগিতার বৈশ্বিক পর্বে পা দিল এবং তৃতীয় হয়েছে।
দলটির সদস্য নাহিয়ান বলেন, ‘এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা যে বিশাল স্কেল এবং বৈশ্বিক পরিচিতি পান, তা একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া ব্যবসায়িক বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য মেন্টরশিপ এবং শেখার সুযোগও এখানে অংশগ্রহণ করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক।’
সদস্য রিদাহই এই ধারণা দলটির বাকি সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করেন। তাঁদের জন্য এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সেমিফাইনাল এক্সপো, যেখানে তাঁদের একটি স্টল সাজিয়ে তাঁদের ধারণা এবং পণ্য সবার সামনে উপস্থাপন করতে হয়েছিল। মানুষকে বোঝানো কঠিন ছিল যে কাঁঠাল থেকে চিপস তৈরি করা সম্ভব এবং এটি স্বাদে যেমন চমৎকার, তেমনি স্বাস্থ্যকরও।
নতুনদের ক্ষেত্রে তাঁদের পরামর্শ হলো, কখনো চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকা যাবে না। পরিশ্রম আপনার সফলতার মাধ্যমে প্রতিফলিত হবেই। আপনার সময়ের ৭০ শতাংশ সঠিক পরিকল্পনার জন্য ব্যয় করুন। এটি আপনার ধারণাগুলোকে সাবলীলভাবে বাস্তবায়নে সাহায্য করবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনার পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা এবং আত্মবিশ্বাস থাকা।
স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব স্ন্যাকসের ধারণা নিয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) তিন শিক্ষার্থী বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা ‘ব্যাটল অব মাইন্ডস’-এ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। তাঁদের উদ্ভাবনী পণ্য কাঁঠাল থেকে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত চিপস, বিচারক ও দর্শকদের মন জয় করেছে।
ব্যাটল অব মাইন্ডস
বিজনেস কম্পিটিশনের জগতে ব্যাটল অব মাইন্ডস একটি বহুল পরিচিত ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা। এটি তরুণদের সৃজনশীলতা, নেতৃত্ব, সমস্যা সমাধান এবং উদ্ভাবনী দক্ষতা প্রদর্শনের একটি অসাধারণ সুযোগ দেয়।
এবারের ব্যাটল অব মাইন্ডসের বৈশ্বিক আসরে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বিইউপির দল ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’। প্রথম ইন্দোনেশিয়া এবং দ্বিতীয় হয়েছে কেনিয়ার দল। ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’ সদস্যরা হলেন রিদাহ তারান্নুম মেহমুদ, আদীবা রুকাইয়া হাসান ও মো. নাহিয়ান হাসান।
সুপার স্ন্যাক জ্যাকো
‘পারডন আস, কামিং থ্রু’ দলের সদস্যদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনাটির নাম ছিল ‘জ্যাকো’, যা কাঁঠালকে একটি টেকসই এবং পুষ্টিকর সুপার স্ন্যাক হিসেবে উপস্থাপন করে। চিপসকে সবাই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে জানলেও তাঁরা কাঁঠালের তৈরি এমন একটি চিপস বাজারে আনতে চান, যা একই সঙ্গে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যসম্মত। তাঁরা বিচারকদের এই চিপসের চার ধরনের স্বাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন—ক্ল্যাসিক স্যাভরি, আচারি টুইস্ট, বিবিকিউ ডিলাইট এবং গ্রিলড চিজ। সঙ্গে চমক হিসেবে ছিল তাঁদের পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং।
বৈশ্বিক আসরের যাত্রা
প্রতিযোগীদের জাতীয় পর্যায় থেকে বৈশ্বিক আসরে তৃতীয় হওয়ার যাত্রাটা বেশ লম্বা ছিল। কারণ, চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার জন্য দলগুলোকে বেশ কয়েকটি ধাপ পার হতে হয়। প্রথম ধাপে অনলাইনে তাদের বাস্তব জীবনের কোনো সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান দিতে হয়। এরপর তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রবেশ করে, যেখানে একটি আকর্ষণীয় ভিডিও প্রেজেন্টেশন জমা দিয়ে তারা আরও এগিয়ে যায়। এরপর আসে বুটক্যাম্প, যেখানে তাদের ধারণাটি আরও পরিমার্জন করা হয়। সেখানে তারা অন্য দলের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং ও মজার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
দলগুলোর যাত্রার উল্লেখযোগ্য অধ্যায় ছিল সেমিফাইনাল এক্সপো, যা এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়। এখানে প্রতিযোগীরা স্টল বসিয়ে তাঁদের ধারণাগুলো সবার সামনে উপস্থাপন করেন। এই এক্সপোতে তাঁদের দল ‘জ্যাকো’ দিয়ে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়।
চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারীদের ব্যবসায়িক দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী চিন্তার ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হয়। জাতীয় পর্যায়ে যেই দল বিজয়ী হয়, তারা পরবর্তী সময়ে ২৫টি দেশের বিজয়ীদের সঙ্গে বৈশ্বিক পর্বে প্রতিযোগিতা করে।
২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি তরুণকে দক্ষ করে তুলেছে, যাঁদের অনেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করছেন। এবারের প্রতিযোগিতার মূলমন্ত্র ছিল উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন করা। এবারের প্রতিযোগিতায় ৭০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৭০০-এর বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে ২৫০টি দল ভিডিও পিস জমা দেয় এবং কঠিন প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত পাঁচটি দল ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আর এ দলগুলোর মধ্যে থেকে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’ বৈশ্বিক আসরে লড়াই করার সুযোগ পায়। বিইউপি থেকে এবারই প্রথম কোনো দল এই প্রতিযোগিতার বৈশ্বিক পর্বে পা দিল এবং তৃতীয় হয়েছে।
দলটির সদস্য নাহিয়ান বলেন, ‘এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা যে বিশাল স্কেল এবং বৈশ্বিক পরিচিতি পান, তা একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া ব্যবসায়িক বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য মেন্টরশিপ এবং শেখার সুযোগও এখানে অংশগ্রহণ করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক।’
সদস্য রিদাহই এই ধারণা দলটির বাকি সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করেন। তাঁদের জন্য এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সেমিফাইনাল এক্সপো, যেখানে তাঁদের একটি স্টল সাজিয়ে তাঁদের ধারণা এবং পণ্য সবার সামনে উপস্থাপন করতে হয়েছিল। মানুষকে বোঝানো কঠিন ছিল যে কাঁঠাল থেকে চিপস তৈরি করা সম্ভব এবং এটি স্বাদে যেমন চমৎকার, তেমনি স্বাস্থ্যকরও।
নতুনদের ক্ষেত্রে তাঁদের পরামর্শ হলো, কখনো চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকা যাবে না। পরিশ্রম আপনার সফলতার মাধ্যমে প্রতিফলিত হবেই। আপনার সময়ের ৭০ শতাংশ সঠিক পরিকল্পনার জন্য ব্যয় করুন। এটি আপনার ধারণাগুলোকে সাবলীলভাবে বাস্তবায়নে সাহায্য করবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনার পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা এবং আত্মবিশ্বাস থাকা।
২০০৬ সালের ২৮ মে মাত্র ৭টি বিভাগ, ৩০০ শিক্ষার্থী ও ১৫ শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৬ হাজার ৯২৪ জন শিক্ষার্থী এবং ২৬৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদের অধীনে বিভাগ রয়েছে ১৯টি...
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্য সবচেয়ে পছন্দের স্থান। কারণ দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের বৃত্তির পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধাও দিয়ে থাকে। তেমনই একটি হলো ইম্পেরিয়াল কলেজ প্রেসিডেন্ট বৃত্তি।
২ ঘণ্টা আগেবাক্যের অন্তর্গত বিশেষ্য বা ক্রিয়াপদের ভাবার্থ যে শব্দ বা শব্দগুচ্ছের (ফ্রেজ) ওপর নির্ভর করে, তাই মডিফায়ার বা কোয়ালিফায়ার। কোনো বাক্য হতে নিয়ন্ত্রক শব্দ (গুচ্ছ) সরিয়ে নেওয়ার পরও ব্যাকরণগতভাবে বাক্যটি যখন সম্পূর্ণ থাকে, তখন সেটি মডিফায়ার।
২ ঘণ্টা আগেমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপার কাজে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট প্রেসে (বিজি প্রেস) যাতায়াত ও অবস্থান ভাতায় এক অর্থবছরেই খরচ হয়েছে কোটি টাকা। এই টাকা গেছে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেটে...
৩ ঘণ্টা আগে