প্রশ্ন: উচ্চশিক্ষার জন্য জাপান দেশ হিসেবে কেমন?
উত্তর: উচ্চশিক্ষার জন্য জাপান অন্য দেশ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ, দেশটি জীবনযাপন, গবেষণা এবং টেকনোলজিতে অনেক এগিয়ে। গুগল করলে দেখা যাবে, বিশ্বের সেরা ইউনিভার্সিটির র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৫০টি ইউনিভার্সিটির মধ্যে আছে জাপানের ‘দি ইউনিভার্সিটি অব টোকিও’ ও ‘কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়’। সেরা ৫০০ ইউনিভার্সিটির মধ্যে কেবল জাপানেই আছে ১৩টি (সূত্র: এআরডব্লিউইউ)।
প্রশ্ন: স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য ভর্তির কার্যক্রম কখন শুরু হয়?
উত্তর: জাপানে যেকোনো প্রোগ্রামে ভর্তির কার্যক্রম বছরে ২টি সেমিস্টারে হয়ে থাকে। স্প্রিং সেমিস্টারের কার্যক্রম এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর এবং ফল সেমিস্টারের কার্যক্রম অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বেশি সুযোগ থাকে ফল সেশনে অর্থাৎ ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ সেমিস্টারে।
প্রশ্ন: জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করার জন্য একজন শিক্ষার্থীর কী কী প্রস্তুতি লাগে?
উত্তর: উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হচ্ছে নিজেকে তৈরি করা। যাঁরা বৃত্তি নিয়ে জাপানে স্নাতকোত্তর করতে চান, তাঁরা ইউনিভার্সিটির শুরু থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করুন। যেমন রেজাল্টের পাশাপাশি দরকার হয় ভালো ইংলিশ চর্চা (আইইএলটিএস, জিআরই, টোফেল ইত্যাদি)। তৃতীয় বর্ষে নিজেকে গবেষণামূলক কাজে সম্পৃক্ত করুন। ইউনিভার্সিটির যেসব বড় ছাত্র গবেষণার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নিজের গবেষণার বিষয় আগে থেকে নির্বাচন করুন। চেষ্টা করুন, গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার আগেই কমপক্ষে দু-একটা মানসম্মত পাবলিকেশন বের করার।
জাপানের পড়াশোনার পরিবেশ সম্পূর্ণ গবেষণাভিত্তিক ও সৃজনশীল। জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে দুই সেমিস্টারে বিভিন্ন বৃত্তি ও ফেলোশিপ নিয়ে ভর্তি হওয়া যায়। আপনি যদি বৃত্তি নিয়ে জাপানে স্নাতকোত্তর করতে চান, তাহলে ভালো সিজিপিএর পাশাপাশি গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় আপনাকে আগ্রহী হতে হবে। বৃত্তি নিয়ে স্নাতকোত্তর করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করতে হবে।
তবে বৃত্তির জন্য র্যাঙ্কিং অনুযায়ী পাবলিক ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করাই উত্তম। তারপর আপনাকে প্রফেসর ম্যানেজ করতে হবে। কারণ, জাপানিজ কোনো প্রফেসর যদি আপনাকে রিকমেন্ডেশন দেয়, তাহলে আপনার স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। যে কারণে স্কলারশিপের জন্য আবেদন শুরুর ২-৩ মাস আগে থেকেই প্রফেসরদের ই-মেইল করা ভালো। ই-মেইলে আপনার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সিভি অবশ্যই যুক্ত করবেন। আর ই-মেইলে নিজের সম্পর্কে, একাডেমিক ডিগ্রি, ডিগ্রি রেজাল্ট, রিসার্চ ইন্টারেস্ট অ্যান্ড হোয়াই ইউ ইন্টারেস্ট টু হিম (প্রফেসর) সম্পর্কে লিখে পাঠাতে হবে।
আবেদন করার জন্য মোটামুটি যে ডকুমেন্টগুলো আপনাকে আগে থেকে প্রস্তুত রাখতে হবে, সেগুলো হলো: ১. সিজিপিএ (কমপক্ষে ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে); ২. আইইএলটিএস (আবশ্যক নয়); ৩. রিকমেন্ডেশন লেটার; ৪. রিসার্চ প্রপোজাল; ৫. পাবলিকেশন; ৬. একাডেমিক ডকুমেন্ট
প্রশ্ন: জাপানি ভাষা কি আগেই শিখে নেওয়া লাগে? লাগলে জাপানিজ ভাষা শেখার মাধ্যম কী কী? কত দিন পরপর সে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যক্রম থাকার কারণে জাপানিজ ভাষা না জানলেও খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয় না। কিন্তু স্নাতক পড়ার সময় জাপানিজ ভাষা জানতে হবে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জাপানিজ ভাষা শেখার সুযোগ অবশ্য ইউনিভার্সিটিগুলোতে থাকে। আপনি ভর্তি হওয়ার পর ইউনিভার্সিটি থেকে বিনা মূল্যে জাপানিজ ভাষার কোর্স অফার করবে।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি পার্টটাইম চাকরির অনুমতি দেয়? সেই অ্যালাউন্স দিয়ে কি জীবনযাত্রার খরচ নির্বাহ করা যায়?
উত্তর: জি, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে সাধারণত ২৮ ঘণ্টার মতো কাজের সুযোগ পান। আর ছুটির সময় ফুলটাইম জব করার সুযোগ পান। পার্টটাইম জবে জাপানে ঘণ্টায় ৯০০-১৫০০ ইয়েন পাওয়া যায়, যা বাংলাদেশি টাকায় ৭০০-১২০০ টাকার সমতুল্য। জাপানিজ ভাষা জানলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সহজেই কাজ পাওয়া যায়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষণাগার ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজের সুযোগ থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বৃত্তির কত শতাংশ পর্যন্ত অফার করে: জাপানের সরকারি এবং বেসরকারি সব স্কলারশিপই ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ফান্ড দিয়ে থাকে, যা ইউনিভার্সিটির টিউশন ফির পাশাপাশি আপনার প্রতিদিনের জীবনযাপন খরচেও সহায়ক হয়ে থাকে।
প্রশ্ন: জাপানের উল্লেখযোগ্য স্কলারশিপ কী কী?
উত্তর: জাপান মূলত নিম্নোক্ত বৃত্তিগুলো দিয়ে থাকে—১. MEXT স্কলারশিপ: MEXT স্কলারশিপের জন্য দুভাবে আবেদন করা যায়।
বৃত্তির জন্য দুভাবে আবেদন করা যায়।
ক) জাপান এম্বাসি বাংলাদেশ রিকমেন্ডেশন: আবেদনের সময় প্রতিবছরের মে মাসে জাতীয় পত্রিকায় আবেদন প্রকাশ করা হয়।
খ) জাপানিজ ইউনিভার্সিটির রিকমেন্ডেশন আবেদনের সময় মোটামুটি নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ইউনিভার্সিটি রিকমেন্ডেশনের মাধ্যমে সুযোগ ও স্কলারশিপের সংখ্যা মূলত এম্বাসি রিকমেন্ডেশন থেকে অনেক বেশি। ইউনিভার্সিটি রিকমেন্ডেশনের মাধ্যমে কীভাবে আবেদন করতে পারেন, এ নিয়ে আমার ইউটিউবে একটি ভিডিও আছে, চাইলে দেখতে পারেন। লিংক: https: / / youtube.com/@sincerelyjamil
২. এডিবি স্কলারশিপ: এডিবি স্কলারশিপে মূলত আপনার জিপিএর চেয়ে ২ বছর কাজের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
৩. ওয়ার্ল্ড ব্যাংক স্কলারশিপ: এ ক্ষেত্রে আবেদনের সময় সাধারণত প্রতিবছর মার্চ মাসে হয়ে থাকে।
8. জাসো (Jasso) স্কলারশিপ: এটি জাপানের প্রাইভেট স্কলারশিপ, যা শুধু ভর্তি করা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।
জাপানের সব ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার নিয়ম এক। তবে বৃত্তির জন্য পাবলিক ইউনিভার্সিটি ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করাই উত্তম। কারণ, এসব ইউনিভার্সিটিতে বৃত্তির সংখ্যা সাধারণত বেশি থাকে।
প্রশ্ন: জাপানে পড়াশোনা শেষ করে সেখানে কি স্থায়ী হওয়া যায়? হতে গেলে কী কী শর্ত পূরণ করতে হয়?
উত্তর: জি, পড়াশোনা শেষে জাপানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা যায়। এ জন্য আপনাকে প্রথমে স্টুডেন্ট ভিসা থেকে চাকরির ব্যবস্থা করে চাকরি ভিসা নিতে হবে। পড়াশোনা শেষে নাগরিকত্ব নিয়ে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিম্নোক্ত জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে:
১. বৈধভাবে জাপানে ৫ বছরের বেশি সময় থাকতে হবে।
২. অবশ্যই ন্যায়পরায়ণ হতে হবে। এটা নির্ভর করবে জাপানে বসবাসকালীন আপনার সামাজিক
সম্পর্ক এবং কর প্রদানের রেকর্ডের ওপর।
৩. উপার্জনক্ষম হতে হবে।
৪. বর্তমান নাগরিকত্ব অর্থাৎ আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করতে হবে।
৫. জাপানের সরকারবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা যাবে না।
তবে জাপানে বিদেশি নাগরিকদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ তুলনামূলকভাবে সহজ। পর্যাপ্ত
পয়েন্ট অর্জন করতে পারলে যে কেউ মাত্র এক বছরেই দেশটিতে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাবেন। যেমন:
ডক্টরেট পাওয়া বিদেশিদের জন্য ৩০ এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের জন্য ২০ পয়েন্ট।
শিক্ষক, গবেষক কিংবা একাডেমিক ক্ষেত্রে পেশাজীবীরা জাপানে ৩-৭ বছর কাজ করলে ৫ থেকে ১৫ পয়েন্ট।
জাপানি কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৩ থেকে ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে মিলবে ৫ থেকে ২০ পয়েন্ট। ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে একই সময়ের জন্য দেওয়া হবে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ পয়েন্ট। জাপানের কোনো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারী বিদেশিরা পেতে পারেন ১০ থেকে ৫০ পয়েন্ট।
জাপানি প্রতিষ্ঠানে ভালো গবেষণাকর্মের স্বীকৃতি থাকলে সর্বোচ্চ ২৫ পয়েন্ট মিলবে। এ ছাড়া অন্তত ৪টি বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনকারী বিদেশিরা পাবেন বোনাস পয়েন্ট ২০।
জাপানি ভাষায় দক্ষতা থাকলে মিলবে ১৫ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে ৭০ পয়েন্ট হলে, ৩ বছর জাপানে বসবাস করছেন, এমন বিদেশিরা স্থায়ী হওয়ার আবেদন করতে পারবেন; আর ৮০ পয়েন্টধারীদের ক্ষেত্রে এ সুযোগ মিলবে এক বছরেই।
প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষত্ব কী?
উত্তর: অবস্থানগত কারণে আমার ইউনিভার্সিটি জাপানের অন্য ইউনিভার্সিটি থেকে আলাদা। আপনি যদি প্রকৃতি কিংবা সমুদ্রপ্রেমী মানুষ হন এবং জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য আসতে চান, তাহলে ইউনিভার্সিটি অব দ্য রিউকিউসের আপনার জন্য। ইউনিভার্সিটির গবেষণার গুণগত মানের পাশাপাশি এর ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কাছের সমুদ্র ইউনিভার্সিটিকে শহরের বাকি সব ইউনিভার্সিটি থেকে এগিয়ে রাখবে।
প্রশ্ন: জাপানের কোন কোন শহরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাংলাদেশি রয়েছে?
উত্তর: মোটামুটি জাপানের প্রায় সব শহরেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, নাগরিক রয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে টোকিও এবং ওসাকা শহরে বেশি।
প্রশ্ন: উচ্চশিক্ষার জন্য জাপান দেশ হিসেবে কেমন?
উত্তর: উচ্চশিক্ষার জন্য জাপান অন্য দেশ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ, দেশটি জীবনযাপন, গবেষণা এবং টেকনোলজিতে অনেক এগিয়ে। গুগল করলে দেখা যাবে, বিশ্বের সেরা ইউনিভার্সিটির র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৫০টি ইউনিভার্সিটির মধ্যে আছে জাপানের ‘দি ইউনিভার্সিটি অব টোকিও’ ও ‘কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়’। সেরা ৫০০ ইউনিভার্সিটির মধ্যে কেবল জাপানেই আছে ১৩টি (সূত্র: এআরডব্লিউইউ)।
প্রশ্ন: স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য ভর্তির কার্যক্রম কখন শুরু হয়?
উত্তর: জাপানে যেকোনো প্রোগ্রামে ভর্তির কার্যক্রম বছরে ২টি সেমিস্টারে হয়ে থাকে। স্প্রিং সেমিস্টারের কার্যক্রম এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর এবং ফল সেমিস্টারের কার্যক্রম অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বেশি সুযোগ থাকে ফল সেশনে অর্থাৎ ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ সেমিস্টারে।
প্রশ্ন: জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করার জন্য একজন শিক্ষার্থীর কী কী প্রস্তুতি লাগে?
উত্তর: উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হচ্ছে নিজেকে তৈরি করা। যাঁরা বৃত্তি নিয়ে জাপানে স্নাতকোত্তর করতে চান, তাঁরা ইউনিভার্সিটির শুরু থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করুন। যেমন রেজাল্টের পাশাপাশি দরকার হয় ভালো ইংলিশ চর্চা (আইইএলটিএস, জিআরই, টোফেল ইত্যাদি)। তৃতীয় বর্ষে নিজেকে গবেষণামূলক কাজে সম্পৃক্ত করুন। ইউনিভার্সিটির যেসব বড় ছাত্র গবেষণার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নিজের গবেষণার বিষয় আগে থেকে নির্বাচন করুন। চেষ্টা করুন, গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার আগেই কমপক্ষে দু-একটা মানসম্মত পাবলিকেশন বের করার।
জাপানের পড়াশোনার পরিবেশ সম্পূর্ণ গবেষণাভিত্তিক ও সৃজনশীল। জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে দুই সেমিস্টারে বিভিন্ন বৃত্তি ও ফেলোশিপ নিয়ে ভর্তি হওয়া যায়। আপনি যদি বৃত্তি নিয়ে জাপানে স্নাতকোত্তর করতে চান, তাহলে ভালো সিজিপিএর পাশাপাশি গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় আপনাকে আগ্রহী হতে হবে। বৃত্তি নিয়ে স্নাতকোত্তর করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করতে হবে।
তবে বৃত্তির জন্য র্যাঙ্কিং অনুযায়ী পাবলিক ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করাই উত্তম। তারপর আপনাকে প্রফেসর ম্যানেজ করতে হবে। কারণ, জাপানিজ কোনো প্রফেসর যদি আপনাকে রিকমেন্ডেশন দেয়, তাহলে আপনার স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। যে কারণে স্কলারশিপের জন্য আবেদন শুরুর ২-৩ মাস আগে থেকেই প্রফেসরদের ই-মেইল করা ভালো। ই-মেইলে আপনার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সিভি অবশ্যই যুক্ত করবেন। আর ই-মেইলে নিজের সম্পর্কে, একাডেমিক ডিগ্রি, ডিগ্রি রেজাল্ট, রিসার্চ ইন্টারেস্ট অ্যান্ড হোয়াই ইউ ইন্টারেস্ট টু হিম (প্রফেসর) সম্পর্কে লিখে পাঠাতে হবে।
আবেদন করার জন্য মোটামুটি যে ডকুমেন্টগুলো আপনাকে আগে থেকে প্রস্তুত রাখতে হবে, সেগুলো হলো: ১. সিজিপিএ (কমপক্ষে ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে); ২. আইইএলটিএস (আবশ্যক নয়); ৩. রিকমেন্ডেশন লেটার; ৪. রিসার্চ প্রপোজাল; ৫. পাবলিকেশন; ৬. একাডেমিক ডকুমেন্ট
প্রশ্ন: জাপানি ভাষা কি আগেই শিখে নেওয়া লাগে? লাগলে জাপানিজ ভাষা শেখার মাধ্যম কী কী? কত দিন পরপর সে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যক্রম থাকার কারণে জাপানিজ ভাষা না জানলেও খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয় না। কিন্তু স্নাতক পড়ার সময় জাপানিজ ভাষা জানতে হবে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জাপানিজ ভাষা শেখার সুযোগ অবশ্য ইউনিভার্সিটিগুলোতে থাকে। আপনি ভর্তি হওয়ার পর ইউনিভার্সিটি থেকে বিনা মূল্যে জাপানিজ ভাষার কোর্স অফার করবে।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি পার্টটাইম চাকরির অনুমতি দেয়? সেই অ্যালাউন্স দিয়ে কি জীবনযাত্রার খরচ নির্বাহ করা যায়?
উত্তর: জি, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে সাধারণত ২৮ ঘণ্টার মতো কাজের সুযোগ পান। আর ছুটির সময় ফুলটাইম জব করার সুযোগ পান। পার্টটাইম জবে জাপানে ঘণ্টায় ৯০০-১৫০০ ইয়েন পাওয়া যায়, যা বাংলাদেশি টাকায় ৭০০-১২০০ টাকার সমতুল্য। জাপানিজ ভাষা জানলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সহজেই কাজ পাওয়া যায়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষণাগার ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজের সুযোগ থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বৃত্তির কত শতাংশ পর্যন্ত অফার করে: জাপানের সরকারি এবং বেসরকারি সব স্কলারশিপই ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ফান্ড দিয়ে থাকে, যা ইউনিভার্সিটির টিউশন ফির পাশাপাশি আপনার প্রতিদিনের জীবনযাপন খরচেও সহায়ক হয়ে থাকে।
প্রশ্ন: জাপানের উল্লেখযোগ্য স্কলারশিপ কী কী?
উত্তর: জাপান মূলত নিম্নোক্ত বৃত্তিগুলো দিয়ে থাকে—১. MEXT স্কলারশিপ: MEXT স্কলারশিপের জন্য দুভাবে আবেদন করা যায়।
বৃত্তির জন্য দুভাবে আবেদন করা যায়।
ক) জাপান এম্বাসি বাংলাদেশ রিকমেন্ডেশন: আবেদনের সময় প্রতিবছরের মে মাসে জাতীয় পত্রিকায় আবেদন প্রকাশ করা হয়।
খ) জাপানিজ ইউনিভার্সিটির রিকমেন্ডেশন আবেদনের সময় মোটামুটি নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ইউনিভার্সিটি রিকমেন্ডেশনের মাধ্যমে সুযোগ ও স্কলারশিপের সংখ্যা মূলত এম্বাসি রিকমেন্ডেশন থেকে অনেক বেশি। ইউনিভার্সিটি রিকমেন্ডেশনের মাধ্যমে কীভাবে আবেদন করতে পারেন, এ নিয়ে আমার ইউটিউবে একটি ভিডিও আছে, চাইলে দেখতে পারেন। লিংক: https: / / youtube.com/@sincerelyjamil
২. এডিবি স্কলারশিপ: এডিবি স্কলারশিপে মূলত আপনার জিপিএর চেয়ে ২ বছর কাজের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
৩. ওয়ার্ল্ড ব্যাংক স্কলারশিপ: এ ক্ষেত্রে আবেদনের সময় সাধারণত প্রতিবছর মার্চ মাসে হয়ে থাকে।
8. জাসো (Jasso) স্কলারশিপ: এটি জাপানের প্রাইভেট স্কলারশিপ, যা শুধু ভর্তি করা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।
জাপানের সব ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার নিয়ম এক। তবে বৃত্তির জন্য পাবলিক ইউনিভার্সিটি ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করাই উত্তম। কারণ, এসব ইউনিভার্সিটিতে বৃত্তির সংখ্যা সাধারণত বেশি থাকে।
প্রশ্ন: জাপানে পড়াশোনা শেষ করে সেখানে কি স্থায়ী হওয়া যায়? হতে গেলে কী কী শর্ত পূরণ করতে হয়?
উত্তর: জি, পড়াশোনা শেষে জাপানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা যায়। এ জন্য আপনাকে প্রথমে স্টুডেন্ট ভিসা থেকে চাকরির ব্যবস্থা করে চাকরি ভিসা নিতে হবে। পড়াশোনা শেষে নাগরিকত্ব নিয়ে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিম্নোক্ত জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে:
১. বৈধভাবে জাপানে ৫ বছরের বেশি সময় থাকতে হবে।
২. অবশ্যই ন্যায়পরায়ণ হতে হবে। এটা নির্ভর করবে জাপানে বসবাসকালীন আপনার সামাজিক
সম্পর্ক এবং কর প্রদানের রেকর্ডের ওপর।
৩. উপার্জনক্ষম হতে হবে।
৪. বর্তমান নাগরিকত্ব অর্থাৎ আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করতে হবে।
৫. জাপানের সরকারবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা যাবে না।
তবে জাপানে বিদেশি নাগরিকদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ তুলনামূলকভাবে সহজ। পর্যাপ্ত
পয়েন্ট অর্জন করতে পারলে যে কেউ মাত্র এক বছরেই দেশটিতে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাবেন। যেমন:
ডক্টরেট পাওয়া বিদেশিদের জন্য ৩০ এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের জন্য ২০ পয়েন্ট।
শিক্ষক, গবেষক কিংবা একাডেমিক ক্ষেত্রে পেশাজীবীরা জাপানে ৩-৭ বছর কাজ করলে ৫ থেকে ১৫ পয়েন্ট।
জাপানি কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৩ থেকে ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে মিলবে ৫ থেকে ২০ পয়েন্ট। ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে একই সময়ের জন্য দেওয়া হবে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ পয়েন্ট। জাপানের কোনো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারী বিদেশিরা পেতে পারেন ১০ থেকে ৫০ পয়েন্ট।
জাপানি প্রতিষ্ঠানে ভালো গবেষণাকর্মের স্বীকৃতি থাকলে সর্বোচ্চ ২৫ পয়েন্ট মিলবে। এ ছাড়া অন্তত ৪টি বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনকারী বিদেশিরা পাবেন বোনাস পয়েন্ট ২০।
জাপানি ভাষায় দক্ষতা থাকলে মিলবে ১৫ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে ৭০ পয়েন্ট হলে, ৩ বছর জাপানে বসবাস করছেন, এমন বিদেশিরা স্থায়ী হওয়ার আবেদন করতে পারবেন; আর ৮০ পয়েন্টধারীদের ক্ষেত্রে এ সুযোগ মিলবে এক বছরেই।
প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষত্ব কী?
উত্তর: অবস্থানগত কারণে আমার ইউনিভার্সিটি জাপানের অন্য ইউনিভার্সিটি থেকে আলাদা। আপনি যদি প্রকৃতি কিংবা সমুদ্রপ্রেমী মানুষ হন এবং জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য আসতে চান, তাহলে ইউনিভার্সিটি অব দ্য রিউকিউসের আপনার জন্য। ইউনিভার্সিটির গবেষণার গুণগত মানের পাশাপাশি এর ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কাছের সমুদ্র ইউনিভার্সিটিকে শহরের বাকি সব ইউনিভার্সিটি থেকে এগিয়ে রাখবে।
প্রশ্ন: জাপানের কোন কোন শহরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাংলাদেশি রয়েছে?
উত্তর: মোটামুটি জাপানের প্রায় সব শহরেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, নাগরিক রয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে টোকিও এবং ওসাকা শহরে বেশি।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) স্টার্টআপস নেক্সট গত বুধবার দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ভ্রমণ প্রযুক্তি নির্ভর স্টার্টআপ ‘শেয়ার ট্রিপ’-এর সঙ্গে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সফল স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জগুলো দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করার কৌশল তুলে ধরেন শেয়ার ট্রিপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাদিয়া হক। অনুষ্
১ ঘণ্টা আগেইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল বুধবার আইইউবিএটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে কলেজ অব এগ্রিকালচারাল সায়েন্সেসের উদ্যোগে গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব উদ্যাপিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহষ্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেজমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সামার-২০২৪ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া ৮৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টেশন...
১৫ ঘণ্টা আগে