Ajker Patrika

উচ্চশিক্ষায় জাপান অনেক এগিয়ে

আপডেট : ২৯ জুন ২০২৪, ১২: ৪৫
উচ্চশিক্ষায় জাপান অনেক এগিয়ে

জাপানের ইউনিভার্সিটি অব দ্য রিউকিউসের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেমসের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আবু কায়সার জামিল। মেক্সট স্কলারশিপ নিয়ে সেখানে পড়াশোনা করছেন। উচ্চশিক্ষার নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ

প্রশ্ন: উচ্চশিক্ষার জন্য জাপান দেশ হিসেবে কেমন? 
উত্তর: উচ্চশিক্ষার জন্য জাপান অন্য দেশ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ, দেশটি জীবনযাপন, গবেষণা এবং টেকনোলজিতে অনেক এগিয়ে। গুগল করলে দেখা যাবে, বিশ্বের সেরা ইউনিভার্সিটির র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৫০টি ইউনিভার্সিটির মধ্যে আছে জাপানের ‘দি ইউনিভার্সিটি অব টোকিও’ ও ‘কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়’। সেরা ৫০০ ইউনিভার্সিটির মধ্যে কেবল জাপানেই আছে ১৩টি (সূত্র: এআরডব্লিউইউ)। 

প্রশ্ন: স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য ভর্তির কার্যক্রম কখন শুরু হয়? 
উত্তর: জাপানে যেকোনো প্রোগ্রামে ভর্তির কার্যক্রম বছরে ২টি সেমিস্টারে হয়ে থাকে। স্প্রিং সেমিস্টারের কার্যক্রম এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর এবং ফল সেমিস্টারের কার্যক্রম অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বেশি সুযোগ থাকে ফল সেশনে অর্থাৎ ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ সেমিস্টারে।

প্রশ্ন: জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করার জন্য একজন শিক্ষার্থীর কী কী প্রস্তুতি লাগে? 
উত্তর: উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হচ্ছে নিজেকে তৈরি করা। যাঁরা বৃত্তি নিয়ে জাপানে স্নাতকোত্তর করতে চান, তাঁরা ইউনিভার্সিটির শুরু থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করুন। যেমন রেজাল্টের পাশাপাশি দরকার হয় ভালো ইংলিশ চর্চা (আইইএলটিএস, জিআরই, টোফেল ইত্যাদি)। তৃতীয় বর্ষে নিজেকে গবেষণামূলক কাজে সম্পৃক্ত করুন। ইউনিভার্সিটির যেসব বড় ছাত্র গবেষণার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নিজের গবেষণার বিষয় আগে থেকে নির্বাচন করুন। চেষ্টা করুন, গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার আগেই কমপক্ষে দু-একটা মানসম্মত পাবলিকেশন বের করার।

জাপানের পড়াশোনার পরিবেশ সম্পূর্ণ গবেষণাভিত্তিক ও সৃজনশীল। জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে দুই সেমিস্টারে বিভিন্ন বৃত্তি ও ফেলোশিপ নিয়ে ভর্তি হওয়া যায়। আপনি যদি বৃত্তি নিয়ে জাপানে স্নাতকোত্তর করতে চান, তাহলে ভালো সিজিপিএর পাশাপাশি গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় আপনাকে আগ্রহী হতে হবে। বৃত্তি নিয়ে স্নাতকোত্তর করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করতে হবে।

তবে বৃত্তির জন্য র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী পাবলিক ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করাই উত্তম। তারপর আপনাকে প্রফেসর ম্যানেজ করতে হবে। কারণ, জাপানিজ কোনো প্রফেসর যদি আপনাকে রিকমেন্ডেশন দেয়, তাহলে আপনার স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। যে কারণে স্কলারশিপের জন্য আবেদন শুরুর ২-৩ মাস আগে থেকেই প্রফেসরদের ই-মেইল করা ভালো। ই-মেইলে আপনার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সিভি অবশ্যই যুক্ত করবেন। আর ই-মেইলে নিজের সম্পর্কে, একাডেমিক ডিগ্রি, ডিগ্রি রেজাল্ট, রিসার্চ ইন্টারেস্ট অ্যান্ড হোয়াই ইউ ইন্টারেস্ট টু হিম (প্রফেসর) সম্পর্কে লিখে পাঠাতে হবে।

আবেদন করার জন্য মোটামুটি যে ডকুমেন্টগুলো আপনাকে আগে থেকে প্রস্তুত রাখতে হবে, সেগুলো হলো: ১. সিজিপিএ (কমপক্ষে ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে); ২. আইইএলটিএস (আবশ্যক নয়); ৩. রিকমেন্ডেশন লেটার; ৪. রিসার্চ প্রপোজাল; ৫. পাবলিকেশন; ৬. একাডেমিক ডকুমেন্ট

প্রশ্ন: জাপানি ভাষা কি আগেই শিখে নেওয়া লাগে? লাগলে জাপানিজ ভাষা শেখার মাধ্যম কী কী? কত দিন পরপর সে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যক্রম থাকার কারণে জাপানিজ ভাষা না জানলেও খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয় না। কিন্তু স্নাতক পড়ার সময় জাপানিজ ভাষা জানতে হবে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জাপানিজ ভাষা শেখার সুযোগ অবশ্য ইউনিভার্সিটিগুলোতে থাকে। আপনি ভর্তি হওয়ার পর ইউনিভার্সিটি থেকে বিনা মূল্যে জাপানিজ ভাষার কোর্স অফার করবে।

প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি পার্টটাইম চাকরির অনুমতি দেয়? সেই অ্যালাউন্স দিয়ে কি জীবনযাত্রার খরচ নির্বাহ করা যায়?
উত্তর: জি, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে সাধারণত ২৮ ঘণ্টার মতো কাজের সুযোগ পান। আর ছুটির সময় ফুলটাইম জব করার সুযোগ পান। পার্টটাইম জবে জাপানে ঘণ্টায় ৯০০-১৫০০ ইয়েন পাওয়া যায়, যা বাংলাদেশি টাকায় ৭০০-১২০০ টাকার সমতুল্য। জাপানিজ ভাষা জানলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সহজেই কাজ পাওয়া যায়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষণাগার ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজের সুযোগ থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বৃত্তির কত শতাংশ পর্যন্ত অফার করে: জাপানের সরকারি এবং বেসরকারি সব স্কলারশিপই ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ফান্ড দিয়ে থাকে, যা ইউনিভার্সিটির টিউশন ফির পাশাপাশি আপনার প্রতিদিনের জীবনযাপন খরচেও সহায়ক হয়ে থাকে।

প্রশ্ন: জাপানের উল্লেখযোগ্য স্কলারশিপ কী কী?
উত্তর: জাপান মূলত নিম্নোক্ত বৃত্তিগুলো দিয়ে থাকে—১. MEXT স্কলারশিপ: MEXT স্কলারশিপের জন্য দুভাবে আবেদন করা যায়।

বৃত্তির জন্য দুভাবে আবেদন করা যায়।
ক) জাপান এম্বাসি বাংলাদেশ রিকমেন্ডেশন: আবেদনের সময় প্রতিবছরের মে মাসে জাতীয় পত্রিকায় আবেদন প্রকাশ করা হয়। 
খ) জাপানিজ ইউনিভার্সিটির রিকমেন্ডেশন আবেদনের সময় মোটামুটি নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ইউনিভার্সিটি রিকমেন্ডেশনের মাধ্যমে সুযোগ ও স্কলারশিপের সংখ্যা মূলত এম্বাসি রিকমেন্ডেশন থেকে অনেক বেশি। ইউনিভার্সিটি রিকমেন্ডেশনের মাধ্যমে কীভাবে আবেদন করতে পারেন, এ নিয়ে আমার ইউটিউবে একটি ভিডিও আছে, চাইলে দেখতে পারেন। লিংক: https: / / youtube.com/@sincerelyjamil

২. এডিবি স্কলারশিপ: এডিবি স্কলারশিপে মূলত আপনার জিপিএর চেয়ে ২ বছর কাজের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। 

৩. ওয়ার্ল্ড ব্যাংক স্কলারশিপ: এ ক্ষেত্রে আবেদনের সময় সাধারণত প্রতিবছর মার্চ মাসে হয়ে থাকে। 

8. জাসো (Jasso) স্কলারশিপ: এটি জাপানের প্রাইভেট স্কলারশিপ, যা শুধু ভর্তি করা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য। 

জাপানের সব ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার নিয়ম এক। তবে বৃত্তির জন্য পাবলিক ইউনিভার্সিটি ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করাই উত্তম। কারণ, এসব ইউনিভার্সিটিতে বৃত্তির সংখ্যা সাধারণত বেশি থাকে।

প্রশ্ন: জাপানে পড়াশোনা শেষ করে সেখানে কি স্থায়ী হওয়া যায়? হতে গেলে কী কী শর্ত পূরণ করতে হয়?
উত্তর: জি, পড়াশোনা শেষে জাপানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা যায়। এ জন্য আপনাকে প্রথমে স্টুডেন্ট ভিসা থেকে চাকরির ব্যবস্থা করে চাকরি ভিসা নিতে হবে। পড়াশোনা শেষে নাগরিকত্ব নিয়ে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিম্নোক্ত জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে:

১. বৈধভাবে জাপানে ৫ বছরের বেশি সময় থাকতে হবে।
২. অবশ্যই ন্যায়পরায়ণ হতে হবে। এটা নির্ভর করবে জাপানে বসবাসকালীন আপনার সামাজিক 
সম্পর্ক এবং কর প্রদানের রেকর্ডের ওপর। 
৩. উপার্জনক্ষম হতে হবে। 
৪. বর্তমান নাগরিকত্ব অর্থাৎ আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করতে হবে।
৫. জাপানের সরকারবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা যাবে না। 

তবে জাপানে বিদেশি নাগরিকদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ তুলনামূলকভাবে সহজ। পর্যাপ্ত 
পয়েন্ট অর্জন করতে পারলে যে কেউ মাত্র এক বছরেই দেশটিতে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাবেন। যেমন:

ডক্টরেট পাওয়া বিদেশিদের জন্য ৩০ এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের জন্য ২০ পয়েন্ট। 
শিক্ষক, গবেষক কিংবা একাডেমিক ক্ষেত্রে পেশাজীবীরা জাপানে ৩-৭ বছর কাজ করলে ৫ থেকে ১৫ পয়েন্ট। 
জাপানি কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৩ থেকে ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে মিলবে ৫ থেকে ২০ পয়েন্ট। ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে একই সময়ের জন্য দেওয়া হবে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ পয়েন্ট। জাপানের কোনো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারী বিদেশিরা পেতে পারেন ১০ থেকে ৫০ পয়েন্ট।

জাপানি প্রতিষ্ঠানে ভালো গবেষণাকর্মের স্বীকৃতি থাকলে সর্বোচ্চ ২৫ পয়েন্ট মিলবে। এ ছাড়া অন্তত ৪টি বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনকারী বিদেশিরা পাবেন বোনাস পয়েন্ট ২০।

জাপানি ভাষায় দক্ষতা থাকলে মিলবে ১৫ পয়েন্ট।

সব মিলিয়ে ৭০ পয়েন্ট হলে, ৩ বছর জাপানে বসবাস করছেন, এমন বিদেশিরা স্থায়ী হওয়ার আবেদন করতে পারবেন; আর ৮০ পয়েন্টধারীদের ক্ষেত্রে এ সুযোগ মিলবে এক বছরেই।

প্রশ্ন: আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষত্ব কী?
উত্তর: অবস্থানগত কারণে আমার ইউনিভার্সিটি জাপানের অন্য ইউনিভার্সিটি থেকে আলাদা। আপনি যদি প্রকৃতি কিংবা সমুদ্রপ্রেমী মানুষ হন এবং জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য আসতে চান, তাহলে ইউনিভার্সিটি অব দ্য রিউকিউসের আপনার জন্য। ইউনিভার্সিটির গবেষণার গুণগত মানের পাশাপাশি এর ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কাছের সমুদ্র ইউনিভার্সিটিকে শহরের বাকি সব ইউনিভার্সিটি থেকে এগিয়ে রাখবে।

প্রশ্ন: জাপানের কোন কোন শহরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাংলাদেশি রয়েছে?
উত্তর: মোটামুটি জাপানের প্রায় সব শহরেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, নাগরিক রয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে টোকিও এবং ওসাকা শহরে বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

শিক্ষা ডেস্ক
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।

[গতকালের পর]

ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)

১. Synonyms & Antonyms:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।

২. Spelling Correction:

Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।

৩. Idioms & Phrases:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।

ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)

যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।

জনপ্রিয় লেখক:

William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।

এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।

প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা

প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।

ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে
বৃত্তি

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।

ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।

বৃত্তির ধরন

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।

সুযোগ-সুবিধা

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।

আবেদনের যোগ্যতা

বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত