Ajker Patrika

পাঠকের আঙিনায় একুশের বইমেলা

শিক্ষা ডেস্ক
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪: ১৬
বইমেলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বইমেলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফেব্রুয়ারির বাতাস মানেই বইয়ের ঘ্রাণ, বাঙালির প্রাণের উৎসব—অমর একুশে বইমেলা। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছড়িয়ে থাকা রঙিন স্টল, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, প্রিয় লেখকদের সঙ্গে আড্ডা; সব মিলিয়ে এটি শুধু একটি বইমেলা নয়, বরং বাঙালির সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতার এক বিরাট সম্মিলন। বইমেলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনার কথা।

বইয়ের পরশে জ্ঞানচর্চার বিকাশ ঘটুক

বই মানুষের পরম বন্ধু, যা কখনো পিছু ছাড়ে না। ২০২৫ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলা জ্ঞানের আলো ছড়াতে আবারও এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতার মাঝেও জেন-জি প্রজন্ম নতুন আশার সঞ্চার করেছে। এই মেলায় প্রিয় লেখক, গবেষক ও স্কলারদের বই আমাদের পথ দেখাবে। মহান আল্লাহ (সূরা আল-আলাকের: ০৫) প্রথম আয়াতে নাজিল করেছিলেন— ‘পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন’। সকল বইয়ের পরশে জ্ঞানচর্চার বিকাশ ঘটুক, দেশ হোক সমৃদ্ধ ও শিষ্টাচারপূর্ণ। অমর হোক একুশে গ্রন্থমেলা!

মনিরুল ইসলাম, শিক্ষার্থী; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

কবি-লেখকের সংখ্যা সবাইকে জানাতে হবে

একটি ভালো বই নিঃসন্দেহে ভালো বন্ধু। আর সেই ভালো বন্ধুটি যদি শিশু-কিশোর বয়স থেকেই সঙ্গী হয়, তাহলে জীবন সঠিক দিকে এগোবে এটা নিশ্চিত। একুশে বইমেলায় এ বই সহজলভ্য। বইমেলা সর্বজনীন, তাই সব শ্রেণি-পেশার মানুষে লোকারণ্য থাকে। বইমেলার আমেজ ও নতুন বইয়ের ঘ্রাণ যেন ফেব্রুয়ারি মাসেই মফস্বলের শিক্ষার্থীদের হাতেও পৌঁছায়, রাষ্ট্র ও তরুণ প্রজন্মকে সেই ভাবনায় এগিয়ে যেতে হবে। দেশে বর্তমানে কতজন কবি-লেখক আছেন, বইমেলা উপলক্ষে প্রতিবছর কোন কোন লেখকের বই প্রকাশ হচ্ছে; সে তালিকা মেলায় সীমাবদ্ধ না রেখে সমগ্র দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।

শাহিনূর পারভীন, শিক্ষার্থী, কাচিকাটা মোহাম্মাদিয়া গার্লস দাখিল মাদরাসা

বই পড়ি, সুস্থ-সুন্দর জীবন গড়ি

বই মননশীলতার পরিচায়ক। জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে এবং জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে বইয়ের ভূমিকা অশেষ। গবেষণায় দেখা গেছে, ‘নিয়মিত বই পড়লে মস্তিষ্কের জটিল কোষগুলো উদ্দীপিত হয় ও স্নায়ুগুলো উজ্জীবিত হয়। আলঝেইমার ও ডিমেনশিয়ার মতো মানসিক রোগের প্রক্রিয়া হ্রাস পায়।’ বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে একুশের বইমেলা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমি মনে করি, একুশের বইমেলার অনবদ্য উদ্যোগ স্ক্রিন আসক্ত নবীন প্রজন্মকে বই পাঠে আগ্রহী করে তুলবে। তাই আসুন বই পড়ি, সুস্থ-সুন্দর জীবন গড়ি এবং বইমেলাকে আরও উপভোগ্য করি।

মোফাজ্জল হোসেন, শিক্ষার্থী, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

বইমেলা বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি

বইমেলা বাঙালির প্রাণের উৎসব। ভাষা সংগ্রাম থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম বুকে ধারণ করা বাঙালির বইমেলা যেন এক টুকরো সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। বইমেলা শুধু বই কেনাবেচার স্থান নয়, এটি একটি জ্ঞান ও সৃজনশীলতার মিলনমেলা। লেখক ও পাঠক উভয়ই সারা বছর এই একটি মাসের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। এই বইমেলা হোক পাঠকের আত্মোন্নয়ন ও মানসিক উৎকর্ষ সাধনের পথ। বইমেলা হোক প্রকৃত পাঠকের মিলনস্থল, জ্ঞানপিপাসুদের পাঠশালা। মেলায় আমরা যেন শুধু ঘুরতেই না আসি, বইয়ের গভীরে প্রবেশ করি, নতুন জ্ঞান আহরণ করি। যা ভবিষ্যতে জ্ঞানসমৃদ্ধ জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে।

প্রজ্ঞা দাস, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ

বইয়ের সঙ্গে প্রণয় সৃষ্টি করা যায়

বই আমাদের সুহৃৎ, বই পড়ে আমরা জ্ঞানার্জন করতে পারি। বিভিন্ন প্রখ্যাত মানুষের জীবনী, দেশ-বিদেশের ইতিহাস, রাজনীতি আরও কত কী সম্পর্কে জানতেও পারি। নিজেদের ভেতরের জ্ঞান উজ্জীবিত করতে বই পড়ার বিকল্প নেই। বইমেলা শুধু বই কেনার স্থানই নয়, বরং এক অপূর্ব সুযোগ নবীন-প্রবীন লেখকদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। নবীন লেখকদের থেকে জানতে পারি, তাঁরা কীভাবে লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। অপর দিকে, প্রবীন লেখকদের নিকট পরামর্শ নিতে পারি, কীভাবে বই পড়ায় নিজেদের উৎসাহ দেব এবং কী করে বইয়ের সঙ্গে প্রণয় সৃষ্টি করা যায়।

সামিন ইয়াসার, শিক্ষার্থী, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি

মেলায় পাওয়া যাচ্ছে প্রায় সব ধরনের বই

বই মনের খোরাক। আর বইমেলা সেই বইয়ের প্রদর্শন ক্ষেত্র। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাস উপলক্ষে অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করা হয়। নানা ধরনের বই থাকে এ মেলায়। সায়েন্স ফিকশন, সাহিত্য, শিক্ষামূলক, দক্ষতা উন্নয়নমূলকসহ প্রায় সব ধরনের বই পাওয়া যায়। সব বয়সের মানুষই বইমেলায় আসেন। বইমেলায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে বই সম্পর্কে পাঠকদের ধারণা হয়, পাঠকরা বই পড়তে আগ্রহী হন। গবেষণার ক্ষেত্রেও সহায়ক এই বই ও বইমেলা। শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সের মানুষ বইমেলায় ভিড় করেন।

আফিয়া আলম, শিক্ষার্থী; ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত