যেদিন ক্যাম্পাসে নবীন হয়ে পা দিয়েছিলাম, সেদিন আমাদের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সুফিয়া আখতার বলেছিলেন, ‘আমরা ম্যানেজমেন্টে পড়ি, ম্যানেজ করে চলাটাই আমাদের কাজ’। স্নাতকজীবনের শেষ সময়ে এসে ইডেনের প্রতিটি কোনা উপলব্ধি করতে পারি—বিভাগের পরিপাটি করিডর, ক্লাসরুম, সবুজ মাঠ, পুকুরপাড়, কড়িতলার বেঞ্চ, মালঞ্চের চা। সবটুকু খুব নীরবে ছড়িয়ে দেয় স্মৃতির আলিঙ্গন। বিভাগের প্রত্যেক শিক্ষক আমাদের অনুপ্রেরণা দেন নির্বিঘ্নে স্বপ্নপূরণের, লক্ষ্য অর্জনের। উৎসাহিত করেন আগামীর চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার। প্রতিষ্ঠানে সব মেয়ে একজন সাধারণ মেয়ে হিসেবে প্রবেশ করলেও বের হয় একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে।
ফারহা-নাজ-আলম, চতুর্থ বর্ষ, ব্যবস্থাপনা বিভাগ
স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে হাজার স্বপ্ন নিয়ে ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হয়েছি। এখানে এসে স্বপ্নগুলো যেন নতুন মাত্রা পেয়েছে।
১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সেই ইডেন মহিলা কলেজ এ বছর উদ্যাপন করবে ১৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। এই সার্ধশতবর্ষের ইতিহাসে জুড়ে আছে অনেকের নাম। বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ছিলেন অন্যতম। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যিনি চিরস্মরণীয়। ভাষাসৈনিক অধ্যাপক চেমন আরা ছিলেন ইডেন কলেজের কৃতী শিক্ষার্থী। এ ছাড়া সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীও এখানে পড়াশোনা করেছেন। ইডেন কলেজের গৌরবময় ইতিহাসের পাতায় আরও জুড়ে আছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী রওশন জামিল, দিলারা জামান, দেশসেরা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় এলিনা সুলতানার মতো অনেকের নাম, যাঁরা প্রতিনিয়ত আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন।
সাদিয়া আফরিন হীরা, তৃতীয় বর্ষ, অর্থনীতি বিভাগ
উচ্চশিক্ষার জন্য একটি কলেজে যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার, সবই পেয়েছি এখানে। ইডেন কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমার খুবই পছন্দের। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে পয়লা বৈশাখ, বসন্তবরণ, পৌষ পার্বণ—এমন সব ধরনের উৎসব ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে দুই দিনব্যাপী বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়। এ মেলায় প্রতিটি বিভাগ থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী নিয়ে দোকান বসে। তা ছাড়া বিভাগ থেকে প্রতিবছর শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করা হয়। এতে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞানার্জনের সুযোগ। ১৫০ বছর ধরে কলেজটি তার সুনাম-খ্যাতি ধরে রেখেছে। এ কলেজের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকি দেশ ও সমাজের জন্য ভালো কিছু করার।
সাবিকুন নাহার শ্রাবণ, তৃতীয় বর্ষ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ
ইডেন মহিলা কলেজে ছায়াবীথি, চারণ, অপরাজেয় বাংলা নামে সাংস্কৃতিক সংগঠন আর সঙ্গে ডিবেটিং ক্লাবও রয়েছে। ফলে মেয়েরা মেধার আত্মপ্রকাশ করার সুযোগ পায়। কলেজের ভেতরেই আছে কয়েকটি ক্যানটিন ও দোকান। আবাসিক ছাত্রীরা এখান থেকেই কেনাকাটা করতে পারে। কলেজে শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, তায়কোয়ান্দো, ছায়াবীথি। কলেজটি পরিবেশগতভাবে মেয়েদের জন্য অনুকূল। এবার কিছু না পাওয়ার কথা বলি—ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বাস আছে মাত্র তিনটি, যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। লাইব্রেরিতে আসনসংখ্যা এবং বইয়ের সংখ্যাও কম। ছাত্রীদের তুলনায় হলের সংখ্যাও অপর্যাপ্ত। ভবন সংখ্যাও সীমিত। আমাদের এখানে গবেষণার ওপর আরও জোর দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আরও যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারবে।
চন্দ্রা বালা, দ্বিতীয় বর্ষ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর প্রত্যেক মেয়ের স্বপ্ন হচ্ছে ইডেন। আমারও তা-ই ছিল। ভাগ্যক্রমে পেয়েও গেছি। মানসিক শান্তির জন্য ইডেনের পুকুরপাড়ে বসে থাকার বিকল্প নেই। মনে হয় পুকুরের পানি সব মানসিক চাপ কেড়ে নেয়। দেখতে দেখতে ইডেনের ১৫০ বছর পেরিয়ে গেল। কলেজ প্রাঙ্গণ যেন স্বপ্নের কোনো এক আলোকচিত্র। এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় মহিলা হল আমাদের প্রিয় ইডেন কলেজেই রয়েছে। বঙ্গমাতা হল। মেয়েদের স্বপ্ন গড়ে তোলার এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত ইডেন মহিলা কলেজ। যেখান থেকে বিসিএসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উচ্চ পদে মেয়েরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে। ইডেন মহিলা কলেজ আমার স্বপ্নের প্রাঙ্গণ।
সালমা জাহান সনিয়া, তৃতীয় বর্ষ, অর্থনীতি বিভাগ
যেদিন ক্যাম্পাসে নবীন হয়ে পা দিয়েছিলাম, সেদিন আমাদের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সুফিয়া আখতার বলেছিলেন, ‘আমরা ম্যানেজমেন্টে পড়ি, ম্যানেজ করে চলাটাই আমাদের কাজ’। স্নাতকজীবনের শেষ সময়ে এসে ইডেনের প্রতিটি কোনা উপলব্ধি করতে পারি—বিভাগের পরিপাটি করিডর, ক্লাসরুম, সবুজ মাঠ, পুকুরপাড়, কড়িতলার বেঞ্চ, মালঞ্চের চা। সবটুকু খুব নীরবে ছড়িয়ে দেয় স্মৃতির আলিঙ্গন। বিভাগের প্রত্যেক শিক্ষক আমাদের অনুপ্রেরণা দেন নির্বিঘ্নে স্বপ্নপূরণের, লক্ষ্য অর্জনের। উৎসাহিত করেন আগামীর চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার। প্রতিষ্ঠানে সব মেয়ে একজন সাধারণ মেয়ে হিসেবে প্রবেশ করলেও বের হয় একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে।
ফারহা-নাজ-আলম, চতুর্থ বর্ষ, ব্যবস্থাপনা বিভাগ
স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে হাজার স্বপ্ন নিয়ে ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হয়েছি। এখানে এসে স্বপ্নগুলো যেন নতুন মাত্রা পেয়েছে।
১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সেই ইডেন মহিলা কলেজ এ বছর উদ্যাপন করবে ১৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। এই সার্ধশতবর্ষের ইতিহাসে জুড়ে আছে অনেকের নাম। বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ছিলেন অন্যতম। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যিনি চিরস্মরণীয়। ভাষাসৈনিক অধ্যাপক চেমন আরা ছিলেন ইডেন কলেজের কৃতী শিক্ষার্থী। এ ছাড়া সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীও এখানে পড়াশোনা করেছেন। ইডেন কলেজের গৌরবময় ইতিহাসের পাতায় আরও জুড়ে আছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী রওশন জামিল, দিলারা জামান, দেশসেরা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় এলিনা সুলতানার মতো অনেকের নাম, যাঁরা প্রতিনিয়ত আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন।
সাদিয়া আফরিন হীরা, তৃতীয় বর্ষ, অর্থনীতি বিভাগ
উচ্চশিক্ষার জন্য একটি কলেজে যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার, সবই পেয়েছি এখানে। ইডেন কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমার খুবই পছন্দের। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে পয়লা বৈশাখ, বসন্তবরণ, পৌষ পার্বণ—এমন সব ধরনের উৎসব ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে দুই দিনব্যাপী বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়। এ মেলায় প্রতিটি বিভাগ থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী নিয়ে দোকান বসে। তা ছাড়া বিভাগ থেকে প্রতিবছর শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করা হয়। এতে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞানার্জনের সুযোগ। ১৫০ বছর ধরে কলেজটি তার সুনাম-খ্যাতি ধরে রেখেছে। এ কলেজের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকি দেশ ও সমাজের জন্য ভালো কিছু করার।
সাবিকুন নাহার শ্রাবণ, তৃতীয় বর্ষ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ
ইডেন মহিলা কলেজে ছায়াবীথি, চারণ, অপরাজেয় বাংলা নামে সাংস্কৃতিক সংগঠন আর সঙ্গে ডিবেটিং ক্লাবও রয়েছে। ফলে মেয়েরা মেধার আত্মপ্রকাশ করার সুযোগ পায়। কলেজের ভেতরেই আছে কয়েকটি ক্যানটিন ও দোকান। আবাসিক ছাত্রীরা এখান থেকেই কেনাকাটা করতে পারে। কলেজে শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, তায়কোয়ান্দো, ছায়াবীথি। কলেজটি পরিবেশগতভাবে মেয়েদের জন্য অনুকূল। এবার কিছু না পাওয়ার কথা বলি—ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বাস আছে মাত্র তিনটি, যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। লাইব্রেরিতে আসনসংখ্যা এবং বইয়ের সংখ্যাও কম। ছাত্রীদের তুলনায় হলের সংখ্যাও অপর্যাপ্ত। ভবন সংখ্যাও সীমিত। আমাদের এখানে গবেষণার ওপর আরও জোর দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আরও যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারবে।
চন্দ্রা বালা, দ্বিতীয় বর্ষ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর প্রত্যেক মেয়ের স্বপ্ন হচ্ছে ইডেন। আমারও তা-ই ছিল। ভাগ্যক্রমে পেয়েও গেছি। মানসিক শান্তির জন্য ইডেনের পুকুরপাড়ে বসে থাকার বিকল্প নেই। মনে হয় পুকুরের পানি সব মানসিক চাপ কেড়ে নেয়। দেখতে দেখতে ইডেনের ১৫০ বছর পেরিয়ে গেল। কলেজ প্রাঙ্গণ যেন স্বপ্নের কোনো এক আলোকচিত্র। এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় মহিলা হল আমাদের প্রিয় ইডেন কলেজেই রয়েছে। বঙ্গমাতা হল। মেয়েদের স্বপ্ন গড়ে তোলার এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত ইডেন মহিলা কলেজ। যেখান থেকে বিসিএসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উচ্চ পদে মেয়েরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে। ইডেন মহিলা কলেজ আমার স্বপ্নের প্রাঙ্গণ।
সালমা জাহান সনিয়া, তৃতীয় বর্ষ, অর্থনীতি বিভাগ
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ঠিক করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়।
৩ ঘণ্টা আগেব্র্যাক ব্যাংকের স্টুডেন্ট ব্যাংকিং সেগমেন্ট ‘আগামী’ ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের সহযোগিতায় ‘ইউকে ও আইইএলটিএস শিক্ষা এক্সপো’ আয়োজন করে। ২০ ও ২১ অক্টোবর ঢাকা ফুলার রোডে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
৫ ঘণ্টা আগেবিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন অনেক শিক্ষার্থীরই থাকে। তবে এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে কিছু ধাপ পার হতে হয়। একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরের সঙ্গে যোগাযোগ করা; যিনি আপনার গবেষণার ক্ষেত্র বা আগ্রহের বিষয়ে আপনাকে গাইড করতে পারবেন।
৭ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অব ডেট্রয়েট মার্সি স্কলারশিপ-২০২৫-এর আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগে