ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
২০০৬ থেকে ২০২৩। সময়টা ১৭ বছরের। এই পুরো সময় কিশোর-তরুণদের পাঠাভ্যাস তৈরিতে নিরলস কাজ করে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে গুটিকয় শিক্ষার্থী নিয়ে ১৭ বছর আগে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা এখন অযুত স্বপ্নের ডালপালা মেলেছে। শহর পেরিয়ে গ্রাম, জেলা, উপজেলায় বিস্তৃত হয়েছে কার্যক্রম। বইয়ের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে স্কুল থেকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে।
‘ইনোভেটর’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ২০০৬ সালে। সে সময়টা জুড়ে আছে জঙ্গিবাদের উত্থান, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি আর তারুণ্যের নিদারুণ ক্ষয়ে যাওয়ার স্মৃতি। সিলেটের একঝাঁক তরুণ-তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে ইনোভেটর প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন সমাজকর্মী রেজওয়ান আহমদ এবং শিক্ষক ও সংগঠক প্রণব কান্তি দেব। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে তাঁরা ডাক দিয়েছিলেন তারুণ্যকে।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বই বিতরণ, ভাষার মাসে পরীক্ষা আর স্বাধীনতার মাসে পুরস্কার বিতরণ—এভাবেই নির্ধারিত হয় ইনোভেটরের বইপড়া উৎসবের গতিপথ। এই উৎসবের পাশাপাশি বই বিনিময় উৎসব, বই আলোচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ, সেমিনার, বিতর্ক ইত্যাদি বই নিয়ে বিভিন্ন আয়োজন করে চলেছে সংগঠনটি। লক্ষ্য একটাই, আগামী প্রজন্ম যেন বেড়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও আদর্শ ধারণ করে। দিনে দিনে বাড়ছে পড়ুয়ার সংখ্যা। এমনকি করোনা সংক্রমণের কারণে সবকিছুতেই যখন স্থবিরতা নেমে এসেছিল, তখনো থেমে থাকেনি ইনোভেটরের কার্যক্রম। ঘরবন্দী সে সময়ে সংগঠনটি আয়োজন করে ‘অনলাইনে বইপড়া কর্মসূচি’র। এখন প্রতিবছর এই কর্মসূচিতে হাজারো শিক্ষার্থী অংশ নেয়। শহর পেরিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় এতে।
বছরব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম থাকলেও ইনোভেটরের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি বইপড়া উৎসব। প্রতিবছরের ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই তিন মাস চলে উৎসব। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে শুরু হয় রেজিস্ট্রেশন। এরপর উৎসব করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অংশগ্রহণকারীদের হাতে নির্বাচিত বই তুলে দেওয়া হয় ডিসেম্বরে। সকলের বই পড়া নিশ্চিত করতে বিতরণ করা বইয়ের ওপর একটি পরীক্ষা নেওয়া হয় ফেব্রুয়ারিতে। আর বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয় মার্চে।
ইনোভেটরের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সঞ্চালক প্রণব কান্তি দেব জানিয়েছেন, যে সময় তাঁরা এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তখন ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছিল। জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ বিস্তার লাভ করায় তরুণেরা বিপথগামী হয়ে পড়ছিল। সে সময় এই উদ্যোগকে অনেকে ভালোভাবে নেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের বই পড়ানো কেন, এমনও প্রশ্ন তোলা হতো। পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসত না কেউ।
এ চ্যালেঞ্জ জয় করেই এগিয়ে চলছে বই পড়ার এই উদ্যোগ। এ পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ৭৭৬ জন শিক্ষার্থী সরাসরি বইপড়া উৎসবে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রণব।
এই মুহূর্তে ইনোভেটরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি একটি নির্বাচিত গ্রন্থতালিকাও তৈরি করেছে ইনোভেটর। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৭ সালে সংগঠনটি পেয়েছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
ইনোভেটরের কার্যক্রম নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাতা নিরঞ্জন দে নির্মাণ করেছেন ‘অক্ষর-আলোকে অবিনাশী যাত্রা’ শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র।
আশার কথা, ইনোভেটর বাংলাদেশের বইপড়ার সংস্কৃতিতে প্রতিনিয়ত যুক্ত করে চলেছে নতুন নতুন পালক। তিন বছর ধরে সিলেট জেলা পরিষদ এগিয়ে এসেছে বইপড়া উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতায়। এ বছর সিলেটের সব কটি উপজেলায় ‘জেলা পরিষদ, সিলেট-ইনোভেটর বইপড়া উৎসব’-এর আয়োজন চলছে।
২০০৬ থেকে ২০২৩। সময়টা ১৭ বছরের। এই পুরো সময় কিশোর-তরুণদের পাঠাভ্যাস তৈরিতে নিরলস কাজ করে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে গুটিকয় শিক্ষার্থী নিয়ে ১৭ বছর আগে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা এখন অযুত স্বপ্নের ডালপালা মেলেছে। শহর পেরিয়ে গ্রাম, জেলা, উপজেলায় বিস্তৃত হয়েছে কার্যক্রম। বইয়ের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে স্কুল থেকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে।
‘ইনোভেটর’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ২০০৬ সালে। সে সময়টা জুড়ে আছে জঙ্গিবাদের উত্থান, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি আর তারুণ্যের নিদারুণ ক্ষয়ে যাওয়ার স্মৃতি। সিলেটের একঝাঁক তরুণ-তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে ইনোভেটর প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন সমাজকর্মী রেজওয়ান আহমদ এবং শিক্ষক ও সংগঠক প্রণব কান্তি দেব। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে তাঁরা ডাক দিয়েছিলেন তারুণ্যকে।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বই বিতরণ, ভাষার মাসে পরীক্ষা আর স্বাধীনতার মাসে পুরস্কার বিতরণ—এভাবেই নির্ধারিত হয় ইনোভেটরের বইপড়া উৎসবের গতিপথ। এই উৎসবের পাশাপাশি বই বিনিময় উৎসব, বই আলোচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ, সেমিনার, বিতর্ক ইত্যাদি বই নিয়ে বিভিন্ন আয়োজন করে চলেছে সংগঠনটি। লক্ষ্য একটাই, আগামী প্রজন্ম যেন বেড়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও আদর্শ ধারণ করে। দিনে দিনে বাড়ছে পড়ুয়ার সংখ্যা। এমনকি করোনা সংক্রমণের কারণে সবকিছুতেই যখন স্থবিরতা নেমে এসেছিল, তখনো থেমে থাকেনি ইনোভেটরের কার্যক্রম। ঘরবন্দী সে সময়ে সংগঠনটি আয়োজন করে ‘অনলাইনে বইপড়া কর্মসূচি’র। এখন প্রতিবছর এই কর্মসূচিতে হাজারো শিক্ষার্থী অংশ নেয়। শহর পেরিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় এতে।
বছরব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম থাকলেও ইনোভেটরের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি বইপড়া উৎসব। প্রতিবছরের ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই তিন মাস চলে উৎসব। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে শুরু হয় রেজিস্ট্রেশন। এরপর উৎসব করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অংশগ্রহণকারীদের হাতে নির্বাচিত বই তুলে দেওয়া হয় ডিসেম্বরে। সকলের বই পড়া নিশ্চিত করতে বিতরণ করা বইয়ের ওপর একটি পরীক্ষা নেওয়া হয় ফেব্রুয়ারিতে। আর বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয় মার্চে।
ইনোভেটরের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সঞ্চালক প্রণব কান্তি দেব জানিয়েছেন, যে সময় তাঁরা এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তখন ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছিল। জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ বিস্তার লাভ করায় তরুণেরা বিপথগামী হয়ে পড়ছিল। সে সময় এই উদ্যোগকে অনেকে ভালোভাবে নেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের বই পড়ানো কেন, এমনও প্রশ্ন তোলা হতো। পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসত না কেউ।
এ চ্যালেঞ্জ জয় করেই এগিয়ে চলছে বই পড়ার এই উদ্যোগ। এ পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ৭৭৬ জন শিক্ষার্থী সরাসরি বইপড়া উৎসবে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রণব।
এই মুহূর্তে ইনোভেটরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি একটি নির্বাচিত গ্রন্থতালিকাও তৈরি করেছে ইনোভেটর। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৭ সালে সংগঠনটি পেয়েছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
ইনোভেটরের কার্যক্রম নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাতা নিরঞ্জন দে নির্মাণ করেছেন ‘অক্ষর-আলোকে অবিনাশী যাত্রা’ শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র।
আশার কথা, ইনোভেটর বাংলাদেশের বইপড়ার সংস্কৃতিতে প্রতিনিয়ত যুক্ত করে চলেছে নতুন নতুন পালক। তিন বছর ধরে সিলেট জেলা পরিষদ এগিয়ে এসেছে বইপড়া উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতায়। এ বছর সিলেটের সব কটি উপজেলায় ‘জেলা পরিষদ, সিলেট-ইনোভেটর বইপড়া উৎসব’-এর আয়োজন চলছে।
কিছু শব্দ বা ফ্রেজ বর্ণনার অবকাঠামো গঠন করে, গতি ও প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি কথার বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংযোগও তৈরি করে—যা বলা হয়েছে এবং যা বলা হবে। এদেরই বলা হয় ডিসকোর্স মার্কার। এ নিয়েই আমাদের আজকের পাঠদান।
২ ঘণ্টা আগেনাভাল রবিকান্তের মতে, সম্পদ শুধু টাকা বা সামাজিক মর্যাদা নয়। সত্যিকারের সম্পদ এমন কিছু, যা ঘুমানোর সময়ও উপার্জিত হতে থাকে। এটি মানুষকে আর্থিক ও মানসিক স্বাধীনতা দেয়। তিনি বিশ্বাস করেন, টাকা বানানো একটি দক্ষতা, যা শেখা যায়। শুধু কঠোর পরিশ্রম নয়, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতা প্রয়োগের মাধ্যমে অর্থ উপার্জ
৬ ঘণ্টা আগেস্নাতক পর্যায়ের বেসরকারি কলেজগুলো থেকে পরিচালনা পর্ষদ বা গভর্নিং বডির সদস্যরা কোনো আর্থিক সুবিধা বা সম্মানী নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সঙ্গে এ কলেজগুলোর গভর্নিং বডি ও অ্যাডহক বা অস্থায়ী কমিটির সভাপতি বা বিদ্যোৎসাহী সদস্য...
১১ ঘণ্টা আগেবিশেষ ছাড়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে সামার সেমিস্টার ২০২৫-এর ভর্তি শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত এই বিশেষ ছাড় চলবে। এ সময়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ওয়েভার ছাড়াও অতিরিক্ত ছাড়ে (সর্বোচ্চ ৫৮ হাজার টাকা) ভর্তি হতে পারবেন...
১৪ ঘণ্টা আগে