মুসাররাত আবির
বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে যেসব বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম সোনাদিয়া। তিন দিক সমুদ্রঘেরা এই দ্বীপে আছে ম্যানগ্রোভ বন এবং দুর্লভ জীববৈচিত্র্য। সোনাদিয়া দ্বীপ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার অন্তর্গত কুতুবজোম ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি জীববৈচিত্র্যের দ্বীপ নামেও পরিচিতি।
এবার সোনাদিয়া দ্বীপের জন্য টেকসই ওশানেরিয়াম কমপ্লেক্স ডিজাইন করে ‘দ্য ইন্সপায়ারলি অ্যাওয়ার্ডস’-এর স্থাপত্য বিভাগে প্রথম হয়েছেন সারাফ নাওয়ার। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্থাপত্যশিল্প প্রতিযোগিতা এ পুরস্কার। সারাফ দেশের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী।
যে প্রজেক্টেই তুমি কাজ করো না কেন, সেটা নিয়ে বিস্তারিত ধারণা রাখো। নিজের প্রজেক্ট সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানলে এবং সবদিক থেকে সঠিকভাবে তা বিশ্লেষণ করতে পারলে তবেই এই প্রতিযোগিতায় ভালো করা সম্ভব।
এ বছর ছিল এই প্রতিযোগিতার নবম আসর। এর জন্য ৮৭টি দেশ থেকে ১ হাজার ১৭৪টি প্রকল্প জমা পড়েছিল। স্থাপত্য, ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা—এই তিন বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারের জন্য স্থাপত্য বিভাগে ৯২১টি প্রকল্প জমা পড়ে ৮৫টি দেশ থেকে। এ বিভাগে প্রথম বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে পুরস্কারটি পেয়েছেন সারাফ নাওয়ার।
উচ্চমাধ্যমিক পড়া শেষে স্থাপত্যকলায় পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন সারাফ নাওয়ার। যখনই তিনি কিছু আঁকতেন বা ডিজাইন করতেন, সেটাকে কীভাবে আরও ভালো করা যায়, সে চিন্তা তাঁর মাথায় ঘুরপাক খেত। এভাবেই ধীরে ধীরে স্থাপত্যকলার ওপর নিজের দখল বাড়াতে থাকেন তিনি।
প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণার জন্য কোন ধরনের প্রকল্প বেছে নেওয়া যায়, সে চিন্তা করতে করতেই তাঁর মাথায় আসে সোনাদিয়া দ্বীপের কথা। এটি পরিবেশগতভাবে বেশ সংকটাপন্ন এলাকা। পরিবেশ বা বাস্তুতন্ত্রের কোনো ক্ষতি হয় এমন কিছু করা যাবে না সেখানে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দেশের নানা অঞ্চলে বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টের কথা শুরু হলে ভবিষ্যতে আরও অনেক এলাকা সংকটাপন্ন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই এসব সংকট মোকাবিলার জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত, সে ভাবনা থেকে প্রকল্পটি শুরু করেন সারাফ।
পরিবেশগত সংকটপূর্ণ এবং জটিল সমস্যাসংকুল এলাকা সোনাদিয়া দ্বীপের জন্য উপযুক্ত, আধুনিক ও টেকসই জলজ স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল তাঁর প্রকল্পের বিষয়। এর মূল শিরোনাম ছিল ‘টেল অব অ্যান ওশান: ওশানেরিয়াম কমপ্লেক্স অ্যাট সোনাদিয়া’। তার আগে আরও দুটি পুরস্কার পেয়েছে তাঁর এই প্রকল্প।
সারাফ নাওয়ার এমনভাবে ওশানেরিয়ামটির ডিজাইন করেন, যেন তা স্থানীয় ম্যানগ্রোভ বন এবং বাস্তুতন্ত্রের কোনো ক্ষতি না করে; বরং বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। দ্বীপের এক পাশের কমপ্লেক্সে থাকবে সল্ট ওয়াটার অ্যাকুয়ারিয়াম, ফিশ অ্যাকুয়ারিয়াম, ডলফিনেরিয়াম এবং ওশান হেরিটেজ মিউজিয়াম। এর উত্তর-পূর্ব পাশে ম্যানগ্রোভ বন, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিক ব্লক আর সঙ্গে একটি ক্যাফেটেরিয়া। এই ওশানেরিয়ামের দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। এটি সামুদ্রিক প্রাণী উদ্ধার করার পাশাপাশি প্রচলিত অ্যাকুয়ারিয়ামের পরিবর্তে একটি আউটডোর প্রাকৃতিক প্রদর্শনী হিসেবেও কাজ করবে। একই সঙ্গে প্রজেক্টটি যেন শক্তিসাশ্রয়ী, টেকসই ও কম ওজনের হয়, তার নির্মাণপদ্ধতি ব্যবহারের পরিকল্পনাও দিয়েছেন সারাফ।
প্রতিদিন জোয়ারের সময় এখান থেকে লবণাক্ত পানি সংগৃহীত হবে। এখান থেকে তৈরি লবণ চলে যাবে স্থানীয় লবণ তৈরির কারখানায় এবং পরিশোধিত পানি আলাদা জমা হবে। এ ছাড়া ওশানেরিয়ামের জন্য প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ শক্তি পাওয়া যাবে সৌরবিদ্যুৎ থেকে। প্রচলিত বিল্ডিং তৈরির সামগ্রী লবণাক্ত পানিতে বেশি দিন টেকসই হয় না। তাই এ ক্ষেত্রে কী করা উচিত, সেই উপায়ও বলা হয়েছে তাঁর প্রকল্পে।
এর আগে এই প্রতিযোগিতার পঞ্চম আসরে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল বিজয়ী হয়েছিল। আর এবারের নির্বাচিত ফাইনালিস্ট তালিকায় ৩০ জনের মধ্যে বাংলাদেশের আরও ২ শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁরা হলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাইমা রহমান ও মোহাম্মদ কাফি উদ্দিন। স্থাপত্যকলার আন্তর্জাতিক আসরে তাঁদের এই অর্জন দেশের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে। সেই সঙ্গে পরিবেশে স্থাপত্যের টেকসই ডিজাইনেও ভূমিকা রাখবে।
বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে যেসব বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম সোনাদিয়া। তিন দিক সমুদ্রঘেরা এই দ্বীপে আছে ম্যানগ্রোভ বন এবং দুর্লভ জীববৈচিত্র্য। সোনাদিয়া দ্বীপ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার অন্তর্গত কুতুবজোম ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি জীববৈচিত্র্যের দ্বীপ নামেও পরিচিতি।
এবার সোনাদিয়া দ্বীপের জন্য টেকসই ওশানেরিয়াম কমপ্লেক্স ডিজাইন করে ‘দ্য ইন্সপায়ারলি অ্যাওয়ার্ডস’-এর স্থাপত্য বিভাগে প্রথম হয়েছেন সারাফ নাওয়ার। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্থাপত্যশিল্প প্রতিযোগিতা এ পুরস্কার। সারাফ দেশের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী।
যে প্রজেক্টেই তুমি কাজ করো না কেন, সেটা নিয়ে বিস্তারিত ধারণা রাখো। নিজের প্রজেক্ট সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানলে এবং সবদিক থেকে সঠিকভাবে তা বিশ্লেষণ করতে পারলে তবেই এই প্রতিযোগিতায় ভালো করা সম্ভব।
এ বছর ছিল এই প্রতিযোগিতার নবম আসর। এর জন্য ৮৭টি দেশ থেকে ১ হাজার ১৭৪টি প্রকল্প জমা পড়েছিল। স্থাপত্য, ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা—এই তিন বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারের জন্য স্থাপত্য বিভাগে ৯২১টি প্রকল্প জমা পড়ে ৮৫টি দেশ থেকে। এ বিভাগে প্রথম বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে পুরস্কারটি পেয়েছেন সারাফ নাওয়ার।
উচ্চমাধ্যমিক পড়া শেষে স্থাপত্যকলায় পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন সারাফ নাওয়ার। যখনই তিনি কিছু আঁকতেন বা ডিজাইন করতেন, সেটাকে কীভাবে আরও ভালো করা যায়, সে চিন্তা তাঁর মাথায় ঘুরপাক খেত। এভাবেই ধীরে ধীরে স্থাপত্যকলার ওপর নিজের দখল বাড়াতে থাকেন তিনি।
প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণার জন্য কোন ধরনের প্রকল্প বেছে নেওয়া যায়, সে চিন্তা করতে করতেই তাঁর মাথায় আসে সোনাদিয়া দ্বীপের কথা। এটি পরিবেশগতভাবে বেশ সংকটাপন্ন এলাকা। পরিবেশ বা বাস্তুতন্ত্রের কোনো ক্ষতি হয় এমন কিছু করা যাবে না সেখানে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দেশের নানা অঞ্চলে বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টের কথা শুরু হলে ভবিষ্যতে আরও অনেক এলাকা সংকটাপন্ন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই এসব সংকট মোকাবিলার জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত, সে ভাবনা থেকে প্রকল্পটি শুরু করেন সারাফ।
পরিবেশগত সংকটপূর্ণ এবং জটিল সমস্যাসংকুল এলাকা সোনাদিয়া দ্বীপের জন্য উপযুক্ত, আধুনিক ও টেকসই জলজ স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল তাঁর প্রকল্পের বিষয়। এর মূল শিরোনাম ছিল ‘টেল অব অ্যান ওশান: ওশানেরিয়াম কমপ্লেক্স অ্যাট সোনাদিয়া’। তার আগে আরও দুটি পুরস্কার পেয়েছে তাঁর এই প্রকল্প।
সারাফ নাওয়ার এমনভাবে ওশানেরিয়ামটির ডিজাইন করেন, যেন তা স্থানীয় ম্যানগ্রোভ বন এবং বাস্তুতন্ত্রের কোনো ক্ষতি না করে; বরং বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। দ্বীপের এক পাশের কমপ্লেক্সে থাকবে সল্ট ওয়াটার অ্যাকুয়ারিয়াম, ফিশ অ্যাকুয়ারিয়াম, ডলফিনেরিয়াম এবং ওশান হেরিটেজ মিউজিয়াম। এর উত্তর-পূর্ব পাশে ম্যানগ্রোভ বন, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিক ব্লক আর সঙ্গে একটি ক্যাফেটেরিয়া। এই ওশানেরিয়ামের দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। এটি সামুদ্রিক প্রাণী উদ্ধার করার পাশাপাশি প্রচলিত অ্যাকুয়ারিয়ামের পরিবর্তে একটি আউটডোর প্রাকৃতিক প্রদর্শনী হিসেবেও কাজ করবে। একই সঙ্গে প্রজেক্টটি যেন শক্তিসাশ্রয়ী, টেকসই ও কম ওজনের হয়, তার নির্মাণপদ্ধতি ব্যবহারের পরিকল্পনাও দিয়েছেন সারাফ।
প্রতিদিন জোয়ারের সময় এখান থেকে লবণাক্ত পানি সংগৃহীত হবে। এখান থেকে তৈরি লবণ চলে যাবে স্থানীয় লবণ তৈরির কারখানায় এবং পরিশোধিত পানি আলাদা জমা হবে। এ ছাড়া ওশানেরিয়ামের জন্য প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ শক্তি পাওয়া যাবে সৌরবিদ্যুৎ থেকে। প্রচলিত বিল্ডিং তৈরির সামগ্রী লবণাক্ত পানিতে বেশি দিন টেকসই হয় না। তাই এ ক্ষেত্রে কী করা উচিত, সেই উপায়ও বলা হয়েছে তাঁর প্রকল্পে।
এর আগে এই প্রতিযোগিতার পঞ্চম আসরে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল বিজয়ী হয়েছিল। আর এবারের নির্বাচিত ফাইনালিস্ট তালিকায় ৩০ জনের মধ্যে বাংলাদেশের আরও ২ শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁরা হলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাইমা রহমান ও মোহাম্মদ কাফি উদ্দিন। স্থাপত্যকলার আন্তর্জাতিক আসরে তাঁদের এই অর্জন দেশের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে। সেই সঙ্গে পরিবেশে স্থাপত্যের টেকসই ডিজাইনেও ভূমিকা রাখবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অব ডেট্রয়েট মার্সি স্কলারশিপ-২০২৫-এর আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার এবং ই-মেইল ব্যবহারের কারণে হাতে লেখার চর্চা কমে গেছে। তবুও, শিক্ষাক্ষেত্রে বা পরীক্ষার খাতায় হাতে লেখা গুরুত্ব কোনো অংশে কমেনি।
১৪ ঘণ্টা আগেএশিয়া-প্যাসিফিক কোয়ালিটি নেটওয়ার্ক (এপিকিউএন) একাডেমিক কনফারেন্স ২০২৪-এ বেস্ট মডেল ইন্টারনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স (কিউএ) অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে এপিকিউএন কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি)। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে এই এপিকিউএন কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্
১৪ ঘণ্টা আগেব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার কেনিয়ার মোম্বাসায় অনুষ্ঠিত আফ্রিকান মার্কেটিং কনফেডারেশন (এএমসি) ফোরাম ২০২৪-এ প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন। প্রফেসর ফারহাত আনোয়ার এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। এই সম্মেলন আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের মা
১৫ ঘণ্টা আগে