ঘোষণা করা হলো এ বছরের একুশে পদক পাওয়া শিল্পীদের নামের তালিকা। শিল্পকলায় এ বছর মরণোত্তরসহ মোট ১২ জনকে পদক দেওয়া হচ্ছে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে উজ্জ্বল এই শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অনুভূতি জানিয়েছেন এম এস রানা ও শিহাব আহমেদ।
দেরিতে হলেও রাষ্ট্র আমাকে সম্মানিত করল
—কল্যাণী ঘোষ, সংগীতশিল্পী
কল্যাণী ঘোষের জন্ম ১৯৪৬ সালে, চট্টগ্রামে। বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দসৈনিক কল্যাণী ঘোষ ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সক্রিয় সদস্য। ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ কিংবা ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’র মতো গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁর নাম। দেরিতে হলেও একুশে পদক পেয়ে আনন্দিত তিনি। অনুভূতি জানিয়ে কল্যাণী ঘোষ বলেন, ‘দেরিতে হলেও রাষ্ট্র আমাকে সম্মানিত করল, পুরস্কৃত করল, সে জন্য খুব ভালো লাগছে। একটা কষ্ট ছিল, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যাঁদের চেহারাটাও ঠিকমতো দেখিনি, তাঁদের অনেকেই নানা তদবিরে পুরস্কৃত হয়েছেন। যাঁদের কল্যাণে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল, মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা দেশের মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন, দেশ স্বাধীনের পর তাঁরাই আড়াল হয়ে গিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে সেসব ব্যক্তিদের, শিল্পীদের রাষ্ট্র সম্মানিত করছে বলে ভালো লাগছে।’
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাব
—আলমগীর, অভিনয়শিল্পী
কিংবদন্তি অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক আলমগীর। ৫২ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৩০০-এর বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তাঁর প্রথম প্রযোজিত সিনেমা ‘ঝুমকা’। পরিচালনা করেছেন বেশ কয়েকটি সিনেমা। ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আজীবন সম্মাননা পদক পাওয়ার রেকর্ড রয়েছে নায়ক আলমগীরের। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২—টানা ৪ বছর শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এবার আলমগীর পাচ্ছেন একুশে পদক। আলমগীর বলেন, ‘জীবনে কতটুকুই আর কাজ করলাম। তবু, আমি আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ, এই সম্মানে আমাকে সম্মানিত করার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর সামনে গিয়ে ওই মুহূর্তে আমার ইমোশন কী কাজ করবে, তা আগে থেকে বলা সম্ভব না। কতটুকু বলতে পারব, তা তো আগে থেকে বলা যায় না। তবে অবশ্যই একটি ধন্যবাদ জানাব তাঁকে।’
রাষ্ট্রীয় সম্মাননা অনেক বড় বিষয়
—ডলি জহুর, অভিনয়শিল্পী
স্বাধীনতার আগে মঞ্চ দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু করেন ডলি জহুর। অনেক কালজয়ী নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করে শিল্পীজীবনকে সমৃদ্ধ করেছেন। আজীবন সম্মাননাসহ তিনবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এবার তাঁর ঝুলিতে উঠছে একুশে পদক। ডলি জহুর বলেন, ‘সবাই ফোন করে অভিনন্দন জানাচ্ছে, এটাই তো বড় পাওয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনেকেই ফোন করছিল। ডাক্তারের সামনে থাকায় ফোন ধরতে পারছিলাম না। পরে জানতে পারি, আমি একুশে পদক পাচ্ছি। কয়েক দিন আগে থেকেই অনেকে বলছিল, এবার হয়তো আমি একুশে পদক পাব। এখন দেখছি, তাদের অনুমান সত্যি হয়েছে। পুরস্কারের প্রতি আমার কোনো লোভ নেই। এখনো ভাবছি, একুশে পদক পাওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করেছি কি না। দর্শকের এত ভালোবাসা পেয়েছি, তাতেই আমি সন্তুষ্ট। এবার রাষ্ট্র আমাকে সম্মান দিচ্ছে, এটা অনেক বড় বিষয়।’
রাষ্ট্র আমাকে সম্মানিত করেছে, আমি আনন্দিত
—শুভ্র দেব, সংগীতশিল্পী
বাংলা গানে শুভ্র দেব জনপ্রিয় এক নাম। এখন পর্যন্ত বাংলা গানকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট শুভ্র দেব। একুশে পদকপ্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালে বাংলা গানে মিউজিক ভিডিওর শুরু হয়েছিল আমার গানের মাধ্যমে। এ দেশের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম থিম সংটাও ছিল আমার। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সচেষ্ট ছিলাম বাংলা গানকে সারা বিশ্বের শ্রোতাদের সামনে নানা ফরম্যাটে তুলে ধরতে। সেটা ফোক বা আধুনিক—যে গানই হোক। এখনো আমার স্বপ্ন বাংলা গানকে ঘিরেই। যেকোনো পুরস্কারই তো দায়িত্ব বাড়িয়ে তোলে। রাষ্ট্র আমাকে সম্মানিত করেছে, সে জন্য আমি খুবই আনন্দিত। চেষ্টা করব এর সঠিক মূল্যায়ন যেন করতে পারি। আরও আনন্দিত হয়েছি, এন্ড্রু কিশোরের মতো গুণী শিল্পীকে সম্মানিত করায়। আমি মনে করি, তিনি এই পুরস্কার আরও আগেই পেতে পারতেন।’
আবৃত্তিতে দুটি পদক নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে
—রূপা চক্রবর্তী, আবৃত্তিশিল্পী
এবার আবৃত্তিতে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে শিমুল মুস্তাফা ও রূপা চক্রবর্তীকে। আবৃত্তিতে দুজনের এই সম্মাননার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন রূপা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘আবৃত্তির ক্ষেত্রে এবার যে দুটি পদক দেওয়া হলো, এটা আবৃত্তিশিল্পে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মতোই। রাষ্ট্র হয়তো জানাতে চায়, আবৃত্তিশিল্পটি গুরুত্বপূর্ণ এবং এর চর্চা ও বিকাশে সবার কাজ করা উচিত। এই দুটি পদক নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে। অনেক কষ্ট পেতাম, যখন দেখতাম নাটক, সংগীত ও নৃত্যে একাধিক পদক আসে, কিন্তু আবৃত্তিতে আসে না। এবার আবৃত্তিতে একাধিক পদক আসায় আমাদের মনে ভরসার জায়গা তৈরি হয়েছে। আমি মনে করি, শিল্পের চর্চা ও বিকাশের জন্য নিয়মিত কাজ করলে ভবিষ্যতে আমাদের দেশকে আরও ভালো অবস্থানে দেখতে পারব।’
এই পুরস্কার প্রদানের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক
—শিবলী মোহাম্মদ, নৃত্যশিল্পী
নৃত্যকলায় এবারে একুশে পদক পেয়েছেন নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ। পুরস্কারপ্রাপ্তির কথা জেনে নিজের অনুভূতি জানিয়ে শিবলী বলেন, ‘একুশে পদক পাওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। আমার মা বেঁচে থাকলে এই আনন্দটা শতভাগ উপভোগ করতে পারতাম। মা প্রায়ই বলতেন, কিরে, তোরা দুই ভাই (সাদী মোহাম্মদ ও শিবলী মোহাম্মদ) দেশের জন্য এত কষ্ট করলি, কিন্তু তোদের কেন পুরস্কার দিচ্ছে না! কতজন পুরস্কার পেয়ে গেল! আজ পুরস্কার পাওয়ার কথা জানার পর থেকেই খুব মনটা কেমন করছে। আমার মা এই প্রাপ্তি দেখে যেতে পারলে অনেক শান্তি পেতাম। একটা পুরস্কার, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় এই প্রাপ্তি শিল্পীর দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। চেষ্টা থাকবে এত দিন যেভাবে দেশের জন্য, দেশের সংস্কৃতির জন্য কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও যেন সেটা অব্যাহত থাকে। প্রত্যাশা, এই পুরস্কার প্রদানের ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে। আমাদের গুণী অনেক শিল্পী আছেন, তাঁদের সম্মানিত করা উচিত।’
ঘোষণা করা হলো এ বছরের একুশে পদক পাওয়া শিল্পীদের নামের তালিকা। শিল্পকলায় এ বছর মরণোত্তরসহ মোট ১২ জনকে পদক দেওয়া হচ্ছে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে উজ্জ্বল এই শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অনুভূতি জানিয়েছেন এম এস রানা ও শিহাব আহমেদ।
দেরিতে হলেও রাষ্ট্র আমাকে সম্মানিত করল
—কল্যাণী ঘোষ, সংগীতশিল্পী
কল্যাণী ঘোষের জন্ম ১৯৪৬ সালে, চট্টগ্রামে। বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দসৈনিক কল্যাণী ঘোষ ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সক্রিয় সদস্য। ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ কিংবা ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’র মতো গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁর নাম। দেরিতে হলেও একুশে পদক পেয়ে আনন্দিত তিনি। অনুভূতি জানিয়ে কল্যাণী ঘোষ বলেন, ‘দেরিতে হলেও রাষ্ট্র আমাকে সম্মানিত করল, পুরস্কৃত করল, সে জন্য খুব ভালো লাগছে। একটা কষ্ট ছিল, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যাঁদের চেহারাটাও ঠিকমতো দেখিনি, তাঁদের অনেকেই নানা তদবিরে পুরস্কৃত হয়েছেন। যাঁদের কল্যাণে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল, মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা দেশের মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন, দেশ স্বাধীনের পর তাঁরাই আড়াল হয়ে গিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে সেসব ব্যক্তিদের, শিল্পীদের রাষ্ট্র সম্মানিত করছে বলে ভালো লাগছে।’
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাব
—আলমগীর, অভিনয়শিল্পী
কিংবদন্তি অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক আলমগীর। ৫২ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৩০০-এর বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তাঁর প্রথম প্রযোজিত সিনেমা ‘ঝুমকা’। পরিচালনা করেছেন বেশ কয়েকটি সিনেমা। ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আজীবন সম্মাননা পদক পাওয়ার রেকর্ড রয়েছে নায়ক আলমগীরের। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২—টানা ৪ বছর শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এবার আলমগীর পাচ্ছেন একুশে পদক। আলমগীর বলেন, ‘জীবনে কতটুকুই আর কাজ করলাম। তবু, আমি আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ, এই সম্মানে আমাকে সম্মানিত করার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর সামনে গিয়ে ওই মুহূর্তে আমার ইমোশন কী কাজ করবে, তা আগে থেকে বলা সম্ভব না। কতটুকু বলতে পারব, তা তো আগে থেকে বলা যায় না। তবে অবশ্যই একটি ধন্যবাদ জানাব তাঁকে।’
রাষ্ট্রীয় সম্মাননা অনেক বড় বিষয়
—ডলি জহুর, অভিনয়শিল্পী
স্বাধীনতার আগে মঞ্চ দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু করেন ডলি জহুর। অনেক কালজয়ী নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করে শিল্পীজীবনকে সমৃদ্ধ করেছেন। আজীবন সম্মাননাসহ তিনবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এবার তাঁর ঝুলিতে উঠছে একুশে পদক। ডলি জহুর বলেন, ‘সবাই ফোন করে অভিনন্দন জানাচ্ছে, এটাই তো বড় পাওয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনেকেই ফোন করছিল। ডাক্তারের সামনে থাকায় ফোন ধরতে পারছিলাম না। পরে জানতে পারি, আমি একুশে পদক পাচ্ছি। কয়েক দিন আগে থেকেই অনেকে বলছিল, এবার হয়তো আমি একুশে পদক পাব। এখন দেখছি, তাদের অনুমান সত্যি হয়েছে। পুরস্কারের প্রতি আমার কোনো লোভ নেই। এখনো ভাবছি, একুশে পদক পাওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করেছি কি না। দর্শকের এত ভালোবাসা পেয়েছি, তাতেই আমি সন্তুষ্ট। এবার রাষ্ট্র আমাকে সম্মান দিচ্ছে, এটা অনেক বড় বিষয়।’
রাষ্ট্র আমাকে সম্মানিত করেছে, আমি আনন্দিত
—শুভ্র দেব, সংগীতশিল্পী
বাংলা গানে শুভ্র দেব জনপ্রিয় এক নাম। এখন পর্যন্ত বাংলা গানকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট শুভ্র দেব। একুশে পদকপ্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালে বাংলা গানে মিউজিক ভিডিওর শুরু হয়েছিল আমার গানের মাধ্যমে। এ দেশের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম থিম সংটাও ছিল আমার। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সচেষ্ট ছিলাম বাংলা গানকে সারা বিশ্বের শ্রোতাদের সামনে নানা ফরম্যাটে তুলে ধরতে। সেটা ফোক বা আধুনিক—যে গানই হোক। এখনো আমার স্বপ্ন বাংলা গানকে ঘিরেই। যেকোনো পুরস্কারই তো দায়িত্ব বাড়িয়ে তোলে। রাষ্ট্র আমাকে সম্মানিত করেছে, সে জন্য আমি খুবই আনন্দিত। চেষ্টা করব এর সঠিক মূল্যায়ন যেন করতে পারি। আরও আনন্দিত হয়েছি, এন্ড্রু কিশোরের মতো গুণী শিল্পীকে সম্মানিত করায়। আমি মনে করি, তিনি এই পুরস্কার আরও আগেই পেতে পারতেন।’
আবৃত্তিতে দুটি পদক নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে
—রূপা চক্রবর্তী, আবৃত্তিশিল্পী
এবার আবৃত্তিতে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে শিমুল মুস্তাফা ও রূপা চক্রবর্তীকে। আবৃত্তিতে দুজনের এই সম্মাননার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন রূপা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘আবৃত্তির ক্ষেত্রে এবার যে দুটি পদক দেওয়া হলো, এটা আবৃত্তিশিল্পে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মতোই। রাষ্ট্র হয়তো জানাতে চায়, আবৃত্তিশিল্পটি গুরুত্বপূর্ণ এবং এর চর্চা ও বিকাশে সবার কাজ করা উচিত। এই দুটি পদক নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে। অনেক কষ্ট পেতাম, যখন দেখতাম নাটক, সংগীত ও নৃত্যে একাধিক পদক আসে, কিন্তু আবৃত্তিতে আসে না। এবার আবৃত্তিতে একাধিক পদক আসায় আমাদের মনে ভরসার জায়গা তৈরি হয়েছে। আমি মনে করি, শিল্পের চর্চা ও বিকাশের জন্য নিয়মিত কাজ করলে ভবিষ্যতে আমাদের দেশকে আরও ভালো অবস্থানে দেখতে পারব।’
এই পুরস্কার প্রদানের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক
—শিবলী মোহাম্মদ, নৃত্যশিল্পী
নৃত্যকলায় এবারে একুশে পদক পেয়েছেন নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ। পুরস্কারপ্রাপ্তির কথা জেনে নিজের অনুভূতি জানিয়ে শিবলী বলেন, ‘একুশে পদক পাওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। আমার মা বেঁচে থাকলে এই আনন্দটা শতভাগ উপভোগ করতে পারতাম। মা প্রায়ই বলতেন, কিরে, তোরা দুই ভাই (সাদী মোহাম্মদ ও শিবলী মোহাম্মদ) দেশের জন্য এত কষ্ট করলি, কিন্তু তোদের কেন পুরস্কার দিচ্ছে না! কতজন পুরস্কার পেয়ে গেল! আজ পুরস্কার পাওয়ার কথা জানার পর থেকেই খুব মনটা কেমন করছে। আমার মা এই প্রাপ্তি দেখে যেতে পারলে অনেক শান্তি পেতাম। একটা পুরস্কার, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় এই প্রাপ্তি শিল্পীর দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। চেষ্টা থাকবে এত দিন যেভাবে দেশের জন্য, দেশের সংস্কৃতির জন্য কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও যেন সেটা অব্যাহত থাকে। প্রত্যাশা, এই পুরস্কার প্রদানের ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে। আমাদের গুণী অনেক শিল্পী আছেন, তাঁদের সম্মানিত করা উচিত।’
আগামী ১৫ নভেম্বর মেক্সিকোতে শুরু হচ্ছে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২৪ ’। এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ আনিকা আলম।
২ ঘণ্টা আগেনয়নতারার জীবনকাহিনি নিয়ে তথ্যচিত্র বানিয়েছে নেটফ্লিক্স। ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেইরি টেল’ নামের তথ্যচিত্রটি নয়নতারার জন্মদিন উপলক্ষে মুক্তি পাবে আগামী ১৮ নভেম্বর।
৪ ঘণ্টা আগেকয়েক মাস আগে মুম্বাইয়ের হাজী আলীর দরগা সংস্কারের জন্য প্রায় দেড় কোটি রুপি দান করেছিলেন অক্ষয় কুমার। এবার তিনি এগিয়ে এলেন অযোধ্যার রাম মন্দিরের ১২০০ হনুমানদের সাহায্যে। দিয়েছেন এক কোটি রুপি।
৬ ঘণ্টা আগেসুড়ঙ্গ হিট হওয়ার পর অনেকেই মনে করেছিলেন, সিনেমার যাত্রাটা দীর্ঘ হবে নিশোর। তমাও নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। সুড়ঙ্গ মুক্তির পর অনেকটা আড়ালেই চলে যান তাঁরা দুজন।
৬ ঘণ্টা আগে