নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটিতে এ আর রাহমানের সুরারোপ নিয়ে বিতর্কে উত্তাল বাংলাদেশ ও ভারত। গানটির সম্পূর্ণ ‘বিকৃতি’ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অগ্রগণ্য নজরুলসংগীতশিল্পীরা। আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে কাজী পরিবার।
এই গান বিকৃতির প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার আয়োজনে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে কবির নাতনি মিষ্টি কাজী বলেন, ‘আমি পরিবারের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাই। যেন একটি কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হয় এ ব্যাপারে। আমি নজরুল ইসলামের নাতি হিসেবে পরিবারের তরফ থেকে বলছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেন।’
‘কারণ এটা আমাদের জাতীয় কবির গান। তিনি শুধু বাংলার নন, সারা বিশ্বের একজন শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি। তাঁর জন্য আপনারা এগিয়ে এলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। এখন আমাদের প্রতিবাদ করার সময়। তাঁর গান কেন বিকৃত করা হলো? তাঁকে কে অনুমতি দিয়েছে? এ আর রাহমানের জানার দরকার ছিল যে, তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। আমার দাদু কাজী নজরুল ইসলামকে আমি অপমানিত হতে দেব না।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল। তিনি বলেন, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট গানের নজরুল সুরারোপিত আদি রেকর্ডটির প্রাপ্যতা সত্ত্বেও বিকৃত সুরে এর পরিবেশনা কেবল অন্যায় ও বেআইনি নয়, নজরুলের সৃষ্টির প্রতি অবজ্ঞাও বটে, তাই এটি নিতান্তই ঘৃণ্য ও হীন অপকর্ম।’
আয়োজনে শিল্পী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অনেক বিখ্যাত গানও সম্পূর্ণ ভিন্ন সুরে অনেকে গেয়েছেন। রেকর্ড করেছেন, পরিচিতিও পেয়েছেন। আস্তে আস্তে আবার শিল্পীরা সে গানের মূল সুর খুঁজে বের করে সেই সুরে গেয়েছেন। তেমনি নজরুল বিস্ময়কর প্রতিভা নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু জীবনের ব্যস্ততম সময়ে তিনি নির্বাক হয়ে গিয়েছিলেন। ফলে অনেক ধরনের সমস্যা হয়েছে। বিকৃত বা পরিবর্তিত ব্যাপারটা হয়েই এসেছে।
‘যেহেতু দুর্গম গীরি কান্তার মরু বা কারার ঐ লৌহ কপাট অতি প্রতিষ্ঠিত গান। এ কারণেই আমাদের বেশি করে চিত্তে আঘাত দিয়েছে যে এভাবে করা উচিত হয়নি। আমরা সংস্কৃতিকর্মীরা এসেছি সবাই প্রতিবাদ করছি। এখানে একটি বিষয় একটু খেয়াল রাখতে হবে। সেটা হচ্ছে এ আর রাহমান এই উপমহাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ সংগীতকার। অকারণে তাঁকে যেন গালিগালাজ না করা হয়।’
খায়রুল আনাম শাকিল লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘এই গানটি অবিকৃত সুরে বিভিন্ন চলচ্চিত্রেও ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংগ্রামে মুক্তিসংগ্রামী ও যোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। এই গানটির নজরুল সুরারোপিত আদি রেকর্ডটির প্রাপ্যতা সত্ত্বেও এর পরিবেশনা কেবল অন্যায় ও বেআইনি নয়, নজরুলের সৃষ্টির প্রতিও অবজ্ঞা প্রদর্শন। এটি নিতান্ত ঘৃণ্য ও হীন অপকর্ম, একধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক অনাচার।’
জ্যেষ্ঠ সংগীতশিল্পী বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘এ আর রাহমানের সংগীতায়োজনে বিকৃত সুরে কণ্ঠ মিলিয়েছেন বেশ কজন বাঙালি পেশাদার শিল্পী। তারা শিল্পী জাতির অযোগ্য। প্রতিবাদ চলছে, পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। গানটি ইউটিউব থেকে সরাতে হবে। সিনেমার জন্য গানটি আবার রেকর্ড করতে হবে এবং তা করতে হবে সঠিক সুরে। পরে ক্ষমাপ্রার্থনা করে সেই গানটি তারা সিনেমায় ব্যবহার করলে আমাদের আপত্তি নেই।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ আর রাহমানের কাণ্ডে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে, যেন উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় নজরুলের গান বিকৃত করা যায় না।’
সাদিয়া আফরিন মল্লিক বলেন, ‘জাতীয় কবির গান খোলনলচে বদলে দিয়ে এ আর রাহমান জাতির অস্তিত্বে নাড়া দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, রাজা কৃষ্ণ মেনন পরিচালিত ‘পিপ্পা’ ছবির জন্য এ আর রাহমান ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানে নতুন করে সুরারোপ করেন। কিন্তু গানটি ৭ নভেম্বর ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তীব্র নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ ও ভারতে। তীব্র প্রতিবাদ জানান শিল্পীরা।
তাঁদের অভিযোগ, এটি রিমেক নয়, গানের পুরো সুর বিকৃত করেছেন রাহমান। প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতীয় গণনাট্য সংঘ, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটিও। এই প্রতিবাদ এখনো অব্যাহত আছে। যদিও এ ব্যাপারে এই ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি এন্টারটেইনমেন্ট এবং এ আর রাহমানের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিক, শাহীন সামাদ, ইয়াসমিন মুশতারী, লীনা তাপসী খান, সুজিত মুস্তাফা, বুলবুল ইসলাম, নজরুল গবেষক মাহবুবুল হক প্রমুখ।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটিতে এ আর রাহমানের সুরারোপ নিয়ে বিতর্কে উত্তাল বাংলাদেশ ও ভারত। গানটির সম্পূর্ণ ‘বিকৃতি’ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অগ্রগণ্য নজরুলসংগীতশিল্পীরা। আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে কাজী পরিবার।
এই গান বিকৃতির প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার আয়োজনে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে কবির নাতনি মিষ্টি কাজী বলেন, ‘আমি পরিবারের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাই। যেন একটি কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হয় এ ব্যাপারে। আমি নজরুল ইসলামের নাতি হিসেবে পরিবারের তরফ থেকে বলছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেন।’
‘কারণ এটা আমাদের জাতীয় কবির গান। তিনি শুধু বাংলার নন, সারা বিশ্বের একজন শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি। তাঁর জন্য আপনারা এগিয়ে এলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। এখন আমাদের প্রতিবাদ করার সময়। তাঁর গান কেন বিকৃত করা হলো? তাঁকে কে অনুমতি দিয়েছে? এ আর রাহমানের জানার দরকার ছিল যে, তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। আমার দাদু কাজী নজরুল ইসলামকে আমি অপমানিত হতে দেব না।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল। তিনি বলেন, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট গানের নজরুল সুরারোপিত আদি রেকর্ডটির প্রাপ্যতা সত্ত্বেও বিকৃত সুরে এর পরিবেশনা কেবল অন্যায় ও বেআইনি নয়, নজরুলের সৃষ্টির প্রতি অবজ্ঞাও বটে, তাই এটি নিতান্তই ঘৃণ্য ও হীন অপকর্ম।’
আয়োজনে শিল্পী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অনেক বিখ্যাত গানও সম্পূর্ণ ভিন্ন সুরে অনেকে গেয়েছেন। রেকর্ড করেছেন, পরিচিতিও পেয়েছেন। আস্তে আস্তে আবার শিল্পীরা সে গানের মূল সুর খুঁজে বের করে সেই সুরে গেয়েছেন। তেমনি নজরুল বিস্ময়কর প্রতিভা নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু জীবনের ব্যস্ততম সময়ে তিনি নির্বাক হয়ে গিয়েছিলেন। ফলে অনেক ধরনের সমস্যা হয়েছে। বিকৃত বা পরিবর্তিত ব্যাপারটা হয়েই এসেছে।
‘যেহেতু দুর্গম গীরি কান্তার মরু বা কারার ঐ লৌহ কপাট অতি প্রতিষ্ঠিত গান। এ কারণেই আমাদের বেশি করে চিত্তে আঘাত দিয়েছে যে এভাবে করা উচিত হয়নি। আমরা সংস্কৃতিকর্মীরা এসেছি সবাই প্রতিবাদ করছি। এখানে একটি বিষয় একটু খেয়াল রাখতে হবে। সেটা হচ্ছে এ আর রাহমান এই উপমহাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ সংগীতকার। অকারণে তাঁকে যেন গালিগালাজ না করা হয়।’
খায়রুল আনাম শাকিল লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘এই গানটি অবিকৃত সুরে বিভিন্ন চলচ্চিত্রেও ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংগ্রামে মুক্তিসংগ্রামী ও যোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। এই গানটির নজরুল সুরারোপিত আদি রেকর্ডটির প্রাপ্যতা সত্ত্বেও এর পরিবেশনা কেবল অন্যায় ও বেআইনি নয়, নজরুলের সৃষ্টির প্রতিও অবজ্ঞা প্রদর্শন। এটি নিতান্ত ঘৃণ্য ও হীন অপকর্ম, একধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক অনাচার।’
জ্যেষ্ঠ সংগীতশিল্পী বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘এ আর রাহমানের সংগীতায়োজনে বিকৃত সুরে কণ্ঠ মিলিয়েছেন বেশ কজন বাঙালি পেশাদার শিল্পী। তারা শিল্পী জাতির অযোগ্য। প্রতিবাদ চলছে, পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। গানটি ইউটিউব থেকে সরাতে হবে। সিনেমার জন্য গানটি আবার রেকর্ড করতে হবে এবং তা করতে হবে সঠিক সুরে। পরে ক্ষমাপ্রার্থনা করে সেই গানটি তারা সিনেমায় ব্যবহার করলে আমাদের আপত্তি নেই।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ আর রাহমানের কাণ্ডে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে, যেন উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় নজরুলের গান বিকৃত করা যায় না।’
সাদিয়া আফরিন মল্লিক বলেন, ‘জাতীয় কবির গান খোলনলচে বদলে দিয়ে এ আর রাহমান জাতির অস্তিত্বে নাড়া দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, রাজা কৃষ্ণ মেনন পরিচালিত ‘পিপ্পা’ ছবির জন্য এ আর রাহমান ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানে নতুন করে সুরারোপ করেন। কিন্তু গানটি ৭ নভেম্বর ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তীব্র নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ ও ভারতে। তীব্র প্রতিবাদ জানান শিল্পীরা।
তাঁদের অভিযোগ, এটি রিমেক নয়, গানের পুরো সুর বিকৃত করেছেন রাহমান। প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতীয় গণনাট্য সংঘ, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটিও। এই প্রতিবাদ এখনো অব্যাহত আছে। যদিও এ ব্যাপারে এই ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি এন্টারটেইনমেন্ট এবং এ আর রাহমানের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিক, শাহীন সামাদ, ইয়াসমিন মুশতারী, লীনা তাপসী খান, সুজিত মুস্তাফা, বুলবুল ইসলাম, নজরুল গবেষক মাহবুবুল হক প্রমুখ।
এখনো ঘটনার কোনো সুরাহা না হলেও সাইফের ওপর এ হামলা বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হয়েছে, ‘সদগুরু শরণ’ নামের যে অ্যাপার্টমেন্টে সাইফ-কারিনার বাস, সেখানকার ৯ থেকে ১২ তলা তাঁদের। কিন্তু সেখানে আলাদা কোনো সার্ভেল্যান্স ক্যামেরাই নেই।
৫ ঘণ্টা আগেএবার প্রকাশ্যে এল বলিউড স্টার সাইফ আলী খানের বাড়িতে হানা দেওয়া দ্বিতীয় যুবকের ভিডিও। মুখ কাপড়ে ঢাকা, পিঠে বড় ব্যাগ। সাইফ আলী খানের বাড়ির আপৎকালীন সিঁড়ি দিয়ে উঠছেন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজের দ্বিতীয় ভিডিও প্রকাশ করেছে মুম্বাই পুলিশ...
১৪ ঘণ্টা আগে২০১৪ সালে মুক্তি পায় সোহানা সাবা অভিনীত ‘বৃহন্নলা’। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় মুরাদ পারভেজ পরিচালিত সিনেমাটি। বৃহন্নলার জন্য় ২০১৫ সালে ভারতের জয়পুর চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন সোহানা সাবা। এবার সেই উৎসবেই বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগে১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকে নানা ধরনের কাজ করে যাচ্ছে পদাতিক নাট্য সংসদ। আজ দলটি উদ্যাপন করতে যাচ্ছে ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী...
১৫ ঘণ্টা আগে