রাজিব শাখারি, ঢাকা
দুই যুগ পেরিয়ে ২৫ বছরে পা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের ব্যান্ড ‘ভূমি’। ১৯৯৯ সালে জ্ঞান মঞ্চে হয়েছিল দলের প্রথম অনুষ্ঠান। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ১৮৫০টি অনুষ্ঠান করেছে গানের দলটি।
গানের নেশায় বুদ হওয়া কয়েকজন যুবকের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয়েছিল ভূমির। গানের নেশাটা তাঁদের আগে থেকেই ছিল। সেই নেশা থেকেই ভাটিয়ালি, বাউল গানের সঙ্গে গিটার ড্রাম্স নিয়ে শুরু গুনগুন করা। দর্শকদেরও ভালো লেগে যায়। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁদের। একটা সময় ছিল, যখন ভূমির অনুষ্ঠানের টিকিট ‘ব্ল্যাক’ হতো। ভক্তদের ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জও করতে হয়েছে অনেক সময়। তখন আসলে ব্যান্ডের গান নিয়ে উন্মাদনাটাই ছিল আলাদা।
সেদিনের কথা মনে করে ভুমির দলপ্রধান সৌমিত্র রায় বলেন, ‘আমরা আসলে কয়েক বন্ধু মিলে গিটারের চারটে কর্ড আর পারকাশন হিসেবে বালতি-টালতি সম্বল করে হই হই করে কিছু গান গাওয়া শুরু করেছিলাম। ভাটিয়ালি, ঝুমুর এইসব নিজেদের মতো করে গাইতাম। সুরজিতের নিজের লেখা, সুর দেওয়া কিছু গান ছিল। সেগুলো গাওয়া শুরু হল। সুরজিৎকে দেখে আমিও উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত হয়ে গান বানানো শুরু করলাম। ১৯৯৭ সালে বন্ধুদের প্রবল উৎসাহে তিনটে গান রেকর্ড করে ফেললাম। “রঙ্গিলা”, “গাছে ভাঁড় বেঁধে দেনা” ও “কান্দে শুধু মন”। শুনে অনেকেই ভালো বলল। উৎসাহ পেলাম আমরা। ১৯৯৯ সালের ২৫ জুলাই আমরা প্রথমবার একক শো করলাম জ্ঞান মঞ্চে।’
নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগে বাংলা গানের পালে যেন নতুন হাওয়া লাগে। সেই হাওয়ায় পাল উড়িয়ে এগিয়ে যায় ভুমি। ভক্তরা তাদের সঙ্গ ছাড়েনি। সেই দর্শকই আবার সাক্ষী হয়েছে ভুমির মর্মান্তিক ভাঙনেরও। আরও অনেক ব্যান্ডের মতো ভূমির সংসারেও ধরল ফাটল। সুরজিত চলে গেলেন। ঘটনাচক্রে একটা গান নিয়ে বড়সড় ভূলও হয়েছিল। ভূলটা ‘লাল পাহাড়ির দেশে’ নিয়ে। সেই ভুল শোধরাতে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তাঁরা। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য সৌমিত্র জানান, ‘আমরা প্রথম গানটা শুনেছিলাম ২০০০ সালের একটি অনুষ্ঠানে, বাসুদেব দাস বাউলের কণ্ঠে। সেখান থেকে গানের কথা হাতে লিখে নিয়েছিলাম। বাসুদেব দাস অনুমতি দিয়েছিলেন গানটা আমাকে গাইতে। সে দিন তিনি যে গেরুয়া ফতুয়াটি পরেছিলেন সেটিও খুলে আমাকে দিয়ে দেন। তাতে ফুটো ছিল। বিড়ির আগুনে ফুটো হয়ে গিয়েছিল। এখনও আমার কাছে রয়েছে সেই জামা। কিন্তু গানটি যাঁর লেখা, তিনি অরুণ চক্রবর্তী। আমার সঙ্গে যখনই তাঁর দেখা হয়েছে, পা ধরে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। এখনও যখনই দেখা হয়, প্রতি বার ক্ষমা চাই। উনি বলেন, “ছেড়ে দে পাগলা, তুই তো ক্ষমা চেয়েছিস।” আমরা জানতাম না বলেই এই ভুলটা হয়েছিল।’
সেই সব অতীতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নতুন উদ্দ্যমে ২৫শে পা দিচ্ছে ভূমি। আগামীকাল ২৭ জুলাই শনিবার রবীন্দ্র সদনে আয়োজন করা হয়েছে ব্যান্ডের ২৫ বছরের উদ্যাপনের অনুষ্ঠান। এটা হতে যাচ্ছে ভুমির ১৮৫১তম লাইভ কনসার্ট। সেই আয়োজনে বাসুদেব দাসের দেওয়া ফতুয়া পরেই ‘লাল পাহাড়ির দেশে’ গানটা গাইবে ভুমি।
দুই যুগ পেরিয়ে ২৫ বছরে পা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের ব্যান্ড ‘ভূমি’। ১৯৯৯ সালে জ্ঞান মঞ্চে হয়েছিল দলের প্রথম অনুষ্ঠান। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ১৮৫০টি অনুষ্ঠান করেছে গানের দলটি।
গানের নেশায় বুদ হওয়া কয়েকজন যুবকের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয়েছিল ভূমির। গানের নেশাটা তাঁদের আগে থেকেই ছিল। সেই নেশা থেকেই ভাটিয়ালি, বাউল গানের সঙ্গে গিটার ড্রাম্স নিয়ে শুরু গুনগুন করা। দর্শকদেরও ভালো লেগে যায়। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁদের। একটা সময় ছিল, যখন ভূমির অনুষ্ঠানের টিকিট ‘ব্ল্যাক’ হতো। ভক্তদের ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জও করতে হয়েছে অনেক সময়। তখন আসলে ব্যান্ডের গান নিয়ে উন্মাদনাটাই ছিল আলাদা।
সেদিনের কথা মনে করে ভুমির দলপ্রধান সৌমিত্র রায় বলেন, ‘আমরা আসলে কয়েক বন্ধু মিলে গিটারের চারটে কর্ড আর পারকাশন হিসেবে বালতি-টালতি সম্বল করে হই হই করে কিছু গান গাওয়া শুরু করেছিলাম। ভাটিয়ালি, ঝুমুর এইসব নিজেদের মতো করে গাইতাম। সুরজিতের নিজের লেখা, সুর দেওয়া কিছু গান ছিল। সেগুলো গাওয়া শুরু হল। সুরজিৎকে দেখে আমিও উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত হয়ে গান বানানো শুরু করলাম। ১৯৯৭ সালে বন্ধুদের প্রবল উৎসাহে তিনটে গান রেকর্ড করে ফেললাম। “রঙ্গিলা”, “গাছে ভাঁড় বেঁধে দেনা” ও “কান্দে শুধু মন”। শুনে অনেকেই ভালো বলল। উৎসাহ পেলাম আমরা। ১৯৯৯ সালের ২৫ জুলাই আমরা প্রথমবার একক শো করলাম জ্ঞান মঞ্চে।’
নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগে বাংলা গানের পালে যেন নতুন হাওয়া লাগে। সেই হাওয়ায় পাল উড়িয়ে এগিয়ে যায় ভুমি। ভক্তরা তাদের সঙ্গ ছাড়েনি। সেই দর্শকই আবার সাক্ষী হয়েছে ভুমির মর্মান্তিক ভাঙনেরও। আরও অনেক ব্যান্ডের মতো ভূমির সংসারেও ধরল ফাটল। সুরজিত চলে গেলেন। ঘটনাচক্রে একটা গান নিয়ে বড়সড় ভূলও হয়েছিল। ভূলটা ‘লাল পাহাড়ির দেশে’ নিয়ে। সেই ভুল শোধরাতে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তাঁরা। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য সৌমিত্র জানান, ‘আমরা প্রথম গানটা শুনেছিলাম ২০০০ সালের একটি অনুষ্ঠানে, বাসুদেব দাস বাউলের কণ্ঠে। সেখান থেকে গানের কথা হাতে লিখে নিয়েছিলাম। বাসুদেব দাস অনুমতি দিয়েছিলেন গানটা আমাকে গাইতে। সে দিন তিনি যে গেরুয়া ফতুয়াটি পরেছিলেন সেটিও খুলে আমাকে দিয়ে দেন। তাতে ফুটো ছিল। বিড়ির আগুনে ফুটো হয়ে গিয়েছিল। এখনও আমার কাছে রয়েছে সেই জামা। কিন্তু গানটি যাঁর লেখা, তিনি অরুণ চক্রবর্তী। আমার সঙ্গে যখনই তাঁর দেখা হয়েছে, পা ধরে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। এখনও যখনই দেখা হয়, প্রতি বার ক্ষমা চাই। উনি বলেন, “ছেড়ে দে পাগলা, তুই তো ক্ষমা চেয়েছিস।” আমরা জানতাম না বলেই এই ভুলটা হয়েছিল।’
সেই সব অতীতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নতুন উদ্দ্যমে ২৫শে পা দিচ্ছে ভূমি। আগামীকাল ২৭ জুলাই শনিবার রবীন্দ্র সদনে আয়োজন করা হয়েছে ব্যান্ডের ২৫ বছরের উদ্যাপনের অনুষ্ঠান। এটা হতে যাচ্ছে ভুমির ১৮৫১তম লাইভ কনসার্ট। সেই আয়োজনে বাসুদেব দাসের দেওয়া ফতুয়া পরেই ‘লাল পাহাড়ির দেশে’ গানটা গাইবে ভুমি।
শাকিব খানকে কেন্দ্র করে তাঁর দুই সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্বটা নতুন কিছু নয়। সুযোগ পেলেই তাঁরা পরস্পরের প্রতি খড়্গহস্ত হন। এবার টয়লেড ডে-র শুভেচ্ছা জানানোর নাম করে বুবলীকে খোঁচা দিলেন অপু।
১০ ঘণ্টা আগেইত্যাদির নতুন পর্বের শুটিং হয়েছে বাগেরহাটে। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে মোংলা বন্দরে। পশুর নদীর তীরে জাহাজ, নদী এবং বন্দরের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে নির্মিত মঞ্চে ধারণ করা হয়েছে এবারের ইত্যাদি।
১২ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে এ আর রাহমানকে নিয়ে কোনো ধরনের কটুক্তি না করার অনুরোধ করেছেন সায়রা। এক অডিও বার্তায় রাহমানকে তিনি উল্লেখ করেছেন ‘পৃথিবীর সেরা মানুষ’ হিসেবে।
১৫ ঘণ্টা আগেআইপিএলের প্রথম আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিকানা কেনেন শাহরুখ খান। প্রতি সিজনে গ্যালারিতে তাঁর উপস্থিতি আইপিএলের দ্যুতি বাড়িয়েছে। তবে আইপিএলে শাহরুখের প্রথম পছন্দ ছিল না কলকাতা।
১৬ ঘণ্টা আগে