বিনোদন ডেস্ক
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম প্রার্থী তালিকা গত রোববার রাতে প্রকাশ্যে আনে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বিজেপির পঞ্চম প্রার্থী তালিকায় বড় চমক কঙ্গনা রনৌত। এবার তিনি পদ্মফুলের হয়ে লড়াইয়ের সুযোগ পেয়েছেন হিমাচলের মান্ডি আসন থেকে। এরই মধ্যে প্রচারণা শুরু করেছেন। তবে নির্বাচনী আসনে বড় চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়েছেন কঙ্গনা। কঙ্গনাকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা।
মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিদ্রোহী এবং রাজ পরিবারের প্রভাব কঙ্গনা রনৌতের পথ কঠিন করে তুলতে পারে। প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি, তিনবারের এমপি এবং কুল্লুর রাজপরিবারের সদস্য মহেশ্বর সিং এই মনোনয়নের বিরোধিতা করছেন। তিনি হাইকমান্ডকে কঙ্গনা রনৌতকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মহেশ্বর সিং ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন।
মান্ডি সংসদীয় আসনটি ১৭টি বিধানসভা আসন নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে, আটটি তফসিলি উপজাতি এবং তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বেশির ভাগের নিয়ন্ত্রণ রাজপরিবারের হাতে। এই রাজ পরিবারের বংশধরেরা এ আসনের দুটি উপনির্বাচনসহ ১৯টি নির্বাচনের মধ্যে ১৩ টিতে জয়লাভ করেছে।
গত শুক্রবার এক পথসভা দিয়ে কঙ্গনা তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে, জ্যেষ্ঠ বিজেপি নেতা মহেশ্বর সিং বিজেপি হাইকমান্ডকে দলের জন্য ‘কোনো অবদান’ না রাখা এক অভিনেত্রীকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তাঁকেই টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দল।
মহেশ্বর সিং গতকাল শনিবার বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘কঙ্গনা দলে কোনো অবদান রাখেননি এবং মান্ডির লোকেরা সোচ্চার হয়ে উঠেছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানাচ্ছে। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার বিষয়ে বিজেপি হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে আগে টিকিটের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।’
মহেশ্বর সিং–এর ছেলে হিতেশ্বর সিং, প্রাক্তন বিজেপি সাধারণ সম্পাদক রাম সিং এবং প্রাক্তন অ্যানি বিধায়ক কিশোরী লাল—তিনজনই বিজেপির টিকিট না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সংসদীয় আসনে কঙ্গনার প্রার্থিতা ঘোষণার পর তাঁরা অন্য অসন্তুষ্ট বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
কঙ্গনা রনৌতকে সমর্থন দিয়েছেন কারগিল যুদ্ধের নায়ক ও বিজেপি নেতা খুশল ঠাকুর। তিনি ২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতিভা সিংয়ের কাছে ৭ হাজার ৪৯০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
গতকাল পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘আমি কঙ্গনাকে সমর্থন করছি। এই সংসদীয় কেন্দ্রে এক লাখেরও বেশি প্রাক্তন সেনা রয়েছে।’
শুক্রবারের প্রথম নির্বাচনী সভার বক্তৃতায় কঙ্গনা নিজেকে মান্ডির মানুষের ‘কন্যা এবং বোন’ বলে অভিহিত করেন। অভিনেত্রী দাবি করেন, হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা হওয়ায় তাঁকে ক্রমাগত ‘বুলিং’–এর শিকার হতে হয়েছে।
কঙ্গনা বলেন, ‘আমি আমার গ্রামে একটি ছোট দেবী মন্দির তৈরি করেছি এবং মানালিতে একটি বাড়ি তৈরি করেছি। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমি সংগ্রাম ও কঠোর পরিশ্রম করেছি।’
কঙ্গনা আরও বলেন, ‘এটা এমন নয় যে, আমার বাবা বা স্বামী মুখ্যমন্ত্রী, আর আমি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে বক্স অফিসে সুবিধা করতে পারছেন না বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। অভিনয়ের চেয়ে কঙ্গনা এখন বেশি মনোযোগী রাজনীতিতে। ভারতীয় জনতা পার্টি ও নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা এবং সরকারের নানা কাজের প্রচারে কঙ্গনার সক্রিয়তা বড় কিছুর আভাস দিচ্ছিল বেশ আগে থেকেই। তিনি যে শিগগিরই রাজনীতিতে নাম লেখাচ্ছেন সেটি প্রায় অনুমেয় ছিল।
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম প্রার্থী তালিকা গত রোববার রাতে প্রকাশ্যে আনে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বিজেপির পঞ্চম প্রার্থী তালিকায় বড় চমক কঙ্গনা রনৌত। এবার তিনি পদ্মফুলের হয়ে লড়াইয়ের সুযোগ পেয়েছেন হিমাচলের মান্ডি আসন থেকে। এরই মধ্যে প্রচারণা শুরু করেছেন। তবে নির্বাচনী আসনে বড় চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়েছেন কঙ্গনা। কঙ্গনাকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা।
মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিদ্রোহী এবং রাজ পরিবারের প্রভাব কঙ্গনা রনৌতের পথ কঠিন করে তুলতে পারে। প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি, তিনবারের এমপি এবং কুল্লুর রাজপরিবারের সদস্য মহেশ্বর সিং এই মনোনয়নের বিরোধিতা করছেন। তিনি হাইকমান্ডকে কঙ্গনা রনৌতকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মহেশ্বর সিং ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন।
মান্ডি সংসদীয় আসনটি ১৭টি বিধানসভা আসন নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে, আটটি তফসিলি উপজাতি এবং তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বেশির ভাগের নিয়ন্ত্রণ রাজপরিবারের হাতে। এই রাজ পরিবারের বংশধরেরা এ আসনের দুটি উপনির্বাচনসহ ১৯টি নির্বাচনের মধ্যে ১৩ টিতে জয়লাভ করেছে।
গত শুক্রবার এক পথসভা দিয়ে কঙ্গনা তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে, জ্যেষ্ঠ বিজেপি নেতা মহেশ্বর সিং বিজেপি হাইকমান্ডকে দলের জন্য ‘কোনো অবদান’ না রাখা এক অভিনেত্রীকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তাঁকেই টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দল।
মহেশ্বর সিং গতকাল শনিবার বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘কঙ্গনা দলে কোনো অবদান রাখেননি এবং মান্ডির লোকেরা সোচ্চার হয়ে উঠেছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানাচ্ছে। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার বিষয়ে বিজেপি হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে আগে টিকিটের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।’
মহেশ্বর সিং–এর ছেলে হিতেশ্বর সিং, প্রাক্তন বিজেপি সাধারণ সম্পাদক রাম সিং এবং প্রাক্তন অ্যানি বিধায়ক কিশোরী লাল—তিনজনই বিজেপির টিকিট না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সংসদীয় আসনে কঙ্গনার প্রার্থিতা ঘোষণার পর তাঁরা অন্য অসন্তুষ্ট বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
কঙ্গনা রনৌতকে সমর্থন দিয়েছেন কারগিল যুদ্ধের নায়ক ও বিজেপি নেতা খুশল ঠাকুর। তিনি ২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতিভা সিংয়ের কাছে ৭ হাজার ৪৯০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
গতকাল পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘আমি কঙ্গনাকে সমর্থন করছি। এই সংসদীয় কেন্দ্রে এক লাখেরও বেশি প্রাক্তন সেনা রয়েছে।’
শুক্রবারের প্রথম নির্বাচনী সভার বক্তৃতায় কঙ্গনা নিজেকে মান্ডির মানুষের ‘কন্যা এবং বোন’ বলে অভিহিত করেন। অভিনেত্রী দাবি করেন, হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা হওয়ায় তাঁকে ক্রমাগত ‘বুলিং’–এর শিকার হতে হয়েছে।
কঙ্গনা বলেন, ‘আমি আমার গ্রামে একটি ছোট দেবী মন্দির তৈরি করেছি এবং মানালিতে একটি বাড়ি তৈরি করেছি। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমি সংগ্রাম ও কঠোর পরিশ্রম করেছি।’
কঙ্গনা আরও বলেন, ‘এটা এমন নয় যে, আমার বাবা বা স্বামী মুখ্যমন্ত্রী, আর আমি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে বক্স অফিসে সুবিধা করতে পারছেন না বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। অভিনয়ের চেয়ে কঙ্গনা এখন বেশি মনোযোগী রাজনীতিতে। ভারতীয় জনতা পার্টি ও নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা এবং সরকারের নানা কাজের প্রচারে কঙ্গনার সক্রিয়তা বড় কিছুর আভাস দিচ্ছিল বেশ আগে থেকেই। তিনি যে শিগগিরই রাজনীতিতে নাম লেখাচ্ছেন সেটি প্রায় অনুমেয় ছিল।
শাকিব খানকে কেন্দ্র করে তাঁর দুই সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্বটা নতুন কিছু নয়। সুযোগ পেলেই তাঁরা পরস্পরের প্রতি খড়্গহস্ত হন। এবার টয়লেড ডে-র শুভেচ্ছা জানানোর নাম করে বুবলীকে খোঁচা দিলেন অপু।
৩ ঘণ্টা আগেইত্যাদির নতুন পর্বের শুটিং হয়েছে বাগেরহাটে। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে মোংলা বন্দরে। পশুর নদীর তীরে জাহাজ, নদী এবং বন্দরের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে নির্মিত মঞ্চে ধারণ করা হয়েছে এবারের ইত্যাদি।
৫ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে এ আর রাহমানকে নিয়ে কোনো ধরনের কটুক্তি না করার অনুরোধ করেছেন সায়রা। এক অডিও বার্তায় রাহমানকে তিনি উল্লেখ করেছেন ‘পৃথিবীর সেরা মানুষ’ হিসেবে।
৭ ঘণ্টা আগেআইপিএলের প্রথম আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিকানা কেনেন শাহরুখ খান। প্রতি সিজনে গ্যালারিতে তাঁর উপস্থিতি আইপিএলের দ্যুতি বাড়িয়েছে। তবে আইপিএলে শাহরুখের প্রথম পছন্দ ছিল না কলকাতা।
৯ ঘণ্টা আগে