
রোববার রাতে চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। রাজধানীর একটি হাসপাতালে জীবনের শেষ ১৪টি দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন তিনি। প্রিয়জনদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন ওপারে।
১৯৪১ সালের ১৮ আগস্ট চাঁদপুরের নতুন বাজারের গুয়াখোলায় মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবনেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন।
অজান্তা মিত্রকে বিয়ের সময় মুসলমান হয়েছিলেন প্রবীর মিত্র। তাই ইসলামের রীতি অনুযায়ী মৃত্যুর পর জানাজা শেষে দাফন করা হয় তাঁকে। গতকাল দুপুরে বাদ জোহর বিএফডিসিতে প্রথম জানাজা শেষে চ্যানেলে আই প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তাঁর। এরপর ঢাকায় আজিমপুর কবরস্থানে প্রবীর মিত্রের দাফন সম্পন্ন হয়।
প্রিয় অভিনেতার প্রয়াণে দেশের শিল্পাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। অভিনেতা, শিল্পী, সুরকার থেকে শুরু করে ভক্ত ও প্রিয়জনেরা তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। প্রবীর মিত্রের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘তাঁর মতো একজন অভিনয়শিল্পীর চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য খুব কষ্টের। মানুষ হিসেবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সজ্জন। ভালোবেসে বিয়ে করার সময় মুসলমান হয়েছেন। ভাবিকে উনি প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। শেষ বয়সেও তিনি ধর্মচর্চা করেছেন, নামাজ আদায় করেছেন, কোরআন তিলাওয়াত করেছেন। আমরা সকলেই যেন তাঁর জন্য দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাঁর ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেন।’
মিশা সওদাগর বলেন, ‘প্রবীর মিত্রদা বরাবরই পরিচ্ছন্ন ও নিয়ন্ত্রিত জীবন কাটিয়েছেন। কখনো অনিয়ম করতে দেখিনি। উনার সঙ্গে আমি বহু সিনেমায় কাজ করেছি। তিনি এমন একজন শিল্পী, যাঁকে নিয়ে কেউ একটা কটু কথা বলতে পারেনি। ভাবির জন্য, ভালোবাসার জন্য উনি কতটা করেছেন, তা আমরা জানি। এ যুগের লাইলি-মজনু যদি বলেন, তাহলে উনি সেই মজনু।’
অভিনেতা সুব্রত বলেন, ‘ধীরে ধীরে যখন তাঁর বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা বেড়ে গেল, হুইলচেয়ার ছাড়া চলতে কষ্ট হতো, তখনো তিনি বলতেন, আমাকে ডাকে না কেন? হুইলচেয়ারে আছি তো কী হইছে? এমন একটা ক্যারেক্টার তৈরি করব! এই যে অভিনয় করার বাসনা, এটা তাঁর শেষ সময় পর্যন্ত ছিল। তাঁর এই চলে যাওয়া সত্যিই কষ্টের।’
অভিনেত্রী আনোয়ারার মেয়ে অভিনেত্রী মুক্তি বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সঙ্গে উনার (প্রবীর মিত্রের) খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। উনার এই চলে যাওয়া যতটা কষ্টের, তার চেয়ে আমার কাছে কষ্টের, আমার মাকে জানাতে পারছি না। বলতে পারছি না, উনার আপন মানুষগুলো এভাবে একে একে চলে যাচ্ছেন।’
জায়েদ খান তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রবীর মিত্র দাদা আর নেই। স্রষ্টা তাঁকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ, আমাদের শোক সইবার ক্ষমতা দাও।’

কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী শোক জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্রে আমাদের আবেগের জায়গাজুড়ে ছিলেন প্রবীর মিত্র। অভিনয়ের বাইরে তিনি ছিলেন একান্ত নিভৃতচারী। তিনি চলচিত্রে সব সময় সৎ ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করতেন। আজ তিনিও চলে গেলেন জীবন থেকে পরপারে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
সুরকার ইমন সাহা লিখেছেন, ‘কী হচ্ছে কে জানে! ঈশ্বর কী চান, তা একমাত্র তিনিই জানেন। কয়েক দিন ধরে শুধু আপন মানুষ হারানোর বার্তাই দিয়ে যাচ্ছি। প্রবীর মিত্র কাকু আমাদের পরিবারের অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন। আমাদের চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিনেমায় তাঁর উপস্থিতি ছিল। তাঁর মতো ভালো মানুষ এ জগতে বিরল। জীবনে কারও সঙ্গে উচ্চ স্বরে কথা বলেছেন বলে আমার চোখে পড়েনি। হাসিমুখ ছাড়া কোনো দিন দেখিনি। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা জানার পরও এই চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।’
অভিনেতা ও নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেছেন, ‘প্রিয় প্রবীর চাচার এই চলে যাওয়া সত্যিই কষ্টের। কিন্তু ঈশ্বরের বিধান আমরা মেনে নিতে বাধ্য। আমার বাবা আমজাদ হোসেনের প্রায় সব সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। তাঁর জন্য বাবা আলাদাভাবে যত্ন নিয়ে চরিত্র তৈরি করতেন। আমার পরিচালনাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। প্রবীর মিত্র যে কত বড় মাপের, কত বড় মানের অভিনয়শিল্পী ছিলেন, এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
একনজরে
জন্ম: ১৮ আগস্ট ১৯৪১, চাঁদপুরে মামার বাড়িতে
পারিবারিক পরিচয়: তাঁর ঠাকুরদা হরিপ্রসন্ন মিত্র ছিলেন কেরানীগঞ্জের তৎকালীন জমিদার। বাবা গোপেন্দ্র নারায়ণ মিত্র, মা অমিয় বালা।
শিক্ষাজীবন: সেন্ট গ্রেগরি মিশনারি হাইস্কুল, পোগোজ হাইস্কুল থেকে ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিক, ১৯৬৪ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৬৬ সালে বিএ পাস করেন।
অভিনয় শুরু: স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটক দিয়ে। এরপর মঞ্চে নাটক করেছেন বেশ কিছুদিন।
অভিষেক সিনেমা: এইচ আকবরের ‘জলছবি’।
অভিনয় ক্যারিয়ার: ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘চাদর’, ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’সহ তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
জাতীয় পুরস্কার: ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমার জন্য ১৯৮২ সালে সেরা পার্শ্ব-অভিনেতার পুরস্কার পান।
ক্রীড়াজীবন: ষাটের দশকে খেলেছেন ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেট। এ ছাড়া হকি ও ফুটবলেও সুনাম ছিল তাঁর।
মৃত্যু: ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ঢাকা।

রোববার রাতে চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। রাজধানীর একটি হাসপাতালে জীবনের শেষ ১৪টি দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন তিনি। প্রিয়জনদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন ওপারে।
১৯৪১ সালের ১৮ আগস্ট চাঁদপুরের নতুন বাজারের গুয়াখোলায় মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবনেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন।
অজান্তা মিত্রকে বিয়ের সময় মুসলমান হয়েছিলেন প্রবীর মিত্র। তাই ইসলামের রীতি অনুযায়ী মৃত্যুর পর জানাজা শেষে দাফন করা হয় তাঁকে। গতকাল দুপুরে বাদ জোহর বিএফডিসিতে প্রথম জানাজা শেষে চ্যানেলে আই প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তাঁর। এরপর ঢাকায় আজিমপুর কবরস্থানে প্রবীর মিত্রের দাফন সম্পন্ন হয়।
প্রিয় অভিনেতার প্রয়াণে দেশের শিল্পাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। অভিনেতা, শিল্পী, সুরকার থেকে শুরু করে ভক্ত ও প্রিয়জনেরা তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। প্রবীর মিত্রের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘তাঁর মতো একজন অভিনয়শিল্পীর চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য খুব কষ্টের। মানুষ হিসেবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সজ্জন। ভালোবেসে বিয়ে করার সময় মুসলমান হয়েছেন। ভাবিকে উনি প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। শেষ বয়সেও তিনি ধর্মচর্চা করেছেন, নামাজ আদায় করেছেন, কোরআন তিলাওয়াত করেছেন। আমরা সকলেই যেন তাঁর জন্য দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাঁর ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেন।’
মিশা সওদাগর বলেন, ‘প্রবীর মিত্রদা বরাবরই পরিচ্ছন্ন ও নিয়ন্ত্রিত জীবন কাটিয়েছেন। কখনো অনিয়ম করতে দেখিনি। উনার সঙ্গে আমি বহু সিনেমায় কাজ করেছি। তিনি এমন একজন শিল্পী, যাঁকে নিয়ে কেউ একটা কটু কথা বলতে পারেনি। ভাবির জন্য, ভালোবাসার জন্য উনি কতটা করেছেন, তা আমরা জানি। এ যুগের লাইলি-মজনু যদি বলেন, তাহলে উনি সেই মজনু।’
অভিনেতা সুব্রত বলেন, ‘ধীরে ধীরে যখন তাঁর বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা বেড়ে গেল, হুইলচেয়ার ছাড়া চলতে কষ্ট হতো, তখনো তিনি বলতেন, আমাকে ডাকে না কেন? হুইলচেয়ারে আছি তো কী হইছে? এমন একটা ক্যারেক্টার তৈরি করব! এই যে অভিনয় করার বাসনা, এটা তাঁর শেষ সময় পর্যন্ত ছিল। তাঁর এই চলে যাওয়া সত্যিই কষ্টের।’
অভিনেত্রী আনোয়ারার মেয়ে অভিনেত্রী মুক্তি বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সঙ্গে উনার (প্রবীর মিত্রের) খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। উনার এই চলে যাওয়া যতটা কষ্টের, তার চেয়ে আমার কাছে কষ্টের, আমার মাকে জানাতে পারছি না। বলতে পারছি না, উনার আপন মানুষগুলো এভাবে একে একে চলে যাচ্ছেন।’
জায়েদ খান তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রবীর মিত্র দাদা আর নেই। স্রষ্টা তাঁকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ, আমাদের শোক সইবার ক্ষমতা দাও।’

কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী শোক জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্রে আমাদের আবেগের জায়গাজুড়ে ছিলেন প্রবীর মিত্র। অভিনয়ের বাইরে তিনি ছিলেন একান্ত নিভৃতচারী। তিনি চলচিত্রে সব সময় সৎ ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করতেন। আজ তিনিও চলে গেলেন জীবন থেকে পরপারে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
সুরকার ইমন সাহা লিখেছেন, ‘কী হচ্ছে কে জানে! ঈশ্বর কী চান, তা একমাত্র তিনিই জানেন। কয়েক দিন ধরে শুধু আপন মানুষ হারানোর বার্তাই দিয়ে যাচ্ছি। প্রবীর মিত্র কাকু আমাদের পরিবারের অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন। আমাদের চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিনেমায় তাঁর উপস্থিতি ছিল। তাঁর মতো ভালো মানুষ এ জগতে বিরল। জীবনে কারও সঙ্গে উচ্চ স্বরে কথা বলেছেন বলে আমার চোখে পড়েনি। হাসিমুখ ছাড়া কোনো দিন দেখিনি। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা জানার পরও এই চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।’
অভিনেতা ও নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেছেন, ‘প্রিয় প্রবীর চাচার এই চলে যাওয়া সত্যিই কষ্টের। কিন্তু ঈশ্বরের বিধান আমরা মেনে নিতে বাধ্য। আমার বাবা আমজাদ হোসেনের প্রায় সব সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। তাঁর জন্য বাবা আলাদাভাবে যত্ন নিয়ে চরিত্র তৈরি করতেন। আমার পরিচালনাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। প্রবীর মিত্র যে কত বড় মাপের, কত বড় মানের অভিনয়শিল্পী ছিলেন, এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
একনজরে
জন্ম: ১৮ আগস্ট ১৯৪১, চাঁদপুরে মামার বাড়িতে
পারিবারিক পরিচয়: তাঁর ঠাকুরদা হরিপ্রসন্ন মিত্র ছিলেন কেরানীগঞ্জের তৎকালীন জমিদার। বাবা গোপেন্দ্র নারায়ণ মিত্র, মা অমিয় বালা।
শিক্ষাজীবন: সেন্ট গ্রেগরি মিশনারি হাইস্কুল, পোগোজ হাইস্কুল থেকে ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিক, ১৯৬৪ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৬৬ সালে বিএ পাস করেন।
অভিনয় শুরু: স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটক দিয়ে। এরপর মঞ্চে নাটক করেছেন বেশ কিছুদিন।
অভিষেক সিনেমা: এইচ আকবরের ‘জলছবি’।
অভিনয় ক্যারিয়ার: ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘চাদর’, ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’সহ তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
জাতীয় পুরস্কার: ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমার জন্য ১৯৮২ সালে সেরা পার্শ্ব-অভিনেতার পুরস্কার পান।
ক্রীড়াজীবন: ষাটের দশকে খেলেছেন ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেট। এ ছাড়া হকি ও ফুটবলেও সুনাম ছিল তাঁর।
মৃত্যু: ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ঢাকা।

রোববার রাতে চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। রাজধানীর একটি হাসপাতালে জীবনের শেষ ১৪টি দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন তিনি। প্রিয়জনদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন ওপারে।
১৯৪১ সালের ১৮ আগস্ট চাঁদপুরের নতুন বাজারের গুয়াখোলায় মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবনেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন।
অজান্তা মিত্রকে বিয়ের সময় মুসলমান হয়েছিলেন প্রবীর মিত্র। তাই ইসলামের রীতি অনুযায়ী মৃত্যুর পর জানাজা শেষে দাফন করা হয় তাঁকে। গতকাল দুপুরে বাদ জোহর বিএফডিসিতে প্রথম জানাজা শেষে চ্যানেলে আই প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তাঁর। এরপর ঢাকায় আজিমপুর কবরস্থানে প্রবীর মিত্রের দাফন সম্পন্ন হয়।
প্রিয় অভিনেতার প্রয়াণে দেশের শিল্পাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। অভিনেতা, শিল্পী, সুরকার থেকে শুরু করে ভক্ত ও প্রিয়জনেরা তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। প্রবীর মিত্রের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘তাঁর মতো একজন অভিনয়শিল্পীর চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য খুব কষ্টের। মানুষ হিসেবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সজ্জন। ভালোবেসে বিয়ে করার সময় মুসলমান হয়েছেন। ভাবিকে উনি প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। শেষ বয়সেও তিনি ধর্মচর্চা করেছেন, নামাজ আদায় করেছেন, কোরআন তিলাওয়াত করেছেন। আমরা সকলেই যেন তাঁর জন্য দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাঁর ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেন।’
মিশা সওদাগর বলেন, ‘প্রবীর মিত্রদা বরাবরই পরিচ্ছন্ন ও নিয়ন্ত্রিত জীবন কাটিয়েছেন। কখনো অনিয়ম করতে দেখিনি। উনার সঙ্গে আমি বহু সিনেমায় কাজ করেছি। তিনি এমন একজন শিল্পী, যাঁকে নিয়ে কেউ একটা কটু কথা বলতে পারেনি। ভাবির জন্য, ভালোবাসার জন্য উনি কতটা করেছেন, তা আমরা জানি। এ যুগের লাইলি-মজনু যদি বলেন, তাহলে উনি সেই মজনু।’
অভিনেতা সুব্রত বলেন, ‘ধীরে ধীরে যখন তাঁর বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা বেড়ে গেল, হুইলচেয়ার ছাড়া চলতে কষ্ট হতো, তখনো তিনি বলতেন, আমাকে ডাকে না কেন? হুইলচেয়ারে আছি তো কী হইছে? এমন একটা ক্যারেক্টার তৈরি করব! এই যে অভিনয় করার বাসনা, এটা তাঁর শেষ সময় পর্যন্ত ছিল। তাঁর এই চলে যাওয়া সত্যিই কষ্টের।’
অভিনেত্রী আনোয়ারার মেয়ে অভিনেত্রী মুক্তি বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সঙ্গে উনার (প্রবীর মিত্রের) খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। উনার এই চলে যাওয়া যতটা কষ্টের, তার চেয়ে আমার কাছে কষ্টের, আমার মাকে জানাতে পারছি না। বলতে পারছি না, উনার আপন মানুষগুলো এভাবে একে একে চলে যাচ্ছেন।’
জায়েদ খান তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রবীর মিত্র দাদা আর নেই। স্রষ্টা তাঁকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ, আমাদের শোক সইবার ক্ষমতা দাও।’

কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী শোক জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্রে আমাদের আবেগের জায়গাজুড়ে ছিলেন প্রবীর মিত্র। অভিনয়ের বাইরে তিনি ছিলেন একান্ত নিভৃতচারী। তিনি চলচিত্রে সব সময় সৎ ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করতেন। আজ তিনিও চলে গেলেন জীবন থেকে পরপারে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
সুরকার ইমন সাহা লিখেছেন, ‘কী হচ্ছে কে জানে! ঈশ্বর কী চান, তা একমাত্র তিনিই জানেন। কয়েক দিন ধরে শুধু আপন মানুষ হারানোর বার্তাই দিয়ে যাচ্ছি। প্রবীর মিত্র কাকু আমাদের পরিবারের অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন। আমাদের চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিনেমায় তাঁর উপস্থিতি ছিল। তাঁর মতো ভালো মানুষ এ জগতে বিরল। জীবনে কারও সঙ্গে উচ্চ স্বরে কথা বলেছেন বলে আমার চোখে পড়েনি। হাসিমুখ ছাড়া কোনো দিন দেখিনি। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা জানার পরও এই চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।’
অভিনেতা ও নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেছেন, ‘প্রিয় প্রবীর চাচার এই চলে যাওয়া সত্যিই কষ্টের। কিন্তু ঈশ্বরের বিধান আমরা মেনে নিতে বাধ্য। আমার বাবা আমজাদ হোসেনের প্রায় সব সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। তাঁর জন্য বাবা আলাদাভাবে যত্ন নিয়ে চরিত্র তৈরি করতেন। আমার পরিচালনাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। প্রবীর মিত্র যে কত বড় মাপের, কত বড় মানের অভিনয়শিল্পী ছিলেন, এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
একনজরে
জন্ম: ১৮ আগস্ট ১৯৪১, চাঁদপুরে মামার বাড়িতে
পারিবারিক পরিচয়: তাঁর ঠাকুরদা হরিপ্রসন্ন মিত্র ছিলেন কেরানীগঞ্জের তৎকালীন জমিদার। বাবা গোপেন্দ্র নারায়ণ মিত্র, মা অমিয় বালা।
শিক্ষাজীবন: সেন্ট গ্রেগরি মিশনারি হাইস্কুল, পোগোজ হাইস্কুল থেকে ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিক, ১৯৬৪ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৬৬ সালে বিএ পাস করেন।
অভিনয় শুরু: স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটক দিয়ে। এরপর মঞ্চে নাটক করেছেন বেশ কিছুদিন।
অভিষেক সিনেমা: এইচ আকবরের ‘জলছবি’।
অভিনয় ক্যারিয়ার: ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘চাদর’, ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’সহ তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
জাতীয় পুরস্কার: ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমার জন্য ১৯৮২ সালে সেরা পার্শ্ব-অভিনেতার পুরস্কার পান।
ক্রীড়াজীবন: ষাটের দশকে খেলেছেন ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেট। এ ছাড়া হকি ও ফুটবলেও সুনাম ছিল তাঁর।
মৃত্যু: ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ঢাকা।

রোববার রাতে চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। রাজধানীর একটি হাসপাতালে জীবনের শেষ ১৪টি দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন তিনি। প্রিয়জনদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন ওপারে।
১৯৪১ সালের ১৮ আগস্ট চাঁদপুরের নতুন বাজারের গুয়াখোলায় মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবনেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন।
অজান্তা মিত্রকে বিয়ের সময় মুসলমান হয়েছিলেন প্রবীর মিত্র। তাই ইসলামের রীতি অনুযায়ী মৃত্যুর পর জানাজা শেষে দাফন করা হয় তাঁকে। গতকাল দুপুরে বাদ জোহর বিএফডিসিতে প্রথম জানাজা শেষে চ্যানেলে আই প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তাঁর। এরপর ঢাকায় আজিমপুর কবরস্থানে প্রবীর মিত্রের দাফন সম্পন্ন হয়।
প্রিয় অভিনেতার প্রয়াণে দেশের শিল্পাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। অভিনেতা, শিল্পী, সুরকার থেকে শুরু করে ভক্ত ও প্রিয়জনেরা তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। প্রবীর মিত্রের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘তাঁর মতো একজন অভিনয়শিল্পীর চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য খুব কষ্টের। মানুষ হিসেবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সজ্জন। ভালোবেসে বিয়ে করার সময় মুসলমান হয়েছেন। ভাবিকে উনি প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। শেষ বয়সেও তিনি ধর্মচর্চা করেছেন, নামাজ আদায় করেছেন, কোরআন তিলাওয়াত করেছেন। আমরা সকলেই যেন তাঁর জন্য দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাঁর ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেন।’
মিশা সওদাগর বলেন, ‘প্রবীর মিত্রদা বরাবরই পরিচ্ছন্ন ও নিয়ন্ত্রিত জীবন কাটিয়েছেন। কখনো অনিয়ম করতে দেখিনি। উনার সঙ্গে আমি বহু সিনেমায় কাজ করেছি। তিনি এমন একজন শিল্পী, যাঁকে নিয়ে কেউ একটা কটু কথা বলতে পারেনি। ভাবির জন্য, ভালোবাসার জন্য উনি কতটা করেছেন, তা আমরা জানি। এ যুগের লাইলি-মজনু যদি বলেন, তাহলে উনি সেই মজনু।’
অভিনেতা সুব্রত বলেন, ‘ধীরে ধীরে যখন তাঁর বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা বেড়ে গেল, হুইলচেয়ার ছাড়া চলতে কষ্ট হতো, তখনো তিনি বলতেন, আমাকে ডাকে না কেন? হুইলচেয়ারে আছি তো কী হইছে? এমন একটা ক্যারেক্টার তৈরি করব! এই যে অভিনয় করার বাসনা, এটা তাঁর শেষ সময় পর্যন্ত ছিল। তাঁর এই চলে যাওয়া সত্যিই কষ্টের।’
অভিনেত্রী আনোয়ারার মেয়ে অভিনেত্রী মুক্তি বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সঙ্গে উনার (প্রবীর মিত্রের) খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। উনার এই চলে যাওয়া যতটা কষ্টের, তার চেয়ে আমার কাছে কষ্টের, আমার মাকে জানাতে পারছি না। বলতে পারছি না, উনার আপন মানুষগুলো এভাবে একে একে চলে যাচ্ছেন।’
জায়েদ খান তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রবীর মিত্র দাদা আর নেই। স্রষ্টা তাঁকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ, আমাদের শোক সইবার ক্ষমতা দাও।’

কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী শোক জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্রে আমাদের আবেগের জায়গাজুড়ে ছিলেন প্রবীর মিত্র। অভিনয়ের বাইরে তিনি ছিলেন একান্ত নিভৃতচারী। তিনি চলচিত্রে সব সময় সৎ ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করতেন। আজ তিনিও চলে গেলেন জীবন থেকে পরপারে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
সুরকার ইমন সাহা লিখেছেন, ‘কী হচ্ছে কে জানে! ঈশ্বর কী চান, তা একমাত্র তিনিই জানেন। কয়েক দিন ধরে শুধু আপন মানুষ হারানোর বার্তাই দিয়ে যাচ্ছি। প্রবীর মিত্র কাকু আমাদের পরিবারের অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন। আমাদের চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিনেমায় তাঁর উপস্থিতি ছিল। তাঁর মতো ভালো মানুষ এ জগতে বিরল। জীবনে কারও সঙ্গে উচ্চ স্বরে কথা বলেছেন বলে আমার চোখে পড়েনি। হাসিমুখ ছাড়া কোনো দিন দেখিনি। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা জানার পরও এই চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।’
অভিনেতা ও নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেছেন, ‘প্রিয় প্রবীর চাচার এই চলে যাওয়া সত্যিই কষ্টের। কিন্তু ঈশ্বরের বিধান আমরা মেনে নিতে বাধ্য। আমার বাবা আমজাদ হোসেনের প্রায় সব সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। তাঁর জন্য বাবা আলাদাভাবে যত্ন নিয়ে চরিত্র তৈরি করতেন। আমার পরিচালনাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। প্রবীর মিত্র যে কত বড় মাপের, কত বড় মানের অভিনয়শিল্পী ছিলেন, এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
একনজরে
জন্ম: ১৮ আগস্ট ১৯৪১, চাঁদপুরে মামার বাড়িতে
পারিবারিক পরিচয়: তাঁর ঠাকুরদা হরিপ্রসন্ন মিত্র ছিলেন কেরানীগঞ্জের তৎকালীন জমিদার। বাবা গোপেন্দ্র নারায়ণ মিত্র, মা অমিয় বালা।
শিক্ষাজীবন: সেন্ট গ্রেগরি মিশনারি হাইস্কুল, পোগোজ হাইস্কুল থেকে ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিক, ১৯৬৪ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৬৬ সালে বিএ পাস করেন।
অভিনয় শুরু: স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটক দিয়ে। এরপর মঞ্চে নাটক করেছেন বেশ কিছুদিন।
অভিষেক সিনেমা: এইচ আকবরের ‘জলছবি’।
অভিনয় ক্যারিয়ার: ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘চাদর’, ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’সহ তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
জাতীয় পুরস্কার: ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমার জন্য ১৯৮২ সালে সেরা পার্শ্ব-অভিনেতার পুরস্কার পান।
ক্রীড়াজীবন: ষাটের দশকে খেলেছেন ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেট। এ ছাড়া হকি ও ফুটবলেও সুনাম ছিল তাঁর।
মৃত্যু: ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ঢাকা।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
৭ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান। গানের শিরোনাম ‘এই ব্যথা’।
‘এই ব্যথা কি তোমার অনুগত/ চাইলেই রোদে এসে পেতে দেয় গা/ এই ব্যথা কি দিনান্তে কোনো হাওয়া/ স্বপ্নের মতো সারা রাত্রি জেগে থাকা’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন মাহি ফ্লোরা। সুর করেছেন এহসান রাহি, সংগীতায়োজনে আমজাদ হোসেন। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শুভব্রত সরকার। ১৮ ডিসেম্বর ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে এই ব্যথা শিরোনামের গানের ভিডিও। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে দেশি ও আন্তর্জাতিক মিউজিক প্ল্যাটফর্মগুলোয়।
এই ব্যথা গানটি প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘অনেক দিন পর আয়োজন করে একটা গান করা হলো। আমি আনন্দিত। এই টিমে যারা কাজ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ট্যালেন্টেড। সবাই তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন এই গানে। আরও আনন্দের ব্যাপার হলো, আমার বড় কন্যার জন্মদিনে গানটির প্রকাশ আমাকে মুগ্ধতার অন্য জগতে নিয়ে গেছে। গানটির ভিডিও নিয়ে একটু বলতে চাই, এই ধরনের মিউজিক ভিডিও আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। দেশের মিউজিক ভিডিওর অঙ্গনে এই ভিডিও ভিন্নমাত্রা এনে দেবে বলে বিশ্বাস করি।’
ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কর্ণধার ধ্রুব গুহ বলেন, ‘বাপ্পাদার এই ব্যথা গানটি প্রকাশ করতে পেরে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন আনন্দিত। আমি আশা করছি, গানটি শ্রোতাদের অনেক ভালো লাগবে।’
সম্প্রতি ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কার্যালয়ে গানটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। নতুন গান প্রকাশ উপলক্ষে বাপ্পা মজুমদারকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার তরুণ মুন্সী, কণ্ঠশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ, লুৎফর হাসান, কিশোর দাসসহ সংগীতাঙ্গনের অনেকে।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান। গানের শিরোনাম ‘এই ব্যথা’।
‘এই ব্যথা কি তোমার অনুগত/ চাইলেই রোদে এসে পেতে দেয় গা/ এই ব্যথা কি দিনান্তে কোনো হাওয়া/ স্বপ্নের মতো সারা রাত্রি জেগে থাকা’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন মাহি ফ্লোরা। সুর করেছেন এহসান রাহি, সংগীতায়োজনে আমজাদ হোসেন। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শুভব্রত সরকার। ১৮ ডিসেম্বর ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে এই ব্যথা শিরোনামের গানের ভিডিও। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে দেশি ও আন্তর্জাতিক মিউজিক প্ল্যাটফর্মগুলোয়।
এই ব্যথা গানটি প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘অনেক দিন পর আয়োজন করে একটা গান করা হলো। আমি আনন্দিত। এই টিমে যারা কাজ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ট্যালেন্টেড। সবাই তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন এই গানে। আরও আনন্দের ব্যাপার হলো, আমার বড় কন্যার জন্মদিনে গানটির প্রকাশ আমাকে মুগ্ধতার অন্য জগতে নিয়ে গেছে। গানটির ভিডিও নিয়ে একটু বলতে চাই, এই ধরনের মিউজিক ভিডিও আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। দেশের মিউজিক ভিডিওর অঙ্গনে এই ভিডিও ভিন্নমাত্রা এনে দেবে বলে বিশ্বাস করি।’
ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কর্ণধার ধ্রুব গুহ বলেন, ‘বাপ্পাদার এই ব্যথা গানটি প্রকাশ করতে পেরে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন আনন্দিত। আমি আশা করছি, গানটি শ্রোতাদের অনেক ভালো লাগবে।’
সম্প্রতি ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কার্যালয়ে গানটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। নতুন গান প্রকাশ উপলক্ষে বাপ্পা মজুমদারকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার তরুণ মুন্সী, কণ্ঠশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ, লুৎফর হাসান, কিশোর দাসসহ সংগীতাঙ্গনের অনেকে।

রোববার রাতে চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। রাজধানীর একটি হাসপাতালে জীবনের শেষ ১৪টি দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন তিনি। প্রিয়জনদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন ওপারে। ১৯৪১ সালের ১৮ আগস্ট চাঁদপুরের নতুন বাজারের গুয়াখোলায় মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র।
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
হাদি ও তাঁর শিশুপুত্রের একটি ছবি শেয়ার করে ঢাকাই সিনেমার নায়ক সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’
অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক লিখেছেন একাধিক পোস্ট। একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নামটা মনে রেখো, শহীদ-বীর শরিফ ওসমান হাদি।’ অন্য একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘সে কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিল না, কারও হক আত্মসাৎ করেনি, সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় করেনি। তবুও-সামান্য কথার দায়ে, একটা জীবন এভাবে শেষ হতে পারে?’ ভিন্ন একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনায় আসবে অগ্নিসংযোগ, কিন্তু আসার কথা ছিল হাদির কথা, তাঁর বীরত্বের কথা, খুনের বিচারের কথা। এ দেশে মানুষ মরলে, শোকও নিরাপদ থাকে না। সবকিছুই ঢেকে ফেলা হয় আগুনে, ভাঙচুরে, রাজনীতিতে। এখানে রক্তের রংও রাজনৈতিক। বরাবরই এখানে বিপ্লব বেদখল হয়। বরাবরই আমরা এখানে অসহায়।’
নির্মাতা অনন্য মামুন লিখেছেন, ‘মৃত্যুও পবিত্র সুন্দর হতে পারে, শহীদ হাদিকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।’
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ওসমান হাদির একটি ছবি প্রকাশ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান বিন হাদি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে থাকবেন।’
মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল হাদির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, ‘এটা সত্যিই খুব কষ্টের আর একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো না। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন, আর তাঁর শোকাহত পরিবারকে, বিশেষ করে তাঁর ছোট্ট বাচ্চাকে ধৈর্য, শক্তি আর সান্ত্বনা দেন।’ গণমাধ্যম কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শোক জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এটি আমার হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে। আগুন ভবন ধ্বংস করতে পারে, সাহস নয়।’
সংগীতশিল্পীদের অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রাজনৈতিক সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে অর্ণব লিখেছেন, ‘আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে এবং ভোট দিতে হবে... নয়তো সংগীতশিল্পীরা বিপদে পড়ব। দেখুন ছায়ানটের সাথে কী করেছে! আমাদের পাল্টা লড়াইয়ের একমাত্র উপায় ভোট দেওয়া এবং অন্যদের ভোট দিতে উৎসাহিত করা।’
অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান লিখেছেন, ‘ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তাঁর পরিবার, তাঁর ছোট্ট বাবুটা এই শোক কাটিয়ে উঠুক। রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক হে দয়াময়।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লিখেছেন, ‘ওসমান হাদি, শান্তিতে ঘুমান। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দান করুন এবং আপনার পরিবার ও সন্তানকে শক্তি দিন। তারা হয়তো আপনাকে হত্যা করেছে কিন্তু আপনার শুরু করা লড়াই তারা থামাতে পারবে না।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুর প্রতিবাদের ভাষা ভাঙচুর, নৈরাজ্য হতে পারে না। এই মুহূর্তে সবার এক থাকা প্রয়োজন। দেশে বিশৃঙ্খলা যারা করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে দেশের সম্পদের আর ভবিষ্যতের বারোটা বাজায়েন না!’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
হাদি ও তাঁর শিশুপুত্রের একটি ছবি শেয়ার করে ঢাকাই সিনেমার নায়ক সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’
অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক লিখেছেন একাধিক পোস্ট। একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নামটা মনে রেখো, শহীদ-বীর শরিফ ওসমান হাদি।’ অন্য একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘সে কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিল না, কারও হক আত্মসাৎ করেনি, সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় করেনি। তবুও-সামান্য কথার দায়ে, একটা জীবন এভাবে শেষ হতে পারে?’ ভিন্ন একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনায় আসবে অগ্নিসংযোগ, কিন্তু আসার কথা ছিল হাদির কথা, তাঁর বীরত্বের কথা, খুনের বিচারের কথা। এ দেশে মানুষ মরলে, শোকও নিরাপদ থাকে না। সবকিছুই ঢেকে ফেলা হয় আগুনে, ভাঙচুরে, রাজনীতিতে। এখানে রক্তের রংও রাজনৈতিক। বরাবরই এখানে বিপ্লব বেদখল হয়। বরাবরই আমরা এখানে অসহায়।’
নির্মাতা অনন্য মামুন লিখেছেন, ‘মৃত্যুও পবিত্র সুন্দর হতে পারে, শহীদ হাদিকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।’
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ওসমান হাদির একটি ছবি প্রকাশ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান বিন হাদি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে থাকবেন।’
মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল হাদির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, ‘এটা সত্যিই খুব কষ্টের আর একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো না। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন, আর তাঁর শোকাহত পরিবারকে, বিশেষ করে তাঁর ছোট্ট বাচ্চাকে ধৈর্য, শক্তি আর সান্ত্বনা দেন।’ গণমাধ্যম কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শোক জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এটি আমার হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে। আগুন ভবন ধ্বংস করতে পারে, সাহস নয়।’
সংগীতশিল্পীদের অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রাজনৈতিক সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে অর্ণব লিখেছেন, ‘আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে এবং ভোট দিতে হবে... নয়তো সংগীতশিল্পীরা বিপদে পড়ব। দেখুন ছায়ানটের সাথে কী করেছে! আমাদের পাল্টা লড়াইয়ের একমাত্র উপায় ভোট দেওয়া এবং অন্যদের ভোট দিতে উৎসাহিত করা।’
অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান লিখেছেন, ‘ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তাঁর পরিবার, তাঁর ছোট্ট বাবুটা এই শোক কাটিয়ে উঠুক। রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক হে দয়াময়।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লিখেছেন, ‘ওসমান হাদি, শান্তিতে ঘুমান। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দান করুন এবং আপনার পরিবার ও সন্তানকে শক্তি দিন। তারা হয়তো আপনাকে হত্যা করেছে কিন্তু আপনার শুরু করা লড়াই তারা থামাতে পারবে না।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুর প্রতিবাদের ভাষা ভাঙচুর, নৈরাজ্য হতে পারে না। এই মুহূর্তে সবার এক থাকা প্রয়োজন। দেশে বিশৃঙ্খলা যারা করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে দেশের সম্পদের আর ভবিষ্যতের বারোটা বাজায়েন না!’

রোববার রাতে চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। রাজধানীর একটি হাসপাতালে জীবনের শেষ ১৪টি দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন তিনি। প্রিয়জনদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন ওপারে। ১৯৪১ সালের ১৮ আগস্ট চাঁদপুরের নতুন বাজারের গুয়াখোলায় মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র।
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে। প্রিন্সেস এজেন্টস এবার আসছে বাংলা ভাষায়। দীপ্ত টিভিতে ‘রহস্যময়ী’ নামে আজ ২০ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট ও রাত ৮টা ৩০ মিনিটে দেখা যাবে ধারাবাহিকটি।
তিনটি অভিজাত বংশ ওয়েই, ইউয়েন আর ঝাওদের নিয়ে এগিয়ে গেছে ধারাবাহিকের গল্প। সঙ্গে যুক্ত হয় ইয়ান পরিবার এবং কয়েকটি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাদেশিক শাসনকর্তারা যেন বিদ্রোহ করতে না পারে, সে জন্য ওয়েই সম্রাট প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের একজন করে ছেলেকে নিজের কাছে এনে রাখে। মার্কুইস ডিংবেই নামে পরিচিত উত্তর ইয়ানের শাসনকর্তা ইয়ান শিচেংয়ের ছেলে প্রিন্স ইয়ান শুন সম্রাটের কাছে বড় হতে থাকে।
ইউয়েন পরিবারের দুজন উত্তরসূরি—ইউয়েন ইউয়ে ও ইউয়েন হুয়ায়। ইউয়েন ইউয়ে অত্যন্ত ধীরস্থির, সৎ এবং কোমল মানসিকতাসম্পন্ন হলেও ইউয়েন হুয়ায় বেশ নিষ্ঠুর আর চঞ্চল। সে যেভাবেই হোক ইউয়েন ইউয়েকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে চায়। ঘটনাক্রমে ইউয়েন পরিবারে আগমন ঘটে বিখ্যাত গুপ্তচর লুহির মেয়ে চু-চিয়াওর। অতীতের কিছুই মনে করতে পারে না সে। নিজের যোগ্যতা দিয়ে সে ইউয়েন ইউয়ের ব্যক্তিগত দাসী নির্বাচিত হয়। প্রথম দেখাতেই চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় লর্ড ইউয়েন ইউয়ে। কিন্তু নিজের সামাজিক অবস্থানের জন্য বিষয়টাকে সে কোনোভাবেই প্রকাশ হতে দিতে চায় না।
অন্যদিকে মার্শাল আর্টে দক্ষতা দেখে চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। ইউয়েন, ঝাও আর ওয়েইদের মিলিত ষড়যন্ত্রে প্রিন্স ইয়ান শুনের বাবা মার্কুইস ডিংবেই এবং তার পুরো পরিবার প্রাণ হারায়। পরিবারের সঙ্গে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। কিন্তু তরুণ লর্ডরা যেভাবেই হোক ইয়ান শুনকে সরিয়ে দিতে চায়। অন্যদিকে সম্রাট চান ইয়ান শুনকে গৃহবন্দী করে উত্তর ইয়ানের ওপর নিয়ন্ত্রণ।
রহস্যময়ী ধারাবাহিকটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোর্শেদ সিদ্দিকী মরু, প্রযোজনা করেছেন তসলিমা তাহরিন। ধারাবাহিকটির অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন দীপ্ত টিভির নিজস্ব সংলাপ রচয়িতার দল।

প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে। প্রিন্সেস এজেন্টস এবার আসছে বাংলা ভাষায়। দীপ্ত টিভিতে ‘রহস্যময়ী’ নামে আজ ২০ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট ও রাত ৮টা ৩০ মিনিটে দেখা যাবে ধারাবাহিকটি।
তিনটি অভিজাত বংশ ওয়েই, ইউয়েন আর ঝাওদের নিয়ে এগিয়ে গেছে ধারাবাহিকের গল্প। সঙ্গে যুক্ত হয় ইয়ান পরিবার এবং কয়েকটি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাদেশিক শাসনকর্তারা যেন বিদ্রোহ করতে না পারে, সে জন্য ওয়েই সম্রাট প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের একজন করে ছেলেকে নিজের কাছে এনে রাখে। মার্কুইস ডিংবেই নামে পরিচিত উত্তর ইয়ানের শাসনকর্তা ইয়ান শিচেংয়ের ছেলে প্রিন্স ইয়ান শুন সম্রাটের কাছে বড় হতে থাকে।
ইউয়েন পরিবারের দুজন উত্তরসূরি—ইউয়েন ইউয়ে ও ইউয়েন হুয়ায়। ইউয়েন ইউয়ে অত্যন্ত ধীরস্থির, সৎ এবং কোমল মানসিকতাসম্পন্ন হলেও ইউয়েন হুয়ায় বেশ নিষ্ঠুর আর চঞ্চল। সে যেভাবেই হোক ইউয়েন ইউয়েকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে চায়। ঘটনাক্রমে ইউয়েন পরিবারে আগমন ঘটে বিখ্যাত গুপ্তচর লুহির মেয়ে চু-চিয়াওর। অতীতের কিছুই মনে করতে পারে না সে। নিজের যোগ্যতা দিয়ে সে ইউয়েন ইউয়ের ব্যক্তিগত দাসী নির্বাচিত হয়। প্রথম দেখাতেই চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় লর্ড ইউয়েন ইউয়ে। কিন্তু নিজের সামাজিক অবস্থানের জন্য বিষয়টাকে সে কোনোভাবেই প্রকাশ হতে দিতে চায় না।
অন্যদিকে মার্শাল আর্টে দক্ষতা দেখে চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। ইউয়েন, ঝাও আর ওয়েইদের মিলিত ষড়যন্ত্রে প্রিন্স ইয়ান শুনের বাবা মার্কুইস ডিংবেই এবং তার পুরো পরিবার প্রাণ হারায়। পরিবারের সঙ্গে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। কিন্তু তরুণ লর্ডরা যেভাবেই হোক ইয়ান শুনকে সরিয়ে দিতে চায়। অন্যদিকে সম্রাট চান ইয়ান শুনকে গৃহবন্দী করে উত্তর ইয়ানের ওপর নিয়ন্ত্রণ।
রহস্যময়ী ধারাবাহিকটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোর্শেদ সিদ্দিকী মরু, প্রযোজনা করেছেন তসলিমা তাহরিন। ধারাবাহিকটির অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন দীপ্ত টিভির নিজস্ব সংলাপ রচয়িতার দল।

রোববার রাতে চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। রাজধানীর একটি হাসপাতালে জীবনের শেষ ১৪টি দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন তিনি। প্রিয়জনদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন ওপারে। ১৯৪১ সালের ১৮ আগস্ট চাঁদপুরের নতুন বাজারের গুয়াখোলায় মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র।
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
৭ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
৭ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার। এই সাফল্য কাঁধে নিয়েই নতুন জার্নি শুরু করেছেন টম। যুক্ত হয়েছেন মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতুর ‘ডিগার’ সিনেমায়।
ইনারিতুর পরিচালনায় কাজ করতে চলেছেন টম ক্রুজ, এ খবর আগেই জানানো হয়েছিল। ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার শিরোনাম, পোস্টার এবং ৫০ সেকেন্ডের একটি অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ওয়ার্নার ব্রস ও লিজেন্ডারি এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত ডিগার মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ২ অক্টোবর। এবার আর অ্যাকশন নয়, কমেডি চরিত্রে দেখা দেবেন টম ক্রুজ। টিজারে দেখা গেল, একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলায় বেলচা হাতে নাচতে নাচতে ঢুকলেন টম। তারপর চরিত্রটিকে দেখা গেল জাহাজে। একইভাবে বেলচা হাতে নাচতে নাচতে রেলিং ধরে হাঁটছে।
জানা গেছে, ডিগার সিনেমায় রকওয়েল নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ। টিজারে আলো-আঁধারিতে যতখানি দেখা গেল, তাতে মনে হচ্ছে, সম্পূর্ণ ভিন্ন এক লুকে এ সিনেমায় হাজির হবেন তিনি। সিনেমার গল্প কী, তা জানা না গেলেও ধারণা মিলেছে, এতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র হিসেবে দেখা যাবে টমকে। মানবতার ত্রাণকর্তারূপে এক ভয়ংকর মিশনে নেমেছে রকওয়েল চরিত্রটি। ‘দ্য রেভেন্যান্ট’-এর পর ডিগার দিয়ে আবার ইংরেজি ভাষার সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন ইনারিতু। যুক্তরাজ্যে ছয় মাস ধরে হয়েছে শুটিং। এতে শুধু অভিনয় নয়, ইনারিতুর সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনাও করছেন টম ক্রুজ। তিনি ছাড়া অভিনয়ে আরও আছেন সান্ড্রা হুলার, জন গুডম্যান, মাইকেল স্টুলবার্গ, জেসি প্লেমন্স, সোফি ওয়াইল্ড, রিজ আহমেদ, এমা ডি’আর্সি প্রমুখ।
আগামী ২ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হবে ডিগার সিনেমার। সেখানেই ইনারিতুর তিনটি সিনেমা ‘বারদো: ফলস ক্রনিকল অব আ হ্যান্ডফুল অব ট্রুথস’, ‘বার্ডম্যান’ এবং ‘টোয়েন্টি ওয়ান গ্রামস’ প্রদর্শিত হয়েছিল। ডিগার সিনেমাকে নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতু বর্ণনা করেছেন ‘বিপর্যয়কর মাত্রার একটি নিষ্ঠুর এবং বন্য কমেডি’ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘এটি একই সঙ্গে ভয়ংকর, মজার ও সুন্দর। আমি জানি, দর্শক আমার কিংবা টমের কাছ থেকে কমেডি সিনেমা আশা করে না। তবে এর কাহিনিতে কমেডির সঙ্গে অনেকটা ভয়ের মিশেলও থাকবে।’

দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার। এই সাফল্য কাঁধে নিয়েই নতুন জার্নি শুরু করেছেন টম। যুক্ত হয়েছেন মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতুর ‘ডিগার’ সিনেমায়।
ইনারিতুর পরিচালনায় কাজ করতে চলেছেন টম ক্রুজ, এ খবর আগেই জানানো হয়েছিল। ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার শিরোনাম, পোস্টার এবং ৫০ সেকেন্ডের একটি অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ওয়ার্নার ব্রস ও লিজেন্ডারি এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত ডিগার মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ২ অক্টোবর। এবার আর অ্যাকশন নয়, কমেডি চরিত্রে দেখা দেবেন টম ক্রুজ। টিজারে দেখা গেল, একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলায় বেলচা হাতে নাচতে নাচতে ঢুকলেন টম। তারপর চরিত্রটিকে দেখা গেল জাহাজে। একইভাবে বেলচা হাতে নাচতে নাচতে রেলিং ধরে হাঁটছে।
জানা গেছে, ডিগার সিনেমায় রকওয়েল নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ। টিজারে আলো-আঁধারিতে যতখানি দেখা গেল, তাতে মনে হচ্ছে, সম্পূর্ণ ভিন্ন এক লুকে এ সিনেমায় হাজির হবেন তিনি। সিনেমার গল্প কী, তা জানা না গেলেও ধারণা মিলেছে, এতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র হিসেবে দেখা যাবে টমকে। মানবতার ত্রাণকর্তারূপে এক ভয়ংকর মিশনে নেমেছে রকওয়েল চরিত্রটি। ‘দ্য রেভেন্যান্ট’-এর পর ডিগার দিয়ে আবার ইংরেজি ভাষার সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন ইনারিতু। যুক্তরাজ্যে ছয় মাস ধরে হয়েছে শুটিং। এতে শুধু অভিনয় নয়, ইনারিতুর সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনাও করছেন টম ক্রুজ। তিনি ছাড়া অভিনয়ে আরও আছেন সান্ড্রা হুলার, জন গুডম্যান, মাইকেল স্টুলবার্গ, জেসি প্লেমন্স, সোফি ওয়াইল্ড, রিজ আহমেদ, এমা ডি’আর্সি প্রমুখ।
আগামী ২ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হবে ডিগার সিনেমার। সেখানেই ইনারিতুর তিনটি সিনেমা ‘বারদো: ফলস ক্রনিকল অব আ হ্যান্ডফুল অব ট্রুথস’, ‘বার্ডম্যান’ এবং ‘টোয়েন্টি ওয়ান গ্রামস’ প্রদর্শিত হয়েছিল। ডিগার সিনেমাকে নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতু বর্ণনা করেছেন ‘বিপর্যয়কর মাত্রার একটি নিষ্ঠুর এবং বন্য কমেডি’ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘এটি একই সঙ্গে ভয়ংকর, মজার ও সুন্দর। আমি জানি, দর্শক আমার কিংবা টমের কাছ থেকে কমেডি সিনেমা আশা করে না। তবে এর কাহিনিতে কমেডির সঙ্গে অনেকটা ভয়ের মিশেলও থাকবে।’

রোববার রাতে চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। রাজধানীর একটি হাসপাতালে জীবনের শেষ ১৪টি দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন তিনি। প্রিয়জনদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন ওপারে। ১৯৪১ সালের ১৮ আগস্ট চাঁদপুরের নতুন বাজারের গুয়াখোলায় মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র।
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
৭ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে