শাকিব খান ডিবি কার্যালয়ে 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৭: ০৬
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৭: ৪৬

ডিবি কার্যালয়ে গেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে যান ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এ নায়ক। তবে কেন তিনি সেখানে গেছেন, তা এখনো জানা যায়নি।

ডিবি কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ডিবি কার্যালয়ে শাকিব খান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের জন্য অপেক্ষা করছেন। ডিবিপ্রধান হারুন বর্তমানে ডিএমপি সদর দপ্তরে। তিনি এলে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন শাকিব। 

এর আগে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার সহপ্রযোজক দাবি করা রহমত উল্ল্যাহর বিরুদ্ধে মামলা করতে থানায় যান নায়ক শাকিব খান। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি গুলশান থানায় প্রবেশ করেন। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় থানায় অবস্থানের পর বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রহমত উল্ল্যাহ ওই সিনেমার প্রযোজক নন। তিনি একজন প্রতারক। এ বিষয়ে থানা থেকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে গত বুধবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে চিঠি দেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক দাবিদার রহমত উল্ল্যাহ। নির্মিতব্য সিনেমাটি নিয়ে শাকিবের অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, এক সহপ্রযোজককে ধর্ষণ এবং দায়িত্বে অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতিসাধনের অভিযোগ করেছেন তিনি।

রহমত উল্ল্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতেই গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুলশান থানায় প্রবেশ করেন শাকিব খান। সাড়ে ১২টার পর থানা থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

শাকিব খান বলেন, ‘রহমত উল্ল্যাহ আসল প্রযোজক নন, উনি কোনো প্রযোজকই না। আমার সিনেমার প্রযোজকও তাঁকে চেনেন না। ভারটেক্স মিডিয়া এই সিনেমার প্রযোজক। এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জানে আলম। মহরত যখন হয়, অস্ট্রেলিয়াতে অ্যারেঞ্জার হিসেবে হয়তো তাঁকে (রহমত উল্ল্যাহ) কাজ দেওয়া হয়।’

ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব বলেন, ‘রহমত উল্ল্যাহ কে? আমি তাঁকে চিনি না। তিনি কিসের ক্ষতিপূরণ চাইছেন, কিসের টাকা চাইছেন? আমি সেই অভিযোগই দিতে এসেছি। থানা পরামর্শ দিয়েছে, এ মামলাগুলো কোর্টে করলে ভালো হয়। মামলা করার জন্য আমি কোর্টে যাব। আমি আমার লিগ্যাল অ্যাডভাইজারদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলব।’

শাকিব আরও বলেন, ‘২০১৬ সালে যখন এ সিনেমার চুক্তি হয়, তখনই সেখানে প্রযোজকের নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে। সে (রহমত উল্ল্যাহ) শুধু টাকা দাবি করছে। এটা ট্র্যাপ।’

আরও খবর পড়ুন:

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত