বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আলোচনায় শোবিজ শিল্পীদের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’। আলো আসবেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ নিয়ে কয়েকজন শিল্পী নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। কয়েকজন ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। এবার আলো আসবেই গ্রুপ নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি।
গতকাল বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে আলো আসবেই গ্রুপ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। জ্যোতি বলেন, ‘এত দিন কথা বলিনি। কিন্তু আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না। কারণ, আমাকেসহ ওই গ্রুপের সবাইকে সামাজিক কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপনই করতে পারছি না। বলতে পারেন সামাজিক হেনস্তার শিকার হচ্ছি। তাই একজন সংবেদনশীল মানুষ হিসেবে আমি আমার জায়গাটি পরিষ্কার করতে ফেসবুক লাইভে এসেছি।’
গ্রুপে থাকা প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেন যেসব শিল্পী, তাঁরাই ওখানে ছিলেন। এটা আমি ইনিয়ে–বিনিয়ে বলব না যে আমাকে কেন অ্যাড করেছে, কে অ্যাড করেছে, জানি না। আমি জেনে–শুনেই গ্রুপটিতে ছিলাম। কারণ, আমি জানতাম ওই গ্রুপের এমন কোনো উদ্দেশ্য নেই, যা আমাদের দেশের বা দেশের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এখন খুব স্বাভাবিক বিষয়। যেকোনো ছোট ছোট বিষয়ে আমরা গ্রুপ খুলি। এটাও তেমন একটা গ্রুপ। এখানে আমি সব সময় ঢাকার কোথায় কী অবস্থা, সেসব আপডেট দিতাম। কারণ, আমাদের পরিস্থিতি বুঝে ঘরের বাইরে বেরোতে হতো। দুই একজনের দু-একটা কথা হয়তো আপনারা ক্ষতিকর মনে করছেন। কিন্তু সেই কথাগুলো কোন পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে, সেটা আপনারা জানেন না। কোনো শিল্পী কখনোই মানুষ হত্যার সমর্থন করতে পারে না, এটা আপনারা ভুলে গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আলো আসবেই গ্রুপে ছিলেন, তাঁদেরকে আপনারা দুটি তকমা দিয়ে কথা বলছেন ইদানীং। একটি হলো স্বৈরাচারের দোসর, আরেকটি হলো গণহত্যার ইন্ধনদাতা! এই দুটি কথার মানে কি আপনারা জানেন? আমরা কী করেছি যে এ ধরনের কথা শুনতে হবে? আমি আজ (বুধবার) থেকে আর একটি বারের জন্যও এই অপবাদ নিজের কাঁধে নিতে চাই না বলেই কথাগুলো বলতে এসেছি। আমি যে এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তার কোনো প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে? না থাকলে এসব কথা কেন বলছেন? আপনারা কি জানেন, এই ধরনের অপবাদ মানুষের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে? আমি আর সহ্য করতে না পেরে আজ কথাগুলো বলছি।’
আলো আসবেই গ্রুপের চ্যাট ফাঁস হওয়ার পর চাপের মধ্যে আছেন জ্যোতিকা জ্যোতি। সে কথা জানিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘একে তো আমি নারী, আজকাল দেশে নারীদের কোনো সম্মান নেই। তার ওপর আমি অভিনেত্রী, তাতে তো আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলা আরও সহজ! সেই সঙ্গে আমি হিন্দু, আমি অন্যায় দেখলে মুখ বন্ধ রাখি না, সবকিছুতেই তো আপনাদের সমস্যা। এ জন্য এমনিতেই আমি নানা ধরনের চাপের মধ্যে আছি। কিন্তু যে কাজের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততাই নেই, তার জন্য দয়া করে আমাকে অপবাদ দিয়ে মানসিক চাপ সৃষ্টি করবেন না। এটুকু অনুরোধ থাকলো সবার প্রতি।’
বিটিভিতে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সে সময় দুটি মাত্র প্রোগ্রামে গিয়েছি। একটি বিটিভিতে হামলার প্রতিবাদ করতে, অন্যটি আন্দোলনে যে ছাত্ররা আহত হয়েছে তাদের হাসপাতালে দেখতে। কিন্তু আপনারা ছাত্রদের দেখতে যাওয়ার বিষয়টি কেউ সামনে আনলেন না, আনলেন বিটিভির বিষয়টি। আমরা তো সেখানে গিয়েছিলাম সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে। এটা তো দোষের কিছু নয়। আমরা সব সময় বলে এসেছি যে এই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ছাত্ররা করতে পারে না। ছাত্রদের মধ্যে একদল সুবিধাবাদী ঢুকে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করেছে। তাহলে আপনারা কেন আলো আসবেই গ্রুপের শিল্পীদের ছাত্রদের বিরুদ্ধে দাঁড় করাচ্ছেন? অহেতুক আপনারা এই গ্রুপটিকে নিয়ে নানা রংচং মাখিয়ে শিল্পীদের ক্ষতির মুখে ফেলেছেন।’
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসে ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের স্ক্রিনশট। তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং অভিনেতা ফেরদৌসের নেতৃত্বে এই গ্রুপে আওয়ামীপন্থী শিল্পী ও সাংবাদিকেরা যুক্ত ছিলেন। ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান ছিল তাঁদের। তাঁরা মত দেন, যেভাবেই হোক, আন্দোলন থামাতে হবে। এ নিয়ে শিল্পীদের কার্যক্রম কী হবে তার দিকনির্দেশনা দেওয়া হতো সেখানে। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষার্থীদের পক্ষে যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছেন, সেই সব স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশটও গ্রুপে শেয়ার করতে দেখা গেছে তাঁদের।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আলোচনায় শোবিজ শিল্পীদের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’। আলো আসবেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ নিয়ে কয়েকজন শিল্পী নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। কয়েকজন ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। এবার আলো আসবেই গ্রুপ নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি।
গতকাল বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে আলো আসবেই গ্রুপ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। জ্যোতি বলেন, ‘এত দিন কথা বলিনি। কিন্তু আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না। কারণ, আমাকেসহ ওই গ্রুপের সবাইকে সামাজিক কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপনই করতে পারছি না। বলতে পারেন সামাজিক হেনস্তার শিকার হচ্ছি। তাই একজন সংবেদনশীল মানুষ হিসেবে আমি আমার জায়গাটি পরিষ্কার করতে ফেসবুক লাইভে এসেছি।’
গ্রুপে থাকা প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেন যেসব শিল্পী, তাঁরাই ওখানে ছিলেন। এটা আমি ইনিয়ে–বিনিয়ে বলব না যে আমাকে কেন অ্যাড করেছে, কে অ্যাড করেছে, জানি না। আমি জেনে–শুনেই গ্রুপটিতে ছিলাম। কারণ, আমি জানতাম ওই গ্রুপের এমন কোনো উদ্দেশ্য নেই, যা আমাদের দেশের বা দেশের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এখন খুব স্বাভাবিক বিষয়। যেকোনো ছোট ছোট বিষয়ে আমরা গ্রুপ খুলি। এটাও তেমন একটা গ্রুপ। এখানে আমি সব সময় ঢাকার কোথায় কী অবস্থা, সেসব আপডেট দিতাম। কারণ, আমাদের পরিস্থিতি বুঝে ঘরের বাইরে বেরোতে হতো। দুই একজনের দু-একটা কথা হয়তো আপনারা ক্ষতিকর মনে করছেন। কিন্তু সেই কথাগুলো কোন পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে, সেটা আপনারা জানেন না। কোনো শিল্পী কখনোই মানুষ হত্যার সমর্থন করতে পারে না, এটা আপনারা ভুলে গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আলো আসবেই গ্রুপে ছিলেন, তাঁদেরকে আপনারা দুটি তকমা দিয়ে কথা বলছেন ইদানীং। একটি হলো স্বৈরাচারের দোসর, আরেকটি হলো গণহত্যার ইন্ধনদাতা! এই দুটি কথার মানে কি আপনারা জানেন? আমরা কী করেছি যে এ ধরনের কথা শুনতে হবে? আমি আজ (বুধবার) থেকে আর একটি বারের জন্যও এই অপবাদ নিজের কাঁধে নিতে চাই না বলেই কথাগুলো বলতে এসেছি। আমি যে এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তার কোনো প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে? না থাকলে এসব কথা কেন বলছেন? আপনারা কি জানেন, এই ধরনের অপবাদ মানুষের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে? আমি আর সহ্য করতে না পেরে আজ কথাগুলো বলছি।’
আলো আসবেই গ্রুপের চ্যাট ফাঁস হওয়ার পর চাপের মধ্যে আছেন জ্যোতিকা জ্যোতি। সে কথা জানিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘একে তো আমি নারী, আজকাল দেশে নারীদের কোনো সম্মান নেই। তার ওপর আমি অভিনেত্রী, তাতে তো আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলা আরও সহজ! সেই সঙ্গে আমি হিন্দু, আমি অন্যায় দেখলে মুখ বন্ধ রাখি না, সবকিছুতেই তো আপনাদের সমস্যা। এ জন্য এমনিতেই আমি নানা ধরনের চাপের মধ্যে আছি। কিন্তু যে কাজের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততাই নেই, তার জন্য দয়া করে আমাকে অপবাদ দিয়ে মানসিক চাপ সৃষ্টি করবেন না। এটুকু অনুরোধ থাকলো সবার প্রতি।’
বিটিভিতে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সে সময় দুটি মাত্র প্রোগ্রামে গিয়েছি। একটি বিটিভিতে হামলার প্রতিবাদ করতে, অন্যটি আন্দোলনে যে ছাত্ররা আহত হয়েছে তাদের হাসপাতালে দেখতে। কিন্তু আপনারা ছাত্রদের দেখতে যাওয়ার বিষয়টি কেউ সামনে আনলেন না, আনলেন বিটিভির বিষয়টি। আমরা তো সেখানে গিয়েছিলাম সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে। এটা তো দোষের কিছু নয়। আমরা সব সময় বলে এসেছি যে এই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ছাত্ররা করতে পারে না। ছাত্রদের মধ্যে একদল সুবিধাবাদী ঢুকে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করেছে। তাহলে আপনারা কেন আলো আসবেই গ্রুপের শিল্পীদের ছাত্রদের বিরুদ্ধে দাঁড় করাচ্ছেন? অহেতুক আপনারা এই গ্রুপটিকে নিয়ে নানা রংচং মাখিয়ে শিল্পীদের ক্ষতির মুখে ফেলেছেন।’
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসে ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের স্ক্রিনশট। তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং অভিনেতা ফেরদৌসের নেতৃত্বে এই গ্রুপে আওয়ামীপন্থী শিল্পী ও সাংবাদিকেরা যুক্ত ছিলেন। ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান ছিল তাঁদের। তাঁরা মত দেন, যেভাবেই হোক, আন্দোলন থামাতে হবে। এ নিয়ে শিল্পীদের কার্যক্রম কী হবে তার দিকনির্দেশনা দেওয়া হতো সেখানে। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষার্থীদের পক্ষে যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছেন, সেই সব স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশটও গ্রুপে শেয়ার করতে দেখা গেছে তাঁদের।
শাকিব খানকে কেন্দ্র করে তাঁর দুই সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্বটা নতুন কিছু নয়। সুযোগ পেলেই তাঁরা পরস্পরের প্রতি খড়্গহস্ত হন। এবার টয়লেড ডে-র শুভেচ্ছা জানানোর নাম করে বুবলীকে খোঁচা দিলেন অপু।
১ ঘণ্টা আগেইত্যাদির নতুন পর্বের শুটিং হয়েছে বাগেরহাটে। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে মোংলা বন্দরে। পশুর নদীর তীরে জাহাজ, নদী এবং বন্দরের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে নির্মিত মঞ্চে ধারণ করা হয়েছে এবারের ইত্যাদি।
৩ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে এ আর রাহমানকে নিয়ে কোনো ধরনের কটুক্তি না করার অনুরোধ করেছেন সায়রা। এক অডিও বার্তায় রাহমানকে তিনি উল্লেখ করেছেন ‘পৃথিবীর সেরা মানুষ’ হিসেবে।
৫ ঘণ্টা আগেআইপিএলের প্রথম আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিকানা কেনেন শাহরুখ খান। প্রতি সিজনে গ্যালারিতে তাঁর উপস্থিতি আইপিএলের দ্যুতি বাড়িয়েছে। তবে আইপিএলে শাহরুখের প্রথম পছন্দ ছিল না কলকাতা।
৭ ঘণ্টা আগে