বিশ্ব সিনেমায় আরেক বাঙালির সাফল্য

বিনোদন ডেস্ক
Thumbnail image

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ অফিশিয়াল সিলেকশনে গিয়েছিলেন, তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আরেকজন বাঙালি পরিচালকের বড় অর্জন। পরিচালক কলকাতার, নাম আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত।

ছবির দৃশ্যে বাংলাদেশের রিকিতা নন্দিনী শিমু

৭৮তম ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হবে বিক্রমের ছবি ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ক্যালকাটা’। উৎসবের কম্পেটেটিভ সেকশনের ওরিজন টি কম্পিটিশনে একমাত্র এই ভারতীয় ছবিটি নির্বাচিত হয়েছে। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের রিকিতা নন্দিনী শিমু। কলকাতার একজন বাসিন্দার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এর আগে তিনি ঢাকার ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ছবিতে অভিনয় করে নজর কেড়েছিলেন। ছবির শিল্প নির্দেশনায় কাজ করেছেন বাংলাদেশের সাদ্দাম খন্দকার জয়। তিনি ওয়েব সিরিজ ‘তাকদির’ -এর শিল্প নির্দেশনাও দিয়েছিলেন।

সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ক্যালকাটা’। ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রীলেখা মিত্র। অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রাত্য বসু। কলকাতার প্রতি আদিত্যের ভালোবাসার গল্প ফুটে উঠেছে ছবিতে।

পরিচালক আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত ও সিনেমাটোগ্রাফার গোকান তিরইয়াকিপরিচালক আদিত্য টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘বছর পাঁচ-ছয়েক আগে যখন দেখলাম আইকনিক সায়েন্স সিটির ডাইনোসরের ওপর দিয়ে ফ্লাইওভার নির্মিত হচ্ছে, তখনই এই ছবিটির কথা মাথায় আসে। ডাইনোসরটির কথা ধীরে ধীরে মানুষ ভুলে গেছে। আমি ভুলতে পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘এটি বিস্তৃত মহানগরীতে শ্বাস নিতে গিয়ে হাঁপাতে থাকা মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও সংগ্রামকে তুলে ধরেছে।’ পরিচালকের বাবা ত্রিদিব সেনগুপ্তও ছবির একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

১ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে উৎসবে অংশ নেবেন পরিচালক। কলকাতায়ও ছবিটি মুক্তি দিতে চান তিনি। ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পর এই ছবি জাতীয় পুরস্কারের জন্য পাঠানোর ইচ্ছে রয়েছে আদিত্যের। জমা দিতে চান কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও।

পরিচালকের সঙ্গে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রীলেখা মিত্রএই ছবির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন পাম ডি অর পুরস্কার জেতা টার্কিশ সিনেমাটোগ্রাফার গোকান তিরইয়াকি। ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন অ্যানাটোলিয়া’, ‘উইন্টার স্লিপ’, ‘দ্য বাটারফ্লাই ড্রিমস’-এর মতো বহু বিখ্যাত ছবির ক্যামেরা চালিয়েছেন তিনি। সংগীত পরিচালনা করেছেন ডাচ্ সুরকার মিনকো এগার্সম্যান।

আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত এর আগে ‘আসা যাওয়ার মাঝে’ আর ‘জোনাকি’ নামের দুটি ছবি বানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মহলে খুবই প্রশংসিত হয়েছিল। ‘আসা যাওয়ার মাঝে’ ছবির মাধ্যমে জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন নির্মাতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত