
১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
বিনোদন ডেস্ক

‘৮৪০: দ্য গ্রেট বাংলা ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’ সিনেমার গল্পটা কী নিয়ে?
১৩ তারিখে সিনেমাটা মুক্তি পাচ্ছে। তখনই পুরো গল্পটা দেখতে পাব। তবে অল্প কথায় বলা যায়, এটা একটা রাজনৈতিক স্যাটায়ার। একটা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, যা আমরা দেখতে পাই বা আমাদের দেশে দেখে এসেছি বিগত দিনগুলোতে, সেই ঘটনাগুলোরই কিছু কিছু আমরা দেখতে পাব একটা শহরকে কেন্দ্র করে।
সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পার করলাম, এই বিষয়গুলো কি এসেছে সিনেমায়?
হ্যাঁ, এটা একটা আশ্চর্যের বিষয়। কারণ সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও আগে। শুটিং শেষ হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। এর মাস ছয়েক পর আমরা বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করলাম আমাদের দেশে। এই যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করলাম, তার অনেক কিছুই আমাদের গল্পে উঠে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলাম, পরিচালক লিখেছেন, এমনটা যে হবে আমি সত্যিই জানতাম না, কিন্তু মিরাকেলি এটা মিলে গেছে...
হ্যাঁ, এ রকম তো হয়। আর ডিরেক্টররা, বিশেষ করে ক্রিয়েটিভ কাজ যাঁরা করেন, তাঁরা তো অনেক কিছু দেখতে পান বা আঁচ করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবে একজন সাধারণ মানুষ যা দেখবে, তার চেয়ে হয়তো একটু বিস্তৃতভাবে দেখতে পান। সেগুলো তিনি তুলে আনেন, পরে হয়তো আমরা ঘটনাগুলো বাস্তবের সঙ্গে মিলাই।
ট্রেলার প্রচার হওয়ার পর থেকে দর্শকের বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। যতটুকু দেখা গেল, আপনি বোধ হয় মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি ১০৩ পার্সেন্ট ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন!
হ্যাঁ, এটাও হয় আরকি! কত কিছুই তো হয় রাজনীতিতে!
সহশিল্পী হিসেবে কার সঙ্গে কাজ করে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেন?
আমার সহশিল্পী ছিলেন ফজলুর রহমান বাবু, মারজুক রাসেল, বিজরী বরকতউল্লাহ, জাকিয়া বারী মম, আশুতোষ সুজনসহ অনেকেই। সব সহশিল্পীর কাছ থেকেই আমি বেশ কমফোর্ট পেয়েছি। এর মূল কারণ হয়তো ফারুকী ভাই সবাইকে এত সুন্দর করে গুছিয়ে দিয়েছেন। আর যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা অনেক অভিজ্ঞ। উনারা জানেন, যে কাজটা করছি, এটা যদি সবাই মিলেমিশে করি, তাহলেই ভালো একটা কাজ হবে। ফলে আমরা সবাই ওরকম মাস্তি নিয়ে কাজটা করেছি। শুধু অভিনয়শিল্পীরাই নয়, পরিচালক থেকে শুরু করে প্রোডাকশন বয় পর্যন্ত সবাই আমরা মাস্তি নিয়ে কাজ করেছি। যদিও পরিচালক অনেক টেনশনে ছিলেন।
কিসের টেনশন?
যেহেতু এটা একটা রাজনৈতিক স্যাটায়ার এবং এখানে রাজনৈতিক অনেক ব্যাপার-স্যাপার উঠে আসবে, এটা না আবার জানাজানি হয়ে যায় আগে। তাহলে হয়তো সিনেমা রিলিজ দেওয়াটাই মুশকিল হয়ে পড়ত, যদিও তিনি ওই সময়ে আমাদের এসব টেনশন বুঝতেই দেননি।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী যখন সিনেমা বানান, যত দূর শুনেছি স্ক্রিপ্টটা উনি নিজের মাথায় বেশি রাখেন এবং যাঁরা অভিনয় করেন, তাঁদেরকে চরিত্র হয়ে ওঠানোর চেষ্টা করেন। আপনি তো তাঁর সঙ্গে প্রথম কাজ করলেন। কেমন অভিজ্ঞতা হলো আপনার?
উনার সঙ্গে প্রথম কাজ হলেও উনার ঘরানার কাজ আমি করেছি উনার শিষ্য আশফাক নিপুণের সঙ্গে। তবে ফারুকী ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করার সময় কিন্তু আমরা স্ক্রিপ্ট পেয়েছি। যদিও পরে এর পরিবর্তন হয়েছে, পরিমার্জন হয়েছে। কিন্তু বেসিক জিনিসটা ঠিক ছিল। তা ছাড়া কাজী ডব্লিউ চরিত্রটার জন্য আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি, রিহার্সালও করেছি। যখনই কোনো বিষয় মাথায় এসেছে, আমরা ফোনে কথা বলে নিয়েছি। পরিচালক হিসেবে উনি ওয়ান্ডারফুল।
আপনার চরিত্রের নাম তাহলে ডব্লিউ?
কাজী ডব্লিউ।
সিনেমায় একটা সংলাপ দেখলাম, ‘আমি এত উন্নয়ন করেছি, তবু কেউ আমায় ভালোবাসল না কেন?’ সংলাপটা কী আমাদের রাজনীতিবিদদের প্রতিনিধিত্ব করে?
অবশ্যই করে। দেখুন এটা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার বা যা-ই হোক না কেন, মানুষ তো বিনোদন পাবেই। আমার ধারণা, আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের এখন থেকে একটা বিশাল শিক্ষা পাওয়া উচিত। যদিও আমরা সবাই সবকিছু জানি, তবু চোখের সামনে যখন দেখতে পাই, তখন বিবেককে একটু তো নাড়া দেয় আসলে।
৮৪০-কে বলা হচ্ছে ৪২০ ধারাবাহিকের ডাবলআপ। কেন বলা হচ্ছে?
দুটোই আসলে পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। সে জন্যই এমনটা বলা হচ্ছে। তবে এটা কোনোভাবেই ৪২০-এর সিকুয়াল নয়, এর গল্প বা চরিত্রগুলো একেবারেই ভিন্ন, নতুন। কিন্তু ঘরানাটা হয়তো এক।

এই যে একটা শহরকে ঘিরে গল্প। এটা কোন শহর?
এটা কাল্পনিক একটা শহর।
মাইশেলফ অ্যালেন স্বপনে দেখেছি হাসতে হাসতে ভয়ংকর সব কাজ করে যাচ্ছেন। এই সিনেমায়ও কি তেমনটাই করেছেন?
অ্যালেন স্বপনের যে ঘটনা ওখানে রাজনৈতিক কোনো ব্যাপার ছিল না, কিন্তু এখানে পুরো ঘটনাই সরাসরি রাজনৈতিক এবং কাজী ডব্লিউ একজন রাজনীতিবিদ। একজন রাজনীতিবিদকে আমরা যে রকম দেখি, তেমনটাই এখানে দেখতে পাব কাজী ডব্লিউর মাঝে।
নানা রকম ছলচাতুরী, আগুন লাগিয়ে দিয়ে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া, এই সব?
হ্যাঁ, যেটা আমরা ট্রেলারে দেখলাম।
সিনেমার বেলায় গ্ল্যামারটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি অভিনয়টা?
এগুলো প্রায় কাছাকাছি। তবে আমার মনে হয়, যেকোনো বিষয়ে ঘাটতি থাকলে সেটা অভিনয় দিয়ে পূরণ করা যায়। কিন্তু অভিনয় না জানলে সেটা পূরণ করা মুশকিল।
আপনি তো থিয়েটার করা মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে থিয়েটারে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা, যেমন প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া, অভিনয় না করার অনুরোধ বা শিল্পীদের গায়ে ডিম ছুড়ে মারা—এসব ঘটনা কি আপনাকে পীড়া দেয়?
অবশ্যই পীড়া দেয়। অনেক কিছুই পীড়া দেয়। কিন্তু যখন আমি এসব নিতে পারি না, তখন চোখটা বন্ধ করে রাখি। আমি ততটা দায়িত্ব নিতে চাই না, যতটা নিলে আমি নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
আপনার অভিনীত ‘বলি: দ্য রেসলার’ বুসানে পুরস্কার জিতেছে। অস্কার প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। বাংলাদেশে কবে মুক্তি পাবে সিনেমাটি?
নির্মাতা ইকবাল হোসেন চৌধুরী সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছেন। সেন্সর সনদ পেলেই দেশে মুক্তি দেবেন, তবে কবে দেবেন সেটা তিনিই ভালো জানেন, আমি না। তবে সিনেমাটা কানাডায় মুক্তি পেয়েছিল।
গত বছরের তুলনায় এ বছর স্ক্রিনে আপনার উপস্থিতি কম ছিল। কারণ কী?
আমি তো কাজ করেছি। কিন্তু মুক্তি পায়নি বলে হয়তো স্ক্রিন উপস্থিতি কম ছিল।

নতুন আর কী কাজ করলেন?
রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’, এটাও পলিটিক্যাল গল্প নিয়ে কাজ। সপ্তাহ দুয়েক আগে অনন্য প্রতীক চৌধুরী নামের একজন নতুন পরিচালকের একটি ওয়েব ফিল্মের কাজ করলাম। আমার সহশিল্পী ছিলেন দীপা খন্দকার, পার্থসহ অনেকেই।
আপনার পরিবার সম্পর্কে জানতে চাই।
আমার পরিবার অনেক বড়। আমরা পাঁচ ভাই, এক বোন। আমরা ভাইয়েরা সবাই এক জায়গায় থাকি, যদিও আমাদের রান্নার হাঁড়ি ভিন্ন। আমার একান্ত পরিবারের মাঝে আছে আমার স্ত্রী আর আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে কলেজে পড়ে আর মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে।
ছেলে-মেয়েরা কী অভিনয় করে?
না, তারা আছে তাদের মতো, পড়াশোনা নিয়ে।
আপনার থিয়েটার লাইফ সম্পর্কে বলুন।
আমার দলের নাম তীর্যক নাট্যগোষ্ঠী চট্টগ্রাম, ওখানে আমি ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত নিয়মিত কাজ করেছি। এখনো আছি গ্রুপের সঙ্গে, তবে নিয়মিত সময় দিতে পারি না।
এই সময়ে আমাদের সিনেমা কেমন হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
যেমন হওয়া উচিত, তেমন সিনেমা এখন তৈরি হচ্ছে। ভালো গল্প হচ্ছে, ভালো চরিত্র তৈরি হচ্ছে। মেধাবী অনেক পরিচালক, অভিনেতা পাওয়া যাচ্ছে, সিনেমার প্রায় সব সেক্টরেই মেধাবীদের পাওয়া যাচ্ছে। আমার মনে হয়, আমরা রাইট ট্র্যাকেই আছি।
‘৮৪০: দ্য গ্রেট বাংলা ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’ সিনেমার গল্পটা কী নিয়ে?
১৩ তারিখে সিনেমাটা মুক্তি পাচ্ছে। তখনই পুরো গল্পটা দেখতে পাব। তবে অল্প কথায় বলা যায়, এটা একটা রাজনৈতিক স্যাটায়ার। একটা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, যা আমরা দেখতে পাই বা আমাদের দেশে দেখে এসেছি বিগত দিনগুলোতে, সেই ঘটনাগুলোরই কিছু কিছু আমরা দেখতে পাব একটা শহরকে কেন্দ্র করে।
সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পার করলাম, এই বিষয়গুলো কি এসেছে সিনেমায়?
হ্যাঁ, এটা একটা আশ্চর্যের বিষয়। কারণ সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও আগে। শুটিং শেষ হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। এর মাস ছয়েক পর আমরা বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করলাম আমাদের দেশে। এই যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করলাম, তার অনেক কিছুই আমাদের গল্পে উঠে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলাম, পরিচালক লিখেছেন, এমনটা যে হবে আমি সত্যিই জানতাম না, কিন্তু মিরাকেলি এটা মিলে গেছে...
হ্যাঁ, এ রকম তো হয়। আর ডিরেক্টররা, বিশেষ করে ক্রিয়েটিভ কাজ যাঁরা করেন, তাঁরা তো অনেক কিছু দেখতে পান বা আঁচ করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবে একজন সাধারণ মানুষ যা দেখবে, তার চেয়ে হয়তো একটু বিস্তৃতভাবে দেখতে পান। সেগুলো তিনি তুলে আনেন, পরে হয়তো আমরা ঘটনাগুলো বাস্তবের সঙ্গে মিলাই।
ট্রেলার প্রচার হওয়ার পর থেকে দর্শকের বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। যতটুকু দেখা গেল, আপনি বোধ হয় মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি ১০৩ পার্সেন্ট ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন!
হ্যাঁ, এটাও হয় আরকি! কত কিছুই তো হয় রাজনীতিতে!
সহশিল্পী হিসেবে কার সঙ্গে কাজ করে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেন?
আমার সহশিল্পী ছিলেন ফজলুর রহমান বাবু, মারজুক রাসেল, বিজরী বরকতউল্লাহ, জাকিয়া বারী মম, আশুতোষ সুজনসহ অনেকেই। সব সহশিল্পীর কাছ থেকেই আমি বেশ কমফোর্ট পেয়েছি। এর মূল কারণ হয়তো ফারুকী ভাই সবাইকে এত সুন্দর করে গুছিয়ে দিয়েছেন। আর যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা অনেক অভিজ্ঞ। উনারা জানেন, যে কাজটা করছি, এটা যদি সবাই মিলেমিশে করি, তাহলেই ভালো একটা কাজ হবে। ফলে আমরা সবাই ওরকম মাস্তি নিয়ে কাজটা করেছি। শুধু অভিনয়শিল্পীরাই নয়, পরিচালক থেকে শুরু করে প্রোডাকশন বয় পর্যন্ত সবাই আমরা মাস্তি নিয়ে কাজ করেছি। যদিও পরিচালক অনেক টেনশনে ছিলেন।
কিসের টেনশন?
যেহেতু এটা একটা রাজনৈতিক স্যাটায়ার এবং এখানে রাজনৈতিক অনেক ব্যাপার-স্যাপার উঠে আসবে, এটা না আবার জানাজানি হয়ে যায় আগে। তাহলে হয়তো সিনেমা রিলিজ দেওয়াটাই মুশকিল হয়ে পড়ত, যদিও তিনি ওই সময়ে আমাদের এসব টেনশন বুঝতেই দেননি।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী যখন সিনেমা বানান, যত দূর শুনেছি স্ক্রিপ্টটা উনি নিজের মাথায় বেশি রাখেন এবং যাঁরা অভিনয় করেন, তাঁদেরকে চরিত্র হয়ে ওঠানোর চেষ্টা করেন। আপনি তো তাঁর সঙ্গে প্রথম কাজ করলেন। কেমন অভিজ্ঞতা হলো আপনার?
উনার সঙ্গে প্রথম কাজ হলেও উনার ঘরানার কাজ আমি করেছি উনার শিষ্য আশফাক নিপুণের সঙ্গে। তবে ফারুকী ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করার সময় কিন্তু আমরা স্ক্রিপ্ট পেয়েছি। যদিও পরে এর পরিবর্তন হয়েছে, পরিমার্জন হয়েছে। কিন্তু বেসিক জিনিসটা ঠিক ছিল। তা ছাড়া কাজী ডব্লিউ চরিত্রটার জন্য আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি, রিহার্সালও করেছি। যখনই কোনো বিষয় মাথায় এসেছে, আমরা ফোনে কথা বলে নিয়েছি। পরিচালক হিসেবে উনি ওয়ান্ডারফুল।
আপনার চরিত্রের নাম তাহলে ডব্লিউ?
কাজী ডব্লিউ।
সিনেমায় একটা সংলাপ দেখলাম, ‘আমি এত উন্নয়ন করেছি, তবু কেউ আমায় ভালোবাসল না কেন?’ সংলাপটা কী আমাদের রাজনীতিবিদদের প্রতিনিধিত্ব করে?
অবশ্যই করে। দেখুন এটা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার বা যা-ই হোক না কেন, মানুষ তো বিনোদন পাবেই। আমার ধারণা, আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের এখন থেকে একটা বিশাল শিক্ষা পাওয়া উচিত। যদিও আমরা সবাই সবকিছু জানি, তবু চোখের সামনে যখন দেখতে পাই, তখন বিবেককে একটু তো নাড়া দেয় আসলে।
৮৪০-কে বলা হচ্ছে ৪২০ ধারাবাহিকের ডাবলআপ। কেন বলা হচ্ছে?
দুটোই আসলে পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। সে জন্যই এমনটা বলা হচ্ছে। তবে এটা কোনোভাবেই ৪২০-এর সিকুয়াল নয়, এর গল্প বা চরিত্রগুলো একেবারেই ভিন্ন, নতুন। কিন্তু ঘরানাটা হয়তো এক।

এই যে একটা শহরকে ঘিরে গল্প। এটা কোন শহর?
এটা কাল্পনিক একটা শহর।
মাইশেলফ অ্যালেন স্বপনে দেখেছি হাসতে হাসতে ভয়ংকর সব কাজ করে যাচ্ছেন। এই সিনেমায়ও কি তেমনটাই করেছেন?
অ্যালেন স্বপনের যে ঘটনা ওখানে রাজনৈতিক কোনো ব্যাপার ছিল না, কিন্তু এখানে পুরো ঘটনাই সরাসরি রাজনৈতিক এবং কাজী ডব্লিউ একজন রাজনীতিবিদ। একজন রাজনীতিবিদকে আমরা যে রকম দেখি, তেমনটাই এখানে দেখতে পাব কাজী ডব্লিউর মাঝে।
নানা রকম ছলচাতুরী, আগুন লাগিয়ে দিয়ে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া, এই সব?
হ্যাঁ, যেটা আমরা ট্রেলারে দেখলাম।
সিনেমার বেলায় গ্ল্যামারটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি অভিনয়টা?
এগুলো প্রায় কাছাকাছি। তবে আমার মনে হয়, যেকোনো বিষয়ে ঘাটতি থাকলে সেটা অভিনয় দিয়ে পূরণ করা যায়। কিন্তু অভিনয় না জানলে সেটা পূরণ করা মুশকিল।
আপনি তো থিয়েটার করা মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে থিয়েটারে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা, যেমন প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া, অভিনয় না করার অনুরোধ বা শিল্পীদের গায়ে ডিম ছুড়ে মারা—এসব ঘটনা কি আপনাকে পীড়া দেয়?
অবশ্যই পীড়া দেয়। অনেক কিছুই পীড়া দেয়। কিন্তু যখন আমি এসব নিতে পারি না, তখন চোখটা বন্ধ করে রাখি। আমি ততটা দায়িত্ব নিতে চাই না, যতটা নিলে আমি নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
আপনার অভিনীত ‘বলি: দ্য রেসলার’ বুসানে পুরস্কার জিতেছে। অস্কার প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। বাংলাদেশে কবে মুক্তি পাবে সিনেমাটি?
নির্মাতা ইকবাল হোসেন চৌধুরী সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছেন। সেন্সর সনদ পেলেই দেশে মুক্তি দেবেন, তবে কবে দেবেন সেটা তিনিই ভালো জানেন, আমি না। তবে সিনেমাটা কানাডায় মুক্তি পেয়েছিল।
গত বছরের তুলনায় এ বছর স্ক্রিনে আপনার উপস্থিতি কম ছিল। কারণ কী?
আমি তো কাজ করেছি। কিন্তু মুক্তি পায়নি বলে হয়তো স্ক্রিন উপস্থিতি কম ছিল।

নতুন আর কী কাজ করলেন?
রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’, এটাও পলিটিক্যাল গল্প নিয়ে কাজ। সপ্তাহ দুয়েক আগে অনন্য প্রতীক চৌধুরী নামের একজন নতুন পরিচালকের একটি ওয়েব ফিল্মের কাজ করলাম। আমার সহশিল্পী ছিলেন দীপা খন্দকার, পার্থসহ অনেকেই।
আপনার পরিবার সম্পর্কে জানতে চাই।
আমার পরিবার অনেক বড়। আমরা পাঁচ ভাই, এক বোন। আমরা ভাইয়েরা সবাই এক জায়গায় থাকি, যদিও আমাদের রান্নার হাঁড়ি ভিন্ন। আমার একান্ত পরিবারের মাঝে আছে আমার স্ত্রী আর আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে কলেজে পড়ে আর মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে।
ছেলে-মেয়েরা কী অভিনয় করে?
না, তারা আছে তাদের মতো, পড়াশোনা নিয়ে।
আপনার থিয়েটার লাইফ সম্পর্কে বলুন।
আমার দলের নাম তীর্যক নাট্যগোষ্ঠী চট্টগ্রাম, ওখানে আমি ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত নিয়মিত কাজ করেছি। এখনো আছি গ্রুপের সঙ্গে, তবে নিয়মিত সময় দিতে পারি না।
এই সময়ে আমাদের সিনেমা কেমন হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
যেমন হওয়া উচিত, তেমন সিনেমা এখন তৈরি হচ্ছে। ভালো গল্প হচ্ছে, ভালো চরিত্র তৈরি হচ্ছে। মেধাবী অনেক পরিচালক, অভিনেতা পাওয়া যাচ্ছে, সিনেমার প্রায় সব সেক্টরেই মেধাবীদের পাওয়া যাচ্ছে। আমার মনে হয়, আমরা রাইট ট্র্যাকেই আছি।

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৫ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
১৫ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
১৫ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।
২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’
বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’
২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।
ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’
প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’
অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।
২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’
বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’
২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।
ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’
প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’
অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
১৫ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
১৫ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।
ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।
ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।
ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।
ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৫ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
১৫ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।
নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’
নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’
মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।
নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’
নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’
মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৫ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
১৫ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।
শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।
ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।
ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।
ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’
প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।
শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।
ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।
ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।
ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’
প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৫ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
১৫ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
১৫ ঘণ্টা আগে