বিনোদন ডেস্ক
আজ বিশ্ব মা দিবস। সন্তানের সুখের জন্য এক জীবনে মা হাসিমুখে যে কত ত্যাগ স্বীকার করেন, তা বলে বোঝানো কঠিন। তারকা হয়ে ওঠার পেছনে তাঁদের মায়েদের সংগ্রামও কম নয়! এমনকিছু তারকাদের গল্প থাকল, যাঁদের বিখ্যাত হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাঁদের মা।
মা দিবস তো প্রতিদিন: চঞ্চল চৌধুরী
মা দিবস কী? আমার মা সেটা জানেনই না। জানার কোনো দরকারও নেই। কারণ আমাদের আট ভাই বোনকে জন্ম দিয়ে, তাঁদেরকে বড় করতে করতেই তো তাঁর জীবন পার হয়ে গেল। তারপর নাতিপুতি আরও কত কিছু! আর আমার কাছে মা দিবস তো প্রতিদিন। প্রতিদিন প্রতিক্ষণ আমি মাকে ডাকি। মায়ের মুখের হাসিটাই আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ। আমার স্কুলশিক্ষক বাবা রাধাগোবিন্দ চৌধুরী ও মা নমিতা চৌধুরী থাকেন পাবনাতেই। এ কারণে তাঁদের সঙ্গে আমার দেখা হয় অনেকদিন পর পর। ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়ে। অনেক অভাবে, অনেক কষ্টে আমাদেরকে মানুষ করার যুদ্ধে বাবার সঙ্গে আমার মাও অবিচল ছিলেন। মায়েরা মনে হয় পৃথিবীতে আসেনই নিজের সুখ–স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, সন্তানকে মানুষ করার জন্য।
আমার মা আমার দার্শনিক: জাকিয়া বারী মম
আমার মা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। বছর দুই হলো তিনি অবসরে গেছেন। মায়ের সঙ্গে ছোটবেলায় আমার সম্পর্ক অত ভালো ছিল না। তিনি যা–ই বলতেন, আমি উল্টোটা করতাম। তাঁর কোনো কথা শুনতে চাইতাম না। রাগারাগি করতাম। ঝগড়া হতো। আম্মা বকাবকি করতেন। এটাই ছিল আম্মার সঙ্গে আমার শৈশবের সম্পর্ক। কিন্তু যখন সত্যিকার অর্থে জীবন সংগ্রামে ঢুকলাম। যখন পরিবার থেকে বেরিয়ে একা একা পথচলা শুরু করলাম, তখন দেখলাম আমার মা-ই সত্যিকার অর্থে আমার দার্শনিক। দেখলাম, ছোটবেলা থেকে মা আমাকে যে কথাগুলো বলতে চেষ্টা করেছেন, সব মনীষীই এই কথাগুলো বলতে চেষ্টা করেছেন এবং সেগুলোই জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যি। আমার মা আমার শক্তি।
আমার মাকে একজন মুক্তিযোদ্ধাও বলব: চয়নিকা চৌধুরী
মা ছিলেন শিক্ষক। আমাদের দুই বোনকে নিজের হাতে জামাকাপড় বানিয়ে দিতেন। নাচ, গান, অভিনয়সহ সবকিছুর প্রতি আগ্রহ তৈরি করেছেন তিনি। তাঁকে একজন মুক্তিযোদ্ধাও বলতে চাই আমি। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে রান্না করে খাওয়াতেন। তখন আমার বয়স মাত্র দেড় বছর। ওই সময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন। আমি বাসার জন্য মিষ্টি কিনলে আমার ড্রাইভারের জন্যও কিনি। যেটা মা করতেন। কাউকে কিছু কিনে দেওয়ার মধ্যে যে তৃপ্তি পাওয়া যায়, সেটা মায়ের কাছ থেকে শিখেছি।
আমাদের জন্য চাকরিটা ছেড়ে দেন: জোভান
শিক্ষিকা হিসেবে খুব সুনাম ছিল আমার আম্মুর। স্কুলে ইংরেজি পড়াতেন। সন্তানদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে, আমাদের দেখভাল ও বেশি সময় দেওয়ার জন্য আম্মু চাকরিটা ছেড়ে দেন। আমার বাবা পনেরো বছরের বেশি সময় ধরে নিউইয়র্ক প্রবাসী। আমাদের দুই ভাই-বোনকে একাই বড় করেছেন মা। একাই সংসার সামলাচ্ছেন। মা সবসময় চেয়েছেন আমাদের কাছের বন্ধু হয়ে উঠতে। আমি নিজেও সবকিছু মায়ের সঙ্গেই শেয়ার করি। ব্যক্তিগত কোনো ঝামেলা বা কাজ নিয়ে, কখনো মন খারাপ থাকলে, সবকিছু মায়ের কাছেই শেয়ার করি। তিনিই আমার আশ্রয়। আমি মনে করি আমার মা একজন প্রকৃত যোদ্ধা।
মাকে নিয়ে একটা সিনেমা হওয়া উচিত: অর্চিতা স্পর্শিয়া
আমার মা পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন। প্রেম করে। যখন আমার এক বছর বয়স, বাবা চলে গেলেন বিদেশে। সংসার-সন্তান-স্ত্রী- আমাদের সবাইকে ফেলে তিনি চলে গেলেন। সেখানেই বিয়ে করেছেন। আমাদের খোঁজ নেননি কখনো। তারপর থেকে আমাদের মা–মেয়ের সংগ্রাম শুরু। সমাজ একজন স্বামী চায়, সেটা পরতে পরতে বুঝতে হয়েছে মাকে। স্বামী মন্দ হলেও অসুবিধা নেই। অনেককিছু ফেস করেছি। কত বাসা ভাড়া নিয়েছি! কোনো বাসায় বাড়িওয়ালা, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ছেলে, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ভাই বিরক্ত করত। সে কারণেও অনেক বাসা ছাড়তে হয়েছে।
এভাবে করে করে আমরা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। যে স্কুলে পড়তাম সেই স্কুলের অভিভাবক, শিক্ষকরা মিলে এমন পরিবেশ তৈরি করেছিলেন– এখনো ভাবলে খারাপ লাগে। ওর বাবা নেই, ও ভালো নয়! ওর সঙ্গে বাকি ছেলেমেয়েদের মিশতে দেওয়া যাবে না- প্রতিনিয়ত এসব সহ্য করতে হয়েছে। খুব সংগ্রামের জীবন আমার মায়ে। তাঁকে নিয়ে একটা সিনেমা হওয়া উচিত।
আজ বিশ্ব মা দিবস। সন্তানের সুখের জন্য এক জীবনে মা হাসিমুখে যে কত ত্যাগ স্বীকার করেন, তা বলে বোঝানো কঠিন। তারকা হয়ে ওঠার পেছনে তাঁদের মায়েদের সংগ্রামও কম নয়! এমনকিছু তারকাদের গল্প থাকল, যাঁদের বিখ্যাত হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাঁদের মা।
মা দিবস তো প্রতিদিন: চঞ্চল চৌধুরী
মা দিবস কী? আমার মা সেটা জানেনই না। জানার কোনো দরকারও নেই। কারণ আমাদের আট ভাই বোনকে জন্ম দিয়ে, তাঁদেরকে বড় করতে করতেই তো তাঁর জীবন পার হয়ে গেল। তারপর নাতিপুতি আরও কত কিছু! আর আমার কাছে মা দিবস তো প্রতিদিন। প্রতিদিন প্রতিক্ষণ আমি মাকে ডাকি। মায়ের মুখের হাসিটাই আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ। আমার স্কুলশিক্ষক বাবা রাধাগোবিন্দ চৌধুরী ও মা নমিতা চৌধুরী থাকেন পাবনাতেই। এ কারণে তাঁদের সঙ্গে আমার দেখা হয় অনেকদিন পর পর। ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়ে। অনেক অভাবে, অনেক কষ্টে আমাদেরকে মানুষ করার যুদ্ধে বাবার সঙ্গে আমার মাও অবিচল ছিলেন। মায়েরা মনে হয় পৃথিবীতে আসেনই নিজের সুখ–স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, সন্তানকে মানুষ করার জন্য।
আমার মা আমার দার্শনিক: জাকিয়া বারী মম
আমার মা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। বছর দুই হলো তিনি অবসরে গেছেন। মায়ের সঙ্গে ছোটবেলায় আমার সম্পর্ক অত ভালো ছিল না। তিনি যা–ই বলতেন, আমি উল্টোটা করতাম। তাঁর কোনো কথা শুনতে চাইতাম না। রাগারাগি করতাম। ঝগড়া হতো। আম্মা বকাবকি করতেন। এটাই ছিল আম্মার সঙ্গে আমার শৈশবের সম্পর্ক। কিন্তু যখন সত্যিকার অর্থে জীবন সংগ্রামে ঢুকলাম। যখন পরিবার থেকে বেরিয়ে একা একা পথচলা শুরু করলাম, তখন দেখলাম আমার মা-ই সত্যিকার অর্থে আমার দার্শনিক। দেখলাম, ছোটবেলা থেকে মা আমাকে যে কথাগুলো বলতে চেষ্টা করেছেন, সব মনীষীই এই কথাগুলো বলতে চেষ্টা করেছেন এবং সেগুলোই জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যি। আমার মা আমার শক্তি।
আমার মাকে একজন মুক্তিযোদ্ধাও বলব: চয়নিকা চৌধুরী
মা ছিলেন শিক্ষক। আমাদের দুই বোনকে নিজের হাতে জামাকাপড় বানিয়ে দিতেন। নাচ, গান, অভিনয়সহ সবকিছুর প্রতি আগ্রহ তৈরি করেছেন তিনি। তাঁকে একজন মুক্তিযোদ্ধাও বলতে চাই আমি। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে রান্না করে খাওয়াতেন। তখন আমার বয়স মাত্র দেড় বছর। ওই সময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন। আমি বাসার জন্য মিষ্টি কিনলে আমার ড্রাইভারের জন্যও কিনি। যেটা মা করতেন। কাউকে কিছু কিনে দেওয়ার মধ্যে যে তৃপ্তি পাওয়া যায়, সেটা মায়ের কাছ থেকে শিখেছি।
আমাদের জন্য চাকরিটা ছেড়ে দেন: জোভান
শিক্ষিকা হিসেবে খুব সুনাম ছিল আমার আম্মুর। স্কুলে ইংরেজি পড়াতেন। সন্তানদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে, আমাদের দেখভাল ও বেশি সময় দেওয়ার জন্য আম্মু চাকরিটা ছেড়ে দেন। আমার বাবা পনেরো বছরের বেশি সময় ধরে নিউইয়র্ক প্রবাসী। আমাদের দুই ভাই-বোনকে একাই বড় করেছেন মা। একাই সংসার সামলাচ্ছেন। মা সবসময় চেয়েছেন আমাদের কাছের বন্ধু হয়ে উঠতে। আমি নিজেও সবকিছু মায়ের সঙ্গেই শেয়ার করি। ব্যক্তিগত কোনো ঝামেলা বা কাজ নিয়ে, কখনো মন খারাপ থাকলে, সবকিছু মায়ের কাছেই শেয়ার করি। তিনিই আমার আশ্রয়। আমি মনে করি আমার মা একজন প্রকৃত যোদ্ধা।
মাকে নিয়ে একটা সিনেমা হওয়া উচিত: অর্চিতা স্পর্শিয়া
আমার মা পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন। প্রেম করে। যখন আমার এক বছর বয়স, বাবা চলে গেলেন বিদেশে। সংসার-সন্তান-স্ত্রী- আমাদের সবাইকে ফেলে তিনি চলে গেলেন। সেখানেই বিয়ে করেছেন। আমাদের খোঁজ নেননি কখনো। তারপর থেকে আমাদের মা–মেয়ের সংগ্রাম শুরু। সমাজ একজন স্বামী চায়, সেটা পরতে পরতে বুঝতে হয়েছে মাকে। স্বামী মন্দ হলেও অসুবিধা নেই। অনেককিছু ফেস করেছি। কত বাসা ভাড়া নিয়েছি! কোনো বাসায় বাড়িওয়ালা, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ছেলে, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ভাই বিরক্ত করত। সে কারণেও অনেক বাসা ছাড়তে হয়েছে।
এভাবে করে করে আমরা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। যে স্কুলে পড়তাম সেই স্কুলের অভিভাবক, শিক্ষকরা মিলে এমন পরিবেশ তৈরি করেছিলেন– এখনো ভাবলে খারাপ লাগে। ওর বাবা নেই, ও ভালো নয়! ওর সঙ্গে বাকি ছেলেমেয়েদের মিশতে দেওয়া যাবে না- প্রতিনিয়ত এসব সহ্য করতে হয়েছে। খুব সংগ্রামের জীবন আমার মায়ে। তাঁকে নিয়ে একটা সিনেমা হওয়া উচিত।
দীর্ঘ ১৫ বছর বিটিভির কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করছেন সংগীতশিল্পী আগুন। অনুষ্ঠানের নাম ‘আগুন ঝরা সন্ধ্যা’। এরই মধ্যে দুটি পর্বের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেপারিশ্রমিক বিষয়ক জটিলতার কারণে ‘পুষ্পা টু: দ্য রুল’ সিনেমায় আইটেম গানে পারফর্মের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন শ্রদ্ধা কাপুর। এবার খবর পাওয়া গেল, ‘ওয়ার ২’ সিনেমার আইটেম গানে নাচবেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেবলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় দম্পতি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন। তাঁরা বরাবরই তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন ও পারস্পরিক সমর্থনের মাধ্যমে ‘কাপল গোলস’ তৈরি করেছেন। তবে সম্প্রতি তাঁদের বিচ্ছেদের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। আম্বানি পরিবারের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে দুজন পৃথকভাবে উপস্থিত হওয়ার পর থেকে সেই গুজব আরও ডালাপালা...
১৩ ঘণ্টা আগেশুটিং সেটে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ তুলেছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা। বুধবার দিবাগত রাতে ফেসবুক লাইভে এমন অভিযোগ তোলেন এই অভিনেত্রী...
১৫ ঘণ্টা আগে