Ajker Patrika

কামরাঙ্গীরচরে ওস্তাদের বাড়ি

রজত কান্তি রায়
আপডেট : ২৯ জুন ২০২১, ১০: ০৩
কামরাঙ্গীরচরে ওস্তাদের বাড়ি

ঢাকা: বুড়িগঙ্গার বুকে গড়ে ওঠা গমগমে শহরতলি আষাঢ়ের ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আমরা খুঁজতে থাকি ‘দশ ফুট বাই দশ ফুট’–এর একটি ছাপড়া ঘর। থানা ভবন থেকে পশ্চিম দিকে একটু এগিয়ে যেতে হবে—এ রকমই ছিল ঠিকানার বর্ণনায়। সেখানে থাকেন বর্ণাঢ্য হয়ে উঠতে না পারা এক ‘ওস্তাদ’ শিল্পী। শহরতলির নাম কামরাঙ্গীরচর। শিল্পীর নাম মোহাম্মদ শোয়েব। জন্ম ১৯৫৫ সাল।

৬৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ শোয়েবের সঙ্গে যখন তাঁর দশ বাই দশ ফুট হাফ বিল্ডিংয়ের ঘরে বসি, মুখোমুখি, তখন বাইরে অঝোর ধারা। বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা আছড়ে পড়ছে টিনের ওপর। আছড়ে পড়া প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটা যেন এক–একটি সুরের ঝঙ্কার। যা হয়তো ‘তনুমনপ্রাণ’ ভরে উপভোগ করছেন একজন শিল্পী। তিন দশকের বেশি সময় ধরে উজ্জ্বল রঙে দোর্দণ্ড প্রতাপে তিনি সিনেমার ব্যানার এঁকেছেন মনের মাধুরী মিশিয়ে। রাজ্জাক–ইলিয়াস কাঞ্চন–জসিমের মতো বিখ্যাত নায়কেরা তাঁকে সসম্মানে ডাকতেন নিজেদের সিনেমার ব্যানার আঁকতে। তাঁর সামনে বসে জানতে চেষ্টা করি সে ইতিহাস। জানতে চেষ্টা করি, ঢাকাই সিনেমার এক উপেক্ষিত অধ্যায়ের গল্প, আরেক উপেক্ষিত নদীর চরে গজিয়ে ওঠা অপরিকল্পিত শহরতলিতে বসে।

‘অবুঝ মন, জিঘাংসা, জোকার, বেদের মেয়ে জোছনা—সব ফিলিমের ব্যানার আঁকলাম। কত ফিলিম হিট হইলো! মুন, স্টার, লায়ন—এই সব সিনেমা হল আছিল তখন। এখন তো নাই। সামনে লাগানো থাকত ব্যানার। নিচে গেটের কাছে থাকত নায়িকার কাটাউট, লাল–নীল বাত্তি দেওয়া। মানুষ আনন্দ পাইত।’ উসকে দিতেই বলতে শুরু করলেন ওস্তাদ মোহাম্মদ শোয়েব।

গল্পটা ১৯৪৭–এর সুতোয় বাঁধা। কলকাতার রাজাবাজারে ছিল তাঁর বাপ–দাদার বাস। ছেচল্লিশের দাঙ্গা আর সাতচল্লিশের দেশভাগের ফেরে পড়ে ঢাকায় পাড়ি জমায় মোহাম্মদ শোয়েবের পরিবার—ঠিকানা নবাবপুর রোড, ঢাকা ১। ঢাকায় দাদা মোহাম্মদ ইব্রাহীম করতেন লুঙ্গি–গামছার ব্যবসা। বাবা মোহাম্মদ ইশহাক ছিলেন দর্জি। মা রাজিয়া খাতুন ছিলেন গৃহিণী। ১৯৫৫ সালে পুরান ঢাকায় জন্ম মোহাম্মদ শোয়েবের। লেখাপড়া খুব একটা করেননি।

প্যারিসের ‘প্যালেই ডি টোকিও’ স্টুডিওতে ২০১৯ সালে প্রদর্শীত মোহাম্মদ শোয়েবের চিত্রকর্ম

উজ্জ্বল রং মানুষকে আকর্ষণ করে খুব সহজে। সে জন্যই বিশ বাই দশ ফুট, বিশ বাই আট ফুট, পনেরো বাই দশ ফুট, দশ বাই দশ ফুট, বারো বাই আট ফুট মাপের মার্কিন কাপড়ে তৈরি ক্যানভাসে গ্রাফ করে নায়ক–নায়িকা বা ভিলেনের ছবি আঁকা হতো উজ্জ্বল রঙে। সেগুলোই ছিল সিনেমার ব্যানার। সিনেমা হলের দরজার ওপর বিশেষভাবে টাঙানো হতো সেসব। দূর থেকে দেখে আকৃষ্ট হতো মানুষ। শিহরিত হতো নায়িকার রূপ দেখে, নায়ক আর ভিলেনের অ্যাকশন দেখে। সেসব দৃশ্য নিপুণ হাতে আঁকতেন মোহাম্মদ শোয়েব তাঁর শিষ্যদের নিয়ে। ১৯৬৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি এঁকেছেন সিনেমার বর্ণিল জগতের ছবি, কাপড়ের ক্যানভাসে। করেছেন সিনেমার পোস্টার, প্রেস লে আউটের নকশা। বানিয়েছেন নায়ক, নায়িকা বা ভিলেনের কাটআউট। এসব ব্যানার, পোস্টার আর কাট আউট ঢাকা শহরের বলাকা, মুন, স্টার, লায়ন, অভিসার, যশোরের মণিহারসহ পুরো দেশের সিনেমা হলগুলোর শোভা বাড়িয়ে তুলত। ব্যবসা হতো রমরমা।

‘আপনাকে কেন সবাই ডাকতেন ব্যানার আঁকার জন্য? সেটা কি শুধু আপনার ভালো কাজের জন্য?’ প্রশ্ন শুনে একটু থেমে যান মোহাম্মদ শোয়েব। ‘ভালো কাজ কি না জানি না। তবে আমারে ডাকত। রাজ্জাক সাহেব নিজের প্রোডাকশনের ব্যানার বানাইতেন আমারে দিয়া। ইলিয়াস কাঞ্চন, জসিম সবাই ডাকত। কোয়ালিটি হয়তো ভালো আছিল। কে জানে!’ ‘আপনার ওস্তাদ কে ছিলেন?’

এখানে একটা পারিবারিক গল্প আছে মোহাম্মদ শোয়েবের। চান বিবি নামে তাঁর এক নানি ছিলেন। সিনেমার ব্যানার শিল্পীদের সঙ্গে ছিল চান বিবির যোগাযোগ। তিনিই ঢাকার আরেক ওস্তাদ শিল্পী ‘সিতারা পাবলিসিটি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিল্পী আনোয়ারের হাতে তুলে দেন শোয়েবকে। সেই শুরু; সালটা ছিল ১৯৬৫। মোহাম্মদ শোয়েব তখন বালক মাত্র, বয়স ১৫ বছর। শিল্পী আনোয়ারের কাছে সিনেমার ব্যানার আঁকার প্রাথমিক কাজ শিখেছেন এক বছর। সে সূত্রে তাঁকেই ওস্তাদ মানেন মোহাম্মদ শোয়েব।

এর পরের বছর তিনি কাজ করতে যান নারিন্দায়, খাজা সাহেবের মালিকানাধীন ‘কার স্টুডিও’–তে। মোহাম্মদ শোয়েব সেখানে কাজ করেন ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত। এ সময় তিনি জুনিয়র শিল্পী হিসেবে ব্যানারে ছোট ছোট চরিত্রগুলো আঁকার কাজ শুরু করেন এবং দক্ষ হয়ে ওঠেন। এর পর যত দিন গেছে প্রতিকৃতি আঁকায়, ক্যানভাসে অলংকরণ করায় দক্ষ হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ শোয়েব। তার পর তিনি কাজ করতে যান ‘রূপায়ণ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে। এই প্রতিষ্ঠান ছিল সিনেমার ব্যানার শিল্পের আরেক গুণী শিল্পী বীরেন দাসের মালিকানাধীন। সেখানে তিনি ব্যানার আঁকার কাজ করেন ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত। পরে ক্রমান্বয়ে ‘চিত্রকর’, ‘ফোর স্টার’, ‘মুন আর্ট’ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। শেষে নিজের এক শিষ্যের সঙ্গে ‘একতা পাবলিশিং’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করান। সেটি সচল ছিল ২০০৫ সাল পর্যন্ত।

২০২০ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক ঢাকা আর্ট সামিটে মোহাম্মদ শোয়েব এবং তাঁর দলের সিনেমার ব্যানারের আদলে আঁকা চিত্রকর্ম

প্রায় চল্লিশ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবনে মোহাম্মদ শোয়েব সিনেমার ব্যানার শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছেন পরিশ্রম, আর মেধা দিয়ে। নিখুঁত প্রতিকৃতি আর কাপড়ের ওপর সূক্ষ্ম নকশা তোলায় তিনি ছিলেন ভীষণ দক্ষ। সমসাময়িক আর কোনো ব্যানার শিল্পী তাঁকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি বলে সব ‘আর্ট হাউসে’ ছিল তাঁর সমান কদর। যখন যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়েছেন, সিনেমার ব্যানার ইন্ডাস্ট্রিতে সে প্রতিষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল সেরা। তবে তিনি সিনেমার ব্যানার আঁকার মধ্যেই আটকে ছিলেন না। যখন সিনেমার ব্যানার এঁকে খ্যাতির মধ্যগগনে, তখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য প্রচারের জন্য বিলবোর্ড, হোর্ডিং, দেয়ালচিত্র আঁকেন মোহাম্মদ শোয়েব। সেখানেও দাপটের সঙ্গে কাজ করেন দীর্ঘ সময়। এ ছাড়া একসময় দেশে রাষ্ট্রীয় সফরে আসা বিভিন্ন বিদেশি অতিথির প্রতিকৃতিও আঁকেন তিনি। এ ক্ষেত্রেও তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তিনি ২০১১ সালে ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের প্রতিকৃতি আঁকেন। সেটিই ছিল তাঁর শেষ কোনো রাষ্ট্রীয় অতিথির প্রতিকৃতি আঁকা। এ ছাড়া তিনি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার প্রতিকৃতি এঁকেছেন বিভিন্ন সময়। মোহাম্মদ শোয়েব অসামান্য দক্ষতায় প্রতিকৃতি আঁকতে পারতেন বলে এসব কাজে ডাক পেতেন।

২০০০ সালের পর ধীরে ধীরে কাজকর্ম কমতে শুরু করে সিনেমার ব্যানার শিল্পীদের। অনেকেই পেশা পরিবর্তন করেন, অনেকে আশায় বুক বেঁধে ‘লাইনে’ থাকার চেষ্টা করেন আরও কিছুদিন। একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় মোহাম্মদ শোয়েবকেও। সিনেমার ব্যানার আঁকার যুগ যখন ধীরে ধীরে অস্তমিত হয়ে আসতে শুরু করে, মোহাম্মদ শোয়েব তখন চার দশকের চর্চা করা বিদ্যাকে ভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহার করে রোজগার সচল রাখার চেষ্টা করে যান।

সিনেমার ব্যানার শিল্পী হিসেবে মোহাম্মদ শোয়েবের চিত্রকর্ম সংরক্ষিত আছে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন সিটি করপোরেশনের কাছে। প্রবাসী বাঙালি শিল্পী রুহুল আমিন কাজলের সহায়তায় এবং কোপেন হেগেন সিটি করপোরেশনের আমন্ত্রণে ২০১৪ সালে মোহাম্মদ শোয়েব ও তাঁর সহশিল্পী মোহাম্মদ হানিফ পাপ্পু ডেনমার্কে গিয়েছিলেন ছবি আঁকতে। সেখানে তাঁদের কাজ প্রশংসিত হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর ছবি প্রদর্শিত হয় প্যারিসের ‘প্যালেই ডি টোকিও’ স্টুডিওতে, ২০১৯ সালে ‘সিটি প্রিন্সেস’ নামে একটি প্রদর্শনীতে। ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক ঢাকা আর্ট সামিটে মোহাম্মদ শোয়েব ও তাঁর দলের সিনেমার ব্যানারের আদলে আঁকা একটি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়। তবে তাতে নায়ক–নায়িকার পরিবর্তে আঁকা হয়েছিল আফ্রিকা ও বাংলাদেশের দীর্ঘ ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এসব আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে মোহাম্মদ শোয়েবের পরিচিত হয়ে ওঠার পেছনে সহায়তা করেছে ঐতিহ্যবাহী ও সমকালীন শিল্প কেন্দ্র ‘যথাশিল্প’।

‘প্রায় চল্লিশ বছর সিনেমার ব্যানার আঁকলেন। পেছনে ফিরে তাকালে কী মনে হয় আপনার?’ প্রশ্ন শুনে মোহাম্মদ শোয়েব হাসেন। বৃষ্টির শব্দে তাঁর হাসির শব্দ চাপা পড়ে যায়। ‘যা করার আছিল, করছি। মন দিয়া করছি। আর কী?’ তাঁর নীরবতার আড়ালে আরও অনেক কিছু আছে। আছে শিল্পের প্রতি সীমাহীন দরদ। আছে নিঃসিম শূন্যতা। আছে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। ১৯৯৪ সালে স্ত্রী বানু বেগম মৃত্যুবরণ করেছেন। পরের বছরই তাঁর বড় মেয়ে রিমা আক্তার মারা গেলে দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। অন্য সন্তানদের বড় করেছেন। তাঁর অন্য সন্তানেরা—ছেলে ইমরান, মেয়ে সীমা আক্তার ও সোমা আক্তার বড় হয়েছেন। তাঁদের বিয়েও হয়ে গেছে। এখন নিঃসঙ্গতা জেঁকে বসেছে জীবনে।

যথাশিল্প স্টুডিওতে সিনেমা ব্যানার আঁকার একটি ওয়ার্কশপে ছবি আঁকছেন মোহাম্মদ শোয়েব। যথাশিল্পের কর্ণধার গবেষক ও শিল্পী শাওন আকন্দের কাছে জানতে চাই, বাংলাদেশের চিত্রকলার ইতিহাসে মোহাম্মদ শোয়েবের গুরুত্ব কী। কোনো দ্বিধা ছাড়াই শাওন আকন্দ বলেন, ‘হি ইজ দ্য লাস্ট অব দ্য মোহিকানস। উনিশ শতকে রাজা রবি বর্মার হাতে তৈরি হয়েছিল এক বিশেষ শিল্প ঘরানার। পরবর্তীকালে ভারতের কোলাপুরের বাবুরাও পেইন্টারের হাত ধরে এবং মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আলো–বাতাসে সে শিল্প ঘরানা সিনেমার ব্যানার শিল্প হিসেবে বেড়ে উঠেছিল। মকবুল ফিদা হুসেন কিংবা আমাদের নিতুন কুণ্ডও এক সময় যুক্ত ছিলেন এ বিশেষ ধরনের শিল্পচর্চায়। উনিশ শতকে গড়ে ওঠা সিনেমা ব্যানার পেইন্টিংয়ের নিরিখে বাংলাদেশে মোহাম্মদ শোয়েব সম্ভবত শেষ গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী।’

বৃষ্টি পড়ে কামরাঙ্গীরচরে। বোদনার অনুষ্টুপ ছন্দ বেজে যায় মোহাম্মদ শোয়েবের টিনের চালে। কামরাঙ্গীরচর, চরের এ ‘দশ ফুট বাই দশ ফুট’ ঘর সিনেমা ব্যানারের রঙিন ক্যানভাস নয়। এখানে রং–তুলি হাতে নিয়ে বসে নেই কোনো ওস্তাদ। বসে আছেন এক বিধ্বস্ত শিল্পী—দ্য লাস্ট অব দ্য মোহিকানস মোহাম্মদ শোয়েব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তিন বছর পর বিচ্ছেদের খবর দিলেন বিন্দু

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৮
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।

২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’

বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’

২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।

ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’

প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’

অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘ইত্যাদি’র নতুন পর্ব এবার চুয়াডাঙ্গায়

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।

এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।

ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের চার দিনে সাত প্রদর্শনী

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।

কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।

নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’

নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’

মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন লুকে চমকে দিলেন কিয়ারা আদভানি

বিনোদন ডেস্ক
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।

শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।

ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।

ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।

ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’

প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত