প্রিয় পাঁচ গান

বিনোদন প্রতিবেদক
আপডেট : ১৬ জুন ২০২১, ১৩: ৫৬
Thumbnail image

ঢাকা : একটু কঠিনই ছিল প্রিয় পাঁচটি গান বাছাই করা। একজীবনে অসংখ্য গান গেয়েছেন এবং সুর ও সংগীত করেছেন তাহসান রহমান খান। তার মধ্যে নিজের সবচেয়ে প্রিয় পাঁচটি গান নিয়ে বলেছেন তিনি।

প্রার্থনাদ
আমার সবচেয়ে প্রিয় গান। বেশ কয়েকটি কারণে প্রিয়। গানটির ভাষ্য সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে কথোপকথন। হ্রদয়ের খুব কাছের আধ্যাত্মিক একটা জায়গা থেকে লেখা। কথাটির জন্য সবচেয়ে প্রিয়। নীরবে নিভৃতে গানটি শুনলে যে কারো আধ্যাত্মিক একটা অনুভুতি হবে বলে মনে করি। আর সুরের ব্যাপারটি হচ্ছে অনেক ডার্ক। যাঁরা মিউজিশিয়ান, তাঁরা গানটি আরো বেশি ফিল করতে পারবেন। তিনটা স্কেলে এবং বেশ কমপ্লিকেটেড কর্ডের ওপর গানটি করা। যেটা হয়, যখন একটা কমপ্লিকেটেড গান করা হয়, তখন সেটা খুব একটা শ্রোতাপ্রিয় হয় না। কিন্তু এই কঠিন গানটিও শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। যাঁরা মিউজিশিয়ান তাঁরা গানটির খুব প্রশংসা করেছেন। যাঁরা কর্ড বোঝেন, তাঁরা বলবেন যে এমন ধরনের বাংলা গান খুব একটা হয়নি। বিভিন্ন কনসার্টে বা কোনো আয়োজনে গানটির বহু অনুরোধ পাই। তাই বলা যায় গানটি আমার লেখা ও সুর করা সবচেয়ে গাড় কাজ।

আলো
এটাকে দ্বিতীয় রাখব। গানের কথা ও সুর খুবই সাধারণ। কিছু গান থাকে, অনেক অনেক বছর পর শুনলেও বেশ কয়েকবার শুনতে ইচ্ছে করে। এটি এমন একটি গান। গানটি আমার একটি পরিচয়ও বলতে পারেন। আমি মনে করি গানটি আরও অনেক দিন বাঁচবে। আমাকে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বাঁচিয়ে রেখেছে গানটি দিয়ে। এই গানের কারণেই হয়তো মানুষ নতুন করে অন্য গানগুলো শোনা শুরু করে। আর এই গান যখন করেছিলাম, সুর করার সময়ই আমার লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। তখনই মনে হয়েছিল এই গানের মধ্যে এমন কিছু আছে, যা মানুষের কাছে বহু বছর ধরে ভালো লাগবে। আমার সেই ভাবনাটা সঠিক ছিল।

তাহসান রহমান খানএখনো
এটা আমার লেখা প্রথম প্রেমের গান। নিজের প্রেমের অনুভূতি নিয়ে গানটি লেখা। এই গান খুবই কাছের। সারা জীবনই কাছের থাকবে। গানটি যখন লিখি এবং সুর করি, তখন আমার কোনো গানই প্রকাশ পায়নি। গানটি লিখে ও সুর করে বন্ধুদের শোনাতাম। ওরাও গানটি খুব শুনতে চাইত। এই গান শুনেই বন্ধুরা আমাকে বলেছিল, তোর গান মানুষ খুব পছন্দ করবে। নিজেকে প্রকাশ করার জন্য গানটি খুব উৎসাহ দিয়েছে। ব্ল্যাক ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবামে গানটি ছিল। গানটি প্রকাশের অনেক দিন আগেই লিখেছিলাম। আমি যে বহুদিন ধরে গান লিখি ও সুর করি, সেটা শুধু আমার আশপাশের কয়েকজন নয়, সারা দেশের মানুষকে শোনাতে পারি। এই গান থেকেই সেই ফিল এসেছে। আমাকে সেই আত্মবিশ্বাসটা দিয়েছে।

অনন্তকালের পথযাত্রী
সুর : ইকবাল আসিফ জুয়েল
এটাও একটা আধ্যাত্মিকতার জায়গা থেকে লিখেছিলাম। আসলে আমরা একদিন এই পৃথিবী থেকে চলে যাব। পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার পরে যে ঘটনাটা ঘটবে, তা তো কেউই নিশ্চিতভাবে জানি না। আমরা কিছুটা বিশ্বাস, কিছুটা ধারণা, কিছুটা আশা—এই নিয়েই আসলে বেঁচে থাকি। কিন্তু আসলে কতগুলো যে প্রশ্ন আছে চলে যাওয়া নিয়ে ও চলে যাওয়ার পর কী হবে—সেই কথাগুলোই এই গানে বলতে চেয়েছি। অনন্তকালের পথযাত্রী বলতে এই জীবন শেষে যে আরেকটি পথ শুরু হবে, সেটা তো অনন্তকালের পথ। সেই পথের যাত্রী হিসেবে আমার মনের চিন্তাগুলো কী? গানের কথাগুলো খুব ফিল করে লেখা। খুব বিশ্বাস থেকে লেখা। আর সুরটাও খুব প্রশান্তি দেয়।

ঈর্ষা
এই গানটি গাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি অনুরোধ পেয়েছি। প্রেমের তো অনেকগুলো দিক। ঈর্ষা তার মধ্যে একটি। এই জায়গাটা থেকে হয়তো গান কম লেখা হয়েছে। কোনো কারণে এই জায়গাটায় আমার গানটি অন্যতম সেরা হয়ে গেছে। প্রেমের কঠিন রূঢ় একটা বাস্তবতা থাকবেই। প্রেমের সঙ্গে অঙ্গাআঙ্গিভাবে জড়িত। সব পজিটিভের মধ্যে একটা নেগেটিভ ইমোশন দিয়ে ভালো গান।

‘দক্ষিণের জানালা’ গানটিও এর সঙ্গে বলতে চাই। কারণ গানটি আমার বেশ ভালো লাগে। গানটি আমি নিজেও অনেক শুনি ও শুনেছি।

(‘অনন্তকালের পথযাত্রী’ গানটি ছাড়া সব গানের সুর, সংগীত ও গেয়েছেন তাহসান)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত