খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎকারের সময় দিয়েছিলেন অনুপম রায়। ৬টা থেকে হোটেল লবিতে অপেক্ষা। সঙ্গে আজকের পত্রিকার আরও দুই সাংবাদিক নাঈম হক ও তুষার পাল। নির্দিষ্ট সময়ের মিনিট দশেক পরে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে লবিতে এলেন অনুপম রায়। সেখানে আমরা ছাড়া অপেক্ষায় ছিলেন আরও কয়েকজন। অনুপমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা। প্রিয় শিল্পীর জন্য নিয়ে এসেছেন পাঞ্জাবি ও রসগোল্লা। ভক্তদের সঙ্গে মিনিট দশেক কথা বলে, ছবি তুলে ও অটোগ্রাফ দিয়ে ফিরে এলেন অনুপম রায়। বসলেন মুখোমুখি। কয়েক বছর পর শুক্রবার (১০ মার্চ) ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। রাতে শো নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে। সাক্ষাৎকারটি শেষ করেই শোয়ের উদ্দেশে বেরোবেন। হাতে তাই সময় খুব কম।
এবার খুব টাইট শিডিউল, নাকি?
প্রতিবারই তাই হয়।
আপনার নতুন অ্যালবাম ‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’-এর দুটো গান শুনলাম…
সবে রিলিজ করেছে।
ছয় বছরের মাথায় আপনার পঞ্চম অ্যালবাম?
হ্যাঁ।
অ্যালবামের দুটো গান ‘কেমন আছো অ্যানি হল’ ও ‘অবস’ শুনে মনে হয়েছে, কথায়-সুরে এই গানগুলো আরো ব্যক্তিগত, আরো গভীর। আপনার ভাবনা কী রকম ছিল ‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’ অ্যালবামটি করার সময়?
আসলে বহু দিন ধরে সিনেমার কাজ করছি। তারপর সিঙ্গেলের কাজ। আজকাল তো অ্যালবাম তেমন আর হয় না। আমরা আর্টিস্টরা সবাই সিঙ্গেল রিলিজ করি, কারণ মানুষের গোটা অ্যালবাম শোনার ধৈর্য চলে গেছে। তো অনেক গান আমি করেছি বিভিন্ন মিউজিক লেবেলের জন্য। সেখানে একটা বাধ্যবাধকতা থাকে যে, একটু আনন্দের কিংবা মানুষকে একটু এন্টারটেইন করার। এন্টারটেইনমেন্ট ফ্যাক্টরটা খুব ইমপরটেন্ট থাকে আমরা যখন কারো জন্য গান করি। কারণ মানুষ গানবাজনা থেকে এন্টারটেইনমেন্ট চায়। আবার এমন অনেক গান তৈরি হয়, সেখানে কোনো এন্টারটেইনমেন্ট ভ্যালু নেই। বিনোদন দেওয়ার জন্য এই গানগুলো (‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’ অ্যালবামের গান) করিনি আমি। কারণ আমি তো আমার জীবন থেকে, আমার দর্শন থেকে গানগুলো বানাচ্ছি। আমার সব সময় দায়বদ্ধতা থাকে না যে মানুষকে বিনোদন দিতেই হবে। সেই জায়গা থেকে অনেক দিন ধরে মনে হচ্ছিল একটা অ্যালবাম করতে চাই, যেখানে এমন কিছু গান থাকবে, যেগুলো মানুষকে বিনোদন দেবে না। সেই রকম কিছু গান নিয়ে এই অ্যালবাম তৈরি করেছি।
বিনোদন যদি কেউ পেতে চায়, সেটা তাঁর ব্যাপার…
হ্যাঁ, সেটা তাঁর ব্যাপার। কিন্তু আমার কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
[দ্য অনুপম রায় ব্যান্ডের ম্যানেজার রানা সিংহ রায় এগিয়ে এলেন। অনুপমকে জিজ্ঞেস করলেন, কফি বা স্ন্যাকস কিছু চান কি না। অনুপম ‘না’ সূচক জবাব দিলেন। বলে দিলেন, ‘পারলে সঙ্গে করে একটা জলের বোতল নিস।’ রানার সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলাপ শেষ করে আবার সাক্ষাৎকারে ফিরে এলেন অনুপম]
‘অবস’ গানের ভিডিওতে একটা মানুষ দার্জিলিংয়ের নির্জনতার মধ্যে সারাক্ষণ কাউকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। একটা তারবিহীন টেলিফোনে কথা বলছে। এটা কি অনেকটা নিজের সঙ্গে নিজের কথা? নিজেকে খুঁজে ফেরা?
‘অবস’ আসলে আমার এক দশক আগের লেখা গান। যে ছেলেটির সঙ্গে কাজ করেছি, রাতুল, ও গিটার বাজায়, মিউজিক অ্যারেঞ্জ করতে আমাকে সাহায্য করেছে। ওর সঙ্গে বহু দিন ধরে কাজ করার কথা ছিল। এ গানটা পড়েই ছিল। এটা আমার খুব প্রিয় গান। গানটার মূল যে বক্তব্য, যে ফিল, সেটা হচ্ছে—মানুষ জীবনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে। হিউম্যান রিলেশন নিয়ে গান। (একটা মানুষ) তার কোনো অনুভূতি থেকে গানটা গাইছে এবং সে অবস হয়ে পড়ছে। একটা বিষণ্নতা চেপে ধরছে। কী কারণ, ওগুলো তো ইলাবরেটলি গানের মধ্যে নেই। কিন্তু তার অনুভূতিগুলোই গানের মধ্য দিয়ে বেরিয়েছে। সে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কথাই হয়তো বলছে। এখান থেকেই খুব একটা ডার্ক, একটা মেলানকলি সুর তৈরি হয়েছিল। সেটাই রেখেছি ইচ্ছে করে। কারণ আমি জানি, এটার থেকে কেউ খুব একটা এন্টারটেইন হয়তো হবে না।
অ্যালবামের দুটো গান তো বেরিয়ে গেল। শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
প্রতিক্রিয়া খুবই ভালো পাচ্ছি। কারণ আমার বহু ভক্ত আছে, বহু শ্রোতা আছে, যারা শোনে আমার গান। যারা আমার ফিলোসফিতে বিশ্বাস করে। এবং কোনো একটা শিল্প কনজিউম করার সময় তারাও হয়তো বিশ্বাস করে, সব সময় যে বিনোদন পেতে কনজিউম করছে তা নয়। নিজেকে ভাবাতে, নিজের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করছে এবং হয়তো এ গানগুলো সেটাতে সাহায্য করছে।
‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’ অ্যালবামে ৯টি গান থাকছে?
আটটা মনে হয় থাকবে শেষ পর্যন্ত।
গানগুলো কি এক সপ্তাহ পরপর রিলিজ হবে?
হ্যাঁ, দুই সপ্তাহ পর ‘অবস’ বেরিয়েছে। এবার দেখি পরের গানটা কবে রিলিজ করে।
গান তো রেডি হয়ে আছে। তাহলে রিলিজ নিয়ে এত অনিশ্চয়তা কেন?
গান রেডি হয়ে আছে। তবে সমস্যা হলো, আজকাল গান রিলিজ করা খুব ঝামেলার। প্রতি গানের জন্য ভিডিও লাগে। সেগুলো করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং সেটার জন্য অনেকটা এফোর্ট যায়। সেগুলো করছি, দেখি কবে পারি! কমিট করছি না এখনই কিছু।
অ্যালবামের নাম দিয়েছেন ‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’। এই অদৃশ্য নাগরদোলা বলতে কী বুঝিয়েছেন?
আমাদের জীবনের কথাই বলা হচ্ছে। আমরা নিজের অজান্তে কখন চড়ে বসেছি এই জীবনের নাগরদোলায় এবং দুলে চলেছি, ঘুরে চলেছি। যখন আমি নাগরদোলার কথা বলছি, সেটা আমি দেখতে পাই। যখনই তার সামনে একটা ‘অদৃশ্য’ শব্দ বসিয়ে দেওয়া হয়, সেটা যেন চোখের সামনে থেকে মিলিয়ে গেল। কিন্তু আসলে সেটা আছে। আমাদের জীবনে এ রকম বহু কিছু আছে, যেগুলো হয়তো আছে অথচ নেই। কিংবা নেই মনে হচ্ছে, কিন্তু আসলে আছে। এই সাবজেক্টটা নিয়ে বিভিন্ন গান তৈরি হয়েছে।
আরেকটা গান আছে ‘বিচার’ বলে। সব দেশেই বিচারব্যবস্থা আছে। আইন আছে। দেশের অনেক মানুষ সেই আইন সম্বন্ধে জানেই না। জানলেও তারা সেই বিচারব্যবস্থার সুফল জীবনে পায় না। এ রকম ছোট ছোট জিনিস তুলেছি আমি, যেগুলো সমাজে আমরা দেখতে পাই। এবং নিজেরাই বুঝতে পারি না, সেগুলো আছে নাকি নেই! সেই অদৃশ্য নাগরদোলার কথাই অ্যালবামের মধ্যে বলা আছে।
এক যুগের বেশি সময় ধরে আপনার গান শুনছেন দুই বাংলার শ্রোতারা। নিজেদের প্রেম, বিরহ, উদ্যাপন—সবকিছুতে আপনার গানের কাছে একটা আশ্রয় খোঁজেন তাঁরা। নতুন গান তৈরির সময় শ্রোতাদের এই প্রত্যাশা কীভাবে সামলান?
আমি যখন গান বানাচ্ছি, আমি তো জানি না, আমার যে অনুভূতি তার সঙ্গে আরেকজন একাত্ম হবেন কি না। কারো মনে হতেই পারে আমার অনুভূতিটা ফালতু। আমার সঙ্গে তার কোনো যোগই নেই। সেটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। যদি একাত্ম হয়ে যায়, সেটাই বরং অ্যাকসিডেন্ট। সেখান থেকে ডেফিনেটলি একটা প্রেসার তৈরি হয় যে, আগেরবার আমি কানেক্ট করতে পেরেছিলাম, এবার পারছি কি না। ফলে আমার ওই দায়বদ্ধতাটা থাকা উচিত না যে, কে কানেক্ট করতে পারছে আর কে পারছে না। আমি গান করছি। যদি কেউ কানেক্ট করতে পারে করবে, যদি কেউ না পারে করবে না।
এই কানেকশনটা আপনি বলছেন ‘অ্যাকসিডেন্ট’। তবে আপনার গানের সঙ্গে ব্যাপারটা বেশিই ঘটে। এটা চাপ হয়ে যায় কি না?
ডেফিনেটলি। যখন জীবন শুরু করেছিলাম, তখন কোনো প্রেশারই ছিল না। কেউ শোনেইনি আমার গান। এখন অনেক মানুষ শুনেছে, অনেক মানুষের অনেক রকম অনুভূতি তৈরি হয়েছে। তারা তাদের প্রত্যাশা নিয়ে ফিরে ফিরে আসছে।
সমাজের নানা ইতিবাচক-নেতিবাচক ঘটনা, ভ্রমণের অভিজ্ঞতা—সবকিছু আপনাকে নিশ্চয়ই প্রভাবিত করে। আপনার গান কিংবা কবিতা লিখতে ইন্সপায়ারিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে কোন বিষয়গুলো?
একেক দিন একেকটা করে আরকি। একেক সময় একেকটা বিষয় নিয়ে বেশি ভাবিত হই। একেকটা ছবি দেখি বা বই পড়ি, সেটার মধ্যে বেশি ডুবে থাকি। সুতরাং কোনো একটা জিনিস নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল।
[অনুপম যতক্ষণ ছিলেন না, হোটেলের লবি ছিল নির্জন। সেই পিনপতন নীরবতা উধাও তিনি লবিতে আসার পরে। এখানে-ওখানে অনেকে জড়ো হয়েছেন, হয়তো অনুপমের সঙ্গে একটু কথা বা একটা ছবি তোলার ইচ্ছা নিয়ে। লবি এখন গমগম করছে। কথা বলতে ও শুনতে অসুবিধা হচ্ছে। গলার আওয়াজ খানিকটা চড়িয়ে দেন অনুপম রায়]
আমি দীর্ঘদিন বাদে বাংলাদেশে এসেছি এবার, এটা হওয়ার কথা নয়। চার-পাঁচ বছর হয়ে গেছে আমি বাংলাদেশ, ঢাকা, চট্টগ্রামে আসতে পারিনি। এটার থেকে একটা ভ্যাকুয়াম তৈরি হয়েছে। দেশভ্রমণ বা নতুন জায়গা দেখা বা নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলার অদ্ভুত খিদে আমার আছে। একটা পিপাসা আছে। এখন এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সেটা আমাকে অনেক বেশি তাড়িত করছে। এই যে এসেছি, এটা আমার খুব ভালো লাগছে, এত দিন বাদে আমি ঢাকা শহরে এলাম। এয়ারপোর্টের রোডটা বেশি পাল্টে গেছে। সেটার খবর আমার কাছে ছিল না। রাস্তায় তো কনস্ট্রাকশনে দেখলাম ভরে গেছে। বলুন আর কী জানতে চান…
সোশ্যাল মিডিয়ায় তো আমরা নানা রকম কনটেন্ট দেখছি এখন। প্রচুর গান, রিলস, ভিডিও। মানুষকে হঠাৎ করে অনেক রকম কনটেন্টের মধ্যে ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। এত কিছুর ভিড়ে ভালো গান কিংবা যে কোনো ভালো কনটেন্টের প্রতি মুগ্ধতা কীভাবে বজায় থাকবে?
আসলে দিনের শেষে মানুষের যেটা ভালো লাগবে, সে সেটাই করবে। তার হাতে এখন কন্ট্রোল। আগে যে রকম ছিল, গানের ক্ষেত্রে যদি বলি, রেডিওতে যে গান বাজানো হবে, তাই-ই মানুষকে শুনতে হবে। বাড়িতে যে গ্রামোফোন রেকর্ড কেনা হবে, সে রেকর্ডই বাজবে। এর বাইরে অন্য গান সে শুনতে পাবে না। এখন মানুষের হাতে এত অপশন! ফলে তার সিনেমা দেখার ধরন, গান শোনার ধরন সব পাল্টে গেছে। আগে সিনেমা দেখতে গেলে প্রেক্ষাগৃহে যেতে হতো এবং সিনেমা হলের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। এখন মানুষ মোবাইল ফোনে দেখে। যদি কোনো সিন ভালো না লাগে স্ক্রল করে যায়, ফার্স্ট ফরোয়ার্ড করে দেয়।
সুতরাং দেখার অভ্যাস পাল্টে গেছে। গান শোনার অভ্যাস পাল্টে গেছে। আগে ক্যাসেটে যেটা হতো, খারাপ লাগলেও গানটা শুনতে হতো, তারপর পরের গানে যেতে হতো। এখন কুড়ি সেকেন্ডের মধ্যে পাল্টে দেওয়া যায়। সুতরাং আমরা যারা শিল্প তৈরি করার চেষ্টা করি, আমাদের জন্য এটা সমস্যার। কারণ মানুষের হাতে এত পাওয়ার চলে গেছে! যার ফলে আমরা কোনো একটা ভুল পদক্ষেপ নিতে পারি না। আমাদের প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপ ঠিক হতে হবে, না হলে মানুষ আমাদের গানও পাল্টে দেবে।
আপনি বললেন মানুষের দেখার ধরন পাল্টে গেছে। বড় কনটেন্ট দেখার বা শোনার ধৈর্য কমে যাচ্ছে। তো এখন যে দৈর্ঘ্যের গান তৈরি হচ্ছে, ভবিষ্যতে সেটা আরো ছোট হয়ে যেতে পারে কি?
হতে পারে। ভবিষ্যতে কী লেখা আছে আমরা জানি না। এগুলো সবই বিনোদন এবং আনন্দ পাওয়ার জিনিস হয়ে যাচ্ছে। তাতে যদি বিনোদন পায় সে পাবে। সে ওইটাই শুনবে। কিন্তু ক্রিয়েটর হিসেবে আমাকে অতটা ভাবলে চলবে না। আমি যখন কোনো গান বানাচ্ছি, আমি তো অনুভূতিকে কথায়-সুরে প্রকাশ করছি। সেইটা যেন কোনোভাবে ব্যাহত না হয়। এবার গান তিন মিনিটের হলো, নাকি সাত মিনিটের হলো, আমি তো জানি না। কারণ আমার লেখা যত হবে, গানটার লেন্থ তা-ই হবে। তারপর মানুষ কী করবে, সেটা মানুষের হাতে।
এই যে নানা সময়ে হুটহাট এক-দুটো গান উড়ে আসে। যেটা হয়তো এক-দুই সপ্তাহ ধরে মানুষ শোনে। সেটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক চলতে থাকে। তারপর সেগুলো অতি দ্রুত হারিয়েও যায়। এই ‘ভাইরাল’ বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?
শিল্পীরাও চায় যে ভাইরাল হোক। নিজেরাই গান বানিয়ে নিজেরাই হ্যাশট্যাগ ভাইরাল লিখে পোস্ট করে। ভাইরাল হওয়া মানে কী? খুব জনপ্রিয় হওয়া। মানুষ জনপ্রিয়তা পছন্দ করে। কারণ জনপ্রিয় হওয়ার অনেক সুবিধা আছে। একটা অদ্ভুত আনন্দ দেয় যে, এত মানুষ ভালো বলছে। তবে শিল্পের খাতিরে যে গান বানাচ্ছি, সব গান ভাইরাল হওয়ার জন্য নয়, সব শিল্প ভাইরাল হওয়ার নয়। কিছু হবে, কিছু হবে না। এবং মেজরিটিই হবে না। তার মানে যে সেগুলো ফেলনা, তা নয়। সেগুলো কোনো মানুষকে কোন সময়ে কী দিয়েছে, সেটা কেউ বুঝে উঠতে পারে না। আমি বলতেই পারি, আমার অনেক প্রিয় শিল্পীর গান যেগুলো অতটা জনপ্রিয় না, কিন্তু আমার কোনো জ্বরের সময় হয়তো সেগুলো শুনেছি এবং সেই গানের মধ্যে ডুবে গিয়েছি। এমন হয়েছে, আমার সারা দিন ভালো যায়নি, তারপর কোনো উপন্যাস পড়েছি। সেই উপন্যাসের মধ্যে এমন ডুবে গেছি, ওই লেখার মধ্যে আমি একটা আলাদা জগৎ, আলাদা জীবন খুঁজে পেয়েছি। সেগুলোর মূল্য কী? সেগুলোকে তো ভাইরাল বা এসব দিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না। সেগুলো তো আমার জীবনে ঘটেছে। যে শিল্পের মধ্য দিয়ে এটা ঘটেছে, সেই শিল্প তো আমার কাছে অত্যন্ত কাছের। এবং সেটা আজকে দশটা লোক খারাপ বললেও আমার কাছে ভালো লাগার জায়গাতেই থাকবে। সুতরাং আমি অত চিন্তিত নই ভাইরাল নিয়ে। কারণ এর কোনো শেষ নেই। এটা একটা অসম্ভব রাক্ষুসে খিদের মতো ব্যাপার। এ কোনো দিন মেটানো যাবে না।
[হোটেলের বাইরে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। অনুপমের ব্যান্ডের সবাই গাড়িতে উঠে পড়েছেন। অনুপম এলেই গাড়ি ছুটবে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের দিকে। সেখানে রাতে পারফর্ম করবে অনুপমের ব্যান্ড। ম্যানেজার রানা এসে নিচু স্বরে অনুপমকে বললেন, ‘আর পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা রওনা দেব।’ অর্থাৎ আলাপ শেষ করতে হবে। একটু হালকা চালেই তাই শেষ প্রশ্নটা করা হলো]
বসন্ত এলেই চারদিকে আপনার ‘বসন্ত এসে গেছে’ গানটি বাজতে শোনা যায়। আপনার বসন্ত কেমন কাটছে এবার?
বসন্ত ভালো শুরু হয়েছে, তার কারণ আমি বাংলাদেশে আসতে পেরেছি। এর আগে প্রতি বছর বা প্রতি তিন মাস অন্তর একবার করে রিকোয়েস্ট আসত, তারপর সেই অনুষ্ঠান হতো না। ফাইনালি এই যে অনুষ্ঠানটি হচ্ছে, স্টেজে গেলে বুঝতে পারব হচ্ছে কি না, সেটার জন্য আমি খুবই আনন্দিত। এটা আমার খুব পছন্দের জায়গা, পছন্দের শহর, পছন্দের মানুষজন। ইচ্ছে করে এখানে এসে অনেক দিন থাকি। সব সময় হয়ে ওঠে না। এইভাবে দেখতে গেলে বসন্ত আমার ভালোই শুরু হয়েছে।
[আমাদের বিদায় দিয়ে, আরো কয়েকটি সেলফির আবদার মিটিয়ে, হোটেলের সামনে রাখা গাড়িতে গিয়ে বসলেন অনুপম রায়। যাওয়ার আগে বললেন, সকালেই ফিরতে হবে। এবার তো বেশি সময় পাওয়া গেল না। পরেরবার এসে ঘোরাঘুরিটা আরেকটু জমিয়ে হবে।]

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎকারের সময় দিয়েছিলেন অনুপম রায়। ৬টা থেকে হোটেল লবিতে অপেক্ষা। সঙ্গে আজকের পত্রিকার আরও দুই সাংবাদিক নাঈম হক ও তুষার পাল। নির্দিষ্ট সময়ের মিনিট দশেক পরে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে লবিতে এলেন অনুপম রায়। সেখানে আমরা ছাড়া অপেক্ষায় ছিলেন আরও কয়েকজন। অনুপমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা। প্রিয় শিল্পীর জন্য নিয়ে এসেছেন পাঞ্জাবি ও রসগোল্লা। ভক্তদের সঙ্গে মিনিট দশেক কথা বলে, ছবি তুলে ও অটোগ্রাফ দিয়ে ফিরে এলেন অনুপম রায়। বসলেন মুখোমুখি। কয়েক বছর পর শুক্রবার (১০ মার্চ) ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। রাতে শো নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে। সাক্ষাৎকারটি শেষ করেই শোয়ের উদ্দেশে বেরোবেন। হাতে তাই সময় খুব কম।
এবার খুব টাইট শিডিউল, নাকি?
প্রতিবারই তাই হয়।
আপনার নতুন অ্যালবাম ‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’-এর দুটো গান শুনলাম…
সবে রিলিজ করেছে।
ছয় বছরের মাথায় আপনার পঞ্চম অ্যালবাম?
হ্যাঁ।
অ্যালবামের দুটো গান ‘কেমন আছো অ্যানি হল’ ও ‘অবস’ শুনে মনে হয়েছে, কথায়-সুরে এই গানগুলো আরো ব্যক্তিগত, আরো গভীর। আপনার ভাবনা কী রকম ছিল ‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’ অ্যালবামটি করার সময়?
আসলে বহু দিন ধরে সিনেমার কাজ করছি। তারপর সিঙ্গেলের কাজ। আজকাল তো অ্যালবাম তেমন আর হয় না। আমরা আর্টিস্টরা সবাই সিঙ্গেল রিলিজ করি, কারণ মানুষের গোটা অ্যালবাম শোনার ধৈর্য চলে গেছে। তো অনেক গান আমি করেছি বিভিন্ন মিউজিক লেবেলের জন্য। সেখানে একটা বাধ্যবাধকতা থাকে যে, একটু আনন্দের কিংবা মানুষকে একটু এন্টারটেইন করার। এন্টারটেইনমেন্ট ফ্যাক্টরটা খুব ইমপরটেন্ট থাকে আমরা যখন কারো জন্য গান করি। কারণ মানুষ গানবাজনা থেকে এন্টারটেইনমেন্ট চায়। আবার এমন অনেক গান তৈরি হয়, সেখানে কোনো এন্টারটেইনমেন্ট ভ্যালু নেই। বিনোদন দেওয়ার জন্য এই গানগুলো (‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’ অ্যালবামের গান) করিনি আমি। কারণ আমি তো আমার জীবন থেকে, আমার দর্শন থেকে গানগুলো বানাচ্ছি। আমার সব সময় দায়বদ্ধতা থাকে না যে মানুষকে বিনোদন দিতেই হবে। সেই জায়গা থেকে অনেক দিন ধরে মনে হচ্ছিল একটা অ্যালবাম করতে চাই, যেখানে এমন কিছু গান থাকবে, যেগুলো মানুষকে বিনোদন দেবে না। সেই রকম কিছু গান নিয়ে এই অ্যালবাম তৈরি করেছি।
বিনোদন যদি কেউ পেতে চায়, সেটা তাঁর ব্যাপার…
হ্যাঁ, সেটা তাঁর ব্যাপার। কিন্তু আমার কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
[দ্য অনুপম রায় ব্যান্ডের ম্যানেজার রানা সিংহ রায় এগিয়ে এলেন। অনুপমকে জিজ্ঞেস করলেন, কফি বা স্ন্যাকস কিছু চান কি না। অনুপম ‘না’ সূচক জবাব দিলেন। বলে দিলেন, ‘পারলে সঙ্গে করে একটা জলের বোতল নিস।’ রানার সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলাপ শেষ করে আবার সাক্ষাৎকারে ফিরে এলেন অনুপম]
‘অবস’ গানের ভিডিওতে একটা মানুষ দার্জিলিংয়ের নির্জনতার মধ্যে সারাক্ষণ কাউকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। একটা তারবিহীন টেলিফোনে কথা বলছে। এটা কি অনেকটা নিজের সঙ্গে নিজের কথা? নিজেকে খুঁজে ফেরা?
‘অবস’ আসলে আমার এক দশক আগের লেখা গান। যে ছেলেটির সঙ্গে কাজ করেছি, রাতুল, ও গিটার বাজায়, মিউজিক অ্যারেঞ্জ করতে আমাকে সাহায্য করেছে। ওর সঙ্গে বহু দিন ধরে কাজ করার কথা ছিল। এ গানটা পড়েই ছিল। এটা আমার খুব প্রিয় গান। গানটার মূল যে বক্তব্য, যে ফিল, সেটা হচ্ছে—মানুষ জীবনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে। হিউম্যান রিলেশন নিয়ে গান। (একটা মানুষ) তার কোনো অনুভূতি থেকে গানটা গাইছে এবং সে অবস হয়ে পড়ছে। একটা বিষণ্নতা চেপে ধরছে। কী কারণ, ওগুলো তো ইলাবরেটলি গানের মধ্যে নেই। কিন্তু তার অনুভূতিগুলোই গানের মধ্য দিয়ে বেরিয়েছে। সে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কথাই হয়তো বলছে। এখান থেকেই খুব একটা ডার্ক, একটা মেলানকলি সুর তৈরি হয়েছিল। সেটাই রেখেছি ইচ্ছে করে। কারণ আমি জানি, এটার থেকে কেউ খুব একটা এন্টারটেইন হয়তো হবে না।
অ্যালবামের দুটো গান তো বেরিয়ে গেল। শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
প্রতিক্রিয়া খুবই ভালো পাচ্ছি। কারণ আমার বহু ভক্ত আছে, বহু শ্রোতা আছে, যারা শোনে আমার গান। যারা আমার ফিলোসফিতে বিশ্বাস করে। এবং কোনো একটা শিল্প কনজিউম করার সময় তারাও হয়তো বিশ্বাস করে, সব সময় যে বিনোদন পেতে কনজিউম করছে তা নয়। নিজেকে ভাবাতে, নিজের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করছে এবং হয়তো এ গানগুলো সেটাতে সাহায্য করছে।
‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’ অ্যালবামে ৯টি গান থাকছে?
আটটা মনে হয় থাকবে শেষ পর্যন্ত।
গানগুলো কি এক সপ্তাহ পরপর রিলিজ হবে?
হ্যাঁ, দুই সপ্তাহ পর ‘অবস’ বেরিয়েছে। এবার দেখি পরের গানটা কবে রিলিজ করে।
গান তো রেডি হয়ে আছে। তাহলে রিলিজ নিয়ে এত অনিশ্চয়তা কেন?
গান রেডি হয়ে আছে। তবে সমস্যা হলো, আজকাল গান রিলিজ করা খুব ঝামেলার। প্রতি গানের জন্য ভিডিও লাগে। সেগুলো করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং সেটার জন্য অনেকটা এফোর্ট যায়। সেগুলো করছি, দেখি কবে পারি! কমিট করছি না এখনই কিছু।
অ্যালবামের নাম দিয়েছেন ‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’। এই অদৃশ্য নাগরদোলা বলতে কী বুঝিয়েছেন?
আমাদের জীবনের কথাই বলা হচ্ছে। আমরা নিজের অজান্তে কখন চড়ে বসেছি এই জীবনের নাগরদোলায় এবং দুলে চলেছি, ঘুরে চলেছি। যখন আমি নাগরদোলার কথা বলছি, সেটা আমি দেখতে পাই। যখনই তার সামনে একটা ‘অদৃশ্য’ শব্দ বসিয়ে দেওয়া হয়, সেটা যেন চোখের সামনে থেকে মিলিয়ে গেল। কিন্তু আসলে সেটা আছে। আমাদের জীবনে এ রকম বহু কিছু আছে, যেগুলো হয়তো আছে অথচ নেই। কিংবা নেই মনে হচ্ছে, কিন্তু আসলে আছে। এই সাবজেক্টটা নিয়ে বিভিন্ন গান তৈরি হয়েছে।
আরেকটা গান আছে ‘বিচার’ বলে। সব দেশেই বিচারব্যবস্থা আছে। আইন আছে। দেশের অনেক মানুষ সেই আইন সম্বন্ধে জানেই না। জানলেও তারা সেই বিচারব্যবস্থার সুফল জীবনে পায় না। এ রকম ছোট ছোট জিনিস তুলেছি আমি, যেগুলো সমাজে আমরা দেখতে পাই। এবং নিজেরাই বুঝতে পারি না, সেগুলো আছে নাকি নেই! সেই অদৃশ্য নাগরদোলার কথাই অ্যালবামের মধ্যে বলা আছে।
এক যুগের বেশি সময় ধরে আপনার গান শুনছেন দুই বাংলার শ্রোতারা। নিজেদের প্রেম, বিরহ, উদ্যাপন—সবকিছুতে আপনার গানের কাছে একটা আশ্রয় খোঁজেন তাঁরা। নতুন গান তৈরির সময় শ্রোতাদের এই প্রত্যাশা কীভাবে সামলান?
আমি যখন গান বানাচ্ছি, আমি তো জানি না, আমার যে অনুভূতি তার সঙ্গে আরেকজন একাত্ম হবেন কি না। কারো মনে হতেই পারে আমার অনুভূতিটা ফালতু। আমার সঙ্গে তার কোনো যোগই নেই। সেটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। যদি একাত্ম হয়ে যায়, সেটাই বরং অ্যাকসিডেন্ট। সেখান থেকে ডেফিনেটলি একটা প্রেসার তৈরি হয় যে, আগেরবার আমি কানেক্ট করতে পেরেছিলাম, এবার পারছি কি না। ফলে আমার ওই দায়বদ্ধতাটা থাকা উচিত না যে, কে কানেক্ট করতে পারছে আর কে পারছে না। আমি গান করছি। যদি কেউ কানেক্ট করতে পারে করবে, যদি কেউ না পারে করবে না।
এই কানেকশনটা আপনি বলছেন ‘অ্যাকসিডেন্ট’। তবে আপনার গানের সঙ্গে ব্যাপারটা বেশিই ঘটে। এটা চাপ হয়ে যায় কি না?
ডেফিনেটলি। যখন জীবন শুরু করেছিলাম, তখন কোনো প্রেশারই ছিল না। কেউ শোনেইনি আমার গান। এখন অনেক মানুষ শুনেছে, অনেক মানুষের অনেক রকম অনুভূতি তৈরি হয়েছে। তারা তাদের প্রত্যাশা নিয়ে ফিরে ফিরে আসছে।
সমাজের নানা ইতিবাচক-নেতিবাচক ঘটনা, ভ্রমণের অভিজ্ঞতা—সবকিছু আপনাকে নিশ্চয়ই প্রভাবিত করে। আপনার গান কিংবা কবিতা লিখতে ইন্সপায়ারিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে কোন বিষয়গুলো?
একেক দিন একেকটা করে আরকি। একেক সময় একেকটা বিষয় নিয়ে বেশি ভাবিত হই। একেকটা ছবি দেখি বা বই পড়ি, সেটার মধ্যে বেশি ডুবে থাকি। সুতরাং কোনো একটা জিনিস নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল।
[অনুপম যতক্ষণ ছিলেন না, হোটেলের লবি ছিল নির্জন। সেই পিনপতন নীরবতা উধাও তিনি লবিতে আসার পরে। এখানে-ওখানে অনেকে জড়ো হয়েছেন, হয়তো অনুপমের সঙ্গে একটু কথা বা একটা ছবি তোলার ইচ্ছা নিয়ে। লবি এখন গমগম করছে। কথা বলতে ও শুনতে অসুবিধা হচ্ছে। গলার আওয়াজ খানিকটা চড়িয়ে দেন অনুপম রায়]
আমি দীর্ঘদিন বাদে বাংলাদেশে এসেছি এবার, এটা হওয়ার কথা নয়। চার-পাঁচ বছর হয়ে গেছে আমি বাংলাদেশ, ঢাকা, চট্টগ্রামে আসতে পারিনি। এটার থেকে একটা ভ্যাকুয়াম তৈরি হয়েছে। দেশভ্রমণ বা নতুন জায়গা দেখা বা নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলার অদ্ভুত খিদে আমার আছে। একটা পিপাসা আছে। এখন এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সেটা আমাকে অনেক বেশি তাড়িত করছে। এই যে এসেছি, এটা আমার খুব ভালো লাগছে, এত দিন বাদে আমি ঢাকা শহরে এলাম। এয়ারপোর্টের রোডটা বেশি পাল্টে গেছে। সেটার খবর আমার কাছে ছিল না। রাস্তায় তো কনস্ট্রাকশনে দেখলাম ভরে গেছে। বলুন আর কী জানতে চান…
সোশ্যাল মিডিয়ায় তো আমরা নানা রকম কনটেন্ট দেখছি এখন। প্রচুর গান, রিলস, ভিডিও। মানুষকে হঠাৎ করে অনেক রকম কনটেন্টের মধ্যে ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। এত কিছুর ভিড়ে ভালো গান কিংবা যে কোনো ভালো কনটেন্টের প্রতি মুগ্ধতা কীভাবে বজায় থাকবে?
আসলে দিনের শেষে মানুষের যেটা ভালো লাগবে, সে সেটাই করবে। তার হাতে এখন কন্ট্রোল। আগে যে রকম ছিল, গানের ক্ষেত্রে যদি বলি, রেডিওতে যে গান বাজানো হবে, তাই-ই মানুষকে শুনতে হবে। বাড়িতে যে গ্রামোফোন রেকর্ড কেনা হবে, সে রেকর্ডই বাজবে। এর বাইরে অন্য গান সে শুনতে পাবে না। এখন মানুষের হাতে এত অপশন! ফলে তার সিনেমা দেখার ধরন, গান শোনার ধরন সব পাল্টে গেছে। আগে সিনেমা দেখতে গেলে প্রেক্ষাগৃহে যেতে হতো এবং সিনেমা হলের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। এখন মানুষ মোবাইল ফোনে দেখে। যদি কোনো সিন ভালো না লাগে স্ক্রল করে যায়, ফার্স্ট ফরোয়ার্ড করে দেয়।
সুতরাং দেখার অভ্যাস পাল্টে গেছে। গান শোনার অভ্যাস পাল্টে গেছে। আগে ক্যাসেটে যেটা হতো, খারাপ লাগলেও গানটা শুনতে হতো, তারপর পরের গানে যেতে হতো। এখন কুড়ি সেকেন্ডের মধ্যে পাল্টে দেওয়া যায়। সুতরাং আমরা যারা শিল্প তৈরি করার চেষ্টা করি, আমাদের জন্য এটা সমস্যার। কারণ মানুষের হাতে এত পাওয়ার চলে গেছে! যার ফলে আমরা কোনো একটা ভুল পদক্ষেপ নিতে পারি না। আমাদের প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপ ঠিক হতে হবে, না হলে মানুষ আমাদের গানও পাল্টে দেবে।
আপনি বললেন মানুষের দেখার ধরন পাল্টে গেছে। বড় কনটেন্ট দেখার বা শোনার ধৈর্য কমে যাচ্ছে। তো এখন যে দৈর্ঘ্যের গান তৈরি হচ্ছে, ভবিষ্যতে সেটা আরো ছোট হয়ে যেতে পারে কি?
হতে পারে। ভবিষ্যতে কী লেখা আছে আমরা জানি না। এগুলো সবই বিনোদন এবং আনন্দ পাওয়ার জিনিস হয়ে যাচ্ছে। তাতে যদি বিনোদন পায় সে পাবে। সে ওইটাই শুনবে। কিন্তু ক্রিয়েটর হিসেবে আমাকে অতটা ভাবলে চলবে না। আমি যখন কোনো গান বানাচ্ছি, আমি তো অনুভূতিকে কথায়-সুরে প্রকাশ করছি। সেইটা যেন কোনোভাবে ব্যাহত না হয়। এবার গান তিন মিনিটের হলো, নাকি সাত মিনিটের হলো, আমি তো জানি না। কারণ আমার লেখা যত হবে, গানটার লেন্থ তা-ই হবে। তারপর মানুষ কী করবে, সেটা মানুষের হাতে।
এই যে নানা সময়ে হুটহাট এক-দুটো গান উড়ে আসে। যেটা হয়তো এক-দুই সপ্তাহ ধরে মানুষ শোনে। সেটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক চলতে থাকে। তারপর সেগুলো অতি দ্রুত হারিয়েও যায়। এই ‘ভাইরাল’ বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?
শিল্পীরাও চায় যে ভাইরাল হোক। নিজেরাই গান বানিয়ে নিজেরাই হ্যাশট্যাগ ভাইরাল লিখে পোস্ট করে। ভাইরাল হওয়া মানে কী? খুব জনপ্রিয় হওয়া। মানুষ জনপ্রিয়তা পছন্দ করে। কারণ জনপ্রিয় হওয়ার অনেক সুবিধা আছে। একটা অদ্ভুত আনন্দ দেয় যে, এত মানুষ ভালো বলছে। তবে শিল্পের খাতিরে যে গান বানাচ্ছি, সব গান ভাইরাল হওয়ার জন্য নয়, সব শিল্প ভাইরাল হওয়ার নয়। কিছু হবে, কিছু হবে না। এবং মেজরিটিই হবে না। তার মানে যে সেগুলো ফেলনা, তা নয়। সেগুলো কোনো মানুষকে কোন সময়ে কী দিয়েছে, সেটা কেউ বুঝে উঠতে পারে না। আমি বলতেই পারি, আমার অনেক প্রিয় শিল্পীর গান যেগুলো অতটা জনপ্রিয় না, কিন্তু আমার কোনো জ্বরের সময় হয়তো সেগুলো শুনেছি এবং সেই গানের মধ্যে ডুবে গিয়েছি। এমন হয়েছে, আমার সারা দিন ভালো যায়নি, তারপর কোনো উপন্যাস পড়েছি। সেই উপন্যাসের মধ্যে এমন ডুবে গেছি, ওই লেখার মধ্যে আমি একটা আলাদা জগৎ, আলাদা জীবন খুঁজে পেয়েছি। সেগুলোর মূল্য কী? সেগুলোকে তো ভাইরাল বা এসব দিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না। সেগুলো তো আমার জীবনে ঘটেছে। যে শিল্পের মধ্য দিয়ে এটা ঘটেছে, সেই শিল্প তো আমার কাছে অত্যন্ত কাছের। এবং সেটা আজকে দশটা লোক খারাপ বললেও আমার কাছে ভালো লাগার জায়গাতেই থাকবে। সুতরাং আমি অত চিন্তিত নই ভাইরাল নিয়ে। কারণ এর কোনো শেষ নেই। এটা একটা অসম্ভব রাক্ষুসে খিদের মতো ব্যাপার। এ কোনো দিন মেটানো যাবে না।
[হোটেলের বাইরে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। অনুপমের ব্যান্ডের সবাই গাড়িতে উঠে পড়েছেন। অনুপম এলেই গাড়ি ছুটবে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের দিকে। সেখানে রাতে পারফর্ম করবে অনুপমের ব্যান্ড। ম্যানেজার রানা এসে নিচু স্বরে অনুপমকে বললেন, ‘আর পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা রওনা দেব।’ অর্থাৎ আলাপ শেষ করতে হবে। একটু হালকা চালেই তাই শেষ প্রশ্নটা করা হলো]
বসন্ত এলেই চারদিকে আপনার ‘বসন্ত এসে গেছে’ গানটি বাজতে শোনা যায়। আপনার বসন্ত কেমন কাটছে এবার?
বসন্ত ভালো শুরু হয়েছে, তার কারণ আমি বাংলাদেশে আসতে পেরেছি। এর আগে প্রতি বছর বা প্রতি তিন মাস অন্তর একবার করে রিকোয়েস্ট আসত, তারপর সেই অনুষ্ঠান হতো না। ফাইনালি এই যে অনুষ্ঠানটি হচ্ছে, স্টেজে গেলে বুঝতে পারব হচ্ছে কি না, সেটার জন্য আমি খুবই আনন্দিত। এটা আমার খুব পছন্দের জায়গা, পছন্দের শহর, পছন্দের মানুষজন। ইচ্ছে করে এখানে এসে অনেক দিন থাকি। সব সময় হয়ে ওঠে না। এইভাবে দেখতে গেলে বসন্ত আমার ভালোই শুরু হয়েছে।
[আমাদের বিদায় দিয়ে, আরো কয়েকটি সেলফির আবদার মিটিয়ে, হোটেলের সামনে রাখা গাড়িতে গিয়ে বসলেন অনুপম রায়। যাওয়ার আগে বললেন, সকালেই ফিরতে হবে। এবার তো বেশি সময় পাওয়া গেল না। পরেরবার এসে ঘোরাঘুরিটা আরেকটু জমিয়ে হবে।]

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
১০ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
১১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান। গানের শিরোনাম ‘এই ব্যথা’।
‘এই ব্যথা কি তোমার অনুগত/ চাইলেই রোদে এসে পেতে দেয় গা/ এই ব্যথা কি দিনান্তে কোনো হাওয়া/ স্বপ্নের মতো সারা রাত্রি জেগে থাকা’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন মাহি ফ্লোরা। সুর করেছেন এহসান রাহি, সংগীতায়োজনে আমজাদ হোসেন। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শুভব্রত সরকার। ১৮ ডিসেম্বর ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে এই ব্যথা শিরোনামের গানের ভিডিও। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে দেশি ও আন্তর্জাতিক মিউজিক প্ল্যাটফর্মগুলোয়।
এই ব্যথা গানটি প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘অনেক দিন পর আয়োজন করে একটা গান করা হলো। আমি আনন্দিত। এই টিমে যারা কাজ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ট্যালেন্টেড। সবাই তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন এই গানে। আরও আনন্দের ব্যাপার হলো, আমার বড় কন্যার জন্মদিনে গানটির প্রকাশ আমাকে মুগ্ধতার অন্য জগতে নিয়ে গেছে। গানটির ভিডিও নিয়ে একটু বলতে চাই, এই ধরনের মিউজিক ভিডিও আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। দেশের মিউজিক ভিডিওর অঙ্গনে এই ভিডিও ভিন্নমাত্রা এনে দেবে বলে বিশ্বাস করি।’
ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কর্ণধার ধ্রুব গুহ বলেন, ‘বাপ্পাদার এই ব্যথা গানটি প্রকাশ করতে পেরে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন আনন্দিত। আমি আশা করছি, গানটি শ্রোতাদের অনেক ভালো লাগবে।’
সম্প্রতি ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কার্যালয়ে গানটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। নতুন গান প্রকাশ উপলক্ষে বাপ্পা মজুমদারকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার তরুণ মুন্সী, কণ্ঠশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ, লুৎফর হাসান, কিশোর দাসসহ সংগীতাঙ্গনের অনেকে।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান। গানের শিরোনাম ‘এই ব্যথা’।
‘এই ব্যথা কি তোমার অনুগত/ চাইলেই রোদে এসে পেতে দেয় গা/ এই ব্যথা কি দিনান্তে কোনো হাওয়া/ স্বপ্নের মতো সারা রাত্রি জেগে থাকা’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন মাহি ফ্লোরা। সুর করেছেন এহসান রাহি, সংগীতায়োজনে আমজাদ হোসেন। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শুভব্রত সরকার। ১৮ ডিসেম্বর ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে এই ব্যথা শিরোনামের গানের ভিডিও। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে দেশি ও আন্তর্জাতিক মিউজিক প্ল্যাটফর্মগুলোয়।
এই ব্যথা গানটি প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘অনেক দিন পর আয়োজন করে একটা গান করা হলো। আমি আনন্দিত। এই টিমে যারা কাজ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ট্যালেন্টেড। সবাই তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন এই গানে। আরও আনন্দের ব্যাপার হলো, আমার বড় কন্যার জন্মদিনে গানটির প্রকাশ আমাকে মুগ্ধতার অন্য জগতে নিয়ে গেছে। গানটির ভিডিও নিয়ে একটু বলতে চাই, এই ধরনের মিউজিক ভিডিও আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। দেশের মিউজিক ভিডিওর অঙ্গনে এই ভিডিও ভিন্নমাত্রা এনে দেবে বলে বিশ্বাস করি।’
ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কর্ণধার ধ্রুব গুহ বলেন, ‘বাপ্পাদার এই ব্যথা গানটি প্রকাশ করতে পেরে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন আনন্দিত। আমি আশা করছি, গানটি শ্রোতাদের অনেক ভালো লাগবে।’
সম্প্রতি ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কার্যালয়ে গানটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। নতুন গান প্রকাশ উপলক্ষে বাপ্পা মজুমদারকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার তরুণ মুন্সী, কণ্ঠশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ, লুৎফর হাসান, কিশোর দাসসহ সংগীতাঙ্গনের অনেকে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎকারের সময় দিয়েছিলেন অনুপম রায়। ৬টা থেকে হোটেল লবিতে অপেক্ষা। সঙ্গে আজকের পত্রিকার আরও দুই সাংবাদিক নাঈম হক ও তুষার পাল। নির্দিষ্ট সময়ের মিনিট দশেক পরে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে লবিতে এলেন অনুপম রায়। সেখানে আমরা ছাড়া অপেক্ষায় ছিলেন আরও কয়েকজন। অনুপমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা
১২ মার্চ ২০২৩
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
১১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
হাদি ও তাঁর শিশুপুত্রের একটি ছবি শেয়ার করে ঢাকাই সিনেমার নায়ক সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’
অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক লিখেছেন একাধিক পোস্ট। একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নামটা মনে রেখো, শহীদ-বীর শরিফ ওসমান হাদি।’ অন্য একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘সে কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিল না, কারও হক আত্মসাৎ করেনি, সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় করেনি। তবুও-সামান্য কথার দায়ে, একটা জীবন এভাবে শেষ হতে পারে?’ ভিন্ন একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনায় আসবে অগ্নিসংযোগ, কিন্তু আসার কথা ছিল হাদির কথা, তাঁর বীরত্বের কথা, খুনের বিচারের কথা। এ দেশে মানুষ মরলে, শোকও নিরাপদ থাকে না। সবকিছুই ঢেকে ফেলা হয় আগুনে, ভাঙচুরে, রাজনীতিতে। এখানে রক্তের রংও রাজনৈতিক। বরাবরই এখানে বিপ্লব বেদখল হয়। বরাবরই আমরা এখানে অসহায়।’
নির্মাতা অনন্য মামুন লিখেছেন, ‘মৃত্যুও পবিত্র সুন্দর হতে পারে, শহীদ হাদিকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।’
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ওসমান হাদির একটি ছবি প্রকাশ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান বিন হাদি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে থাকবেন।’
মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল হাদির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, ‘এটা সত্যিই খুব কষ্টের আর একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো না। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন, আর তাঁর শোকাহত পরিবারকে, বিশেষ করে তাঁর ছোট্ট বাচ্চাকে ধৈর্য, শক্তি আর সান্ত্বনা দেন।’ গণমাধ্যম কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শোক জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এটি আমার হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে। আগুন ভবন ধ্বংস করতে পারে, সাহস নয়।’
সংগীতশিল্পীদের অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রাজনৈতিক সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে অর্ণব লিখেছেন, ‘আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে এবং ভোট দিতে হবে... নয়তো সংগীতশিল্পীরা বিপদে পড়ব। দেখুন ছায়ানটের সাথে কী করেছে! আমাদের পাল্টা লড়াইয়ের একমাত্র উপায় ভোট দেওয়া এবং অন্যদের ভোট দিতে উৎসাহিত করা।’
অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান লিখেছেন, ‘ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তাঁর পরিবার, তাঁর ছোট্ট বাবুটা এই শোক কাটিয়ে উঠুক। রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক হে দয়াময়।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লিখেছেন, ‘ওসমান হাদি, শান্তিতে ঘুমান। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দান করুন এবং আপনার পরিবার ও সন্তানকে শক্তি দিন। তারা হয়তো আপনাকে হত্যা করেছে কিন্তু আপনার শুরু করা লড়াই তারা থামাতে পারবে না।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুর প্রতিবাদের ভাষা ভাঙচুর, নৈরাজ্য হতে পারে না। এই মুহূর্তে সবার এক থাকা প্রয়োজন। দেশে বিশৃঙ্খলা যারা করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে দেশের সম্পদের আর ভবিষ্যতের বারোটা বাজায়েন না!’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
হাদি ও তাঁর শিশুপুত্রের একটি ছবি শেয়ার করে ঢাকাই সিনেমার নায়ক সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’
অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক লিখেছেন একাধিক পোস্ট। একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নামটা মনে রেখো, শহীদ-বীর শরিফ ওসমান হাদি।’ অন্য একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘সে কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিল না, কারও হক আত্মসাৎ করেনি, সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় করেনি। তবুও-সামান্য কথার দায়ে, একটা জীবন এভাবে শেষ হতে পারে?’ ভিন্ন একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনায় আসবে অগ্নিসংযোগ, কিন্তু আসার কথা ছিল হাদির কথা, তাঁর বীরত্বের কথা, খুনের বিচারের কথা। এ দেশে মানুষ মরলে, শোকও নিরাপদ থাকে না। সবকিছুই ঢেকে ফেলা হয় আগুনে, ভাঙচুরে, রাজনীতিতে। এখানে রক্তের রংও রাজনৈতিক। বরাবরই এখানে বিপ্লব বেদখল হয়। বরাবরই আমরা এখানে অসহায়।’
নির্মাতা অনন্য মামুন লিখেছেন, ‘মৃত্যুও পবিত্র সুন্দর হতে পারে, শহীদ হাদিকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।’
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ওসমান হাদির একটি ছবি প্রকাশ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান বিন হাদি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে থাকবেন।’
মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল হাদির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, ‘এটা সত্যিই খুব কষ্টের আর একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো না। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন, আর তাঁর শোকাহত পরিবারকে, বিশেষ করে তাঁর ছোট্ট বাচ্চাকে ধৈর্য, শক্তি আর সান্ত্বনা দেন।’ গণমাধ্যম কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শোক জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এটি আমার হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে। আগুন ভবন ধ্বংস করতে পারে, সাহস নয়।’
সংগীতশিল্পীদের অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রাজনৈতিক সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে অর্ণব লিখেছেন, ‘আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে এবং ভোট দিতে হবে... নয়তো সংগীতশিল্পীরা বিপদে পড়ব। দেখুন ছায়ানটের সাথে কী করেছে! আমাদের পাল্টা লড়াইয়ের একমাত্র উপায় ভোট দেওয়া এবং অন্যদের ভোট দিতে উৎসাহিত করা।’
অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান লিখেছেন, ‘ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তাঁর পরিবার, তাঁর ছোট্ট বাবুটা এই শোক কাটিয়ে উঠুক। রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক হে দয়াময়।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লিখেছেন, ‘ওসমান হাদি, শান্তিতে ঘুমান। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দান করুন এবং আপনার পরিবার ও সন্তানকে শক্তি দিন। তারা হয়তো আপনাকে হত্যা করেছে কিন্তু আপনার শুরু করা লড়াই তারা থামাতে পারবে না।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুর প্রতিবাদের ভাষা ভাঙচুর, নৈরাজ্য হতে পারে না। এই মুহূর্তে সবার এক থাকা প্রয়োজন। দেশে বিশৃঙ্খলা যারা করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে দেশের সম্পদের আর ভবিষ্যতের বারোটা বাজায়েন না!’

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎকারের সময় দিয়েছিলেন অনুপম রায়। ৬টা থেকে হোটেল লবিতে অপেক্ষা। সঙ্গে আজকের পত্রিকার আরও দুই সাংবাদিক নাঈম হক ও তুষার পাল। নির্দিষ্ট সময়ের মিনিট দশেক পরে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে লবিতে এলেন অনুপম রায়। সেখানে আমরা ছাড়া অপেক্ষায় ছিলেন আরও কয়েকজন। অনুপমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা
১২ মার্চ ২০২৩
অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
১১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে। প্রিন্সেস এজেন্টস এবার আসছে বাংলা ভাষায়। দীপ্ত টিভিতে ‘রহস্যময়ী’ নামে আজ ২০ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট ও রাত ৮টা ৩০ মিনিটে দেখা যাবে ধারাবাহিকটি।
তিনটি অভিজাত বংশ ওয়েই, ইউয়েন আর ঝাওদের নিয়ে এগিয়ে গেছে ধারাবাহিকের গল্প। সঙ্গে যুক্ত হয় ইয়ান পরিবার এবং কয়েকটি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাদেশিক শাসনকর্তারা যেন বিদ্রোহ করতে না পারে, সে জন্য ওয়েই সম্রাট প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের একজন করে ছেলেকে নিজের কাছে এনে রাখে। মার্কুইস ডিংবেই নামে পরিচিত উত্তর ইয়ানের শাসনকর্তা ইয়ান শিচেংয়ের ছেলে প্রিন্স ইয়ান শুন সম্রাটের কাছে বড় হতে থাকে।
ইউয়েন পরিবারের দুজন উত্তরসূরি—ইউয়েন ইউয়ে ও ইউয়েন হুয়ায়। ইউয়েন ইউয়ে অত্যন্ত ধীরস্থির, সৎ এবং কোমল মানসিকতাসম্পন্ন হলেও ইউয়েন হুয়ায় বেশ নিষ্ঠুর আর চঞ্চল। সে যেভাবেই হোক ইউয়েন ইউয়েকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে চায়। ঘটনাক্রমে ইউয়েন পরিবারে আগমন ঘটে বিখ্যাত গুপ্তচর লুহির মেয়ে চু-চিয়াওর। অতীতের কিছুই মনে করতে পারে না সে। নিজের যোগ্যতা দিয়ে সে ইউয়েন ইউয়ের ব্যক্তিগত দাসী নির্বাচিত হয়। প্রথম দেখাতেই চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় লর্ড ইউয়েন ইউয়ে। কিন্তু নিজের সামাজিক অবস্থানের জন্য বিষয়টাকে সে কোনোভাবেই প্রকাশ হতে দিতে চায় না।
অন্যদিকে মার্শাল আর্টে দক্ষতা দেখে চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। ইউয়েন, ঝাও আর ওয়েইদের মিলিত ষড়যন্ত্রে প্রিন্স ইয়ান শুনের বাবা মার্কুইস ডিংবেই এবং তার পুরো পরিবার প্রাণ হারায়। পরিবারের সঙ্গে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। কিন্তু তরুণ লর্ডরা যেভাবেই হোক ইয়ান শুনকে সরিয়ে দিতে চায়। অন্যদিকে সম্রাট চান ইয়ান শুনকে গৃহবন্দী করে উত্তর ইয়ানের ওপর নিয়ন্ত্রণ।
রহস্যময়ী ধারাবাহিকটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোর্শেদ সিদ্দিকী মরু, প্রযোজনা করেছেন তসলিমা তাহরিন। ধারাবাহিকটির অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন দীপ্ত টিভির নিজস্ব সংলাপ রচয়িতার দল।

প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে। প্রিন্সেস এজেন্টস এবার আসছে বাংলা ভাষায়। দীপ্ত টিভিতে ‘রহস্যময়ী’ নামে আজ ২০ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট ও রাত ৮টা ৩০ মিনিটে দেখা যাবে ধারাবাহিকটি।
তিনটি অভিজাত বংশ ওয়েই, ইউয়েন আর ঝাওদের নিয়ে এগিয়ে গেছে ধারাবাহিকের গল্প। সঙ্গে যুক্ত হয় ইয়ান পরিবার এবং কয়েকটি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাদেশিক শাসনকর্তারা যেন বিদ্রোহ করতে না পারে, সে জন্য ওয়েই সম্রাট প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের একজন করে ছেলেকে নিজের কাছে এনে রাখে। মার্কুইস ডিংবেই নামে পরিচিত উত্তর ইয়ানের শাসনকর্তা ইয়ান শিচেংয়ের ছেলে প্রিন্স ইয়ান শুন সম্রাটের কাছে বড় হতে থাকে।
ইউয়েন পরিবারের দুজন উত্তরসূরি—ইউয়েন ইউয়ে ও ইউয়েন হুয়ায়। ইউয়েন ইউয়ে অত্যন্ত ধীরস্থির, সৎ এবং কোমল মানসিকতাসম্পন্ন হলেও ইউয়েন হুয়ায় বেশ নিষ্ঠুর আর চঞ্চল। সে যেভাবেই হোক ইউয়েন ইউয়েকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে চায়। ঘটনাক্রমে ইউয়েন পরিবারে আগমন ঘটে বিখ্যাত গুপ্তচর লুহির মেয়ে চু-চিয়াওর। অতীতের কিছুই মনে করতে পারে না সে। নিজের যোগ্যতা দিয়ে সে ইউয়েন ইউয়ের ব্যক্তিগত দাসী নির্বাচিত হয়। প্রথম দেখাতেই চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় লর্ড ইউয়েন ইউয়ে। কিন্তু নিজের সামাজিক অবস্থানের জন্য বিষয়টাকে সে কোনোভাবেই প্রকাশ হতে দিতে চায় না।
অন্যদিকে মার্শাল আর্টে দক্ষতা দেখে চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। ইউয়েন, ঝাও আর ওয়েইদের মিলিত ষড়যন্ত্রে প্রিন্স ইয়ান শুনের বাবা মার্কুইস ডিংবেই এবং তার পুরো পরিবার প্রাণ হারায়। পরিবারের সঙ্গে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। কিন্তু তরুণ লর্ডরা যেভাবেই হোক ইয়ান শুনকে সরিয়ে দিতে চায়। অন্যদিকে সম্রাট চান ইয়ান শুনকে গৃহবন্দী করে উত্তর ইয়ানের ওপর নিয়ন্ত্রণ।
রহস্যময়ী ধারাবাহিকটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোর্শেদ সিদ্দিকী মরু, প্রযোজনা করেছেন তসলিমা তাহরিন। ধারাবাহিকটির অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন দীপ্ত টিভির নিজস্ব সংলাপ রচয়িতার দল।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎকারের সময় দিয়েছিলেন অনুপম রায়। ৬টা থেকে হোটেল লবিতে অপেক্ষা। সঙ্গে আজকের পত্রিকার আরও দুই সাংবাদিক নাঈম হক ও তুষার পাল। নির্দিষ্ট সময়ের মিনিট দশেক পরে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে লবিতে এলেন অনুপম রায়। সেখানে আমরা ছাড়া অপেক্ষায় ছিলেন আরও কয়েকজন। অনুপমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা
১২ মার্চ ২০২৩
অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
১০ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
১০ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
১১ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার। এই সাফল্য কাঁধে নিয়েই নতুন জার্নি শুরু করেছেন টম। যুক্ত হয়েছেন মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতুর ‘ডিগার’ সিনেমায়।
ইনারিতুর পরিচালনায় কাজ করতে চলেছেন টম ক্রুজ, এ খবর আগেই জানানো হয়েছিল। ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার শিরোনাম, পোস্টার এবং ৫০ সেকেন্ডের একটি অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ওয়ার্নার ব্রস ও লিজেন্ডারি এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত ডিগার মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ২ অক্টোবর। এবার আর অ্যাকশন নয়, কমেডি চরিত্রে দেখা দেবেন টম ক্রুজ। টিজারে দেখা গেল, একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলায় বেলচা হাতে নাচতে নাচতে ঢুকলেন টম। তারপর চরিত্রটিকে দেখা গেল জাহাজে। একইভাবে বেলচা হাতে নাচতে নাচতে রেলিং ধরে হাঁটছে।
জানা গেছে, ডিগার সিনেমায় রকওয়েল নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ। টিজারে আলো-আঁধারিতে যতখানি দেখা গেল, তাতে মনে হচ্ছে, সম্পূর্ণ ভিন্ন এক লুকে এ সিনেমায় হাজির হবেন তিনি। সিনেমার গল্প কী, তা জানা না গেলেও ধারণা মিলেছে, এতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র হিসেবে দেখা যাবে টমকে। মানবতার ত্রাণকর্তারূপে এক ভয়ংকর মিশনে নেমেছে রকওয়েল চরিত্রটি। ‘দ্য রেভেন্যান্ট’-এর পর ডিগার দিয়ে আবার ইংরেজি ভাষার সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন ইনারিতু। যুক্তরাজ্যে ছয় মাস ধরে হয়েছে শুটিং। এতে শুধু অভিনয় নয়, ইনারিতুর সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনাও করছেন টম ক্রুজ। তিনি ছাড়া অভিনয়ে আরও আছেন সান্ড্রা হুলার, জন গুডম্যান, মাইকেল স্টুলবার্গ, জেসি প্লেমন্স, সোফি ওয়াইল্ড, রিজ আহমেদ, এমা ডি’আর্সি প্রমুখ।
আগামী ২ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হবে ডিগার সিনেমার। সেখানেই ইনারিতুর তিনটি সিনেমা ‘বারদো: ফলস ক্রনিকল অব আ হ্যান্ডফুল অব ট্রুথস’, ‘বার্ডম্যান’ এবং ‘টোয়েন্টি ওয়ান গ্রামস’ প্রদর্শিত হয়েছিল। ডিগার সিনেমাকে নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতু বর্ণনা করেছেন ‘বিপর্যয়কর মাত্রার একটি নিষ্ঠুর এবং বন্য কমেডি’ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘এটি একই সঙ্গে ভয়ংকর, মজার ও সুন্দর। আমি জানি, দর্শক আমার কিংবা টমের কাছ থেকে কমেডি সিনেমা আশা করে না। তবে এর কাহিনিতে কমেডির সঙ্গে অনেকটা ভয়ের মিশেলও থাকবে।’

দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার। এই সাফল্য কাঁধে নিয়েই নতুন জার্নি শুরু করেছেন টম। যুক্ত হয়েছেন মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতুর ‘ডিগার’ সিনেমায়।
ইনারিতুর পরিচালনায় কাজ করতে চলেছেন টম ক্রুজ, এ খবর আগেই জানানো হয়েছিল। ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার শিরোনাম, পোস্টার এবং ৫০ সেকেন্ডের একটি অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ওয়ার্নার ব্রস ও লিজেন্ডারি এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত ডিগার মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ২ অক্টোবর। এবার আর অ্যাকশন নয়, কমেডি চরিত্রে দেখা দেবেন টম ক্রুজ। টিজারে দেখা গেল, একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলায় বেলচা হাতে নাচতে নাচতে ঢুকলেন টম। তারপর চরিত্রটিকে দেখা গেল জাহাজে। একইভাবে বেলচা হাতে নাচতে নাচতে রেলিং ধরে হাঁটছে।
জানা গেছে, ডিগার সিনেমায় রকওয়েল নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ। টিজারে আলো-আঁধারিতে যতখানি দেখা গেল, তাতে মনে হচ্ছে, সম্পূর্ণ ভিন্ন এক লুকে এ সিনেমায় হাজির হবেন তিনি। সিনেমার গল্প কী, তা জানা না গেলেও ধারণা মিলেছে, এতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র হিসেবে দেখা যাবে টমকে। মানবতার ত্রাণকর্তারূপে এক ভয়ংকর মিশনে নেমেছে রকওয়েল চরিত্রটি। ‘দ্য রেভেন্যান্ট’-এর পর ডিগার দিয়ে আবার ইংরেজি ভাষার সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন ইনারিতু। যুক্তরাজ্যে ছয় মাস ধরে হয়েছে শুটিং। এতে শুধু অভিনয় নয়, ইনারিতুর সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনাও করছেন টম ক্রুজ। তিনি ছাড়া অভিনয়ে আরও আছেন সান্ড্রা হুলার, জন গুডম্যান, মাইকেল স্টুলবার্গ, জেসি প্লেমন্স, সোফি ওয়াইল্ড, রিজ আহমেদ, এমা ডি’আর্সি প্রমুখ।
আগামী ২ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হবে ডিগার সিনেমার। সেখানেই ইনারিতুর তিনটি সিনেমা ‘বারদো: ফলস ক্রনিকল অব আ হ্যান্ডফুল অব ট্রুথস’, ‘বার্ডম্যান’ এবং ‘টোয়েন্টি ওয়ান গ্রামস’ প্রদর্শিত হয়েছিল। ডিগার সিনেমাকে নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতু বর্ণনা করেছেন ‘বিপর্যয়কর মাত্রার একটি নিষ্ঠুর এবং বন্য কমেডি’ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘এটি একই সঙ্গে ভয়ংকর, মজার ও সুন্দর। আমি জানি, দর্শক আমার কিংবা টমের কাছ থেকে কমেডি সিনেমা আশা করে না। তবে এর কাহিনিতে কমেডির সঙ্গে অনেকটা ভয়ের মিশেলও থাকবে।’

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎকারের সময় দিয়েছিলেন অনুপম রায়। ৬টা থেকে হোটেল লবিতে অপেক্ষা। সঙ্গে আজকের পত্রিকার আরও দুই সাংবাদিক নাঈম হক ও তুষার পাল। নির্দিষ্ট সময়ের মিনিট দশেক পরে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে লবিতে এলেন অনুপম রায়। সেখানে আমরা ছাড়া অপেক্ষায় ছিলেন আরও কয়েকজন। অনুপমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা
১২ মার্চ ২০২৩
অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
১০ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে