বিনোদন প্রতিবেদক
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার সঙ্গে কোনালের হৃদ্যতা এক যুগের। ২০০৯ সালে কোনালকে চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরিয়ে দিয়েছিলেন সংগীতে উপমহাদেশের এই জীবন্ত কিংবদন্তি। সেই মঞ্চেই কোনালের পিঠ চাপড়ে বাহবা দিয়ে রুনা লায়লা বলেছিলেন, ‘এই অর্জন তোমারই প্রাপ্য! এখন শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা। প্রতিভার স্বাক্ষর রাখো জীবনের সবক্ষেত্রে।’
তখন থেকেই ছুটছেন কোনাল। চলচ্চিত্রের গান, অডিও, মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল, ভয়েজওভার, নাটকের গান— সবখানে কোনালের সমান বিচরণ। স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন মানুষের ভালোবাসা, অসংখ্য সম্মাননা ও যশ-খ্যাতি। বিশেষ করে প্লেব্যাকে গত কয়েক বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত শিল্পীদের একজন কোনাল।
সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সুপারস্টার শাকিব খানের ‘বীর’ ছবির গানের জন্য ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০-এ’ শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার পেয়েছেন কোনাল। তার এই অর্জনের খবর শুনেই দূরদেশ লন্ডন থেকে ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন রুনা লায়লা। ৪ মাস মেয়ের কাছে লন্ডন থাকার পর ২ এপ্রিল দেশে ফিরেছেন তিনি।
যে রুনা লায়লা সবসময় থাকেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে, সেই তিনি বাংলাদেশে ফিরেই গত বুধবার দুপুরে কোনালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জনের খবরে অনুপ্রেরণা দিতে মোহাম্মদপুরের আসাদ এভিনিউয়ের নিজ বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। রুনা লায়লার সঙ্গে তার বাসায় ঘণ্টা তিনেক ছিলেন কোনাল। এই শিল্পীর ভাষ্য, আমার কাছে এই সময়টুকু স্বপ্নের মতো কেটেছে।
কোনাল বলেন, ‘ম্যামের বাসা থেকে বেরিয়ে সারাদিনই ঘোরের মধ্যে ছিলাম। উনি আমাকে তিন ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তির পর আমাকে ডেকেছেন। অবাক করে তাঁর নিজের ব্রান্ডের একটি অসাধারণ শাড়ি উপহার দিয়েছেন। শ্রদ্ধেয় লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে অনেক স্মৃতি শুনিয়েছেন। এত বড় মাপের একজন শিল্পী পাশে বসিয়েছেন, মাথায় হাত দিয়ে স্নেহ করেছেন— তার মুখের কথাগুলো শুনে আমি মনে করছিলাম, সারেগামাপা শুনছি। উনি আমার জীবন নিয়ে, আমার গান নিয়ে, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জিজ্ঞেস করেছেন নিজে থেকে। দিয়েছেন অনেক ধরণের পরামর্শ। শিখিয়েছেন গান গাইবার নানা কৌশল। আরেকটা একটা অবাক করা উপহারও দিয়েছেন, যা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না।’
রুনা লায়লা তাঁর ক্যারিয়ারের বিভিন্ন স্মৃতি কোনালের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। উপদেশ দিয়েছেন। কোনাল বলেন,‘আমি শুধু চুপচাপ শুনেছি। আর কথাগুলো ভিতরে গেঁথে নিয়েছি। আমার ছোটবেলা কেটেছে কুয়েতের মরু অঞ্চলে। বুঝতে শেখার পর থেকে একজনকে আইডল মেনেছি, তিনি রুনা লায়লা ম্যাম। আমি অ্যাওয়ার্ড নিয়ে তাঁর পায়ের কাছে বসেছিলাম। বলেছিলাম, ম্যাম একটু ছুঁয়ে দেন। তিনি টেনে আমাকে কাছে নিয়ে চুমু দিয়েছেন।’
কথাগুলো বলতে গিয়ে বারবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছিলেন কোনাল। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার বলার ভাষা নেই। জীবনে এর চেয়ে বড় আশীর্বাদ আর কি হতে পারে! আমার কাছে রুনা ম্যাম সুরের দেবী; সেরা কণ্ঠের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পিঠ চাপড়ে তিনি বলেছিলেন, এটা তুমি ডিজার্ভ করও। ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড তার কাছে নিয়ে গেলে, এবারও তিনি একই কথা বললেন।’
রুনা লায়লার বাসায় তার সঙ্গে কাটানো সময়ের কয়েকটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন কোনাল। সেই পোস্টে এসেও কোনালকে উৎসাহ দিয়ে মন্তব্য করেন রুনা লায়লা। মন্তব্যের ঘরে রুনা লেখেন, সুন্দর কথার জন্য ধন্যবাদ কোনাল। তুমি আমাকে যেভাবে সম্মোধন করলে আমি এটির যোগ্য কিনা নিশ্চিত নই; তবে তোমাকে ধন্যবাদ। সেদিন তোমার সঙ্গে দেখা এবং কথা বলে আমিও আনন্দিত। আমি সবসময় তরুণ প্রতিভাকে সমর্থন এবং উৎসাহিত করায় বিশ্বাসী। সর্বদা চাই, তোমরা সকলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাও এবং কাজের প্রতি সৎ, আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠা বজায় রেখে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করো। আমি খুশি যে রিয়েলিটি শো সেরাকণ্ঠের একজন বিচারক হতে পেরেছি, যেখানে তুমি বিজয়ী হয়েছিলে এবং এখন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করছে। তোমাকে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং ক্রমাগত নিজেকে নতুন করে উদ্ভাবন করতে হবে এবং দক্ষতার উন্নতি করতে হবে। তোমার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি। তোমার যে কোন প্রয়োজনে, তোমাকে গাইড করার জন্য আমাকে সবসময় পাশে পাবে।’
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার সঙ্গে কোনালের হৃদ্যতা এক যুগের। ২০০৯ সালে কোনালকে চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরিয়ে দিয়েছিলেন সংগীতে উপমহাদেশের এই জীবন্ত কিংবদন্তি। সেই মঞ্চেই কোনালের পিঠ চাপড়ে বাহবা দিয়ে রুনা লায়লা বলেছিলেন, ‘এই অর্জন তোমারই প্রাপ্য! এখন শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা। প্রতিভার স্বাক্ষর রাখো জীবনের সবক্ষেত্রে।’
তখন থেকেই ছুটছেন কোনাল। চলচ্চিত্রের গান, অডিও, মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল, ভয়েজওভার, নাটকের গান— সবখানে কোনালের সমান বিচরণ। স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন মানুষের ভালোবাসা, অসংখ্য সম্মাননা ও যশ-খ্যাতি। বিশেষ করে প্লেব্যাকে গত কয়েক বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত শিল্পীদের একজন কোনাল।
সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সুপারস্টার শাকিব খানের ‘বীর’ ছবির গানের জন্য ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০-এ’ শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার পেয়েছেন কোনাল। তার এই অর্জনের খবর শুনেই দূরদেশ লন্ডন থেকে ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন রুনা লায়লা। ৪ মাস মেয়ের কাছে লন্ডন থাকার পর ২ এপ্রিল দেশে ফিরেছেন তিনি।
যে রুনা লায়লা সবসময় থাকেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে, সেই তিনি বাংলাদেশে ফিরেই গত বুধবার দুপুরে কোনালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জনের খবরে অনুপ্রেরণা দিতে মোহাম্মদপুরের আসাদ এভিনিউয়ের নিজ বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। রুনা লায়লার সঙ্গে তার বাসায় ঘণ্টা তিনেক ছিলেন কোনাল। এই শিল্পীর ভাষ্য, আমার কাছে এই সময়টুকু স্বপ্নের মতো কেটেছে।
কোনাল বলেন, ‘ম্যামের বাসা থেকে বেরিয়ে সারাদিনই ঘোরের মধ্যে ছিলাম। উনি আমাকে তিন ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তির পর আমাকে ডেকেছেন। অবাক করে তাঁর নিজের ব্রান্ডের একটি অসাধারণ শাড়ি উপহার দিয়েছেন। শ্রদ্ধেয় লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে অনেক স্মৃতি শুনিয়েছেন। এত বড় মাপের একজন শিল্পী পাশে বসিয়েছেন, মাথায় হাত দিয়ে স্নেহ করেছেন— তার মুখের কথাগুলো শুনে আমি মনে করছিলাম, সারেগামাপা শুনছি। উনি আমার জীবন নিয়ে, আমার গান নিয়ে, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জিজ্ঞেস করেছেন নিজে থেকে। দিয়েছেন অনেক ধরণের পরামর্শ। শিখিয়েছেন গান গাইবার নানা কৌশল। আরেকটা একটা অবাক করা উপহারও দিয়েছেন, যা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না।’
রুনা লায়লা তাঁর ক্যারিয়ারের বিভিন্ন স্মৃতি কোনালের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। উপদেশ দিয়েছেন। কোনাল বলেন,‘আমি শুধু চুপচাপ শুনেছি। আর কথাগুলো ভিতরে গেঁথে নিয়েছি। আমার ছোটবেলা কেটেছে কুয়েতের মরু অঞ্চলে। বুঝতে শেখার পর থেকে একজনকে আইডল মেনেছি, তিনি রুনা লায়লা ম্যাম। আমি অ্যাওয়ার্ড নিয়ে তাঁর পায়ের কাছে বসেছিলাম। বলেছিলাম, ম্যাম একটু ছুঁয়ে দেন। তিনি টেনে আমাকে কাছে নিয়ে চুমু দিয়েছেন।’
কথাগুলো বলতে গিয়ে বারবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছিলেন কোনাল। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার বলার ভাষা নেই। জীবনে এর চেয়ে বড় আশীর্বাদ আর কি হতে পারে! আমার কাছে রুনা ম্যাম সুরের দেবী; সেরা কণ্ঠের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পিঠ চাপড়ে তিনি বলেছিলেন, এটা তুমি ডিজার্ভ করও। ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড তার কাছে নিয়ে গেলে, এবারও তিনি একই কথা বললেন।’
রুনা লায়লার বাসায় তার সঙ্গে কাটানো সময়ের কয়েকটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন কোনাল। সেই পোস্টে এসেও কোনালকে উৎসাহ দিয়ে মন্তব্য করেন রুনা লায়লা। মন্তব্যের ঘরে রুনা লেখেন, সুন্দর কথার জন্য ধন্যবাদ কোনাল। তুমি আমাকে যেভাবে সম্মোধন করলে আমি এটির যোগ্য কিনা নিশ্চিত নই; তবে তোমাকে ধন্যবাদ। সেদিন তোমার সঙ্গে দেখা এবং কথা বলে আমিও আনন্দিত। আমি সবসময় তরুণ প্রতিভাকে সমর্থন এবং উৎসাহিত করায় বিশ্বাসী। সর্বদা চাই, তোমরা সকলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাও এবং কাজের প্রতি সৎ, আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠা বজায় রেখে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করো। আমি খুশি যে রিয়েলিটি শো সেরাকণ্ঠের একজন বিচারক হতে পেরেছি, যেখানে তুমি বিজয়ী হয়েছিলে এবং এখন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করছে। তোমাকে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং ক্রমাগত নিজেকে নতুন করে উদ্ভাবন করতে হবে এবং দক্ষতার উন্নতি করতে হবে। তোমার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি। তোমার যে কোন প্রয়োজনে, তোমাকে গাইড করার জন্য আমাকে সবসময় পাশে পাবে।’
ফিলিস্তিনি এক অধিকারকর্মীর সঙ্গে ইসরায়েলের এক সাংবাদিকের বন্ধুত্বের গল্প ডকুমেন্টারির অন্যতম উপজীব্য। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চার বছর ধরে সংগ্রহ করা হয়েছে এই ডকুমেন্টারির তথ্য। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারি, সেনাবাহিনীর নির্যাতন, দখলদারদের অত্যাচার সবকিছু ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ডকুমেন্টারিটিতে।
১১ ঘণ্টা আগেদ্য ব্রুটালিস্ট সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন অ্যাড্রিয়েন ব্রুডি। এমিলিয়া প্যারেজ–এর জন্য জো সালডানা এবং অ্যা রিয়েল পেইন–এর জন্য কিয়েরা কালকিন পেয়েছেন সেরা পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার।
১৩ ঘণ্টা আগেছোট পর্দার অনেক অভিনয়শিল্পী ওটিটিতে মনোযোগী হলেও ব্যতিক্রম জাহিদ হাসান। মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরীরা ওটিটি দাপিয়ে বেড়ালেও ওয়েবে জাহিদের কাজ হাতে গোনা। সর্বশেষ দুই বছর আগে গৌতম কৌরির ওয়েব সিরিজ ‘কে’তে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বিরতি কাটিয়ে আবার ওটিটিতে ফিরছেন জাহিদ হাসান। ‘আমলনামা’ নামের ওয়েব ফিল্মে দেখা য
১৬ ঘণ্টা আগেআন্দোলনে গত জুলাইয়ে সারা দেশ যখন উত্তাল, সে সময় ‘চলো ভুলে যাই’ শিরোনামের গান বাঁধেন পারশা মাহজাবীন। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে গানটি। আলোচনায় চলে আসেন পারশা। সেই পারশা প্যারিসে ইউনেসকো সদর দপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ২৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে গাইলেন।
১৬ ঘণ্টা আগে