অনলাইন ডেস্ক
বাঘ রাজকীয় এক প্রাণী। বনের ভেতরে বাঘ দেখার রোমাঞ্চের কোনো তুলনা হয় না। বাঘের কারণেই বন্যপ্রাণীপ্রেমীসহ সবার কাছে সুন্দরবনের এত আকর্ষণ। কিন্তু এখন যদি কেউ আপনাকে প্রশ্ন করে, বাঘ আমাদের জন্য দরকারি কেন কিংবা আমরা বাঘ রক্ষা করব কেন, তাহলে কী উত্তর দেবেন?
দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আপনার হয়ে উত্তরটা দিচ্ছেন সুন্দরবন ও বাঘ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা খসরু চৌধুরী ও মনিরুল খান।
সুন্দরবনের খাদ্যশৃঙ্খলের চূড়ায় বাঘের অবস্থান
মনিরুল খান, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ এবং অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
পরিবেশ-প্রতিবেশের কথা বিবেচনা করলে বাঘ আছে সুন্দরবনের খাদ্যশৃঙ্খলের চূড়ায়। এটি হরিণ, বুনো শূকরসহ বিভিন্ন প্রাণী খেয়ে এগুলোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে। কারণ এসব প্রাণীর সংখ্যা এদের খাবারের তুলনায় বেড়ে গেলে বনের পরিবেশ ও গাছপালার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
বাঘ ইকো ট্যুরিজমের বড় আকর্ষণ। মানুষ সুন্দরবনে গিয়ে বেশির ভাগ সময় বাঘের দেখা না পেলেও তাঁদের আকৃষ্ট করে বাঘ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা। বলা চলে, বাঘের টানেই পর্যটকদের বড় অংশ বনটিতে ভ্রমণ করে। এভাবে সরকারের রাজস্ব আয়ও হচ্ছে। এখন সম্পদ আহরণের চেয়ে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে পর্যটন খাত।
স্থানীয় জনগণের রুটি-রোজগারেও বড় ভূমিকা বাঘের। বাঘের কারণেই বনে বেশি পর্যটক আসার বিষয়টা আবার বলতে হয়। সুন্দরবনে লঞ্চে চাকরি, ট্যুর ব্যবসা পরিচালনা, গাইড হিসেবে কাজ করে কিংবা বিভিন্ন হস্তশিল্পজাত জিনিস বিক্রি করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করেন।
বাঘ রক্ষায় মনস্তাত্ত্বিক একটি ব্যাপারও আছে
খসরু চৌধুরী, সুন্দরবন বিশেষজ্ঞ ও বন্যপ্রাণী গবেষক
বাঘ রক্ষা করার বিষয়টির সঙ্গে আরও অনেক প্রাণীর ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে। বাঘ বাঁচলে বনের অন্য প্রাণীগুলো টিকে থাকাটা সহজ হয়। বাঘ যে শিকার করে, এটা থেকে অনেক সময় উপকৃত হয় বন বিড়াল, গুই সাপ, বুনো শূকর কিংবা শজারুর মতো প্রাণীরা। শিকারের উচ্ছিষ্ট বনের বিভিন্ন প্রাণীর পেটেই যায়।
ম্যানগ্রোভ বন অন্য বনের তুলনায় অনেক বেশি কার্বন শোষণে সক্ষম। তাই সুন্দরবনকে রক্ষা করা জরুরি। আর বনের প্রাকৃতিক পাহারাদার বাঘ। বাঘ না থাকলে সুন্দরবন টিকে থাকাটাও কঠিন।
বাঘ বাঁচানোর একটি মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার আছে । মানুষ বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। এটা একটা মানবিক বিপর্যয় । এটা মানুষকে পৃথিবী সম্পর্কে উদাসীন করে তোলে। শিশুদের কথা যদি চিন্তা করেন, তবে তারা মোবাইল ফোনের প্রতি অতিমাত্রায় আগ্রহী হওয়ার কারণে বিস্মিত হওয়ার বা অবাক হওয়ার বিষয়টি তাদের মধ্যে কম কাজ করে। কারণ একপর্যায়ে মোবাইল ফোনের মধ্যেও তাকে অবাক করার মতো কিছু থাকে না। কিন্তু বাঘ, এর শক্তিমত্তা , ভয়ানক উপস্থিতি, প্রচণ্ড ক্ষমতা, মিথলজিক্যাল চরিত্র মানুষকে সব সময় বিস্মিত করে। বাঘের মাধ্যমে মানুষ আগ্রহী হবে অন্যান্য জীবসত্তা , বনজঙ্গল, জলাভূমি, সাগরের প্রতি। তেমনি কোনো একটি জঙ্গলে গেলে বাঘসহ এখানকার বিচিত্র প্রাণী আর প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গ প্রতিনিয়ত অবাক ও মুগ্ধ করবে শিশুদের।
সুন্দরবন আমাদের দক্ষিণাঞ্চলকে ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে। তাই সুন্দরবন রক্ষার জন্য বাঘ বাঁচানোটা জরুরি।
বাঘ রাজকীয় এক প্রাণী। বনের ভেতরে বাঘ দেখার রোমাঞ্চের কোনো তুলনা হয় না। বাঘের কারণেই বন্যপ্রাণীপ্রেমীসহ সবার কাছে সুন্দরবনের এত আকর্ষণ। কিন্তু এখন যদি কেউ আপনাকে প্রশ্ন করে, বাঘ আমাদের জন্য দরকারি কেন কিংবা আমরা বাঘ রক্ষা করব কেন, তাহলে কী উত্তর দেবেন?
দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আপনার হয়ে উত্তরটা দিচ্ছেন সুন্দরবন ও বাঘ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা খসরু চৌধুরী ও মনিরুল খান।
সুন্দরবনের খাদ্যশৃঙ্খলের চূড়ায় বাঘের অবস্থান
মনিরুল খান, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ এবং অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
পরিবেশ-প্রতিবেশের কথা বিবেচনা করলে বাঘ আছে সুন্দরবনের খাদ্যশৃঙ্খলের চূড়ায়। এটি হরিণ, বুনো শূকরসহ বিভিন্ন প্রাণী খেয়ে এগুলোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে। কারণ এসব প্রাণীর সংখ্যা এদের খাবারের তুলনায় বেড়ে গেলে বনের পরিবেশ ও গাছপালার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
বাঘ ইকো ট্যুরিজমের বড় আকর্ষণ। মানুষ সুন্দরবনে গিয়ে বেশির ভাগ সময় বাঘের দেখা না পেলেও তাঁদের আকৃষ্ট করে বাঘ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা। বলা চলে, বাঘের টানেই পর্যটকদের বড় অংশ বনটিতে ভ্রমণ করে। এভাবে সরকারের রাজস্ব আয়ও হচ্ছে। এখন সম্পদ আহরণের চেয়ে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে পর্যটন খাত।
স্থানীয় জনগণের রুটি-রোজগারেও বড় ভূমিকা বাঘের। বাঘের কারণেই বনে বেশি পর্যটক আসার বিষয়টা আবার বলতে হয়। সুন্দরবনে লঞ্চে চাকরি, ট্যুর ব্যবসা পরিচালনা, গাইড হিসেবে কাজ করে কিংবা বিভিন্ন হস্তশিল্পজাত জিনিস বিক্রি করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করেন।
বাঘ রক্ষায় মনস্তাত্ত্বিক একটি ব্যাপারও আছে
খসরু চৌধুরী, সুন্দরবন বিশেষজ্ঞ ও বন্যপ্রাণী গবেষক
বাঘ রক্ষা করার বিষয়টির সঙ্গে আরও অনেক প্রাণীর ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে। বাঘ বাঁচলে বনের অন্য প্রাণীগুলো টিকে থাকাটা সহজ হয়। বাঘ যে শিকার করে, এটা থেকে অনেক সময় উপকৃত হয় বন বিড়াল, গুই সাপ, বুনো শূকর কিংবা শজারুর মতো প্রাণীরা। শিকারের উচ্ছিষ্ট বনের বিভিন্ন প্রাণীর পেটেই যায়।
ম্যানগ্রোভ বন অন্য বনের তুলনায় অনেক বেশি কার্বন শোষণে সক্ষম। তাই সুন্দরবনকে রক্ষা করা জরুরি। আর বনের প্রাকৃতিক পাহারাদার বাঘ। বাঘ না থাকলে সুন্দরবন টিকে থাকাটাও কঠিন।
বাঘ বাঁচানোর একটি মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার আছে । মানুষ বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। এটা একটা মানবিক বিপর্যয় । এটা মানুষকে পৃথিবী সম্পর্কে উদাসীন করে তোলে। শিশুদের কথা যদি চিন্তা করেন, তবে তারা মোবাইল ফোনের প্রতি অতিমাত্রায় আগ্রহী হওয়ার কারণে বিস্মিত হওয়ার বা অবাক হওয়ার বিষয়টি তাদের মধ্যে কম কাজ করে। কারণ একপর্যায়ে মোবাইল ফোনের মধ্যেও তাকে অবাক করার মতো কিছু থাকে না। কিন্তু বাঘ, এর শক্তিমত্তা , ভয়ানক উপস্থিতি, প্রচণ্ড ক্ষমতা, মিথলজিক্যাল চরিত্র মানুষকে সব সময় বিস্মিত করে। বাঘের মাধ্যমে মানুষ আগ্রহী হবে অন্যান্য জীবসত্তা , বনজঙ্গল, জলাভূমি, সাগরের প্রতি। তেমনি কোনো একটি জঙ্গলে গেলে বাঘসহ এখানকার বিচিত্র প্রাণী আর প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গ প্রতিনিয়ত অবাক ও মুগ্ধ করবে শিশুদের।
সুন্দরবন আমাদের দক্ষিণাঞ্চলকে ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে। তাই সুন্দরবন রক্ষার জন্য বাঘ বাঁচানোটা জরুরি।
অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতিই পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয়...
৭ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বায়ুদূষণের সূচকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়। সকাল ৬টায় ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয় ২৯১। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়...
৯ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
২১ ঘণ্টা আগেঅবিলম্বে প্রাণ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৭০-২০৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প
১ দিন আগে