নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
`ছোটবেলায় বালু নদীতে গোসল করেছি, সাঁতার কেটেছি। এই নদীর পানি খেয়ে বড় হয়েছি। কিন্তু এখন নদীর পানি এত নোংরা ও দুর্গন্ধ যে, স্পর্শ করা দূরের কথা, নামও মুখে নিতে পারি না।’ বলছিলেন বালু নদী সংলগ্ন দাশেরকান্ধি এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম।
রামপুরা খাল হয়ে বালু নদীতে নেমে আসা ঢাকা শহরের গৃহস্থালি ও শিল্প কারখানার বর্জ্যে বালু নদী এখন মৃতপ্রায়। বালু নদী দূষণের প্রভাব পড়ছে নদীর পাশের ১২ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের জীবন জীবিকাতে। বালু নদী রক্ষায় এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বালু নদীর পাড়ের ইটখোলা এলাকায় ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ আয়োজিত ‘নদী দূষণ এবং নারীর সমস্যা’ শীর্ষক নদী কথনে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও পরিবেশবাদীদের কথায় নদী দূষণের চিত্র উঠে আসে।
স্থানীয়রা জানান, বালু নদীর পাশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫ নম্বর ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন ১২টি গ্রাম হচ্ছে বাইকদিয়া, মানিকদিয়া, শেখের জায়গা, নাইদারপাড়, নাসিরাবাদ, ত্রিমোহনী, গৌরনগর, দাশেরকান্ধি, বাবুর জায়গা, বালুপাড়, ঈদেরকান্দি, ফকিরখালি। এ সব গ্রামের মানুষের জীবন জীবিকা এক সময় বালু নদীকে ঘিরে ছিল। দখল দূষণে বালু নদী বিপন্ন হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষ আজ কঠিন সংকটের মুখে পড়েছে।
বারোগ্রাম উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি সুরজ মিয়া (৪৫) বলেন, খাওয়া ও রান্নার কাজে যে নদীর পানি এক সময় ব্যবহার হতো, সে নদীর পানি আজ ছুঁয়েও দেখা যায় না। আজকে আমরা যে মোহনায় বসে আছি, সেখানে একদিন জেলেরা মাছ ধরতে আসত। নব্বই দশকের পর থেকে ঢাকা শহরের বিষাক্ত বর্জ্য এই নদীতে আসতে শুরু করে। ঢাকা শহরের পচা পানির কারণে বালু নদীতে মাছ টিকতে পারে না। আজ শহরের মানুষের বর্জ্যের কারণে নদীর পাড়ের মানুষের মান মর্যাদা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। বালু নদী দূষণ বন্ধ না হলে, আমাদের দুঃখ ঘুচবে না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শর্মিন্দ নীলর্মি বলেন, নদীর প্রবাহের সঙ্গে পানির গুণগতমানও গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর সব সভ্যতা নদী বা সাগরের পাড়ে তৈরি হয়েছে। বর্তমানে আমাদের আশপাশের সব নদীগুলো দূষিত হয়ে গেছে। এতে নদীর পাড়ের মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। মানুষের প্রয়োজনেই নদীর স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘বালু নদীকে দূষণ মুক্ত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার প্রচেষ্টায় একদিন এই নদী দূষণ মুক্ত হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। বালু নদী বাঁচলে, বাঁচবে বারোগ্রাম, বাঁচবে ঢাকার শহর।’
নদী কথন আলোচনায় আরও অংশ নেন সাংবাদিক সাদিয়া চৌধুরী, যুব বাপার সদস্য তানজিলা আহমেদ, সাবেক নাসিরাবাদ ইউনিয়নের নারী সদস্য আসমা খাতুন প্রমুখ।
`ছোটবেলায় বালু নদীতে গোসল করেছি, সাঁতার কেটেছি। এই নদীর পানি খেয়ে বড় হয়েছি। কিন্তু এখন নদীর পানি এত নোংরা ও দুর্গন্ধ যে, স্পর্শ করা দূরের কথা, নামও মুখে নিতে পারি না।’ বলছিলেন বালু নদী সংলগ্ন দাশেরকান্ধি এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম।
রামপুরা খাল হয়ে বালু নদীতে নেমে আসা ঢাকা শহরের গৃহস্থালি ও শিল্প কারখানার বর্জ্যে বালু নদী এখন মৃতপ্রায়। বালু নদী দূষণের প্রভাব পড়ছে নদীর পাশের ১২ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের জীবন জীবিকাতে। বালু নদী রক্ষায় এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বালু নদীর পাড়ের ইটখোলা এলাকায় ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ আয়োজিত ‘নদী দূষণ এবং নারীর সমস্যা’ শীর্ষক নদী কথনে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও পরিবেশবাদীদের কথায় নদী দূষণের চিত্র উঠে আসে।
স্থানীয়রা জানান, বালু নদীর পাশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫ নম্বর ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন ১২টি গ্রাম হচ্ছে বাইকদিয়া, মানিকদিয়া, শেখের জায়গা, নাইদারপাড়, নাসিরাবাদ, ত্রিমোহনী, গৌরনগর, দাশেরকান্ধি, বাবুর জায়গা, বালুপাড়, ঈদেরকান্দি, ফকিরখালি। এ সব গ্রামের মানুষের জীবন জীবিকা এক সময় বালু নদীকে ঘিরে ছিল। দখল দূষণে বালু নদী বিপন্ন হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষ আজ কঠিন সংকটের মুখে পড়েছে।
বারোগ্রাম উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি সুরজ মিয়া (৪৫) বলেন, খাওয়া ও রান্নার কাজে যে নদীর পানি এক সময় ব্যবহার হতো, সে নদীর পানি আজ ছুঁয়েও দেখা যায় না। আজকে আমরা যে মোহনায় বসে আছি, সেখানে একদিন জেলেরা মাছ ধরতে আসত। নব্বই দশকের পর থেকে ঢাকা শহরের বিষাক্ত বর্জ্য এই নদীতে আসতে শুরু করে। ঢাকা শহরের পচা পানির কারণে বালু নদীতে মাছ টিকতে পারে না। আজ শহরের মানুষের বর্জ্যের কারণে নদীর পাড়ের মানুষের মান মর্যাদা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। বালু নদী দূষণ বন্ধ না হলে, আমাদের দুঃখ ঘুচবে না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শর্মিন্দ নীলর্মি বলেন, নদীর প্রবাহের সঙ্গে পানির গুণগতমানও গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর সব সভ্যতা নদী বা সাগরের পাড়ে তৈরি হয়েছে। বর্তমানে আমাদের আশপাশের সব নদীগুলো দূষিত হয়ে গেছে। এতে নদীর পাড়ের মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। মানুষের প্রয়োজনেই নদীর স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘বালু নদীকে দূষণ মুক্ত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার প্রচেষ্টায় একদিন এই নদী দূষণ মুক্ত হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। বালু নদী বাঁচলে, বাঁচবে বারোগ্রাম, বাঁচবে ঢাকার শহর।’
নদী কথন আলোচনায় আরও অংশ নেন সাংবাদিক সাদিয়া চৌধুরী, যুব বাপার সদস্য তানজিলা আহমেদ, সাবেক নাসিরাবাদ ইউনিয়নের নারী সদস্য আসমা খাতুন প্রমুখ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ কনভেনশন, সাইটিস, অনুযায়ী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশটি সাইটিসের অনুশাসন মেনে প্রজাতি সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী বাণিজ্য রোধে
৮ ঘণ্টা আগেনিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ উদ্যোগে গৃহীত কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ কমিটি গঠন করা হয়
১ দিন আগেসন্তানের বড় শিক্ষক তার মা। সন্তানের ছোটবেলায় লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় মায়ের কাছে। শুধু লেখাপড়া নয়, আদবকায়দা, সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ—সবকিছু শিক্ষায় রয়েছে মায়ের অনেক বড় প্রভাব।
২ দিন আগেপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি উন্নত দেশগুলোকে তাঁদের জলবায়ু অর্থায়ন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন
২ দিন আগে