নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরিবেশ নিয়ে কথা বলায় ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ফজলে নুর তাপস ধোলাইখালে চুবাতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। আজ সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যান ও সমান্তরাল বাস্তবতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান তিনি এমন কথা বলেন।
এসডিজি বাস্তবায়ন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সুলতাানা কামাল বলেন, ‘আমারই নির্বাচনী এলাকার মানুষ, অত্যন্ত স্নেহের পাত্র আমার, মেয়র তাপস; ছোটবেলা থেকে দেখেছি। কারণ, একই পাড়ায় থেকেছে। আমরা সবাই যখন পরিবেশ নিয়ে কথা বলতে গেলাম, তিনি বললেন যে, যদি বেশি কথা বলে ধোলাইখালে নিয়ে চুবাব।’
সুলতানা কামাল আরও বলেন, ‘এই সংস্কৃতি তাঁর একার মধ্যে না। অনেকের মধ্যে আছে। কথা বললে যদি চোবানোর ধমক খেতে হয়, তাহলে কোন রাজনীতিকের কাছে যেতে হবে?’
বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যানের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই মন্তব্য করে সুলতানা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যানের সঙ্গে বাস্তবতার আর মিল হচ্ছে না। এখানে সবাই রাজনৈতিক সদিচ্ছার কথা বলেছে। কিন্তু সেটা আসবে কোথা থেকে? রাজনীতিবিদেরা কোথায়? তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না।’
এসডিজি বাস্তবায়ন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম কর্তৃক ২০২২ সালে দেশের সাতটি জেলা শহরে নাগরিক পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ের প্রাপ্ত মতামত বিশ্লেষণ করে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যান ও সমান্তরাল বাস্তবতা: পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাবনা’ শীর্ষক প্রকাশনা প্রকাশ করে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।
অনুষ্ঠানে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু সেই উন্নয়নের ভাগীদার সবাই সমানভাবে হয়নি। বাংলাদেশের ধনী ১০ শতাংশ এখন ৪১ শতাংশ আয়কে নিয়ন্ত্রণ করে। আর সবচেয়ে গরিব যে ১০ শতাংশ আছে, তারা ১ দশমিক ৩ শতাংশ আয়কে নিয়ন্ত্রণ করে। গ্রামে বৈষম্যের পরিমাণ বাড়ছে। দেশে বিত্তবান মানুষ একই সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবানদের উত্থান ঘটেছে।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে পরিবেশ প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। দেশের ছোট–বড় সব প্রতিষ্ঠানেই আর্থিক দুর্নীতি আছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে যে সম্পদের যেমন ব্যবহার হওয়া উচিত তা হচ্ছে না। গণতান্ত্রিক জবাবদিহি নেই।’
এ সময় শিক্ষার মান নিয়ে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘৭০ ভাগ শিক্ষা আসছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কিন্তু অর্থনীতি যেখানে কাজ করছে সেখানে সব জায়গায় এই শিক্ষার দরকার নেই। এখানে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।’
অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশকে গড়ের আধিপত্য থেকে বের হয়ে আসতে হবে। অনেক আর্থিক সূচকে উন্নতি হয়েছে। তবে যখনই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সামষ্টিক থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে যাওয়া হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে অনেক ধরনের অসাম্য রয়েছে।’
অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, ‘এই আলোচনার মূল কথা হচ্ছে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। এখানে যে ক্ষমতায় আসে উনি এই পরিচয়ে আসবেন যে তাঁকে জনগণ নির্বাচিত করেছেন এবং জনগণের আশা পূরণ করবেন।’
রেহমান সোবহান আরও বলেন, ‘দেশে অনেক ভালো কাজ হয়েছে। পদ্মা সেতু হয়েছে। এটার কৃতিত্ব শেখ হাসিনাকে দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক বিচারপতি আব্দুল মতিন এবং কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
পরিবেশ নিয়ে কথা বলায় ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ফজলে নুর তাপস ধোলাইখালে চুবাতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। আজ সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যান ও সমান্তরাল বাস্তবতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান তিনি এমন কথা বলেন।
এসডিজি বাস্তবায়ন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সুলতাানা কামাল বলেন, ‘আমারই নির্বাচনী এলাকার মানুষ, অত্যন্ত স্নেহের পাত্র আমার, মেয়র তাপস; ছোটবেলা থেকে দেখেছি। কারণ, একই পাড়ায় থেকেছে। আমরা সবাই যখন পরিবেশ নিয়ে কথা বলতে গেলাম, তিনি বললেন যে, যদি বেশি কথা বলে ধোলাইখালে নিয়ে চুবাব।’
সুলতানা কামাল আরও বলেন, ‘এই সংস্কৃতি তাঁর একার মধ্যে না। অনেকের মধ্যে আছে। কথা বললে যদি চোবানোর ধমক খেতে হয়, তাহলে কোন রাজনীতিকের কাছে যেতে হবে?’
বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যানের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই মন্তব্য করে সুলতানা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যানের সঙ্গে বাস্তবতার আর মিল হচ্ছে না। এখানে সবাই রাজনৈতিক সদিচ্ছার কথা বলেছে। কিন্তু সেটা আসবে কোথা থেকে? রাজনীতিবিদেরা কোথায়? তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না।’
এসডিজি বাস্তবায়ন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম কর্তৃক ২০২২ সালে দেশের সাতটি জেলা শহরে নাগরিক পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ের প্রাপ্ত মতামত বিশ্লেষণ করে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যান ও সমান্তরাল বাস্তবতা: পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাবনা’ শীর্ষক প্রকাশনা প্রকাশ করে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।
অনুষ্ঠানে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু সেই উন্নয়নের ভাগীদার সবাই সমানভাবে হয়নি। বাংলাদেশের ধনী ১০ শতাংশ এখন ৪১ শতাংশ আয়কে নিয়ন্ত্রণ করে। আর সবচেয়ে গরিব যে ১০ শতাংশ আছে, তারা ১ দশমিক ৩ শতাংশ আয়কে নিয়ন্ত্রণ করে। গ্রামে বৈষম্যের পরিমাণ বাড়ছে। দেশে বিত্তবান মানুষ একই সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবানদের উত্থান ঘটেছে।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে পরিবেশ প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। দেশের ছোট–বড় সব প্রতিষ্ঠানেই আর্থিক দুর্নীতি আছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে যে সম্পদের যেমন ব্যবহার হওয়া উচিত তা হচ্ছে না। গণতান্ত্রিক জবাবদিহি নেই।’
এ সময় শিক্ষার মান নিয়ে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘৭০ ভাগ শিক্ষা আসছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কিন্তু অর্থনীতি যেখানে কাজ করছে সেখানে সব জায়গায় এই শিক্ষার দরকার নেই। এখানে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।’
অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশকে গড়ের আধিপত্য থেকে বের হয়ে আসতে হবে। অনেক আর্থিক সূচকে উন্নতি হয়েছে। তবে যখনই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সামষ্টিক থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে যাওয়া হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে অনেক ধরনের অসাম্য রয়েছে।’
অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, ‘এই আলোচনার মূল কথা হচ্ছে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। এখানে যে ক্ষমতায় আসে উনি এই পরিচয়ে আসবেন যে তাঁকে জনগণ নির্বাচিত করেছেন এবং জনগণের আশা পূরণ করবেন।’
রেহমান সোবহান আরও বলেন, ‘দেশে অনেক ভালো কাজ হয়েছে। পদ্মা সেতু হয়েছে। এটার কৃতিত্ব শেখ হাসিনাকে দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক বিচারপতি আব্দুল মতিন এবং কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ কনভেনশন, সাইটিস, অনুযায়ী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশটি সাইটিসের অনুশাসন মেনে প্রজাতি সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী বাণিজ্য রোধে
৮ ঘণ্টা আগেনিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ উদ্যোগে গৃহীত কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ কমিটি গঠন করা হয়
১ দিন আগেসন্তানের বড় শিক্ষক তার মা। সন্তানের ছোটবেলায় লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় মায়ের কাছে। শুধু লেখাপড়া নয়, আদবকায়দা, সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ—সবকিছু শিক্ষায় রয়েছে মায়ের অনেক বড় প্রভাব।
২ দিন আগেপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি উন্নত দেশগুলোকে তাঁদের জলবায়ু অর্থায়ন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন
২ দিন আগে