এম. আসাদুজ্জাসান সাদ, গাজীপুর
চেনা কোনো প্রাণী বলে মনে হচ্ছে?
নাকি মনে পড়ে যাচ্ছে সুকুমার রায়ের হাঁসজারুর কথা? হাঁস আর সজারু মিলে যা তৈরি হয়েছিল?
প্রাণীটার কানগুলো খরগোশের মতো, আর চোখ যেন হরিণ!
তাই যে প্রাণী দুটো চোখের সামনে ছোটাছুটি করছে, সে দুটিকে খরিণ কিংবা হরিগোশ বলে চালিয়ে দেওয়া যেতে পারে। খরগোশ আর হরিণের মিশেলে যা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এটা নিছক রসিকতা।
আসলে এই প্রাণীটির নাম পাতাগোনিয়ান মারা। নিবাস আর্জেন্টিনা। হ্যাঁ, ম্যারাডোনা আর মেসির দেশ থেকে তারা এসেছে বাংলাদেশে। গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের কর্মকর্তারা নিশ্চিতভাবে বলেছেন, এই দুটি পাতাগোনিয়ান মারাই আছে বাংলাদেশে।
গত শনিবার দুপুরে সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বনসংরক্ষক মো. তবিবুর রহমানের কাছ থেকে জানা গেল, প্রাণী দুটি এখন রয়েছে কোয়ারেন্টিনে। নির্দিষ্ট সময় পার হলেই পার্কে এসে দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন এই দুটি পাতাগোনিয়ান মারাকে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা কার্যালয়ের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) নির্মল কুমার পাল ওই দুইটি পাতাগোনিয়ান মারাকে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে পাঠান। এদের সাতক্ষীরার তুষাখালী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হচ্ছিল। গত ৩ মার্চ সাতটি পাতাগোনিয়ান মারা উদ্ধার করেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
তবে পাচারকারী দলের কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। উদ্ধার হওয়ার প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত প্রাণীগুলো ছিল বিজিবির তত্ত্বাবধানে। পরে বন বিভাগ উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলোকে আর্জেন্টিনার ‘পাতাগোনিয়ান মারা’ বলে শনাক্ত করে।
প্রায় ১১ মাস আগে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রাণীগুলো আনা হয়েছিল। নির্মল কুমার পাল বলেন, ভারতে পাচারের সময় তুষখালী সীমান্তে সাতটি পাতাগোনিয়ান মারা উদ্ধার করে বিজিবি। বিজিবির হেফাজতে থাকাকালীন একটি প্রাণী মারা যাওয়ায় ছয়টি প্রাণী তাঁরা বুঝে পান। এ সময় প্রাণীগুলোকে বন্য প্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হলে গত ৩১ আগস্ট সেখান থেকে একটি শাবকেরও জন্ম হয়েছিল, সেটিও বাঁচেনি। পরে একে একে পাঁচটি প্রাণীই মারা যায়। অবশিষ্ট দুটি প্রাণীকে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে হস্তান্তর করা হয়।
হরিণের চোখের মতোই এদের চোখ আর খরগোশের কানের মতো কানজোড়া। সামনের তুলনায় পেছনের পা দুটি বেশ দীর্ঘ। লাফিয়ে চললে ক্যাঙারুর মতো লাগে।
বেষ্টনীর ভেতর গাজর, বরবটি, কলমিশাক, শসা ও সবুজ ঘাস রাখা। কিছু সময় পরপর এসে এরা খাচ্ছে। সাফারী পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন হাতেম সাজ্জাদ মোহাম্মদ জুলকারনাইন জানান, খরগোশ বা গিনিপিগ গোত্রীয় প্রাণীটি স্তন্যপায়ী ও তৃণভোজী, খরগোশ বা গিনিপিগ গোত্রীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী পাতাগোনিয়ান মারা। প্রাণীটি দেশে এই প্রথম।
পাতাগোনিয়ান মারা সাধারণত ২৭ দশমিক ৫ ইঞ্চি বা ৭০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ হয়। এদের লেজ মাত্র দেড় থেকে দুই ইঞ্চি। ওজন ৮ থেকে ১৬ কেজির মতো। বছরে এক থেকে দুবার বাচ্চার জন্ম দেয়।
প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থার জোট আইইউসিএনের তালিকা অনুযায়ী, বৈশ্বিকভাবে এটি বিপন্ন প্রাণী। এ ধরনের প্রাণী আমদানি-রপ্তানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্র বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে প্রাণীগুলো ভারতে পাচার করছিল।
চেনা কোনো প্রাণী বলে মনে হচ্ছে?
নাকি মনে পড়ে যাচ্ছে সুকুমার রায়ের হাঁসজারুর কথা? হাঁস আর সজারু মিলে যা তৈরি হয়েছিল?
প্রাণীটার কানগুলো খরগোশের মতো, আর চোখ যেন হরিণ!
তাই যে প্রাণী দুটো চোখের সামনে ছোটাছুটি করছে, সে দুটিকে খরিণ কিংবা হরিগোশ বলে চালিয়ে দেওয়া যেতে পারে। খরগোশ আর হরিণের মিশেলে যা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এটা নিছক রসিকতা।
আসলে এই প্রাণীটির নাম পাতাগোনিয়ান মারা। নিবাস আর্জেন্টিনা। হ্যাঁ, ম্যারাডোনা আর মেসির দেশ থেকে তারা এসেছে বাংলাদেশে। গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের কর্মকর্তারা নিশ্চিতভাবে বলেছেন, এই দুটি পাতাগোনিয়ান মারাই আছে বাংলাদেশে।
গত শনিবার দুপুরে সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বনসংরক্ষক মো. তবিবুর রহমানের কাছ থেকে জানা গেল, প্রাণী দুটি এখন রয়েছে কোয়ারেন্টিনে। নির্দিষ্ট সময় পার হলেই পার্কে এসে দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন এই দুটি পাতাগোনিয়ান মারাকে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা কার্যালয়ের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) নির্মল কুমার পাল ওই দুইটি পাতাগোনিয়ান মারাকে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে পাঠান। এদের সাতক্ষীরার তুষাখালী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হচ্ছিল। গত ৩ মার্চ সাতটি পাতাগোনিয়ান মারা উদ্ধার করেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
তবে পাচারকারী দলের কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। উদ্ধার হওয়ার প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত প্রাণীগুলো ছিল বিজিবির তত্ত্বাবধানে। পরে বন বিভাগ উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলোকে আর্জেন্টিনার ‘পাতাগোনিয়ান মারা’ বলে শনাক্ত করে।
প্রায় ১১ মাস আগে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রাণীগুলো আনা হয়েছিল। নির্মল কুমার পাল বলেন, ভারতে পাচারের সময় তুষখালী সীমান্তে সাতটি পাতাগোনিয়ান মারা উদ্ধার করে বিজিবি। বিজিবির হেফাজতে থাকাকালীন একটি প্রাণী মারা যাওয়ায় ছয়টি প্রাণী তাঁরা বুঝে পান। এ সময় প্রাণীগুলোকে বন্য প্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হলে গত ৩১ আগস্ট সেখান থেকে একটি শাবকেরও জন্ম হয়েছিল, সেটিও বাঁচেনি। পরে একে একে পাঁচটি প্রাণীই মারা যায়। অবশিষ্ট দুটি প্রাণীকে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে হস্তান্তর করা হয়।
হরিণের চোখের মতোই এদের চোখ আর খরগোশের কানের মতো কানজোড়া। সামনের তুলনায় পেছনের পা দুটি বেশ দীর্ঘ। লাফিয়ে চললে ক্যাঙারুর মতো লাগে।
বেষ্টনীর ভেতর গাজর, বরবটি, কলমিশাক, শসা ও সবুজ ঘাস রাখা। কিছু সময় পরপর এসে এরা খাচ্ছে। সাফারী পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন হাতেম সাজ্জাদ মোহাম্মদ জুলকারনাইন জানান, খরগোশ বা গিনিপিগ গোত্রীয় প্রাণীটি স্তন্যপায়ী ও তৃণভোজী, খরগোশ বা গিনিপিগ গোত্রীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী পাতাগোনিয়ান মারা। প্রাণীটি দেশে এই প্রথম।
পাতাগোনিয়ান মারা সাধারণত ২৭ দশমিক ৫ ইঞ্চি বা ৭০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ হয়। এদের লেজ মাত্র দেড় থেকে দুই ইঞ্চি। ওজন ৮ থেকে ১৬ কেজির মতো। বছরে এক থেকে দুবার বাচ্চার জন্ম দেয়।
প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থার জোট আইইউসিএনের তালিকা অনুযায়ী, বৈশ্বিকভাবে এটি বিপন্ন প্রাণী। এ ধরনের প্রাণী আমদানি-রপ্তানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্র বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে প্রাণীগুলো ভারতে পাচার করছিল।
আজারবাইজানের বাকুতে চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন কপ–২৯ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর)। উন্নত দেশগুলোর কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পোষাতে বছরে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৩০ হাজার কোটি) ডলার অর্থায়নের প্রস্তাব ছিল। এ আলোচনার কোনো সমাধান না পাওয়ায় সম্মেলনের সময় একদিন বাড়ানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি সময়ের সঙ্গে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এ দিকে আজ রোববার দেশের উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা পূর্বাভাস রয়েছে...
৪ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আরও একবার হতাশ করেছেন নীতিনির্ধারকেরা। সম্মেলনের শেষ দিনে এসে বার্ষিক ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার খসড়া উপস্থাপন করেছে কপ প্রেসিডেন্সি।
৫ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে আজ আরও অবনতি ঘটেছে। বাতাসের মান সূচকে শীর্ষ ২ অবস্থান করছে। আজ ঢাকায় দূষণের মাত্রা ২৯১, যা অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে অবস্থান করছে পাকিস্তানের লাহোর। এর পরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপটও...
৬ ঘণ্টা আগে