ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
সাতটি ঝরনা। রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি ও দীঘলছড়ি পাহাড়ের পাদদেশে এই ঝরনাগুলোর দেখা মিলবে। বৌদ্ধধর্মে সাতটি স্বর্গের কথা বলা হয়েছে। স্বর্গগুলো হলো বশবর্তী স্বর্গ, মহারাজিক স্বর্গ, তাবতিংস স্বর্গ, তুষিত স্বর্গ, যাম স্বর্গ, নির্মাণরতি স্বর্গ, অরুপব্রক্ষ্মা বা মনুষ্যলোক বা মনুষ্য পরিষদ স্বর্গ। এই সাতটি স্বর্গের নামানুসারে বিলাইছড়ি উপজেলার মনোরম স্বর্গপুরের সাতটি ঝরনার নামকরণ করা হয়েছে।
এই ঝরনাগুলোর জলরাশি একীভূত হয়ে মিশে গেছে কাপ্তাই লেকের নীল জলে। ঝরনা থেকে বহমান জলধারার সুরলহরিতে হৃদয়ের প্রতিটি তন্ত্রীতে জাগে নব জাগরণ। যেন স্বর্গের কোনো দেবদূত তাঁর অপূর্ব সুরধ্বনি শুনিয়ে যাচ্ছেন মেঘমল্লার সুরে।
দুই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে যে স্বচ্ছ জলস্রোত, প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ পাথরে আবৃত পথে তাতে রয়েছে বিশের অধিক প্রাকৃতিক সুইমিং পুল। সুইমিং পুলগুলোয় রয়েছে অজস্র দৃষ্টিনন্দন নাড়েই মাছসহ (স্থানীয় নাম) নানা প্রজাতির ছোট মাছ। নাড়েই মাছগুলো পুকুরে চাষ করা মাছের মতোই। মানুষ দেখলে খাদ্যের আশায় সামনে এসে জড়ো হয়। তবে এ মাছ পাড়ার মানুষ ধরলেই জরিমানা অনিবার্য।
আগে এ ঝরনাগুলোর কোনো সুনির্দিষ্ট নাম ছিল না। সুবিস্তৃত এলাকাটিকে স্থানীয়রা বলে দীঘলছড়ি ঢেবার মাথা। ঢেবা বলতে স্থানীয়রা বোঝে লেকের সে সরু অংশ, যা পাহাড়ের ভেতর দিকে চলে যায়। ঢেবার মাথা বলতে বোঝায় এ রকম ঢেবার শেষ প্রান্ত। কাপ্তাই লেকে এ রকম অগণিত ঢেবার মাথা রয়েছে। এটি বিলাইছড়ির দীঘলছড়ি ঢেবার শেষ প্রান্তে। তাই বিস্তৃত এলাকাটি দীঘলছড়ি ঢেবার মাথা বলে পরিচিত।
বিলাইছড়ি উপজেলার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুজন কান্তি দাশ গত বছরের ২১ এপ্রিল প্রকল্প পরিদর্শন কাজে দীঘলছড়ি ঢেবার মাথায় গিয়ে এই ঝরনাগুলোর কথা জানতে পারেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমানকে সে কথা জানান। এ তথ্য পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ২০২০ সালের ২৩ এপ্রিল অনেককে নিয়ে সেখানে যান। ঝরনাগুলোর তখন নাম ছিল না। পাশেই এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ধ্যান করতেন। সেখানে তৈরি হচ্ছে একটি বৌদ্ধবিহার। তাই বৌদ্ধধর্মাবলম্বী সবার কাছেই এটি শ্রদ্ধার জায়গা। ব্যাপারটি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রস্তাব করেন—এ বৌদ্ধবিহারের নামানুসারে স্বর্গের মতো সুন্দর এ জায়গাটির নাম হতে পারে স্বর্গপুর এবং বৌদ্ধধর্মের সাতটি স্বর্গের নামানুসারে ঝরনাগুলোর নামকরণ হতে পারে। সেই থেকে এই জায়গাটির নাম হয় স্বর্গপুর। মো. মিজানুর রহমান মনে করেন, রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় অনেকগুলো ছোটবড় ঝরনা রয়েছে, যা দেশের অন্য কোনো উপজেলায় নেই। রয়েছে পাহাড়, লেক আর সবুজের অনন্য সমন্বয়। জায়গাগুলোর উন্নয়ন সাধন করে এখানে কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা।
রাঙামাটি সদর কিংবা কাপ্তাই জেটিঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত বোটে ঘণ্টা দেড়েক চললে বিলাইছড়ি উপজেলায় পৌঁছানো যায়। এরপর বিলাইছড়ি সদর থেকে ধুপ্যাচর, দীঘলছড়ি পার হয়ে ২০ মিনিট ইঞ্জিনচালিত বোটে পাড়ি দিয়ে ঢেবার মাথা যাওয়ার পর আরও ৩০ মিনিট পায়ে হেঁটে ঝরনায় পৌঁছানো যায়।
সাতটি ঝরনা। রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি ও দীঘলছড়ি পাহাড়ের পাদদেশে এই ঝরনাগুলোর দেখা মিলবে। বৌদ্ধধর্মে সাতটি স্বর্গের কথা বলা হয়েছে। স্বর্গগুলো হলো বশবর্তী স্বর্গ, মহারাজিক স্বর্গ, তাবতিংস স্বর্গ, তুষিত স্বর্গ, যাম স্বর্গ, নির্মাণরতি স্বর্গ, অরুপব্রক্ষ্মা বা মনুষ্যলোক বা মনুষ্য পরিষদ স্বর্গ। এই সাতটি স্বর্গের নামানুসারে বিলাইছড়ি উপজেলার মনোরম স্বর্গপুরের সাতটি ঝরনার নামকরণ করা হয়েছে।
এই ঝরনাগুলোর জলরাশি একীভূত হয়ে মিশে গেছে কাপ্তাই লেকের নীল জলে। ঝরনা থেকে বহমান জলধারার সুরলহরিতে হৃদয়ের প্রতিটি তন্ত্রীতে জাগে নব জাগরণ। যেন স্বর্গের কোনো দেবদূত তাঁর অপূর্ব সুরধ্বনি শুনিয়ে যাচ্ছেন মেঘমল্লার সুরে।
দুই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে যে স্বচ্ছ জলস্রোত, প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ পাথরে আবৃত পথে তাতে রয়েছে বিশের অধিক প্রাকৃতিক সুইমিং পুল। সুইমিং পুলগুলোয় রয়েছে অজস্র দৃষ্টিনন্দন নাড়েই মাছসহ (স্থানীয় নাম) নানা প্রজাতির ছোট মাছ। নাড়েই মাছগুলো পুকুরে চাষ করা মাছের মতোই। মানুষ দেখলে খাদ্যের আশায় সামনে এসে জড়ো হয়। তবে এ মাছ পাড়ার মানুষ ধরলেই জরিমানা অনিবার্য।
আগে এ ঝরনাগুলোর কোনো সুনির্দিষ্ট নাম ছিল না। সুবিস্তৃত এলাকাটিকে স্থানীয়রা বলে দীঘলছড়ি ঢেবার মাথা। ঢেবা বলতে স্থানীয়রা বোঝে লেকের সে সরু অংশ, যা পাহাড়ের ভেতর দিকে চলে যায়। ঢেবার মাথা বলতে বোঝায় এ রকম ঢেবার শেষ প্রান্ত। কাপ্তাই লেকে এ রকম অগণিত ঢেবার মাথা রয়েছে। এটি বিলাইছড়ির দীঘলছড়ি ঢেবার শেষ প্রান্তে। তাই বিস্তৃত এলাকাটি দীঘলছড়ি ঢেবার মাথা বলে পরিচিত।
বিলাইছড়ি উপজেলার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুজন কান্তি দাশ গত বছরের ২১ এপ্রিল প্রকল্প পরিদর্শন কাজে দীঘলছড়ি ঢেবার মাথায় গিয়ে এই ঝরনাগুলোর কথা জানতে পারেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমানকে সে কথা জানান। এ তথ্য পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ২০২০ সালের ২৩ এপ্রিল অনেককে নিয়ে সেখানে যান। ঝরনাগুলোর তখন নাম ছিল না। পাশেই এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ধ্যান করতেন। সেখানে তৈরি হচ্ছে একটি বৌদ্ধবিহার। তাই বৌদ্ধধর্মাবলম্বী সবার কাছেই এটি শ্রদ্ধার জায়গা। ব্যাপারটি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রস্তাব করেন—এ বৌদ্ধবিহারের নামানুসারে স্বর্গের মতো সুন্দর এ জায়গাটির নাম হতে পারে স্বর্গপুর এবং বৌদ্ধধর্মের সাতটি স্বর্গের নামানুসারে ঝরনাগুলোর নামকরণ হতে পারে। সেই থেকে এই জায়গাটির নাম হয় স্বর্গপুর। মো. মিজানুর রহমান মনে করেন, রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় অনেকগুলো ছোটবড় ঝরনা রয়েছে, যা দেশের অন্য কোনো উপজেলায় নেই। রয়েছে পাহাড়, লেক আর সবুজের অনন্য সমন্বয়। জায়গাগুলোর উন্নয়ন সাধন করে এখানে কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা।
রাঙামাটি সদর কিংবা কাপ্তাই জেটিঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত বোটে ঘণ্টা দেড়েক চললে বিলাইছড়ি উপজেলায় পৌঁছানো যায়। এরপর বিলাইছড়ি সদর থেকে ধুপ্যাচর, দীঘলছড়ি পার হয়ে ২০ মিনিট ইঞ্জিনচালিত বোটে পাড়ি দিয়ে ঢেবার মাথা যাওয়ার পর আরও ৩০ মিনিট পায়ে হেঁটে ঝরনায় পৌঁছানো যায়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
৬ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১৪ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
১৫ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে