অনলাইন ডেস্ক
জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানুষের দখলদারির কারণে বিশ্বের এক পঞ্চমাংশেরও বেশি পরিযায়ী প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। আজ সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘের পরিযায়ী প্রাণীদের নিয়ে তৈরি প্রথম প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতি বছর কোটি কোটি প্রাণী প্রজনন ও খাবারের জন্য মরুভূমি, সমভূমি বা মহাসাগর পাড়ি দেয়। এই পরিযায়ী প্রজাতির ওপর অস্বাভাবিক চাপের কারণে কেবল এদের যে সংখ্যাই হ্রাস পাচ্ছে তাই নয়, এতে খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং জীবিকাও হুমকির মুখে পড়তে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের পরিযায়ী প্রাণী রক্ষা কনভেনশনের আওতায় ১ হাজার ১৮৯টি প্রজাতির মধ্যে ৪৪ শতাংশ প্রজাতির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে এবং ২২ শতাংশ প্রজাতি পুরোপুরি বিলুপ্তপ্রায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এই সংখ্যাগুলো ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) এবং সে সঙ্গে লিভিং প্ল্যানেট ইনডেক্সের মূল্যায়ন এবং ডেটার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে ১৯৭০ সাল থেকে ৫ হাজারেরও বেশি প্রজাতির প্রাণীর মোট সংখ্যা একত্রিত করা হয়েছে।
আজ সোমবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে পরিযায়ী প্রজাতির বিলুপ্তির ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারকে কী করতে হবে সে সম্পর্কে ‘স্পষ্ট দিকনির্দেশনা’ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, পরিযায়ী প্রজাতির বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক জাতিসংঘের কনভেনশনের নির্বাহী সচিব অ্যামি ফ্রাঙ্কেল।
চলতি সপ্তাহে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠেয় কনভেনশনের বৈঠকের আগে তিনি বলেন, ‘বাস্তবায়নের ওপরই এর কার্যকারিতা নির্ভর করে।’
পরিযায়ী প্রাণীর জন্য মানুষই সবচেয়ে বড় হুমকি তৈরি করছে। শিকার, নির্বিচারে মাছ ধরা এবং অন্যান্য ধরনের সম্পদের অতি ব্যবহার জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত ৭০ শতাংশ প্রজাতিকে প্রভাবিত করছে।
Habitat loss affected up to 75% of the species – underlining the need for more connectivity between isolated ecosystems. The report’s authors urged governments to avoid disrupting habitats and migration paths when installing infrastructure such as dams, pipelines or wind turbines.
আবাসস্থল কমে যাওয়ার কারণে প্রজাতিগুলোর ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রভাবিত হয়। এ থেকে বিচ্ছিন্ন বাস্তুতন্ত্রগুলোর মধ্যে সংযোগের প্রয়োজনীয়তা আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। প্রতিবেদনের লেখকেরা বাঁধ, পাইপলাইন বা বায়ু কলের মতো অবকাঠামো স্থাপনের সময় পরিযায়ী প্রাণী আবাসস্থল এবং স্থানান্তরের পথে বাধা এড়াতে সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যামি ফ্রাঙ্কেল বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের শীর্ষ স্তরের দিকে আমাদের নজর দেওয়া দরকার। কী পরিকল্পনা করা হচ্ছে তা আমাদের খেয়াল করা উচিত যেন আমরা সবার বেঁচে থাকার জন্য জরুরি প্রকৃতিকে বিসর্জন না দিয়ে মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারি।’
বৈশ্বিক তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে চাপগুলো আরও জটিল হয়ে উঠছে। তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তর সময় ব্যাহত হচ্ছে এবং খরা বা দাবানলের মতো ধ্বংসাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটছে।
ফ্রাঙ্কেল বলেন, ‘কয়েক বছর আগেই যে পরিবর্তনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, এখন তা–ই ঘটছে।’
কনভেনশনের সদস্যরা প্রতি তিন বছরে একবার বৈঠক করে এবং বিপন্নের তালিকায় অন্য কোনো প্রাণী যুক্ত করতে হবে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে। এ সপ্তাহের সমরখন্দ বৈঠকে আমাজন নদীর ক্যাটফিশ (বৃহৎ পাঙ্গাশ) যুক্ত করা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
ফ্রাঙ্কেল বলেন, দেশগুলোকে আরও কার্যকরভাবে প্রাণীর আবাসস্থল রক্ষার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্য একটি নতুন কর্মসূচিও চালু করবে সংস্থাটি।
সংরক্ষণবাদীরা ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য চুক্তির অধীনে দেশগুলোর ২০২২ সালের প্রতিশ্রুতি অনুসারে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। চুক্তি অনুসারে, বিশ্বের ৩০ শতাংশ ভূমি ও সমুদ্র অঞ্চলকে প্রকৃতির জন্য সংরক্ষিত রাখা হবে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সোসাইটির আন্তর্জাতিক নীতির সহ–সভাপতি সুসান লিবারম্যান বলেন, ‘সরকারগুলো যদি তাদের প্রতিশ্রুতি অনুসারে কাজ করে তাহলে জাতিসংঘের পরবর্তী প্রতিবেদনে কিছু ভালো খবর পাওয়া যাবে।’
জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানুষের দখলদারির কারণে বিশ্বের এক পঞ্চমাংশেরও বেশি পরিযায়ী প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। আজ সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘের পরিযায়ী প্রাণীদের নিয়ে তৈরি প্রথম প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতি বছর কোটি কোটি প্রাণী প্রজনন ও খাবারের জন্য মরুভূমি, সমভূমি বা মহাসাগর পাড়ি দেয়। এই পরিযায়ী প্রজাতির ওপর অস্বাভাবিক চাপের কারণে কেবল এদের যে সংখ্যাই হ্রাস পাচ্ছে তাই নয়, এতে খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং জীবিকাও হুমকির মুখে পড়তে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের পরিযায়ী প্রাণী রক্ষা কনভেনশনের আওতায় ১ হাজার ১৮৯টি প্রজাতির মধ্যে ৪৪ শতাংশ প্রজাতির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে এবং ২২ শতাংশ প্রজাতি পুরোপুরি বিলুপ্তপ্রায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এই সংখ্যাগুলো ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) এবং সে সঙ্গে লিভিং প্ল্যানেট ইনডেক্সের মূল্যায়ন এবং ডেটার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে ১৯৭০ সাল থেকে ৫ হাজারেরও বেশি প্রজাতির প্রাণীর মোট সংখ্যা একত্রিত করা হয়েছে।
আজ সোমবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে পরিযায়ী প্রজাতির বিলুপ্তির ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারকে কী করতে হবে সে সম্পর্কে ‘স্পষ্ট দিকনির্দেশনা’ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, পরিযায়ী প্রজাতির বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক জাতিসংঘের কনভেনশনের নির্বাহী সচিব অ্যামি ফ্রাঙ্কেল।
চলতি সপ্তাহে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠেয় কনভেনশনের বৈঠকের আগে তিনি বলেন, ‘বাস্তবায়নের ওপরই এর কার্যকারিতা নির্ভর করে।’
পরিযায়ী প্রাণীর জন্য মানুষই সবচেয়ে বড় হুমকি তৈরি করছে। শিকার, নির্বিচারে মাছ ধরা এবং অন্যান্য ধরনের সম্পদের অতি ব্যবহার জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত ৭০ শতাংশ প্রজাতিকে প্রভাবিত করছে।
Habitat loss affected up to 75% of the species – underlining the need for more connectivity between isolated ecosystems. The report’s authors urged governments to avoid disrupting habitats and migration paths when installing infrastructure such as dams, pipelines or wind turbines.
আবাসস্থল কমে যাওয়ার কারণে প্রজাতিগুলোর ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রভাবিত হয়। এ থেকে বিচ্ছিন্ন বাস্তুতন্ত্রগুলোর মধ্যে সংযোগের প্রয়োজনীয়তা আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। প্রতিবেদনের লেখকেরা বাঁধ, পাইপলাইন বা বায়ু কলের মতো অবকাঠামো স্থাপনের সময় পরিযায়ী প্রাণী আবাসস্থল এবং স্থানান্তরের পথে বাধা এড়াতে সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যামি ফ্রাঙ্কেল বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের শীর্ষ স্তরের দিকে আমাদের নজর দেওয়া দরকার। কী পরিকল্পনা করা হচ্ছে তা আমাদের খেয়াল করা উচিত যেন আমরা সবার বেঁচে থাকার জন্য জরুরি প্রকৃতিকে বিসর্জন না দিয়ে মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারি।’
বৈশ্বিক তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে চাপগুলো আরও জটিল হয়ে উঠছে। তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তর সময় ব্যাহত হচ্ছে এবং খরা বা দাবানলের মতো ধ্বংসাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটছে।
ফ্রাঙ্কেল বলেন, ‘কয়েক বছর আগেই যে পরিবর্তনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, এখন তা–ই ঘটছে।’
কনভেনশনের সদস্যরা প্রতি তিন বছরে একবার বৈঠক করে এবং বিপন্নের তালিকায় অন্য কোনো প্রাণী যুক্ত করতে হবে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে। এ সপ্তাহের সমরখন্দ বৈঠকে আমাজন নদীর ক্যাটফিশ (বৃহৎ পাঙ্গাশ) যুক্ত করা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
ফ্রাঙ্কেল বলেন, দেশগুলোকে আরও কার্যকরভাবে প্রাণীর আবাসস্থল রক্ষার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্য একটি নতুন কর্মসূচিও চালু করবে সংস্থাটি।
সংরক্ষণবাদীরা ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য চুক্তির অধীনে দেশগুলোর ২০২২ সালের প্রতিশ্রুতি অনুসারে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। চুক্তি অনুসারে, বিশ্বের ৩০ শতাংশ ভূমি ও সমুদ্র অঞ্চলকে প্রকৃতির জন্য সংরক্ষিত রাখা হবে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সোসাইটির আন্তর্জাতিক নীতির সহ–সভাপতি সুসান লিবারম্যান বলেন, ‘সরকারগুলো যদি তাদের প্রতিশ্রুতি অনুসারে কাজ করে তাহলে জাতিসংঘের পরবর্তী প্রতিবেদনে কিছু ভালো খবর পাওয়া যাবে।’
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১০ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১৮ ঘণ্টা আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ আজও ভয়াবহ মাত্রায় রয়েছে। আজ বুধবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি শহর, দৃশ্যময়তা কমে যাওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়েছে। এর পরে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর...
২ দিন আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটি চলতি মরসুমে সর্বোচ্চ এবং ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে।
৩ দিন আগে