ইশতিয়াক হাসান

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি, ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প্রজাতিগুলোর একটি বা দুটিই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে ভবিষ্যতে।
সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘স্প্রিঞ্জার নেচার’-এর ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব প্রাইমেটোলজিতে।
২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চালানো হয় গবেষণাটি। গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের বাংলাদেশি পিএইচডি শিক্ষার্থী এবং আইইউসিএন প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য তানভীর আহমেদ। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন বনে হনুমানের ৯৮টি দলের ওপর জরিপ চালান তাঁরা। এ সময় আটটি মিশ্র দলের খোঁজ পান। অর্থাৎ, এগুলোতে চাশমাপরা ও মুখপোড়া দুই জাতের হনুমানই ছিল। এদের মধ্যে তিনটি দলের কয়েকটি প্রাণীর চেহারায় দুই প্রজাতির প্রাণীর মিশ্রণ লক্ষ করেন। কিন্তু সংকরায়ণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিনগত পরীক্ষা জরুরি।
গবেষকেরা তিনটি মিশ্র দলের তিনটি সম্ভাব্য সংকর হনুমানকে চিহ্নিত করেন। এটা করা হয় চেহারা, অর্থাৎ শারীরিক বৈশিষ্ট্য দেখে। এদের দুটি ছিল হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এবং একটি রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে। সম্ভাব্য সংকরগুলোর মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হনুমান। গবেষকেরা বুঝতে পারেন, এর একসময় বাচ্চাও ছিল এবং বাচ্চাকে নিয়মিত দুধ পান করাত। বাকি দুটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান অপ্রাপ্তবয়স্ক।
সংকরায়ণের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে সংগৃহীত মলের নমুনার জিনগত পরীক্ষা করা হয় জার্মানির জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষণাগারে। আর এতেই একটি সংকর হনুমানের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য মেলে। ২০২৩ সালে সাতছড়ির একটি মিশ্র দলে জন্মানো এই সংকর হনুমান শিশুর বাবা চশমাপরা হনুমান এবং মা মুখপোড়া হনুমান। এদিকে সংকর বলে অনুমান করা ওই স্ত্রী হনুমানটির আবিষ্কার থেকে ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত স্ত্রী সংকর হনুমান বাচ্চাদানেও সক্ষম।
জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষকেরা ছাড়াও ১৫ সদস্যের এই গবেষক দলে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাবির বিন মুজাফফার, ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের প্রধান গবেষক মো. সাবিত হাসান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী, স্থানীয় ইকোগাইড ও বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী। বাংলাদেশ বন বিভাগের অনুমতিতে মাঠ পর্যায়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয় ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত।
আইইউসিএন লাল তালিকায় চশমাপরা হনুমান বিশ্বব্যাপী বিপন্ন এবং বাংলাদেশে মহাবিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। এদের বিস্তৃতি বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে মিয়ানমারের ইরাবতী নদী পর্যন্ত।
এদিকে মুখপোড়া হনুমান বিশ্বব্যাপী সংকটাপন্ন এবং বাংলাদেশে বিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভুটান, মিয়ানমার ও চীনের সামান্য কিছু অঞ্চলে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু পাহাড়ি বনে এ দুই হনুমান প্রজাতির বসবাস। এ ছাড়া মধুপুরের পাতাঝরা বনেও মুখপোড়া হনুমান আছে। বনের লতাপাতা, ফুল-ফল, কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাবার। খাবার গ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ে মলের মাধ্যমে বিভিন্ন ফলের বীজ বনে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে হনুমান। অর্থাৎ বনের বিস্তারে ভূমিকা রাখে হনুমান।
গবেষকেরা সিলেট বিভাগের লাউয়াছড়া, সাতছড়ি, রেমা-কালেঙ্গা, রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনে হনুমানের এসব দলের ওপর জরিপ করেন। মিশ্র প্রজাতির হনুমানের দলগুলোকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয় প্রায় চার বছর ধরে।
তানভীর আহমেদ গবেষণার পটভূমি তুলে ধরে জানান, ১৯৯৭-৯৮ সালে চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা বনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মফিজুল কবির পিএইচডি গবেষণার সময় প্রথম চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের দুটি অস্থায়ী মিশ্র প্রজাতির দলের খোঁজ পান। তবে সেগুলোতে কোনো সংকরের উপস্থিতি ছিল না। প্রায় দুই দশক পর ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে একটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান দেখে বিস্মিত হন তাঁরা। এর আগে এ দুই প্রজাতির হনুমান মিলে সংকর হনুমান জন্মানোর কোনো বৈজ্ঞানিক ইতিহাস নেই বলেও জানান তিনি।
তানভীর আহমেদ বলেন, গবেষণায় দেখা যায় লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হনুমানের ঘনত্ব রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনের তুলনায় অনেক বেশি। তবে দেশের সুরক্ষিত বনগুলো আকারে ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ফলে প্রাণীগুলো ক্রমেই নির্দিষ্ট অঞ্চলে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে এবং জিনগত আদান-প্রদানের সুযোগ কমে যাচ্ছে।
গবেষণাপত্রটিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাইমেটদের মধ্যে সংকরায়ণের ঘটনা একেবারেই কম। এ ধরনের দুটি প্রজাতির বিচরণের এলাকা একই হয়ে গেলে এ ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যেমন বন উজাড়, বনগুলোর মধ্যে সংযোগ নষ্ট, শিকার এবং ফাঁদে ফেলে বন্যপ্রাণী ধরা এদের সংখ্যা কমানোয় ভূমিকা রাখে। এতে এ ধরনের সংকরায়ণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘প্রজনন সক্ষম সংকরের অস্তিত্ব বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। কারণ দুটি বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে জিন প্রবাহ তাদের ভবিষ্যতের জেনেটিক গঠনকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা দেয়।’
এদিকে গবেষক দলের উপদেষ্টা ক্রিস্টিয়ান রোস বলেন, ‘এটি শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়। আবাসস্থল ধ্বংস হলে, প্রাণীরা প্রকৃতির নিয়মের বাইরে গিয়ে মিশে যায় এবং মিশ্র দল গঠন করে। এতে সংকরায়ণ ঘটতে পারে। এটি এমনকি একটি বা উভয় প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটাতে পারে।’
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে ভালোভাবে সংরক্ষিত বনে সংরক্ষণে কম মনোযোগ দেওয়া বনের তুলনায় হনুমানের সংখ্যার ঘনত্ব বেশি। তবে এই বনগুলো বেশির ভাগই ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রজাতিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার তুলনায় খণ্ড ভণ্ড বন এগুলো।
‘বন সংরক্ষণ একটি জাতীয় অগ্রাধিকার হতে হবে। আমরা যদি এখনই ব্যবস্থা না নিই, তাহলে শুধু দুটি বানরের প্রজাতিই নয়, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও হারাতে পারি।’ বলেন তানভীর আহমেদ।
গবেষণার সহলেখক ডিটমার জিনার গোটা বিষয়টির সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ‘এই গবেষণা আমাদের জাগিয়ে তোলার একটি বার্তা। কার্যকর দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণ কৌশল বিকাশের জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন। আরও গবেষণা আমাদের সংকরায়ণের মাত্রা, মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রভাব এবং কীভাবে এর সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো প্রতিরোধ করা যায় তা বুঝতে সাহায্য করবে।’
গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ, অর্থাৎ সিলেট বিভাগে এখন ৫০০-এর কম চশমাপরা হনুমান এবং ৬০০ মুখপোড়া হনুমান আছে। অর্থাৎ, এই প্রজাতি রক্ষার সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে।
বেশির ভাগ হনুমানের আবাস্থল মানবসৃষ্ট। কারণ যেমন বনের জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ, কৃষিকাজ, কাঠের জন্য উদ্ভিদের চাষাবাদ, গাছ চুরি, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কারণে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে। তা ছাড়া বন্যপ্রাণীর অবৈধ শিকার-বাণিজ্য, বিদ্যুতায়িত হওয়া ও গাড়িচাপায় মারা যাওয়াসহ নানা কারণে হনুমানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
এদের বেঁচে থাকা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে বলেও জানানো হয় গবেষণাপত্রে। এর মধ্যে রয়েছে বন সংরক্ষণ এবং খণ্ড বনগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য করিডর তৈরি করা।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি, ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প্রজাতিগুলোর একটি বা দুটিই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে ভবিষ্যতে।
সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘স্প্রিঞ্জার নেচার’-এর ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব প্রাইমেটোলজিতে।
২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চালানো হয় গবেষণাটি। গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের বাংলাদেশি পিএইচডি শিক্ষার্থী এবং আইইউসিএন প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য তানভীর আহমেদ। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন বনে হনুমানের ৯৮টি দলের ওপর জরিপ চালান তাঁরা। এ সময় আটটি মিশ্র দলের খোঁজ পান। অর্থাৎ, এগুলোতে চাশমাপরা ও মুখপোড়া দুই জাতের হনুমানই ছিল। এদের মধ্যে তিনটি দলের কয়েকটি প্রাণীর চেহারায় দুই প্রজাতির প্রাণীর মিশ্রণ লক্ষ করেন। কিন্তু সংকরায়ণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিনগত পরীক্ষা জরুরি।
গবেষকেরা তিনটি মিশ্র দলের তিনটি সম্ভাব্য সংকর হনুমানকে চিহ্নিত করেন। এটা করা হয় চেহারা, অর্থাৎ শারীরিক বৈশিষ্ট্য দেখে। এদের দুটি ছিল হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এবং একটি রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে। সম্ভাব্য সংকরগুলোর মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হনুমান। গবেষকেরা বুঝতে পারেন, এর একসময় বাচ্চাও ছিল এবং বাচ্চাকে নিয়মিত দুধ পান করাত। বাকি দুটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান অপ্রাপ্তবয়স্ক।
সংকরায়ণের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে সংগৃহীত মলের নমুনার জিনগত পরীক্ষা করা হয় জার্মানির জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষণাগারে। আর এতেই একটি সংকর হনুমানের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য মেলে। ২০২৩ সালে সাতছড়ির একটি মিশ্র দলে জন্মানো এই সংকর হনুমান শিশুর বাবা চশমাপরা হনুমান এবং মা মুখপোড়া হনুমান। এদিকে সংকর বলে অনুমান করা ওই স্ত্রী হনুমানটির আবিষ্কার থেকে ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত স্ত্রী সংকর হনুমান বাচ্চাদানেও সক্ষম।
জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষকেরা ছাড়াও ১৫ সদস্যের এই গবেষক দলে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাবির বিন মুজাফফার, ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের প্রধান গবেষক মো. সাবিত হাসান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী, স্থানীয় ইকোগাইড ও বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী। বাংলাদেশ বন বিভাগের অনুমতিতে মাঠ পর্যায়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয় ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত।
আইইউসিএন লাল তালিকায় চশমাপরা হনুমান বিশ্বব্যাপী বিপন্ন এবং বাংলাদেশে মহাবিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। এদের বিস্তৃতি বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে মিয়ানমারের ইরাবতী নদী পর্যন্ত।
এদিকে মুখপোড়া হনুমান বিশ্বব্যাপী সংকটাপন্ন এবং বাংলাদেশে বিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভুটান, মিয়ানমার ও চীনের সামান্য কিছু অঞ্চলে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু পাহাড়ি বনে এ দুই হনুমান প্রজাতির বসবাস। এ ছাড়া মধুপুরের পাতাঝরা বনেও মুখপোড়া হনুমান আছে। বনের লতাপাতা, ফুল-ফল, কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাবার। খাবার গ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ে মলের মাধ্যমে বিভিন্ন ফলের বীজ বনে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে হনুমান। অর্থাৎ বনের বিস্তারে ভূমিকা রাখে হনুমান।
গবেষকেরা সিলেট বিভাগের লাউয়াছড়া, সাতছড়ি, রেমা-কালেঙ্গা, রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনে হনুমানের এসব দলের ওপর জরিপ করেন। মিশ্র প্রজাতির হনুমানের দলগুলোকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয় প্রায় চার বছর ধরে।
তানভীর আহমেদ গবেষণার পটভূমি তুলে ধরে জানান, ১৯৯৭-৯৮ সালে চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা বনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মফিজুল কবির পিএইচডি গবেষণার সময় প্রথম চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের দুটি অস্থায়ী মিশ্র প্রজাতির দলের খোঁজ পান। তবে সেগুলোতে কোনো সংকরের উপস্থিতি ছিল না। প্রায় দুই দশক পর ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে একটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান দেখে বিস্মিত হন তাঁরা। এর আগে এ দুই প্রজাতির হনুমান মিলে সংকর হনুমান জন্মানোর কোনো বৈজ্ঞানিক ইতিহাস নেই বলেও জানান তিনি।
তানভীর আহমেদ বলেন, গবেষণায় দেখা যায় লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হনুমানের ঘনত্ব রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনের তুলনায় অনেক বেশি। তবে দেশের সুরক্ষিত বনগুলো আকারে ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ফলে প্রাণীগুলো ক্রমেই নির্দিষ্ট অঞ্চলে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে এবং জিনগত আদান-প্রদানের সুযোগ কমে যাচ্ছে।
গবেষণাপত্রটিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাইমেটদের মধ্যে সংকরায়ণের ঘটনা একেবারেই কম। এ ধরনের দুটি প্রজাতির বিচরণের এলাকা একই হয়ে গেলে এ ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যেমন বন উজাড়, বনগুলোর মধ্যে সংযোগ নষ্ট, শিকার এবং ফাঁদে ফেলে বন্যপ্রাণী ধরা এদের সংখ্যা কমানোয় ভূমিকা রাখে। এতে এ ধরনের সংকরায়ণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘প্রজনন সক্ষম সংকরের অস্তিত্ব বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। কারণ দুটি বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে জিন প্রবাহ তাদের ভবিষ্যতের জেনেটিক গঠনকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা দেয়।’
এদিকে গবেষক দলের উপদেষ্টা ক্রিস্টিয়ান রোস বলেন, ‘এটি শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়। আবাসস্থল ধ্বংস হলে, প্রাণীরা প্রকৃতির নিয়মের বাইরে গিয়ে মিশে যায় এবং মিশ্র দল গঠন করে। এতে সংকরায়ণ ঘটতে পারে। এটি এমনকি একটি বা উভয় প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটাতে পারে।’
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে ভালোভাবে সংরক্ষিত বনে সংরক্ষণে কম মনোযোগ দেওয়া বনের তুলনায় হনুমানের সংখ্যার ঘনত্ব বেশি। তবে এই বনগুলো বেশির ভাগই ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রজাতিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার তুলনায় খণ্ড ভণ্ড বন এগুলো।
‘বন সংরক্ষণ একটি জাতীয় অগ্রাধিকার হতে হবে। আমরা যদি এখনই ব্যবস্থা না নিই, তাহলে শুধু দুটি বানরের প্রজাতিই নয়, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও হারাতে পারি।’ বলেন তানভীর আহমেদ।
গবেষণার সহলেখক ডিটমার জিনার গোটা বিষয়টির সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ‘এই গবেষণা আমাদের জাগিয়ে তোলার একটি বার্তা। কার্যকর দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণ কৌশল বিকাশের জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন। আরও গবেষণা আমাদের সংকরায়ণের মাত্রা, মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রভাব এবং কীভাবে এর সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো প্রতিরোধ করা যায় তা বুঝতে সাহায্য করবে।’
গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ, অর্থাৎ সিলেট বিভাগে এখন ৫০০-এর কম চশমাপরা হনুমান এবং ৬০০ মুখপোড়া হনুমান আছে। অর্থাৎ, এই প্রজাতি রক্ষার সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে।
বেশির ভাগ হনুমানের আবাস্থল মানবসৃষ্ট। কারণ যেমন বনের জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ, কৃষিকাজ, কাঠের জন্য উদ্ভিদের চাষাবাদ, গাছ চুরি, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কারণে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে। তা ছাড়া বন্যপ্রাণীর অবৈধ শিকার-বাণিজ্য, বিদ্যুতায়িত হওয়া ও গাড়িচাপায় মারা যাওয়াসহ নানা কারণে হনুমানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
এদের বেঁচে থাকা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে বলেও জানানো হয় গবেষণাপত্রে। এর মধ্যে রয়েছে বন সংরক্ষণ এবং খণ্ড বনগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য করিডর তৈরি করা।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৪ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৬ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৩ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি। ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৬ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৩ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি। ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৩ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি। ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৪ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৬ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি। ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৪ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৬ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৩ ঘণ্টা আগে