মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে। একসময় শীত এলেই ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির দেখা মিলত বাইক্কা বিলে। শত প্রজাতির হাজারো অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত থাকত বিল এলাকা। বিভিন্ন প্রজাতির দেশি পাখির নিরাপদ আবাসস্থল ছিল এই বিল।
কয়েক বছর ধরে আর এই রূপ দেখা যায় না। শীতেও অতিথি পাখির আগমন কমে গিয়েছে। দেশি পাখির আনাগোনাও তেমন দেখা যায় না। পাখিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই আবাসস্থল। কয়েক বছর ধরে অতিথি পাখির সংখ্যা কমে আসার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবাসস্থল কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া। পাখিদের বসবাসের জন্য বাইক্কা বিলের পরিবেশগত উপযোগিতা কমে গিয়েছে।
অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলে যেসব পাখি আসত
২০০৩ সালের ১ জুলাই বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১০০ হেক্টর জলাভূমিকে ‘বাইক্কা বিল অভয়াশ্রম’ ঘোষণা করে ভূমি মন্ত্রণালয়। মাছ ধরা ও জলজ উদ্ভিদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এই বিলে বালিহাঁস, উত্তরে লেঞ্জা হাঁস, গিরিয়া হাঁস, উত্তরে খন্তিহাঁস, মরচে রং ভূতিহাঁস, মেটে মাথা টিটি, কালালেজ জৌরালি, খয়রা কাস্তে চরা, তিলা লালসা, গেওয়ালা বাটান, পিয়াং হাঁস, পাতি তিলা হাঁস, নীলমাথা হাঁস, বিল বাটান, পাতিসবুজলা, বন বাটান, পাতিচ্যাগা, ছোট ডুবুরি, বড় পানকৌড়ি, ছোট পানকৌড়ি, গয়ার, বাংলা শকুন, এশীয় শামুকখোল, পানমুরগি, পাতিকুট, নিউপিপি, দলপিপি, কালাপাখ ঠেঙ্গি, উদয়ী বাবু বাটান, ছোট নথ জিরিয়া, রাজহাঁস, ওটা, ধুপনি বক, ইগল, ভুবন চিল, হলদে বক, দেশি কানিবক, গোবক, ছোট বক, মাঝেলা বগা, লালচে বক, বেগুনি কালেম, বড় বগা, দেশি মেটে হাঁস, সরালি, বালিহাঁস, পানমুরগিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা পাওয়া যেত। এ ছাড়া বিলের পাড়ে গাছগাছালিতে শালিক, ঘুঘু, দোয়েল, চড়ুই, বুলবুলি, দাগি ঘাস পাখি, টুনটুনিসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি পাখির বসবাস ছিল।
বাইক্কা বিলে প্রতিবছর একটি বেসরকারি একটা সংস্থা পাখি শুমারি করে। তারা বলছে, গত কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা কমেছে। তাদের শুমারিতে ২০২৪ সালে ৩৮ প্রজাতির ৭ হাজার ৭৮০ পাখির সংখ্যা পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালে ৩৩ প্রজাতির ৪ হাজার ৬১৫ পাখি ছিল। এর আগে শুমারিতে ১২ হাজার পর্যন্ত পাখির হিসাব পাওয়া গিয়েছিল।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, যাঁরা বাইক্কা বিল দেখাশোনা করেন, তাঁরাই পাখি ও মাছ শিকারে জড়িত। বন্যার সময় মাছ শিকার করতে সব কচুরিপানা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় খাবারের অভাবে পাখি কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে পাখি ও মাছ শিকার, হাওর বাঁধ, সেচ মেশিন ব্যবহারের কারণে পাখি কমে যাচ্ছে।

পাখি কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বাইক্কা বিলের দায়িত্বে থাকা বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিন্নত আলী বলেন, এক দশক আগে পাখির সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। তবে কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে।
কেন আগের মতো পাখি আসছে না বাইক্কা বিলে
পাখি গবেষকেরা বলছেন, মাছ শিকারের জন্য বিল থেকে জলজ উদ্ভিদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় পাখিরা কোথাও বসে খাবার খেতে পারে না। পাখি না আসার মূল কারণ এটি। এ ছাড়া ফাঁদ পেতে পাখি শিকার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা ও জলজ উদ্ভিদের অভাব পাখিদের বিলে আসা কমিয়ে দিচ্ছে।

পানির পাশাপাশি হাওর এলাকায় গাছগাছালি কমে যাওয়া, অপরিকল্পিতভাবে হাওর ভরাট, সেচ ও বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ ধরা, নির্বিচারে পাখি শিকার, হাওরের ভেতর দিয়ে যানবাহন চলাচল, শীত কমে যাওয়া, আবাসস্থল ধ্বংসের পেছনে আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ নানা কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা এখন থেকে সচেতন না হলে বাইক্কা বিল থেকে পাখিরা একেবারে চলে যাবে বলে সতর্ক করছেন পরিবেশবিদেরা।

পরিবেশকর্মী নূরুল মোহাইমিন মিল্টন বলেন, বাইক্কা বিলে কয়েক বছর ধরে শীতে অতিথি পাখি কম আসার মূল কারণ জলজ ও স্থলজ পরিবেশের অবক্ষয়। আবহাওয়ার পরিবর্তন, পাখির নিরাপদ আবাসস্থল না থাকা, খাবার সংগ্রহে ঝুঁকি, পুঁজিবাদী ভোগ বিলাসিতার কারণে হাওর-বিল ভরাট, বেদখল আর বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এসব কারণ থেকে বাইক্কা বিল রক্ষা করলে পাখির সংখ্যা বাড়ার আশা করা যায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যানের প্রণেতা অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাইক্কা বিলকে সংরক্ষিত বিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিল পাখি ও মা মাছের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখন যদি সেই আগের মতো পাখি বা মৎস্য নিধন করা হয় অথবা জলজ উদ্ভিদ ফেলে দেওয়া হয় তাহলে পাখি বা মাছ কারও জন্য ভালো হবে না। পাখিদের ফিরিয়ে আনতে বিল সংরক্ষণ করতে হবে। পরিবেশের পাশাপাশি পাখিদের জন্য জলজ উদ্ভিদ বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ও বন্য প্রাণী গবেষক শাহরিয়ার সিজার রহমান বলেন, বাইক্কা বিলের পরিবেশ, জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া, অবাধে পাখি শিকার, অতিরিক্ত পর্যটক, বৃক্ষনিধন, যে জায়গায় পাখিরা থাকে সেখান থেকে মাছ শিকার এসব কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাখি অবাধ বিচরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো একটা সময় এখানে আর পাখি পাওয়া যাবে না।
পাখি কমে যাওয়ার বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘সংরক্ষিত বাইক্কা বিলে নিরাপদে পাখিরা আশ্রয় নেওয়ার জন্য আমরা সব সময় নিরাপত্তার জন্য মানুষ নিয়োগ দিয়েছি। এ ছাড়া কেউ যদি অবৈধভাবে পাখি বা মাছ শিকার করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। পাখি কমার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে আবহাওয়া। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পাখিরা কম আসছে।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেটের (সদর দপ্তর মৌলভীবাজার) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাইক্কা বিলে পাখির সংখ্যা কমার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। হাওরের গভীরতা আগের চেয়ে অনেক কমেছে, যেখানে আগে আট থেকে নয় মাস হাওরে পানি থাকত, এখন সেখানে তিন থেকে চার মাস পানি থাকে। এ ছাড়া শীতের তীব্রতা আগের মতো নেই। শীত কম থাকায় হয়তো অতিথি পাখিরা আসা কমিয়ে দিয়েছে। আগের চেয়ে মানুষজন আসা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এসব কারণে হয়তো পাখিরা আসা কমিয়ে দিচ্ছে।’

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে। একসময় শীত এলেই ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির দেখা মিলত বাইক্কা বিলে। শত প্রজাতির হাজারো অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত থাকত বিল এলাকা। বিভিন্ন প্রজাতির দেশি পাখির নিরাপদ আবাসস্থল ছিল এই বিল।
কয়েক বছর ধরে আর এই রূপ দেখা যায় না। শীতেও অতিথি পাখির আগমন কমে গিয়েছে। দেশি পাখির আনাগোনাও তেমন দেখা যায় না। পাখিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই আবাসস্থল। কয়েক বছর ধরে অতিথি পাখির সংখ্যা কমে আসার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবাসস্থল কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া। পাখিদের বসবাসের জন্য বাইক্কা বিলের পরিবেশগত উপযোগিতা কমে গিয়েছে।
অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলে যেসব পাখি আসত
২০০৩ সালের ১ জুলাই বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১০০ হেক্টর জলাভূমিকে ‘বাইক্কা বিল অভয়াশ্রম’ ঘোষণা করে ভূমি মন্ত্রণালয়। মাছ ধরা ও জলজ উদ্ভিদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এই বিলে বালিহাঁস, উত্তরে লেঞ্জা হাঁস, গিরিয়া হাঁস, উত্তরে খন্তিহাঁস, মরচে রং ভূতিহাঁস, মেটে মাথা টিটি, কালালেজ জৌরালি, খয়রা কাস্তে চরা, তিলা লালসা, গেওয়ালা বাটান, পিয়াং হাঁস, পাতি তিলা হাঁস, নীলমাথা হাঁস, বিল বাটান, পাতিসবুজলা, বন বাটান, পাতিচ্যাগা, ছোট ডুবুরি, বড় পানকৌড়ি, ছোট পানকৌড়ি, গয়ার, বাংলা শকুন, এশীয় শামুকখোল, পানমুরগি, পাতিকুট, নিউপিপি, দলপিপি, কালাপাখ ঠেঙ্গি, উদয়ী বাবু বাটান, ছোট নথ জিরিয়া, রাজহাঁস, ওটা, ধুপনি বক, ইগল, ভুবন চিল, হলদে বক, দেশি কানিবক, গোবক, ছোট বক, মাঝেলা বগা, লালচে বক, বেগুনি কালেম, বড় বগা, দেশি মেটে হাঁস, সরালি, বালিহাঁস, পানমুরগিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা পাওয়া যেত। এ ছাড়া বিলের পাড়ে গাছগাছালিতে শালিক, ঘুঘু, দোয়েল, চড়ুই, বুলবুলি, দাগি ঘাস পাখি, টুনটুনিসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি পাখির বসবাস ছিল।
বাইক্কা বিলে প্রতিবছর একটি বেসরকারি একটা সংস্থা পাখি শুমারি করে। তারা বলছে, গত কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা কমেছে। তাদের শুমারিতে ২০২৪ সালে ৩৮ প্রজাতির ৭ হাজার ৭৮০ পাখির সংখ্যা পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালে ৩৩ প্রজাতির ৪ হাজার ৬১৫ পাখি ছিল। এর আগে শুমারিতে ১২ হাজার পর্যন্ত পাখির হিসাব পাওয়া গিয়েছিল।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, যাঁরা বাইক্কা বিল দেখাশোনা করেন, তাঁরাই পাখি ও মাছ শিকারে জড়িত। বন্যার সময় মাছ শিকার করতে সব কচুরিপানা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় খাবারের অভাবে পাখি কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে পাখি ও মাছ শিকার, হাওর বাঁধ, সেচ মেশিন ব্যবহারের কারণে পাখি কমে যাচ্ছে।

পাখি কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বাইক্কা বিলের দায়িত্বে থাকা বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিন্নত আলী বলেন, এক দশক আগে পাখির সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। তবে কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে।
কেন আগের মতো পাখি আসছে না বাইক্কা বিলে
পাখি গবেষকেরা বলছেন, মাছ শিকারের জন্য বিল থেকে জলজ উদ্ভিদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় পাখিরা কোথাও বসে খাবার খেতে পারে না। পাখি না আসার মূল কারণ এটি। এ ছাড়া ফাঁদ পেতে পাখি শিকার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা ও জলজ উদ্ভিদের অভাব পাখিদের বিলে আসা কমিয়ে দিচ্ছে।

পানির পাশাপাশি হাওর এলাকায় গাছগাছালি কমে যাওয়া, অপরিকল্পিতভাবে হাওর ভরাট, সেচ ও বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ ধরা, নির্বিচারে পাখি শিকার, হাওরের ভেতর দিয়ে যানবাহন চলাচল, শীত কমে যাওয়া, আবাসস্থল ধ্বংসের পেছনে আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ নানা কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা এখন থেকে সচেতন না হলে বাইক্কা বিল থেকে পাখিরা একেবারে চলে যাবে বলে সতর্ক করছেন পরিবেশবিদেরা।

পরিবেশকর্মী নূরুল মোহাইমিন মিল্টন বলেন, বাইক্কা বিলে কয়েক বছর ধরে শীতে অতিথি পাখি কম আসার মূল কারণ জলজ ও স্থলজ পরিবেশের অবক্ষয়। আবহাওয়ার পরিবর্তন, পাখির নিরাপদ আবাসস্থল না থাকা, খাবার সংগ্রহে ঝুঁকি, পুঁজিবাদী ভোগ বিলাসিতার কারণে হাওর-বিল ভরাট, বেদখল আর বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এসব কারণ থেকে বাইক্কা বিল রক্ষা করলে পাখির সংখ্যা বাড়ার আশা করা যায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যানের প্রণেতা অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাইক্কা বিলকে সংরক্ষিত বিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিল পাখি ও মা মাছের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখন যদি সেই আগের মতো পাখি বা মৎস্য নিধন করা হয় অথবা জলজ উদ্ভিদ ফেলে দেওয়া হয় তাহলে পাখি বা মাছ কারও জন্য ভালো হবে না। পাখিদের ফিরিয়ে আনতে বিল সংরক্ষণ করতে হবে। পরিবেশের পাশাপাশি পাখিদের জন্য জলজ উদ্ভিদ বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ও বন্য প্রাণী গবেষক শাহরিয়ার সিজার রহমান বলেন, বাইক্কা বিলের পরিবেশ, জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া, অবাধে পাখি শিকার, অতিরিক্ত পর্যটক, বৃক্ষনিধন, যে জায়গায় পাখিরা থাকে সেখান থেকে মাছ শিকার এসব কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাখি অবাধ বিচরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো একটা সময় এখানে আর পাখি পাওয়া যাবে না।
পাখি কমে যাওয়ার বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘সংরক্ষিত বাইক্কা বিলে নিরাপদে পাখিরা আশ্রয় নেওয়ার জন্য আমরা সব সময় নিরাপত্তার জন্য মানুষ নিয়োগ দিয়েছি। এ ছাড়া কেউ যদি অবৈধভাবে পাখি বা মাছ শিকার করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। পাখি কমার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে আবহাওয়া। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পাখিরা কম আসছে।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেটের (সদর দপ্তর মৌলভীবাজার) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাইক্কা বিলে পাখির সংখ্যা কমার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। হাওরের গভীরতা আগের চেয়ে অনেক কমেছে, যেখানে আগে আট থেকে নয় মাস হাওরে পানি থাকত, এখন সেখানে তিন থেকে চার মাস পানি থাকে। এ ছাড়া শীতের তীব্রতা আগের মতো নেই। শীত কম থাকায় হয়তো অতিথি পাখিরা আসা কমিয়ে দিয়েছে। আগের চেয়ে মানুষজন আসা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এসব কারণে হয়তো পাখিরা আসা কমিয়ে দিচ্ছে।’
মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে। একসময় শীত এলেই ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির দেখা মিলত বাইক্কা বিলে। শত প্রজাতির হাজারো অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত থাকত বিল এলাকা। বিভিন্ন প্রজাতির দেশি পাখির নিরাপদ আবাসস্থল ছিল এই বিল।
কয়েক বছর ধরে আর এই রূপ দেখা যায় না। শীতেও অতিথি পাখির আগমন কমে গিয়েছে। দেশি পাখির আনাগোনাও তেমন দেখা যায় না। পাখিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই আবাসস্থল। কয়েক বছর ধরে অতিথি পাখির সংখ্যা কমে আসার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবাসস্থল কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া। পাখিদের বসবাসের জন্য বাইক্কা বিলের পরিবেশগত উপযোগিতা কমে গিয়েছে।
অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলে যেসব পাখি আসত
২০০৩ সালের ১ জুলাই বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১০০ হেক্টর জলাভূমিকে ‘বাইক্কা বিল অভয়াশ্রম’ ঘোষণা করে ভূমি মন্ত্রণালয়। মাছ ধরা ও জলজ উদ্ভিদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এই বিলে বালিহাঁস, উত্তরে লেঞ্জা হাঁস, গিরিয়া হাঁস, উত্তরে খন্তিহাঁস, মরচে রং ভূতিহাঁস, মেটে মাথা টিটি, কালালেজ জৌরালি, খয়রা কাস্তে চরা, তিলা লালসা, গেওয়ালা বাটান, পিয়াং হাঁস, পাতি তিলা হাঁস, নীলমাথা হাঁস, বিল বাটান, পাতিসবুজলা, বন বাটান, পাতিচ্যাগা, ছোট ডুবুরি, বড় পানকৌড়ি, ছোট পানকৌড়ি, গয়ার, বাংলা শকুন, এশীয় শামুকখোল, পানমুরগি, পাতিকুট, নিউপিপি, দলপিপি, কালাপাখ ঠেঙ্গি, উদয়ী বাবু বাটান, ছোট নথ জিরিয়া, রাজহাঁস, ওটা, ধুপনি বক, ইগল, ভুবন চিল, হলদে বক, দেশি কানিবক, গোবক, ছোট বক, মাঝেলা বগা, লালচে বক, বেগুনি কালেম, বড় বগা, দেশি মেটে হাঁস, সরালি, বালিহাঁস, পানমুরগিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা পাওয়া যেত। এ ছাড়া বিলের পাড়ে গাছগাছালিতে শালিক, ঘুঘু, দোয়েল, চড়ুই, বুলবুলি, দাগি ঘাস পাখি, টুনটুনিসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি পাখির বসবাস ছিল।
বাইক্কা বিলে প্রতিবছর একটি বেসরকারি একটা সংস্থা পাখি শুমারি করে। তারা বলছে, গত কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা কমেছে। তাদের শুমারিতে ২০২৪ সালে ৩৮ প্রজাতির ৭ হাজার ৭৮০ পাখির সংখ্যা পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালে ৩৩ প্রজাতির ৪ হাজার ৬১৫ পাখি ছিল। এর আগে শুমারিতে ১২ হাজার পর্যন্ত পাখির হিসাব পাওয়া গিয়েছিল।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, যাঁরা বাইক্কা বিল দেখাশোনা করেন, তাঁরাই পাখি ও মাছ শিকারে জড়িত। বন্যার সময় মাছ শিকার করতে সব কচুরিপানা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় খাবারের অভাবে পাখি কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে পাখি ও মাছ শিকার, হাওর বাঁধ, সেচ মেশিন ব্যবহারের কারণে পাখি কমে যাচ্ছে।

পাখি কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বাইক্কা বিলের দায়িত্বে থাকা বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিন্নত আলী বলেন, এক দশক আগে পাখির সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। তবে কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে।
কেন আগের মতো পাখি আসছে না বাইক্কা বিলে
পাখি গবেষকেরা বলছেন, মাছ শিকারের জন্য বিল থেকে জলজ উদ্ভিদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় পাখিরা কোথাও বসে খাবার খেতে পারে না। পাখি না আসার মূল কারণ এটি। এ ছাড়া ফাঁদ পেতে পাখি শিকার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা ও জলজ উদ্ভিদের অভাব পাখিদের বিলে আসা কমিয়ে দিচ্ছে।

পানির পাশাপাশি হাওর এলাকায় গাছগাছালি কমে যাওয়া, অপরিকল্পিতভাবে হাওর ভরাট, সেচ ও বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ ধরা, নির্বিচারে পাখি শিকার, হাওরের ভেতর দিয়ে যানবাহন চলাচল, শীত কমে যাওয়া, আবাসস্থল ধ্বংসের পেছনে আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ নানা কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা এখন থেকে সচেতন না হলে বাইক্কা বিল থেকে পাখিরা একেবারে চলে যাবে বলে সতর্ক করছেন পরিবেশবিদেরা।

পরিবেশকর্মী নূরুল মোহাইমিন মিল্টন বলেন, বাইক্কা বিলে কয়েক বছর ধরে শীতে অতিথি পাখি কম আসার মূল কারণ জলজ ও স্থলজ পরিবেশের অবক্ষয়। আবহাওয়ার পরিবর্তন, পাখির নিরাপদ আবাসস্থল না থাকা, খাবার সংগ্রহে ঝুঁকি, পুঁজিবাদী ভোগ বিলাসিতার কারণে হাওর-বিল ভরাট, বেদখল আর বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এসব কারণ থেকে বাইক্কা বিল রক্ষা করলে পাখির সংখ্যা বাড়ার আশা করা যায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যানের প্রণেতা অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাইক্কা বিলকে সংরক্ষিত বিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিল পাখি ও মা মাছের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখন যদি সেই আগের মতো পাখি বা মৎস্য নিধন করা হয় অথবা জলজ উদ্ভিদ ফেলে দেওয়া হয় তাহলে পাখি বা মাছ কারও জন্য ভালো হবে না। পাখিদের ফিরিয়ে আনতে বিল সংরক্ষণ করতে হবে। পরিবেশের পাশাপাশি পাখিদের জন্য জলজ উদ্ভিদ বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ও বন্য প্রাণী গবেষক শাহরিয়ার সিজার রহমান বলেন, বাইক্কা বিলের পরিবেশ, জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া, অবাধে পাখি শিকার, অতিরিক্ত পর্যটক, বৃক্ষনিধন, যে জায়গায় পাখিরা থাকে সেখান থেকে মাছ শিকার এসব কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাখি অবাধ বিচরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো একটা সময় এখানে আর পাখি পাওয়া যাবে না।
পাখি কমে যাওয়ার বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘সংরক্ষিত বাইক্কা বিলে নিরাপদে পাখিরা আশ্রয় নেওয়ার জন্য আমরা সব সময় নিরাপত্তার জন্য মানুষ নিয়োগ দিয়েছি। এ ছাড়া কেউ যদি অবৈধভাবে পাখি বা মাছ শিকার করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। পাখি কমার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে আবহাওয়া। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পাখিরা কম আসছে।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেটের (সদর দপ্তর মৌলভীবাজার) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাইক্কা বিলে পাখির সংখ্যা কমার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। হাওরের গভীরতা আগের চেয়ে অনেক কমেছে, যেখানে আগে আট থেকে নয় মাস হাওরে পানি থাকত, এখন সেখানে তিন থেকে চার মাস পানি থাকে। এ ছাড়া শীতের তীব্রতা আগের মতো নেই। শীত কম থাকায় হয়তো অতিথি পাখিরা আসা কমিয়ে দিয়েছে। আগের চেয়ে মানুষজন আসা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এসব কারণে হয়তো পাখিরা আসা কমিয়ে দিচ্ছে।’

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে। একসময় শীত এলেই ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির দেখা মিলত বাইক্কা বিলে। শত প্রজাতির হাজারো অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত থাকত বিল এলাকা। বিভিন্ন প্রজাতির দেশি পাখির নিরাপদ আবাসস্থল ছিল এই বিল।
কয়েক বছর ধরে আর এই রূপ দেখা যায় না। শীতেও অতিথি পাখির আগমন কমে গিয়েছে। দেশি পাখির আনাগোনাও তেমন দেখা যায় না। পাখিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই আবাসস্থল। কয়েক বছর ধরে অতিথি পাখির সংখ্যা কমে আসার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবাসস্থল কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া। পাখিদের বসবাসের জন্য বাইক্কা বিলের পরিবেশগত উপযোগিতা কমে গিয়েছে।
অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলে যেসব পাখি আসত
২০০৩ সালের ১ জুলাই বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১০০ হেক্টর জলাভূমিকে ‘বাইক্কা বিল অভয়াশ্রম’ ঘোষণা করে ভূমি মন্ত্রণালয়। মাছ ধরা ও জলজ উদ্ভিদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এই বিলে বালিহাঁস, উত্তরে লেঞ্জা হাঁস, গিরিয়া হাঁস, উত্তরে খন্তিহাঁস, মরচে রং ভূতিহাঁস, মেটে মাথা টিটি, কালালেজ জৌরালি, খয়রা কাস্তে চরা, তিলা লালসা, গেওয়ালা বাটান, পিয়াং হাঁস, পাতি তিলা হাঁস, নীলমাথা হাঁস, বিল বাটান, পাতিসবুজলা, বন বাটান, পাতিচ্যাগা, ছোট ডুবুরি, বড় পানকৌড়ি, ছোট পানকৌড়ি, গয়ার, বাংলা শকুন, এশীয় শামুকখোল, পানমুরগি, পাতিকুট, নিউপিপি, দলপিপি, কালাপাখ ঠেঙ্গি, উদয়ী বাবু বাটান, ছোট নথ জিরিয়া, রাজহাঁস, ওটা, ধুপনি বক, ইগল, ভুবন চিল, হলদে বক, দেশি কানিবক, গোবক, ছোট বক, মাঝেলা বগা, লালচে বক, বেগুনি কালেম, বড় বগা, দেশি মেটে হাঁস, সরালি, বালিহাঁস, পানমুরগিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা পাওয়া যেত। এ ছাড়া বিলের পাড়ে গাছগাছালিতে শালিক, ঘুঘু, দোয়েল, চড়ুই, বুলবুলি, দাগি ঘাস পাখি, টুনটুনিসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি পাখির বসবাস ছিল।
বাইক্কা বিলে প্রতিবছর একটি বেসরকারি একটা সংস্থা পাখি শুমারি করে। তারা বলছে, গত কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা কমেছে। তাদের শুমারিতে ২০২৪ সালে ৩৮ প্রজাতির ৭ হাজার ৭৮০ পাখির সংখ্যা পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালে ৩৩ প্রজাতির ৪ হাজার ৬১৫ পাখি ছিল। এর আগে শুমারিতে ১২ হাজার পর্যন্ত পাখির হিসাব পাওয়া গিয়েছিল।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, যাঁরা বাইক্কা বিল দেখাশোনা করেন, তাঁরাই পাখি ও মাছ শিকারে জড়িত। বন্যার সময় মাছ শিকার করতে সব কচুরিপানা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় খাবারের অভাবে পাখি কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে পাখি ও মাছ শিকার, হাওর বাঁধ, সেচ মেশিন ব্যবহারের কারণে পাখি কমে যাচ্ছে।

পাখি কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বাইক্কা বিলের দায়িত্বে থাকা বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিন্নত আলী বলেন, এক দশক আগে পাখির সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। তবে কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে।
কেন আগের মতো পাখি আসছে না বাইক্কা বিলে
পাখি গবেষকেরা বলছেন, মাছ শিকারের জন্য বিল থেকে জলজ উদ্ভিদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় পাখিরা কোথাও বসে খাবার খেতে পারে না। পাখি না আসার মূল কারণ এটি। এ ছাড়া ফাঁদ পেতে পাখি শিকার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা ও জলজ উদ্ভিদের অভাব পাখিদের বিলে আসা কমিয়ে দিচ্ছে।

পানির পাশাপাশি হাওর এলাকায় গাছগাছালি কমে যাওয়া, অপরিকল্পিতভাবে হাওর ভরাট, সেচ ও বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ ধরা, নির্বিচারে পাখি শিকার, হাওরের ভেতর দিয়ে যানবাহন চলাচল, শীত কমে যাওয়া, আবাসস্থল ধ্বংসের পেছনে আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ নানা কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা এখন থেকে সচেতন না হলে বাইক্কা বিল থেকে পাখিরা একেবারে চলে যাবে বলে সতর্ক করছেন পরিবেশবিদেরা।

পরিবেশকর্মী নূরুল মোহাইমিন মিল্টন বলেন, বাইক্কা বিলে কয়েক বছর ধরে শীতে অতিথি পাখি কম আসার মূল কারণ জলজ ও স্থলজ পরিবেশের অবক্ষয়। আবহাওয়ার পরিবর্তন, পাখির নিরাপদ আবাসস্থল না থাকা, খাবার সংগ্রহে ঝুঁকি, পুঁজিবাদী ভোগ বিলাসিতার কারণে হাওর-বিল ভরাট, বেদখল আর বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এসব কারণ থেকে বাইক্কা বিল রক্ষা করলে পাখির সংখ্যা বাড়ার আশা করা যায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যানের প্রণেতা অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাইক্কা বিলকে সংরক্ষিত বিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিল পাখি ও মা মাছের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখন যদি সেই আগের মতো পাখি বা মৎস্য নিধন করা হয় অথবা জলজ উদ্ভিদ ফেলে দেওয়া হয় তাহলে পাখি বা মাছ কারও জন্য ভালো হবে না। পাখিদের ফিরিয়ে আনতে বিল সংরক্ষণ করতে হবে। পরিবেশের পাশাপাশি পাখিদের জন্য জলজ উদ্ভিদ বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ও বন্য প্রাণী গবেষক শাহরিয়ার সিজার রহমান বলেন, বাইক্কা বিলের পরিবেশ, জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া, অবাধে পাখি শিকার, অতিরিক্ত পর্যটক, বৃক্ষনিধন, যে জায়গায় পাখিরা থাকে সেখান থেকে মাছ শিকার এসব কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাখি অবাধ বিচরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো একটা সময় এখানে আর পাখি পাওয়া যাবে না।
পাখি কমে যাওয়ার বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘সংরক্ষিত বাইক্কা বিলে নিরাপদে পাখিরা আশ্রয় নেওয়ার জন্য আমরা সব সময় নিরাপত্তার জন্য মানুষ নিয়োগ দিয়েছি। এ ছাড়া কেউ যদি অবৈধভাবে পাখি বা মাছ শিকার করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। পাখি কমার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে আবহাওয়া। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পাখিরা কম আসছে।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেটের (সদর দপ্তর মৌলভীবাজার) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাইক্কা বিলে পাখির সংখ্যা কমার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। হাওরের গভীরতা আগের চেয়ে অনেক কমেছে, যেখানে আগে আট থেকে নয় মাস হাওরে পানি থাকত, এখন সেখানে তিন থেকে চার মাস পানি থাকে। এ ছাড়া শীতের তীব্রতা আগের মতো নেই। শীত কম থাকায় হয়তো অতিথি পাখিরা আসা কমিয়ে দিয়েছে। আগের চেয়ে মানুষজন আসা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এসব কারণে হয়তো পাখিরা আসা কমিয়ে দিচ্ছে।’

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
৭ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগে