সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)

ভরা মৌসুমেও ইলিশ শূন্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্দ্বীপ চ্যানেল। প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশ না পেয়ে সাগর থেকে মলিন বদনে ফিরছেন জেলেরা। যে কয়টাও ইলিশ জালে পড়েছে, তা দিয়ে নৌকার জ্বালানির খরচও মেটে না। আর মজুরি খরচ মেটাতে না পেরে জেলেদের ছাঁটাই করতে হচ্ছে বলে মহাজনেরা দাবি করছেন। স্বন্দ্বীপ চ্যানেলে ইলিশ কমার জন্য বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাবসহ চার কারণকে দায়ী করছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞ।
সীতাকুণ্ডে ৬ হাজার জেলে পরিবারের বসবাস। এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলে পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৪০০। এসব জেলে পরিবারে নৌকা রয়েছে এক হাজার ৬০০টি। তবে ইলিশ মৌসুম এলে বিভিন্ন উপজেলা থেকে শ্রমিক হিসাবে আরও অন্তত ৫০০ জন লোক কাজ করতে সীতাকুণ্ডে আসেন। এসব শ্রমিকদের মধ্যে কেউ জাল, নৌকা মেরামত করেন। আবার কেউ ইলিশ ধরতে সাগরে যান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে সারি সারি ইলিশ ধরার নৌকা ভিড়ছে। ঘাটে ফিরে আসা নৌকা থেকে মলিন বদনে নেমে আসছেন জেলেরা।
হতাশার কারণ জানতে চাইলে কুমিরার জেলে সরদার বিপ্লব জলদাস আজকের পত্রিকা বলেন, ইলিশের মৌসুমে সাগরে মাছ ধরার জন্য তিনি ৫-৭ জন জেলে রাখেন। এবারও তাদের রেখেছিলেন। কিন্তু খরচের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে চার শ্রমিককে ছাঁটাই করেছেন।
কথা হয় ঘাটে অপেক্ষমাণ পাইকার অনিল জলদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, তার তিনজন শ্রমিক নৌকায় উঠে জেলেদের থেকে মাছ কেনার কাজ করছেন। প্রতি বেলায় তাদের জনপ্রতি মজুরি হিসেবে ৩০০ টাকা করে দিতে হয়। ফলে তিনজনের নাশতাসহ খরচ পড়ে এক হাজার টাকা। এ ছাড়া ইলিশ সংরক্ষণের জন্য বরফ লাগে ৫০০ টাকার। সব মিলিয়ে প্রতি বেলায় তার খরচ হয় ২ হাজার টাকা। কিন্তু যে ইলিশ পাওয়া যায়, তা দিয়ে খরচের দুই হাজার টাকাও ওঠাতে কষ্ট হয়।
তবে ইলিশ কম ধরা পড়লেও দাম কিন্তু বেশ চড়া। সেদিক থেকে আশানুরূপ সংগ্রহ না হলেও দাম হিসাব করলে মহাজনদের খুব বেশি লোকসান হয়নি। গতবারের চেয়ে ইলিশের দাম প্রায় তিন গুণ বেশি বলে জেলেরা জানান।
তাঁদের তথ্য অনুযায়ী, অন্যবার ভরা মৌসুমে ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হতো ১০০-১৫০ টাকা। এবার সেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা।
আর ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ইলিশ ধরা পড়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ দশমিক ৯২ টন। পরের অর্থবছরে সেটা বেড়ে ২ হাজার ৩১ দশমিক ৭৫ টনে দাঁড়িয়েছিল।
কিন্তু ২৩-২৪ অর্থবছরে হঠাৎ করে ইলিশ সংগ্রহ ব্যাপক কমে ৭৩৫ দশমিক ৭৩ টনে নামে। আর চলতি অর্থবছরে গতকাল পর্যন্ত ২৩৩ দশমিক ৫ টন ইলিশ আহরণ করা হয়েছে।
ইলিশ কম ধরা পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, প্রজননের জন্য ইলিশ সাগরের গভীর উপকূলের দিকে এলেই আহরণ করা হয়। এখন উপকূলের দিকে ইলিশ আসা কমে গেছে।
ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ার পেছনে চারটি কারণ তুলে ধরেন তিনি। ড. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, উজান থেকে নেমে আসা মিঠা পানির প্রবাহ ও গতিপ্রকৃতির পরিবর্তন, জলবায়ুর প্রভাবের কারণে বিশেষ করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি, সাগরে ইলিশের প্রাকৃতিক আবাসস্থল ব্যাঘাত এবং পূর্ববর্তী বছরে অতিরিক্ত আহরণের কারণে ইলিশ সংগ্রহ কম হতে পারে।

ভরা মৌসুমেও ইলিশ শূন্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্দ্বীপ চ্যানেল। প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশ না পেয়ে সাগর থেকে মলিন বদনে ফিরছেন জেলেরা। যে কয়টাও ইলিশ জালে পড়েছে, তা দিয়ে নৌকার জ্বালানির খরচও মেটে না। আর মজুরি খরচ মেটাতে না পেরে জেলেদের ছাঁটাই করতে হচ্ছে বলে মহাজনেরা দাবি করছেন। স্বন্দ্বীপ চ্যানেলে ইলিশ কমার জন্য বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাবসহ চার কারণকে দায়ী করছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞ।
সীতাকুণ্ডে ৬ হাজার জেলে পরিবারের বসবাস। এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলে পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৪০০। এসব জেলে পরিবারে নৌকা রয়েছে এক হাজার ৬০০টি। তবে ইলিশ মৌসুম এলে বিভিন্ন উপজেলা থেকে শ্রমিক হিসাবে আরও অন্তত ৫০০ জন লোক কাজ করতে সীতাকুণ্ডে আসেন। এসব শ্রমিকদের মধ্যে কেউ জাল, নৌকা মেরামত করেন। আবার কেউ ইলিশ ধরতে সাগরে যান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে সারি সারি ইলিশ ধরার নৌকা ভিড়ছে। ঘাটে ফিরে আসা নৌকা থেকে মলিন বদনে নেমে আসছেন জেলেরা।
হতাশার কারণ জানতে চাইলে কুমিরার জেলে সরদার বিপ্লব জলদাস আজকের পত্রিকা বলেন, ইলিশের মৌসুমে সাগরে মাছ ধরার জন্য তিনি ৫-৭ জন জেলে রাখেন। এবারও তাদের রেখেছিলেন। কিন্তু খরচের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে চার শ্রমিককে ছাঁটাই করেছেন।
কথা হয় ঘাটে অপেক্ষমাণ পাইকার অনিল জলদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, তার তিনজন শ্রমিক নৌকায় উঠে জেলেদের থেকে মাছ কেনার কাজ করছেন। প্রতি বেলায় তাদের জনপ্রতি মজুরি হিসেবে ৩০০ টাকা করে দিতে হয়। ফলে তিনজনের নাশতাসহ খরচ পড়ে এক হাজার টাকা। এ ছাড়া ইলিশ সংরক্ষণের জন্য বরফ লাগে ৫০০ টাকার। সব মিলিয়ে প্রতি বেলায় তার খরচ হয় ২ হাজার টাকা। কিন্তু যে ইলিশ পাওয়া যায়, তা দিয়ে খরচের দুই হাজার টাকাও ওঠাতে কষ্ট হয়।
তবে ইলিশ কম ধরা পড়লেও দাম কিন্তু বেশ চড়া। সেদিক থেকে আশানুরূপ সংগ্রহ না হলেও দাম হিসাব করলে মহাজনদের খুব বেশি লোকসান হয়নি। গতবারের চেয়ে ইলিশের দাম প্রায় তিন গুণ বেশি বলে জেলেরা জানান।
তাঁদের তথ্য অনুযায়ী, অন্যবার ভরা মৌসুমে ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হতো ১০০-১৫০ টাকা। এবার সেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা।
আর ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ইলিশ ধরা পড়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ দশমিক ৯২ টন। পরের অর্থবছরে সেটা বেড়ে ২ হাজার ৩১ দশমিক ৭৫ টনে দাঁড়িয়েছিল।
কিন্তু ২৩-২৪ অর্থবছরে হঠাৎ করে ইলিশ সংগ্রহ ব্যাপক কমে ৭৩৫ দশমিক ৭৩ টনে নামে। আর চলতি অর্থবছরে গতকাল পর্যন্ত ২৩৩ দশমিক ৫ টন ইলিশ আহরণ করা হয়েছে।
ইলিশ কম ধরা পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, প্রজননের জন্য ইলিশ সাগরের গভীর উপকূলের দিকে এলেই আহরণ করা হয়। এখন উপকূলের দিকে ইলিশ আসা কমে গেছে।
ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ার পেছনে চারটি কারণ তুলে ধরেন তিনি। ড. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, উজান থেকে নেমে আসা মিঠা পানির প্রবাহ ও গতিপ্রকৃতির পরিবর্তন, জলবায়ুর প্রভাবের কারণে বিশেষ করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি, সাগরে ইলিশের প্রাকৃতিক আবাসস্থল ব্যাঘাত এবং পূর্ববর্তী বছরে অতিরিক্ত আহরণের কারণে ইলিশ সংগ্রহ কম হতে পারে।
সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)

ভরা মৌসুমেও ইলিশ শূন্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্দ্বীপ চ্যানেল। প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশ না পেয়ে সাগর থেকে মলিন বদনে ফিরছেন জেলেরা। যে কয়টাও ইলিশ জালে পড়েছে, তা দিয়ে নৌকার জ্বালানির খরচও মেটে না। আর মজুরি খরচ মেটাতে না পেরে জেলেদের ছাঁটাই করতে হচ্ছে বলে মহাজনেরা দাবি করছেন। স্বন্দ্বীপ চ্যানেলে ইলিশ কমার জন্য বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাবসহ চার কারণকে দায়ী করছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞ।
সীতাকুণ্ডে ৬ হাজার জেলে পরিবারের বসবাস। এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলে পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৪০০। এসব জেলে পরিবারে নৌকা রয়েছে এক হাজার ৬০০টি। তবে ইলিশ মৌসুম এলে বিভিন্ন উপজেলা থেকে শ্রমিক হিসাবে আরও অন্তত ৫০০ জন লোক কাজ করতে সীতাকুণ্ডে আসেন। এসব শ্রমিকদের মধ্যে কেউ জাল, নৌকা মেরামত করেন। আবার কেউ ইলিশ ধরতে সাগরে যান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে সারি সারি ইলিশ ধরার নৌকা ভিড়ছে। ঘাটে ফিরে আসা নৌকা থেকে মলিন বদনে নেমে আসছেন জেলেরা।
হতাশার কারণ জানতে চাইলে কুমিরার জেলে সরদার বিপ্লব জলদাস আজকের পত্রিকা বলেন, ইলিশের মৌসুমে সাগরে মাছ ধরার জন্য তিনি ৫-৭ জন জেলে রাখেন। এবারও তাদের রেখেছিলেন। কিন্তু খরচের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে চার শ্রমিককে ছাঁটাই করেছেন।
কথা হয় ঘাটে অপেক্ষমাণ পাইকার অনিল জলদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, তার তিনজন শ্রমিক নৌকায় উঠে জেলেদের থেকে মাছ কেনার কাজ করছেন। প্রতি বেলায় তাদের জনপ্রতি মজুরি হিসেবে ৩০০ টাকা করে দিতে হয়। ফলে তিনজনের নাশতাসহ খরচ পড়ে এক হাজার টাকা। এ ছাড়া ইলিশ সংরক্ষণের জন্য বরফ লাগে ৫০০ টাকার। সব মিলিয়ে প্রতি বেলায় তার খরচ হয় ২ হাজার টাকা। কিন্তু যে ইলিশ পাওয়া যায়, তা দিয়ে খরচের দুই হাজার টাকাও ওঠাতে কষ্ট হয়।
তবে ইলিশ কম ধরা পড়লেও দাম কিন্তু বেশ চড়া। সেদিক থেকে আশানুরূপ সংগ্রহ না হলেও দাম হিসাব করলে মহাজনদের খুব বেশি লোকসান হয়নি। গতবারের চেয়ে ইলিশের দাম প্রায় তিন গুণ বেশি বলে জেলেরা জানান।
তাঁদের তথ্য অনুযায়ী, অন্যবার ভরা মৌসুমে ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হতো ১০০-১৫০ টাকা। এবার সেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা।
আর ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ইলিশ ধরা পড়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ দশমিক ৯২ টন। পরের অর্থবছরে সেটা বেড়ে ২ হাজার ৩১ দশমিক ৭৫ টনে দাঁড়িয়েছিল।
কিন্তু ২৩-২৪ অর্থবছরে হঠাৎ করে ইলিশ সংগ্রহ ব্যাপক কমে ৭৩৫ দশমিক ৭৩ টনে নামে। আর চলতি অর্থবছরে গতকাল পর্যন্ত ২৩৩ দশমিক ৫ টন ইলিশ আহরণ করা হয়েছে।
ইলিশ কম ধরা পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, প্রজননের জন্য ইলিশ সাগরের গভীর উপকূলের দিকে এলেই আহরণ করা হয়। এখন উপকূলের দিকে ইলিশ আসা কমে গেছে।
ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ার পেছনে চারটি কারণ তুলে ধরেন তিনি। ড. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, উজান থেকে নেমে আসা মিঠা পানির প্রবাহ ও গতিপ্রকৃতির পরিবর্তন, জলবায়ুর প্রভাবের কারণে বিশেষ করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি, সাগরে ইলিশের প্রাকৃতিক আবাসস্থল ব্যাঘাত এবং পূর্ববর্তী বছরে অতিরিক্ত আহরণের কারণে ইলিশ সংগ্রহ কম হতে পারে।

ভরা মৌসুমেও ইলিশ শূন্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্দ্বীপ চ্যানেল। প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশ না পেয়ে সাগর থেকে মলিন বদনে ফিরছেন জেলেরা। যে কয়টাও ইলিশ জালে পড়েছে, তা দিয়ে নৌকার জ্বালানির খরচও মেটে না। আর মজুরি খরচ মেটাতে না পেরে জেলেদের ছাঁটাই করতে হচ্ছে বলে মহাজনেরা দাবি করছেন। স্বন্দ্বীপ চ্যানেলে ইলিশ কমার জন্য বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাবসহ চার কারণকে দায়ী করছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞ।
সীতাকুণ্ডে ৬ হাজার জেলে পরিবারের বসবাস। এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলে পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৪০০। এসব জেলে পরিবারে নৌকা রয়েছে এক হাজার ৬০০টি। তবে ইলিশ মৌসুম এলে বিভিন্ন উপজেলা থেকে শ্রমিক হিসাবে আরও অন্তত ৫০০ জন লোক কাজ করতে সীতাকুণ্ডে আসেন। এসব শ্রমিকদের মধ্যে কেউ জাল, নৌকা মেরামত করেন। আবার কেউ ইলিশ ধরতে সাগরে যান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে সারি সারি ইলিশ ধরার নৌকা ভিড়ছে। ঘাটে ফিরে আসা নৌকা থেকে মলিন বদনে নেমে আসছেন জেলেরা।
হতাশার কারণ জানতে চাইলে কুমিরার জেলে সরদার বিপ্লব জলদাস আজকের পত্রিকা বলেন, ইলিশের মৌসুমে সাগরে মাছ ধরার জন্য তিনি ৫-৭ জন জেলে রাখেন। এবারও তাদের রেখেছিলেন। কিন্তু খরচের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে চার শ্রমিককে ছাঁটাই করেছেন।
কথা হয় ঘাটে অপেক্ষমাণ পাইকার অনিল জলদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, তার তিনজন শ্রমিক নৌকায় উঠে জেলেদের থেকে মাছ কেনার কাজ করছেন। প্রতি বেলায় তাদের জনপ্রতি মজুরি হিসেবে ৩০০ টাকা করে দিতে হয়। ফলে তিনজনের নাশতাসহ খরচ পড়ে এক হাজার টাকা। এ ছাড়া ইলিশ সংরক্ষণের জন্য বরফ লাগে ৫০০ টাকার। সব মিলিয়ে প্রতি বেলায় তার খরচ হয় ২ হাজার টাকা। কিন্তু যে ইলিশ পাওয়া যায়, তা দিয়ে খরচের দুই হাজার টাকাও ওঠাতে কষ্ট হয়।
তবে ইলিশ কম ধরা পড়লেও দাম কিন্তু বেশ চড়া। সেদিক থেকে আশানুরূপ সংগ্রহ না হলেও দাম হিসাব করলে মহাজনদের খুব বেশি লোকসান হয়নি। গতবারের চেয়ে ইলিশের দাম প্রায় তিন গুণ বেশি বলে জেলেরা জানান।
তাঁদের তথ্য অনুযায়ী, অন্যবার ভরা মৌসুমে ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হতো ১০০-১৫০ টাকা। এবার সেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা।
আর ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ইলিশ ধরা পড়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ দশমিক ৯২ টন। পরের অর্থবছরে সেটা বেড়ে ২ হাজার ৩১ দশমিক ৭৫ টনে দাঁড়িয়েছিল।
কিন্তু ২৩-২৪ অর্থবছরে হঠাৎ করে ইলিশ সংগ্রহ ব্যাপক কমে ৭৩৫ দশমিক ৭৩ টনে নামে। আর চলতি অর্থবছরে গতকাল পর্যন্ত ২৩৩ দশমিক ৫ টন ইলিশ আহরণ করা হয়েছে।
ইলিশ কম ধরা পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, প্রজননের জন্য ইলিশ সাগরের গভীর উপকূলের দিকে এলেই আহরণ করা হয়। এখন উপকূলের দিকে ইলিশ আসা কমে গেছে।
ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ার পেছনে চারটি কারণ তুলে ধরেন তিনি। ড. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, উজান থেকে নেমে আসা মিঠা পানির প্রবাহ ও গতিপ্রকৃতির পরিবর্তন, জলবায়ুর প্রভাবের কারণে বিশেষ করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি, সাগরে ইলিশের প্রাকৃতিক আবাসস্থল ব্যাঘাত এবং পূর্ববর্তী বছরে অতিরিক্ত আহরণের কারণে ইলিশ সংগ্রহ কম হতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

ভরা মৌসুমেও ইলিশ শূন্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্দ্বীপ চ্যানেল। প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশ না পেয়ে সাগর থেকে মলিন বদনে ফিরছেন জেলেরা। যে কয়টাও ইলিশ জালে পড়েছে, তা দিয়ে নৌকার জ্বালানির খরচও মেটে না। আর মজুরি খরচ মেটাতে না পেরে জেলেদের ছাঁটাই করতে হচ্ছে বলে মহাজনেরা দাবি করছেন। স্বন্দ্বীপ চ্যানেলে ইলিশ ক
০১ অক্টোবর ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

ভরা মৌসুমেও ইলিশ শূন্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্দ্বীপ চ্যানেল। প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশ না পেয়ে সাগর থেকে মলিন বদনে ফিরছেন জেলেরা। যে কয়টাও ইলিশ জালে পড়েছে, তা দিয়ে নৌকার জ্বালানির খরচও মেটে না। আর মজুরি খরচ মেটাতে না পেরে জেলেদের ছাঁটাই করতে হচ্ছে বলে মহাজনেরা দাবি করছেন। স্বন্দ্বীপ চ্যানেলে ইলিশ ক
০১ অক্টোবর ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

ভরা মৌসুমেও ইলিশ শূন্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্দ্বীপ চ্যানেল। প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশ না পেয়ে সাগর থেকে মলিন বদনে ফিরছেন জেলেরা। যে কয়টাও ইলিশ জালে পড়েছে, তা দিয়ে নৌকার জ্বালানির খরচও মেটে না। আর মজুরি খরচ মেটাতে না পেরে জেলেদের ছাঁটাই করতে হচ্ছে বলে মহাজনেরা দাবি করছেন। স্বন্দ্বীপ চ্যানেলে ইলিশ ক
০১ অক্টোবর ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

ভরা মৌসুমেও ইলিশ শূন্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্দ্বীপ চ্যানেল। প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশ না পেয়ে সাগর থেকে মলিন বদনে ফিরছেন জেলেরা। যে কয়টাও ইলিশ জালে পড়েছে, তা দিয়ে নৌকার জ্বালানির খরচও মেটে না। আর মজুরি খরচ মেটাতে না পেরে জেলেদের ছাঁটাই করতে হচ্ছে বলে মহাজনেরা দাবি করছেন। স্বন্দ্বীপ চ্যানেলে ইলিশ ক
০১ অক্টোবর ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে