সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
ভরা মৌসুমেও ইলিশ শূন্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্দ্বীপ চ্যানেল। প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশ না পেয়ে সাগর থেকে মলিন বদনে ফিরছেন জেলেরা। যে কয়টাও ইলিশ জালে পড়েছে, তা দিয়ে নৌকার জ্বালানির খরচও মেটে না। আর মজুরি খরচ মেটাতে না পেরে জেলেদের ছাঁটাই করতে হচ্ছে বলে মহাজনেরা দাবি করছেন। স্বন্দ্বীপ চ্যানেলে ইলিশ কমার জন্য বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাবসহ চার কারণকে দায়ী করছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞ।
সীতাকুণ্ডে ৬ হাজার জেলে পরিবারের বসবাস। এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলে পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৪০০। এসব জেলে পরিবারে নৌকা রয়েছে এক হাজার ৬০০টি। তবে ইলিশ মৌসুম এলে বিভিন্ন উপজেলা থেকে শ্রমিক হিসাবে আরও অন্তত ৫০০ জন লোক কাজ করতে সীতাকুণ্ডে আসেন। এসব শ্রমিকদের মধ্যে কেউ জাল, নৌকা মেরামত করেন। আবার কেউ ইলিশ ধরতে সাগরে যান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে সারি সারি ইলিশ ধরার নৌকা ভিড়ছে। ঘাটে ফিরে আসা নৌকা থেকে মলিন বদনে নেমে আসছেন জেলেরা।
হতাশার কারণ জানতে চাইলে কুমিরার জেলে সরদার বিপ্লব জলদাস আজকের পত্রিকা বলেন, ইলিশের মৌসুমে সাগরে মাছ ধরার জন্য তিনি ৫-৭ জন জেলে রাখেন। এবারও তাদের রেখেছিলেন। কিন্তু খরচের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে চার শ্রমিককে ছাঁটাই করেছেন।
কথা হয় ঘাটে অপেক্ষমাণ পাইকার অনিল জলদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, তার তিনজন শ্রমিক নৌকায় উঠে জেলেদের থেকে মাছ কেনার কাজ করছেন। প্রতি বেলায় তাদের জনপ্রতি মজুরি হিসেবে ৩০০ টাকা করে দিতে হয়। ফলে তিনজনের নাশতাসহ খরচ পড়ে এক হাজার টাকা। এ ছাড়া ইলিশ সংরক্ষণের জন্য বরফ লাগে ৫০০ টাকার। সব মিলিয়ে প্রতি বেলায় তার খরচ হয় ২ হাজার টাকা। কিন্তু যে ইলিশ পাওয়া যায়, তা দিয়ে খরচের দুই হাজার টাকাও ওঠাতে কষ্ট হয়।
তবে ইলিশ কম ধরা পড়লেও দাম কিন্তু বেশ চড়া। সেদিক থেকে আশানুরূপ সংগ্রহ না হলেও দাম হিসাব করলে মহাজনদের খুব বেশি লোকসান হয়নি। গতবারের চেয়ে ইলিশের দাম প্রায় তিন গুণ বেশি বলে জেলেরা জানান।
তাঁদের তথ্য অনুযায়ী, অন্যবার ভরা মৌসুমে ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হতো ১০০-১৫০ টাকা। এবার সেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা।
আর ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ইলিশ ধরা পড়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ দশমিক ৯২ টন। পরের অর্থবছরে সেটা বেড়ে ২ হাজার ৩১ দশমিক ৭৫ টনে দাঁড়িয়েছিল।
কিন্তু ২৩-২৪ অর্থবছরে হঠাৎ করে ইলিশ সংগ্রহ ব্যাপক কমে ৭৩৫ দশমিক ৭৩ টনে নামে। আর চলতি অর্থবছরে গতকাল পর্যন্ত ২৩৩ দশমিক ৫ টন ইলিশ আহরণ করা হয়েছে।
ইলিশ কম ধরা পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, প্রজননের জন্য ইলিশ সাগরের গভীর উপকূলের দিকে এলেই আহরণ করা হয়। এখন উপকূলের দিকে ইলিশ আসা কমে গেছে।
ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ার পেছনে চারটি কারণ তুলে ধরেন তিনি। ড. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, উজান থেকে নেমে আসা মিঠা পানির প্রবাহ ও গতিপ্রকৃতির পরিবর্তন, জলবায়ুর প্রভাবের কারণে বিশেষ করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি, সাগরে ইলিশের প্রাকৃতিক আবাসস্থল ব্যাঘাত এবং পূর্ববর্তী বছরে অতিরিক্ত আহরণের কারণে ইলিশ সংগ্রহ কম হতে পারে।
ভরা মৌসুমেও ইলিশ শূন্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্দ্বীপ চ্যানেল। প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশ না পেয়ে সাগর থেকে মলিন বদনে ফিরছেন জেলেরা। যে কয়টাও ইলিশ জালে পড়েছে, তা দিয়ে নৌকার জ্বালানির খরচও মেটে না। আর মজুরি খরচ মেটাতে না পেরে জেলেদের ছাঁটাই করতে হচ্ছে বলে মহাজনেরা দাবি করছেন। স্বন্দ্বীপ চ্যানেলে ইলিশ কমার জন্য বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাবসহ চার কারণকে দায়ী করছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞ।
সীতাকুণ্ডে ৬ হাজার জেলে পরিবারের বসবাস। এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলে পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৪০০। এসব জেলে পরিবারে নৌকা রয়েছে এক হাজার ৬০০টি। তবে ইলিশ মৌসুম এলে বিভিন্ন উপজেলা থেকে শ্রমিক হিসাবে আরও অন্তত ৫০০ জন লোক কাজ করতে সীতাকুণ্ডে আসেন। এসব শ্রমিকদের মধ্যে কেউ জাল, নৌকা মেরামত করেন। আবার কেউ ইলিশ ধরতে সাগরে যান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে সারি সারি ইলিশ ধরার নৌকা ভিড়ছে। ঘাটে ফিরে আসা নৌকা থেকে মলিন বদনে নেমে আসছেন জেলেরা।
হতাশার কারণ জানতে চাইলে কুমিরার জেলে সরদার বিপ্লব জলদাস আজকের পত্রিকা বলেন, ইলিশের মৌসুমে সাগরে মাছ ধরার জন্য তিনি ৫-৭ জন জেলে রাখেন। এবারও তাদের রেখেছিলেন। কিন্তু খরচের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে চার শ্রমিককে ছাঁটাই করেছেন।
কথা হয় ঘাটে অপেক্ষমাণ পাইকার অনিল জলদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, তার তিনজন শ্রমিক নৌকায় উঠে জেলেদের থেকে মাছ কেনার কাজ করছেন। প্রতি বেলায় তাদের জনপ্রতি মজুরি হিসেবে ৩০০ টাকা করে দিতে হয়। ফলে তিনজনের নাশতাসহ খরচ পড়ে এক হাজার টাকা। এ ছাড়া ইলিশ সংরক্ষণের জন্য বরফ লাগে ৫০০ টাকার। সব মিলিয়ে প্রতি বেলায় তার খরচ হয় ২ হাজার টাকা। কিন্তু যে ইলিশ পাওয়া যায়, তা দিয়ে খরচের দুই হাজার টাকাও ওঠাতে কষ্ট হয়।
তবে ইলিশ কম ধরা পড়লেও দাম কিন্তু বেশ চড়া। সেদিক থেকে আশানুরূপ সংগ্রহ না হলেও দাম হিসাব করলে মহাজনদের খুব বেশি লোকসান হয়নি। গতবারের চেয়ে ইলিশের দাম প্রায় তিন গুণ বেশি বলে জেলেরা জানান।
তাঁদের তথ্য অনুযায়ী, অন্যবার ভরা মৌসুমে ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হতো ১০০-১৫০ টাকা। এবার সেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা।
আর ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ইলিশ ধরা পড়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ দশমিক ৯২ টন। পরের অর্থবছরে সেটা বেড়ে ২ হাজার ৩১ দশমিক ৭৫ টনে দাঁড়িয়েছিল।
কিন্তু ২৩-২৪ অর্থবছরে হঠাৎ করে ইলিশ সংগ্রহ ব্যাপক কমে ৭৩৫ দশমিক ৭৩ টনে নামে। আর চলতি অর্থবছরে গতকাল পর্যন্ত ২৩৩ দশমিক ৫ টন ইলিশ আহরণ করা হয়েছে।
ইলিশ কম ধরা পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, প্রজননের জন্য ইলিশ সাগরের গভীর উপকূলের দিকে এলেই আহরণ করা হয়। এখন উপকূলের দিকে ইলিশ আসা কমে গেছে।
ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ার পেছনে চারটি কারণ তুলে ধরেন তিনি। ড. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, উজান থেকে নেমে আসা মিঠা পানির প্রবাহ ও গতিপ্রকৃতির পরিবর্তন, জলবায়ুর প্রভাবের কারণে বিশেষ করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি, সাগরে ইলিশের প্রাকৃতিক আবাসস্থল ব্যাঘাত এবং পূর্ববর্তী বছরে অতিরিক্ত আহরণের কারণে ইলিশ সংগ্রহ কম হতে পারে।
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
৮ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১৭ ঘণ্টা আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ আজও ভয়াবহ মাত্রায় রয়েছে। আজ বুধবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি শহর, দৃশ্যময়তা কমে যাওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়েছে। এর পরে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর...
২ দিন আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটি চলতি মরসুমে সর্বোচ্চ এবং ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে।
৩ দিন আগে