সাবিত আল হাসান, সেন্টমার্টিন থেকে ফিরে
টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছাড়তেই পর্যটকদের সঙ্গী হয় শত শত গাঙচিল। প্রতিটি জাহাজের চতুর্দিকে ডানা ঝাপটে উড়তে থাকে। পর্যটকদের ছুড়ে দেওয়া খাবারের জন্য নাফ নদী পেরিয়ে বঙ্গোপসাগরেও জাহাজের পিছু নিতে থাকে গাঙচিলেরা। এই পাখিদের খাবার দেওয়া কিংবা চিত্র ও ভিডিও ধারণের উদ্দেশ্যে প্রতিদিনই শত শত প্যাকেট চিপস বিক্রি হয় প্রতিটি জাহাজে।
চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি থেকে টেকনাফ হতে সেন্ট মার্টিন অভিমুখে প্রতিদিন ছেড়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি পর্যটকবাহী জাহাজ। সাত থেকে আটটি জাহাজ প্রায় তিন হাজারের বেশি যাত্রী বহন করে প্রতিদিন। আর এসব জাহাজ থেকে খাবারের সন্ধান করাই নেশা হয়ে উঠেছে গাঙচিলদের। পর্যটকেরা সামান্য মনের খোরাক ও বিনোদনের জন্য পাখিদের চিপস দিয়ে গেলেও তাদের অনেকেই জানেন না, এর পরিণতি বিপজ্জনক।
চলাচলরত জাহাজের মধ্যে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে গাঙচিলদের খাবার দিতে নিরুৎসাহিত করা হলেও তা মানছেন না পর্যটকেরা। এসব প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার পাখিদের জন্য ক্ষতিকর বলা হলেও জাহাজের ক্যান্টিনগুলোতে দেদার চিপস বিক্রি চলছে। তবে চলাচলরত বাকি জাহাজগুলো থেকে এ বিষয়ে কোনো সতর্ক বার্তাই দেওয়া হয় না যাত্রীদের উদ্দেশে। ফলে জেনে বা না জেনেই পাখিদের চিপস খাইয়ে চলেছেন পর্যটকেরা।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানায়, গাঙচিল কিংবা অন্য যেকোনো বন্য প্রাণীদের খাবার দেওয়া উচিত নয়। এর মধ্যে প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবারে প্রাণীদের অভ্যস্ত করা হলে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠবে জীবন ধারণের জন্য। বিশেষ করে গাঙচিলদের ক্ষেত্রে চিপসজাতীয় খাবার ডিম পাড়তে বাধাগ্রস্ত করে। এ ছাড়া নিজেদের মাছ শিকার করার দক্ষতা কমিয়ে দেয়। ফলে দিনে দিনে গাঙচিলের সংখ্যার ওপর প্রভাব ফেলবে এসব খাবার।
প্রতিটি জাহাজে প্রায় অর্ধশত চিপস বিক্রি হয় মূল্য তালিকার চাইতে দ্বিগুণ দামে। চলাচলরত সাতটি জাহাজ থেকে আসা-যাওয়া মিলিয়ে সিজনের প্রতিদিন অন্তত ৭০০ চিপস ক্রয়-বিক্রয় হয়, যার অধিকাংশই গাঙচিলদের দেওয়া হয়। চিপস খাওয়ানো শেষে অধিকাংশ প্যাকেট ফেলে দেওয়া হচ্ছে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে। কক্সবাজারের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের এক কর্মকর্তা বলেন, পর্যটকদের এমন হেঁয়ালি আচরণ গাঙচিলদের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে আগামী দিনে।
সেন্ট মার্টিনগামী এই যাত্রী বলেন, ‘গাঙচিলদের চিপস দেওয়া নিষেধ সেটা আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। কেউ কখনো কিছু বলেনি এ নিয়ে। তা ছাড়া জাহাজ থেকেও তো কিছু বলে না। যদি না বলত, তাহলে চিপস দিতাম না।’
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘বন্যপ্রাণীকে বাইরের খাবার দেওয়াটা ঠিক নয় এটুকু বুঝি। কিন্তু আমার খারাপ লাগছে যে, চিপস খাওয়ানো শেষে সব প্লাস্টিক ফেলে দেওয়া হচ্ছে নদী বা সাগরে। এটা দুঃখজনক এবং পর্যটকদের নিষেধ করার মতো কেউই নেই।’
কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. সাহাবউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যপ্রাণীকে প্রক্রিয়াজাত খাবার দেওয়া উচিত নয়। এতে তাদের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে। বন্যপ্রাণীকে নিজেদের মতো বাঁচতে দিতে হবে।’
একই বিষয়ে কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সারওয়ার আলম বলেন, ‘প্রতিনিয়ত চিপস খাওয়ানোর কারণে অসুস্থ হয়ে কিছু গাঙচিল মারাও যেতে পারে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে এদের ডিম পাড়ায়। এরা ডিম পাড়া বন্ধ করে দেবে এবং শিকার করতেও ভুলে যাবে। কারণ সে সহজেই চার থেকে পাঁচ মাস খাবার পেয়ে যাচ্ছে। বাকি সময়ে তার খাবার শিকার করতে কষ্ট হবে।’
বন বিভাগের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পর্যটক, জাহাজ ব্যবসায়ী ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরও সচেতন হওয়া উচিত। কেবল শখের বশে গাঙচিলদের জীবন বিপন্ন যেন না হয়, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছাড়তেই পর্যটকদের সঙ্গী হয় শত শত গাঙচিল। প্রতিটি জাহাজের চতুর্দিকে ডানা ঝাপটে উড়তে থাকে। পর্যটকদের ছুড়ে দেওয়া খাবারের জন্য নাফ নদী পেরিয়ে বঙ্গোপসাগরেও জাহাজের পিছু নিতে থাকে গাঙচিলেরা। এই পাখিদের খাবার দেওয়া কিংবা চিত্র ও ভিডিও ধারণের উদ্দেশ্যে প্রতিদিনই শত শত প্যাকেট চিপস বিক্রি হয় প্রতিটি জাহাজে।
চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি থেকে টেকনাফ হতে সেন্ট মার্টিন অভিমুখে প্রতিদিন ছেড়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি পর্যটকবাহী জাহাজ। সাত থেকে আটটি জাহাজ প্রায় তিন হাজারের বেশি যাত্রী বহন করে প্রতিদিন। আর এসব জাহাজ থেকে খাবারের সন্ধান করাই নেশা হয়ে উঠেছে গাঙচিলদের। পর্যটকেরা সামান্য মনের খোরাক ও বিনোদনের জন্য পাখিদের চিপস দিয়ে গেলেও তাদের অনেকেই জানেন না, এর পরিণতি বিপজ্জনক।
চলাচলরত জাহাজের মধ্যে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে গাঙচিলদের খাবার দিতে নিরুৎসাহিত করা হলেও তা মানছেন না পর্যটকেরা। এসব প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার পাখিদের জন্য ক্ষতিকর বলা হলেও জাহাজের ক্যান্টিনগুলোতে দেদার চিপস বিক্রি চলছে। তবে চলাচলরত বাকি জাহাজগুলো থেকে এ বিষয়ে কোনো সতর্ক বার্তাই দেওয়া হয় না যাত্রীদের উদ্দেশে। ফলে জেনে বা না জেনেই পাখিদের চিপস খাইয়ে চলেছেন পর্যটকেরা।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানায়, গাঙচিল কিংবা অন্য যেকোনো বন্য প্রাণীদের খাবার দেওয়া উচিত নয়। এর মধ্যে প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবারে প্রাণীদের অভ্যস্ত করা হলে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠবে জীবন ধারণের জন্য। বিশেষ করে গাঙচিলদের ক্ষেত্রে চিপসজাতীয় খাবার ডিম পাড়তে বাধাগ্রস্ত করে। এ ছাড়া নিজেদের মাছ শিকার করার দক্ষতা কমিয়ে দেয়। ফলে দিনে দিনে গাঙচিলের সংখ্যার ওপর প্রভাব ফেলবে এসব খাবার।
প্রতিটি জাহাজে প্রায় অর্ধশত চিপস বিক্রি হয় মূল্য তালিকার চাইতে দ্বিগুণ দামে। চলাচলরত সাতটি জাহাজ থেকে আসা-যাওয়া মিলিয়ে সিজনের প্রতিদিন অন্তত ৭০০ চিপস ক্রয়-বিক্রয় হয়, যার অধিকাংশই গাঙচিলদের দেওয়া হয়। চিপস খাওয়ানো শেষে অধিকাংশ প্যাকেট ফেলে দেওয়া হচ্ছে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে। কক্সবাজারের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের এক কর্মকর্তা বলেন, পর্যটকদের এমন হেঁয়ালি আচরণ গাঙচিলদের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে আগামী দিনে।
সেন্ট মার্টিনগামী এই যাত্রী বলেন, ‘গাঙচিলদের চিপস দেওয়া নিষেধ সেটা আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। কেউ কখনো কিছু বলেনি এ নিয়ে। তা ছাড়া জাহাজ থেকেও তো কিছু বলে না। যদি না বলত, তাহলে চিপস দিতাম না।’
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘বন্যপ্রাণীকে বাইরের খাবার দেওয়াটা ঠিক নয় এটুকু বুঝি। কিন্তু আমার খারাপ লাগছে যে, চিপস খাওয়ানো শেষে সব প্লাস্টিক ফেলে দেওয়া হচ্ছে নদী বা সাগরে। এটা দুঃখজনক এবং পর্যটকদের নিষেধ করার মতো কেউই নেই।’
কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. সাহাবউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যপ্রাণীকে প্রক্রিয়াজাত খাবার দেওয়া উচিত নয়। এতে তাদের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে। বন্যপ্রাণীকে নিজেদের মতো বাঁচতে দিতে হবে।’
একই বিষয়ে কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সারওয়ার আলম বলেন, ‘প্রতিনিয়ত চিপস খাওয়ানোর কারণে অসুস্থ হয়ে কিছু গাঙচিল মারাও যেতে পারে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে এদের ডিম পাড়ায়। এরা ডিম পাড়া বন্ধ করে দেবে এবং শিকার করতেও ভুলে যাবে। কারণ সে সহজেই চার থেকে পাঁচ মাস খাবার পেয়ে যাচ্ছে। বাকি সময়ে তার খাবার শিকার করতে কষ্ট হবে।’
বন বিভাগের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পর্যটক, জাহাজ ব্যবসায়ী ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরও সচেতন হওয়া উচিত। কেবল শখের বশে গাঙচিলদের জীবন বিপন্ন যেন না হয়, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
৯ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১৭ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
১৮ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে