Ajker Patrika

বায়ুদূষণে শীর্ষদশে নেই ঢাকা, বাতাসের মানে সামান্য উন্নতি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৮: ৫২
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আজ সামান্য উন্নতি হয়েছে রাজধানী ঢাকার বাতাসে। অস্বাস্থ্যকর বাতাস নির্দিষ্ট শ্রেণি, যেমন—অসুস্থ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ আছে এমন মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে ঢাকার বায়ুমান।

আজ বৃহস্পতিবার বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) র‍্যাঙ্কিংয়েও অবস্থান পিছিয়েছে ঢাকা। বায়ুদূষণের শীর্ষ ১০ শহরে নেই ঢাকার নাম। শীর্ষ ১২৫টি দেশের মধ্যে ১৫তম স্থানে আছে ঢাকা। গতকাল বুধবার অবস্থান ছিল পঞ্চম। গতকাল সকাল ৮টা ২৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী বায়ুমান ছিল ১৭৯। এই স্কোর অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আজ ৮টা ২০ মিনিটের হালনাগাদ রেকর্ডে ঢাকার বায়ুমান ১২৫।

একিউআইয়ের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় গত দুই দিনের আজ বৃহস্পতিবারও শীর্ষে ভারত। ১৯৯ বায়ুমান নিয়ে তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে দেশটির শহর দিল্লি। তবে, দিল্লির বায়ুমানও গতকালের চেয়ে আজ কিছুটা উন্নত। গতকাল ২২৯ বায়ুমান নিয়ে খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল শহরটির বাতাস। আজ দূষণ কিছুটা কমে শুধু অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

একিউআইয়ের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে যথাক্রমে আছে পাকিস্তানের লাহোর (১৯১), নেপালের কাঠমান্ডু (১৮৬), মিয়ানমারের ইয়ানগন (১৬৭) ও ইরানের তেহরান (১৬০)।

চলতি বছরের ১২ মার্চ পর্যন্ত দূষণের যে তথ্য রেকর্ড করেছে আইকিউএয়ার, তাতে বায়ুদূষণে দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। প্রথম স্থানে আছে আফ্রিকার দেশ চাদ। গত বছরও সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশ ছিল বাংলাদেশ ও চাদ।

বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত