নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়ার দুই যুগ পর শুধু ঢাকায় প্লাস্টিক বর্জ্য বেড়েছে তিনগুণ। রাজধানীতে প্রতিদিন ২ কোটির বেশি পলিথিন ব্যাগ একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়। একদিকে পলিথিন ব্যবহার না করে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। অন্যদিকে দেশের সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই দ্বৈত নীতি থেকে সরকার সরে না এলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে দেশের পরিবেশবাদী কয়েকটি সংগঠন।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নাসফসহ ১৪টি পরিবেশবাদী সংগঠন আজ শনিবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘পলিথিন-প্লাস্টিকের ব্যবহারে হুমকির মুখে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক এক মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজধানীর বর্জ্য নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, রাজধানীতে ২০০৫ সালে প্রতিদিন গড়ে ১৭৮ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হতো। ২০২০ সালে এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৪৬ টনে। রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায় ১ হাজার ২০০ কারখানায় নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরি হচ্ছে। এগুলোর বেশির ভাগই পুরান ঢাকাকেন্দ্রিক। শুধু ঢাকা শহরে প্রতিদিন ২ কোটির বেশি পলিথিন ব্যাগ একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়। এগুলো দ্বারা ড্রেন, নালা-নর্দমা, খাল, ডোবা ইত্যাদি ভরাট হয়ে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ৩৫ লাখের বেশি টিস্যু ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাত হচ্ছে। এসব ব্যাগ পলিথিনের হলেও কাপড়ের ব্যাগ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধকারী প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছিল। ২০০২ সালে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের বিধান করা হলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। এমন বাস্তবতায় এ বছরের জানুয়ারিতে ওই আইন কার্যকরে ফের এক বছরের সময় বেঁধে দিয়েছেন উচ্চ আদালত। একটি প্লাস্টিক ব্যাগ মাটিতে মিশে যেতে সময় লাগে প্রায় ১ হাজার বছর। সে জন্যই প্লাস্টিক বর্জ্য কীভাবে রিসাইকেল করা যায়, তা বিজ্ঞানীদের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ।
প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার কিংবা পলিথিনের বিকল্প তৈরিতে সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে ভয়ংকর পরিণতির পথে এগোচ্ছে শহরের প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ।
পবার সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন থেকে পলিথিন নিষিদ্ধের আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ নয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
দেশে পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়ার দুই যুগ পর শুধু ঢাকায় প্লাস্টিক বর্জ্য বেড়েছে তিনগুণ। রাজধানীতে প্রতিদিন ২ কোটির বেশি পলিথিন ব্যাগ একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়। একদিকে পলিথিন ব্যবহার না করে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। অন্যদিকে দেশের সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই দ্বৈত নীতি থেকে সরকার সরে না এলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে দেশের পরিবেশবাদী কয়েকটি সংগঠন।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নাসফসহ ১৪টি পরিবেশবাদী সংগঠন আজ শনিবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘পলিথিন-প্লাস্টিকের ব্যবহারে হুমকির মুখে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক এক মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজধানীর বর্জ্য নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, রাজধানীতে ২০০৫ সালে প্রতিদিন গড়ে ১৭৮ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হতো। ২০২০ সালে এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৪৬ টনে। রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায় ১ হাজার ২০০ কারখানায় নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরি হচ্ছে। এগুলোর বেশির ভাগই পুরান ঢাকাকেন্দ্রিক। শুধু ঢাকা শহরে প্রতিদিন ২ কোটির বেশি পলিথিন ব্যাগ একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়। এগুলো দ্বারা ড্রেন, নালা-নর্দমা, খাল, ডোবা ইত্যাদি ভরাট হয়ে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ৩৫ লাখের বেশি টিস্যু ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাত হচ্ছে। এসব ব্যাগ পলিথিনের হলেও কাপড়ের ব্যাগ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধকারী প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছিল। ২০০২ সালে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের বিধান করা হলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। এমন বাস্তবতায় এ বছরের জানুয়ারিতে ওই আইন কার্যকরে ফের এক বছরের সময় বেঁধে দিয়েছেন উচ্চ আদালত। একটি প্লাস্টিক ব্যাগ মাটিতে মিশে যেতে সময় লাগে প্রায় ১ হাজার বছর। সে জন্যই প্লাস্টিক বর্জ্য কীভাবে রিসাইকেল করা যায়, তা বিজ্ঞানীদের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ।
প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার কিংবা পলিথিনের বিকল্প তৈরিতে সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে ভয়ংকর পরিণতির পথে এগোচ্ছে শহরের প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ।
পবার সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন থেকে পলিথিন নিষিদ্ধের আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ নয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
৯ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১৭ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
১৮ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে