প্রতিনিধি
রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পূর্ব পাশে আগে থেকেই সীমানা প্রাচীর ছিল। তবে সেই প্রাচীর ভেঙে নতুন করে আবারও নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এ কারণে কেটে ফেলা হচ্ছে ৪৫টি গাছ। গত তিন দিন ধরে গাছগুলো কাটছেন ঠিকাদারের লোকজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তবে পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, পুরোনো প্রাচীর নতুন করতে তাজা গাছ কাটা অযৌক্তিক। এই গাছগুলো মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী এবং রোগীর স্বজনদের ছায়া দিত।
হাসপাতালের পূর্ব পাশে সীমানা প্রাচীরের পাশ দিয়েই একটি রাস্তা চলে গেছে বিলশিমলার দিকে। এই রাস্তার পূর্ব দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও রাজশাহী নার্সিং ইনস্টিটিউট। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং কলেজের শিক্ষকদের আবাসিক ভবনগুলোতেও যেতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। গাছগুলো তাদেরও ছায়া দিত। এখন এলাকাটি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রমিকেরা একের পর এক গাছ কাটছেন। উঁচু উঁচু মেহগনি, রেইনট্রি, আম, কাঁঠাল ও ডাব গাছগুলো কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রামেক হাসপাতালের পুরোনো সীমানা প্রাচীর একদিক থেকে ভাঙা হচ্ছে। আর অন্যদিক থেকে একই স্থানটিতে নতুন করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। পুরোনো এই প্রাচীরটি নতুন করতেই গাছগুলোকে কেটে ফেলা হচ্ছে।
এ নিয়ে মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিষয়। আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) রাজশাহী জেলা সভাপতি জামাত খান বলেন, বছরের পর বছর গাছগুলো রোগী, রোগীর স্বজন, মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং চিকিৎসকদের ছায়া দিত। পাখির কলকাকলিতে এলাকাটি মুখর থাকত। শুধু পুরোনো প্রাচীর নতুন করার জন্য গাছগুলো কেটে ফেলা ঠিক হচ্ছে না। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও বিশ্লেষণের প্রয়োজন ছিল।
গাছ কাটার সময় ওই এলাকাতেই ছিলেন নিলামে গাছ কেনা প্রতিষ্ঠান জিয়া টিম্বার সমিলের মালিক আবদুল হাকিম। তিনি বলেন, আমরা ৪৫টা গাছ কিনেছি। গত তিন-চার দিন আগে গাছ কাটা শুরু হয়েছে। গোটা জুন মাসজুড়েই গাছ কাটার কাজ চলবে। দুই-চার দিন এদিক সেদিক হতে পারে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন প্রাচীর নির্মাণের জন্য রাস্তার পাশের ছাড়াও হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং পেছনে আরও কিছু গাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ক্যানসার সেন্টার নির্মাণের জন্য হাসপাতালের পেছনের গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। তবে কত টাকায় গাছ বিক্রি করা হয়েছে তা কর্তৃপক্ষ জানায়নি।
সীমানা প্রাচীরের জন্য তাজা গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছ কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আগের সীমানা প্রাচীরটা জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তা ছাড়া প্রাচীরটি ছিল নিচু। এতে চোর ঢুকে পড়তো। প্রাচীর টপকে সহজে চোর পালিয়েও যাচ্ছিল। এ কারণে পুরোনো প্রাচীর ভেঙে নতুন করে উঁচু প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে হাসপাতালে চোরের উপদ্রব কমবে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে রামেক হাসপাতাল এলাকা থেকে পাখি তাড়াতে শতাধিক গাছের ডালপালা কেটে ফেলা হয়। এসব গাছে হাজার হাজার শামুকখোল পাখি বাসা বেঁধেছিল। পাখিরা গাছগুলোতে ডিম দিয়ে বাচ্চাও ফুটিয়েছিল। এসব পাখিরা আগে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের গাছপালায় থাকত। কারা একাডেমি করার জন্য ওই এলাকার গাছগুলো কাটা হয়। এতে নীড়হারা হয়ে পাখিরা হাসপাতালের গাছপালায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু পাখির বিষ্ঠায় রোগীর স্বজনদের অসুবিধা হয় বলে গাছের ডালপালা কেটে ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানালেও লাভ হয়নি। তখন হাসপাতাল পরিচালক বলেছিলেন, হাসপাতাল এলাকা পাখির অভয়াশ্রম হতে পারে না। গোটা বিশ্বের কোথাও এটা নেই।
রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পূর্ব পাশে আগে থেকেই সীমানা প্রাচীর ছিল। তবে সেই প্রাচীর ভেঙে নতুন করে আবারও নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এ কারণে কেটে ফেলা হচ্ছে ৪৫টি গাছ। গত তিন দিন ধরে গাছগুলো কাটছেন ঠিকাদারের লোকজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তবে পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, পুরোনো প্রাচীর নতুন করতে তাজা গাছ কাটা অযৌক্তিক। এই গাছগুলো মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী এবং রোগীর স্বজনদের ছায়া দিত।
হাসপাতালের পূর্ব পাশে সীমানা প্রাচীরের পাশ দিয়েই একটি রাস্তা চলে গেছে বিলশিমলার দিকে। এই রাস্তার পূর্ব দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও রাজশাহী নার্সিং ইনস্টিটিউট। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং কলেজের শিক্ষকদের আবাসিক ভবনগুলোতেও যেতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। গাছগুলো তাদেরও ছায়া দিত। এখন এলাকাটি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রমিকেরা একের পর এক গাছ কাটছেন। উঁচু উঁচু মেহগনি, রেইনট্রি, আম, কাঁঠাল ও ডাব গাছগুলো কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রামেক হাসপাতালের পুরোনো সীমানা প্রাচীর একদিক থেকে ভাঙা হচ্ছে। আর অন্যদিক থেকে একই স্থানটিতে নতুন করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। পুরোনো এই প্রাচীরটি নতুন করতেই গাছগুলোকে কেটে ফেলা হচ্ছে।
এ নিয়ে মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিষয়। আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) রাজশাহী জেলা সভাপতি জামাত খান বলেন, বছরের পর বছর গাছগুলো রোগী, রোগীর স্বজন, মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং চিকিৎসকদের ছায়া দিত। পাখির কলকাকলিতে এলাকাটি মুখর থাকত। শুধু পুরোনো প্রাচীর নতুন করার জন্য গাছগুলো কেটে ফেলা ঠিক হচ্ছে না। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও বিশ্লেষণের প্রয়োজন ছিল।
গাছ কাটার সময় ওই এলাকাতেই ছিলেন নিলামে গাছ কেনা প্রতিষ্ঠান জিয়া টিম্বার সমিলের মালিক আবদুল হাকিম। তিনি বলেন, আমরা ৪৫টা গাছ কিনেছি। গত তিন-চার দিন আগে গাছ কাটা শুরু হয়েছে। গোটা জুন মাসজুড়েই গাছ কাটার কাজ চলবে। দুই-চার দিন এদিক সেদিক হতে পারে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন প্রাচীর নির্মাণের জন্য রাস্তার পাশের ছাড়াও হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং পেছনে আরও কিছু গাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ক্যানসার সেন্টার নির্মাণের জন্য হাসপাতালের পেছনের গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। তবে কত টাকায় গাছ বিক্রি করা হয়েছে তা কর্তৃপক্ষ জানায়নি।
সীমানা প্রাচীরের জন্য তাজা গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছ কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আগের সীমানা প্রাচীরটা জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তা ছাড়া প্রাচীরটি ছিল নিচু। এতে চোর ঢুকে পড়তো। প্রাচীর টপকে সহজে চোর পালিয়েও যাচ্ছিল। এ কারণে পুরোনো প্রাচীর ভেঙে নতুন করে উঁচু প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে হাসপাতালে চোরের উপদ্রব কমবে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে রামেক হাসপাতাল এলাকা থেকে পাখি তাড়াতে শতাধিক গাছের ডালপালা কেটে ফেলা হয়। এসব গাছে হাজার হাজার শামুকখোল পাখি বাসা বেঁধেছিল। পাখিরা গাছগুলোতে ডিম দিয়ে বাচ্চাও ফুটিয়েছিল। এসব পাখিরা আগে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের গাছপালায় থাকত। কারা একাডেমি করার জন্য ওই এলাকার গাছগুলো কাটা হয়। এতে নীড়হারা হয়ে পাখিরা হাসপাতালের গাছপালায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু পাখির বিষ্ঠায় রোগীর স্বজনদের অসুবিধা হয় বলে গাছের ডালপালা কেটে ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানালেও লাভ হয়নি। তখন হাসপাতাল পরিচালক বলেছিলেন, হাসপাতাল এলাকা পাখির অভয়াশ্রম হতে পারে না। গোটা বিশ্বের কোথাও এটা নেই।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
১১ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১৯ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
২০ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে