মিজানুর রহমান রনি, উজিরপুর (বরিশাল)
দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন লাল কার্পেট বিছানো। কাছে গেলে মনে হয় শাপলার রাজ্য। লাল রঙের শাপলায় মোড়ানো পুরো বিল। ক্ষণে ক্ষণে ভেসে আসে ডানা ঝাপটানোর শব্দ, পাখির কলকাকলি। মন ভালো করে দেওয়া প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্য চোখে পড়বে সাতলা বিলে।
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নে এই বিলের অবস্থান। প্রতি বর্ষায় লাল শাপলা ফুলেরা রাজত্ব করে এই বিলে। প্রকৃতির এই অপরূপ সাজ দেখতে দেশের নানান প্রান্ত থেকে পর্যটক আর প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটে আসেন এখানে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
আগস্ট থেকে অক্টোবর, এই তিন মাস সাতলার বিল লাল শাপলায় ভরপুর থাকে। এটাই সেখানে বেড়াতে যাওয়ার ভালো সময়। লাল শাপলায় ভরপুর সাতলার বিল দেখতে হলে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। তারপর যেতে হবে বিলে। বিলজুড়ে শাপলারা পাপড়ি মেলে সূর্যোদয়ের আগে। সূর্যের তেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হতে থাকে। সাধারণত সকাল ৯টার পরে গেলে খুব বেশি ফুটন্ত ফুল দেখা যায় না।
প্রায় ১০ হাজার একর জলাভূমিতে জন্ম নেওয়া লাল, নীল ও সাদা রঙের কোটি কোটি শাপলা একনজর দেখার জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানান বয়সী হাজারো মানুষের ভিড় থাকে। পর্যটকদের আনাগোনায় দিন দিন মুখর হচ্ছে ‘শাপলার রাজ্য’ খ্যাত সাতলা। স্থানীয় পর্যটক গাইডদের মতে, প্রতিদিন গড়ে শতাধিক পর্যটক বিলে যান বেড়াতে। তবে শুক্র ও শনিবার সেই সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়।
এই বিলে ভ্রমণের জন্য রয়েছে ছোট আকারের নৌকা। সূর্যের উদয়ক্ষণে সূর্যরশ্মি পড়ামাত্রই যেন মন পাগল করা এক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয় সাতলা বিল। এখানে এলে মন কেড়ে নেওয়া দৃশ্য রেখে কারোরই ফিরে যেতে ইচ্ছে করে না। সৌন্দর্য অবগাহনে আসা এক দর্শনার্থী জানান, ‘প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে এতদূর ছুটে এসেছি। ফুল দেখে আমি মুগ্ধ।’
স্থানীয়রা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকদের সুবিধার্থে সাতলা এলাকায় আবাসন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। ২০১৯ সালে বরিশাল জেলার তৎকালীন প্রশাসক হাবিবুর রহমান সাতলার এই শাপলা বিলের অপার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে এখানে পর্যটনকেন্দ্র করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘সাতলার শাপলা বিল নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে সাতলাকে পর্যটনকেন্দ্র করার বিষয়ে পর্যটন করপোরেশনকে জানানো হয়েছে।’
শুধু সৌন্দর্যই নয়, সুস্বাদু খাবার হিসেবেও শাপলার বেশ কদর। তাই তো গ্রামের সহজসরল মানুষেরা জীবনসংগ্রামে আয়ের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন শাপলাকেই। সকালের সূর্যের আলো ফোটার আগেই তাঁরা ছোট ছোট নৌকা নিয়ে বিলে নেমে পড়েন শাপলা তোলার জন্য। পানির মধ্য থেকে শাপলাগুলো তুলে এনে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে শত শত পরিবার। প্রায় ২০০ বছর সাতলার বিলগুলোতে শাপলা জন্ম হচ্ছে। ওই এলাকার ৫০ ভাগ অধিবাসী শাপলা চাষ ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত।
দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন লাল কার্পেট বিছানো। কাছে গেলে মনে হয় শাপলার রাজ্য। লাল রঙের শাপলায় মোড়ানো পুরো বিল। ক্ষণে ক্ষণে ভেসে আসে ডানা ঝাপটানোর শব্দ, পাখির কলকাকলি। মন ভালো করে দেওয়া প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্য চোখে পড়বে সাতলা বিলে।
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নে এই বিলের অবস্থান। প্রতি বর্ষায় লাল শাপলা ফুলেরা রাজত্ব করে এই বিলে। প্রকৃতির এই অপরূপ সাজ দেখতে দেশের নানান প্রান্ত থেকে পর্যটক আর প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটে আসেন এখানে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
আগস্ট থেকে অক্টোবর, এই তিন মাস সাতলার বিল লাল শাপলায় ভরপুর থাকে। এটাই সেখানে বেড়াতে যাওয়ার ভালো সময়। লাল শাপলায় ভরপুর সাতলার বিল দেখতে হলে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। তারপর যেতে হবে বিলে। বিলজুড়ে শাপলারা পাপড়ি মেলে সূর্যোদয়ের আগে। সূর্যের তেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হতে থাকে। সাধারণত সকাল ৯টার পরে গেলে খুব বেশি ফুটন্ত ফুল দেখা যায় না।
প্রায় ১০ হাজার একর জলাভূমিতে জন্ম নেওয়া লাল, নীল ও সাদা রঙের কোটি কোটি শাপলা একনজর দেখার জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানান বয়সী হাজারো মানুষের ভিড় থাকে। পর্যটকদের আনাগোনায় দিন দিন মুখর হচ্ছে ‘শাপলার রাজ্য’ খ্যাত সাতলা। স্থানীয় পর্যটক গাইডদের মতে, প্রতিদিন গড়ে শতাধিক পর্যটক বিলে যান বেড়াতে। তবে শুক্র ও শনিবার সেই সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়।
এই বিলে ভ্রমণের জন্য রয়েছে ছোট আকারের নৌকা। সূর্যের উদয়ক্ষণে সূর্যরশ্মি পড়ামাত্রই যেন মন পাগল করা এক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয় সাতলা বিল। এখানে এলে মন কেড়ে নেওয়া দৃশ্য রেখে কারোরই ফিরে যেতে ইচ্ছে করে না। সৌন্দর্য অবগাহনে আসা এক দর্শনার্থী জানান, ‘প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে এতদূর ছুটে এসেছি। ফুল দেখে আমি মুগ্ধ।’
স্থানীয়রা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকদের সুবিধার্থে সাতলা এলাকায় আবাসন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। ২০১৯ সালে বরিশাল জেলার তৎকালীন প্রশাসক হাবিবুর রহমান সাতলার এই শাপলা বিলের অপার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে এখানে পর্যটনকেন্দ্র করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘সাতলার শাপলা বিল নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে সাতলাকে পর্যটনকেন্দ্র করার বিষয়ে পর্যটন করপোরেশনকে জানানো হয়েছে।’
শুধু সৌন্দর্যই নয়, সুস্বাদু খাবার হিসেবেও শাপলার বেশ কদর। তাই তো গ্রামের সহজসরল মানুষেরা জীবনসংগ্রামে আয়ের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন শাপলাকেই। সকালের সূর্যের আলো ফোটার আগেই তাঁরা ছোট ছোট নৌকা নিয়ে বিলে নেমে পড়েন শাপলা তোলার জন্য। পানির মধ্য থেকে শাপলাগুলো তুলে এনে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে শত শত পরিবার। প্রায় ২০০ বছর সাতলার বিলগুলোতে শাপলা জন্ম হচ্ছে। ওই এলাকার ৫০ ভাগ অধিবাসী শাপলা চাষ ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
১০ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১৯ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
২০ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে