মোখার কেন্দ্রের ৭৫ কিমির মধ্যে বাতাসের বেগ ১৩০, ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১২ মে ২০২৩, ১৬: ০৭
আপডেট : ১২ মে ২০২৩, ১৯: ৪৭

ঘূর্ণিঝড় মোখা কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে ঘণ্টায় একটানা ১৩০ কিলোমিটার বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ নিয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। অভ্যন্তরস্থ এই গতিবেগ দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আরও এগিয়ে আসায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটায় আবহাওয়ার ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০৫ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। 

আবহাওয়ার সর্বশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিদ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। ছবি: আজকের পত্রিকাআবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগামীকাল শনিবার মধ্যরাত ও পরশু রোববার দুপুরের মাঝামাঝি সময়ে (১৪ মে প্রথম প্রহর থেকে বেলা ১২টার মধ্যে) মোখা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঝড় কক্সবাজারের ওপর দিয়ে গেলেও আক্রমণভাগের বড় অংশ মিয়ানমার উপকূলে পড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত গতিপথ অনুসরণে যা দেখা যাচ্ছে, তাতে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ কক্সবাজার ও মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে ঢোকার আগে নিজের শক্তি বাড়াতে পারে। শনিবার দিবাগত রাতে এটির আঘাত হানার আশঙ্কা আছে।

তিনি আরও বলেন, মোখার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস হলে এর উচ্চতা হবে ১০ থেকে ১৫ ফুট। চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকায়, বিশেষ করে কক্সবাজার, মহেশখালী, সোনাদিয়া, বাঁশখালী, চকরিয়া, সেন্ট মার্টিন ও কুতুবদিয়া এলাকায় এর প্রভাব থাকবে বেশি।

আরও পড়ুন:

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত