সৌগত বসু, ঢাকা
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আগামীকাল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে রিমাল। এটির কেন্দ্রভাগ পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়া দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
নিম্নচাপটির গতিপথ বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলে এর কেন্দ্র পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়ায় আঘাত হানতে পারে। এ সময় এর গতিবেগ হতে পারে ৮৯ থেকে ১২০ কিলোমিটার। আজ রাতেই নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। আগামীকাল শনিবার সকাল ৬টায় এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এক দিন সাগরে ঘূর্ণিঝড় অবস্থায় থেকে ২৬ মে (রোববার) সিভিয়ার সাইক্লোন বা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় অবস্থায় তা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অতিক্রম করবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি আগামীকাল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। আর এটির কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের খুলনা উপকূলের যেকোনো এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।’
তিনি বলেন, গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য কোন এলাকা দিয়ে ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করবে তা পাওয়া গেছে। এই গতিপথকে ‘কোন অফ আনসার্টেনিটি’ বা অনিশ্চয়তার কোন বলা হয়। তবে এই সম্ভাব্য গতিপথ পরিবর্তনশীল। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হলে সুনিশ্চিত গতিপথ বলা যায় না।
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ায় নিয়ামক যা
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপ ও পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরের ক্ষেত্রে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে ট্রপিক্যাল সাইক্লোন হিট পটেনশিয়াল (টিসিএইচপি)। টিসিএইচপি দিয়ে সাগরপৃষ্ঠ থেকে ২৬ ডিগ্রি আইসোথার্ম গভীরতা পর্যন্ত ইন্টিগ্রেটেড ভার্টিক্যাল টেমপারেচার বা সমন্বিত উল্লম্ব তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘টিসিএইচপির মাত্রা প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোজুল (kJ/cm2) বা তার বেশি হলে তা নিম্নচাপকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বঙ্গোপসাগরে এখন প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে এর মান প্রায় ১০০ কিলোজুল রয়েছে। এটি বাড়তে শুরু করেছে।’
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠ সংলগ্ন ও উর্ধ্ব আকাশে বাতাসের গতিবেগের পার্থক্য ক্রমান্বয়ে কমতে থাকা ও বাতাসের ঘূর্ণনের গতিবেগ বা ভোর্টিসিটি বৃদ্ধি সাইক্লোন তৈরির ক্ষেত্রকে তরান্বিত করে। বঙ্গোপসাগরে এই নিয়ামকের মান ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, যা গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় তৈরির প্রক্রিয়াকে সুগম করছে।
নিম্নচাপ যেভাবে ঘূর্ণিঝড় রিমালে পরিণত হতে পারে
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল রাত থেকেই দেশের খুলনা উপকূলে বৃষ্টিপাত শুরু হবে। বিকেল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হবে। রাতে এটি টানা বৃষ্টিতে পরিণত হবে। ২৬ মে সকাল থেকেই উপকূলে রিমালের অগ্রভাগ আঘাত হানার সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাগরে এমন সিস্টেম তৈরি হলে স্থল থেকে সমস্ত জলীয়বাষ্প উঠে যায়। এতে করে স্থলভাগে তাপমাত্রা বাড়ে। গত দুই দিন ধরে এজন্য তাপমাত্রা বেশি হয়েছে। কাল থেকে যখন ঘূর্ণিঝড় উপকূলের দিকে আগাবে, তখন আবার বৃষ্টি হওয়া শুরু করবে।
আবহাওয়ার প্রথম বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হলো।
ঘূর্ণিঝড়ের ধরন
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তাকে ঘূর্ণিঝড় বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। গতিবেগ যদি ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। আর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হলে সেটিকে হ্যারিকেন গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বা ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের নাম রিমাল কেন
বঙ্গোপসাগরে এই নতুন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম রাখা হবে রিমাল। এটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দেওয়া আরবি নাম। এটির বাংলা অর্থ বালি।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও )। পাঁচটি বিশেষ আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার (আরএসএমসি) সঙ্গে সমন্বয় করে ২০০৪ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করেছে ডব্লিউএমও। আরএসএমসির সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ডব্লিউএমও।
এর মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও আরবসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা অনুমোদন করে আঞ্চলিক কমিটির একটি প্যানেল। তার নাম ডব্লিউএমও/এসকাপ প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোনস। এর মধ্যে আছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, ইয়েমেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১৮ সালের আরএমএসসি নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা করে। এ সময় ১৩টি দেশ ১৩টি করে নাম দেয়। সেখান থেকে একের পর এক ধারাবাহিকভাবে নাম বাছাই করা হয়।
এর আগে বাংলাদেশ উপকূলে সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল গত বছরের ১৪ মে। সেদিন স্থানীয় সময় বেলা ৩টার দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও ঝড় হয় এবং প্রতি ঘণ্টায় ১৪৭ মাইল পর্যন্ত বেগে প্রবল বাতাস বয়ে যায়।
এর পরও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানেনি। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম ১১০ কিলোমিটার বেগে তামিলনাড়ুর উপকূলের কাছে পৌঁছায়, কিন্তু দিক পরিবর্তন করে উত্তরে গিয়ে অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে নিম্নচাপে পরিণত হয়। মিগজাউম নামটি মিয়ানমারের দেওয়া।
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আগামীকাল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে রিমাল। এটির কেন্দ্রভাগ পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়া দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
নিম্নচাপটির গতিপথ বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলে এর কেন্দ্র পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়ায় আঘাত হানতে পারে। এ সময় এর গতিবেগ হতে পারে ৮৯ থেকে ১২০ কিলোমিটার। আজ রাতেই নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। আগামীকাল শনিবার সকাল ৬টায় এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এক দিন সাগরে ঘূর্ণিঝড় অবস্থায় থেকে ২৬ মে (রোববার) সিভিয়ার সাইক্লোন বা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় অবস্থায় তা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অতিক্রম করবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি আগামীকাল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। আর এটির কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের খুলনা উপকূলের যেকোনো এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।’
তিনি বলেন, গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য কোন এলাকা দিয়ে ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করবে তা পাওয়া গেছে। এই গতিপথকে ‘কোন অফ আনসার্টেনিটি’ বা অনিশ্চয়তার কোন বলা হয়। তবে এই সম্ভাব্য গতিপথ পরিবর্তনশীল। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হলে সুনিশ্চিত গতিপথ বলা যায় না।
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ায় নিয়ামক যা
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপ ও পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরের ক্ষেত্রে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে ট্রপিক্যাল সাইক্লোন হিট পটেনশিয়াল (টিসিএইচপি)। টিসিএইচপি দিয়ে সাগরপৃষ্ঠ থেকে ২৬ ডিগ্রি আইসোথার্ম গভীরতা পর্যন্ত ইন্টিগ্রেটেড ভার্টিক্যাল টেমপারেচার বা সমন্বিত উল্লম্ব তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘টিসিএইচপির মাত্রা প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোজুল (kJ/cm2) বা তার বেশি হলে তা নিম্নচাপকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বঙ্গোপসাগরে এখন প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে এর মান প্রায় ১০০ কিলোজুল রয়েছে। এটি বাড়তে শুরু করেছে।’
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠ সংলগ্ন ও উর্ধ্ব আকাশে বাতাসের গতিবেগের পার্থক্য ক্রমান্বয়ে কমতে থাকা ও বাতাসের ঘূর্ণনের গতিবেগ বা ভোর্টিসিটি বৃদ্ধি সাইক্লোন তৈরির ক্ষেত্রকে তরান্বিত করে। বঙ্গোপসাগরে এই নিয়ামকের মান ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, যা গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় তৈরির প্রক্রিয়াকে সুগম করছে।
নিম্নচাপ যেভাবে ঘূর্ণিঝড় রিমালে পরিণত হতে পারে
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল রাত থেকেই দেশের খুলনা উপকূলে বৃষ্টিপাত শুরু হবে। বিকেল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হবে। রাতে এটি টানা বৃষ্টিতে পরিণত হবে। ২৬ মে সকাল থেকেই উপকূলে রিমালের অগ্রভাগ আঘাত হানার সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাগরে এমন সিস্টেম তৈরি হলে স্থল থেকে সমস্ত জলীয়বাষ্প উঠে যায়। এতে করে স্থলভাগে তাপমাত্রা বাড়ে। গত দুই দিন ধরে এজন্য তাপমাত্রা বেশি হয়েছে। কাল থেকে যখন ঘূর্ণিঝড় উপকূলের দিকে আগাবে, তখন আবার বৃষ্টি হওয়া শুরু করবে।
আবহাওয়ার প্রথম বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হলো।
ঘূর্ণিঝড়ের ধরন
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তাকে ঘূর্ণিঝড় বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। গতিবেগ যদি ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। আর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হলে সেটিকে হ্যারিকেন গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বা ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের নাম রিমাল কেন
বঙ্গোপসাগরে এই নতুন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম রাখা হবে রিমাল। এটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দেওয়া আরবি নাম। এটির বাংলা অর্থ বালি।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও )। পাঁচটি বিশেষ আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার (আরএসএমসি) সঙ্গে সমন্বয় করে ২০০৪ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করেছে ডব্লিউএমও। আরএসএমসির সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ডব্লিউএমও।
এর মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও আরবসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা অনুমোদন করে আঞ্চলিক কমিটির একটি প্যানেল। তার নাম ডব্লিউএমও/এসকাপ প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোনস। এর মধ্যে আছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, ইয়েমেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১৮ সালের আরএমএসসি নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা করে। এ সময় ১৩টি দেশ ১৩টি করে নাম দেয়। সেখান থেকে একের পর এক ধারাবাহিকভাবে নাম বাছাই করা হয়।
এর আগে বাংলাদেশ উপকূলে সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল গত বছরের ১৪ মে। সেদিন স্থানীয় সময় বেলা ৩টার দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও ঝড় হয় এবং প্রতি ঘণ্টায় ১৪৭ মাইল পর্যন্ত বেগে প্রবল বাতাস বয়ে যায়।
এর পরও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানেনি। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম ১১০ কিলোমিটার বেগে তামিলনাড়ুর উপকূলের কাছে পৌঁছায়, কিন্তু দিক পরিবর্তন করে উত্তরে গিয়ে অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে নিম্নচাপে পরিণত হয়। মিগজাউম নামটি মিয়ানমারের দেওয়া।
এবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
৫ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
৬ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
২১ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১ দিন আগে