
একটি কোম্পানি গ্রিনল্যান্ড থেকে বরফ নিয়ে আসছে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। জাহাজে করে আনা হচ্ছে এ বরফ। কিন্তু কেন?
গ্রিনল্যান্ডের একটি কোম্পানি এই আর্কটিক বরফ আনছে দুবাইয়ে। উদ্দেশ্য সেখানকার বিভিন্ন পশ, নামী পানীয়গুলিকে শীতল করা।
দুবাইয়ের চকচকে, অভিজাত বারগুলিতে আসা মানুষদের তাই গ্রিনল্যান্ডের একটি আইসবার্গের অংশ ছিল এমন প্রাচীন আর্কটিক বরফের একটি কিউব দিয়ে ঠান্ডা করা পানীয় পান করতে পারবেন। সমুদ্রে অযথা গলে না গিয়ে একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল পানীয়তে পরিণত হচ্ছে এরা এখন।
আর্কটিক আইস নামের প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে ব্যয়বহুল বিভিন্ন বার এবং রেস্তোরাঁর জন্য এ বছর প্রায় ২২ টন গ্রিনল্যান্ডের বরফের প্রথম চালান দুবাইতে পাঠিয়েছে। ২০২২ সালে গ্রিনল্যান্ডের দুই নাগরিকের প্রতিষ্ঠিত আর্কটিক আইস বলা চলে খুব দ্রুত একটি আকর্ষণীয় তবে বিতর্কিত ব্যবসায়িক মডেলের সূচনা করেছে।
‘আমরা গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুকের নিকটবর্তী খাঁড়িতে এমন আইসবার্গ বা হিমশৈল খুঁজতে থাকি যেগুলো প্রাকৃতিকভাবে বরফের চাদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’ বলেন আইসবার্গ সহপ্রতিষ্ঠাতা মালিক বেহা সুইসন।
একবার তারা তাদের পছন্দের একটি আইসবার্গ দেখতে পেলে ক্রেন ব্যবহার করে এটিকে জাহাজে তুলে ফেলেন। তারপর ছোট ছোট টুকরা করা হয় এবং অন্তরিত বাক্সে সংরক্ষণ করে।
তবে এর আগে হিমশৈলটির একটি নমুনা গবেষণাগারে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া হয় কোনো অণুজীব বা ব্যাকটেরিয়া এর মধ্যেই নেই। তারপর বরফ গ্রিনল্যান্ড থেকে জাহাজে করে পাঠানো হয় দুবাই।
আর্কটিক আইসের দাবি, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করার অভিনব একটি উপায় এটি। নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির পাশাপাশি এটি আর্কটিক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াচ্ছে।
সমালোচকদের মতে, দুবাই ইতিমধ্যেই নিজস্ব বরফ তৈরি করছে। সে ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত জাহাজে হাজার হাজার মাইল দূরে এটি পাঠানোটা মোটেই কাজের কিছু নয়।
খুব কম লোকই সম্ভবত তাদের কোক, কফি বা ককটেলের বরফ কোথা থেকে আসছে তা নিয়ে চিন্তা করেন। তবে এটি যে একটি বড় ব্যবসা তাতে সন্দেহ নেই। ২০২২ সালে কিউব, ব্লক এবং চূর্ণ বরফের বাজারের মূল্য ছিল ৫০০ কোটি ডলারের বেশি।
প্রাকৃতিক বরফকে বাণিজ্যিকভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য গত কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন প্রচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সফলতা এসেছে সামান্যই। ২০১৫ সালে, একটি কোম্পানি উত্তর নরওয়ের একটি হিমবাহ থেকে সংগ্রহ করা বরফের কিউব বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয়দের বিরোধিতার মধ্যে পরিকল্পনাটি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়।
সুইসন মনে করেন সঠিক বাজার চিহ্নিত করে তাঁরা সফল হতে পরবেন।
তবে কোম্পানিটির ইনস্টাগ্রাম ভিডিওগুলির নিচে মন্তব্যগুলিতে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। সুইসন বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন তাতে তিনি হতবাক।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম যে সমালোচনা হবে। কিন্তু এটা মৃত্যু হুমকি এবং ক্রমাগত হয়রানির পর্যায়ে চলে যাবে তা আশা করিনি।’
আর্কটিক আইস বলেছে যে তাদের কাজগুলি ‘পরিবেশগত প্রভাবকে কমিয়ে আনার মতো’ করে করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত জাহাজের বদলে হাইব্রিড বা ব্যাটারিচালিত জাহাজ ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
এটি জাহাজ চলায় বায়ুমণ্ডলে যতটা কার্বন দূষণ ঘটায় তার তিনগুণ অপসারণ করতে চায়। যদিও এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা বান্তবায়ন কবে হবে তা নিশ্চিত নয়। কিছু বিশেষজ্ঞ এ বিষয়ে পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছেন না।
যেমন উডওয়েল ক্লাইমেট রিসার্চ সেন্টারের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী জেনিফার ফ্রান্সিস বলেন, ‘হিমায়িত জাহাজে দুবাইতে (বরফ) পরিবহনের জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হবে।’
বরফ এখনো প্রাকৃতিক উৎস যেমন দাবানলের ধোঁয়া, ধুলো এমনকি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে ছাই দ্বারাও দূষিত হতে পারে, ফ্রান্সিস যোগ করেছেন।
সুইসন এর বিরোধিতা করে পাল্টা যুক্তি দেন, প্রাচীন হিমবাহের বরফের সামান্য কিংবা একেবারেই স্বাদ নেই। যার অর্থ এটি গলে যাওয়ার পর পানীয়ের গন্ধকে প্রভাবিত করে না। কলের বা খনিজ পানি থেকে তৈরি বরফে যেটা হতে পারে। আর এর ঘন গঠন মানে এটি আরও ধীরে ধীরে গলে।
অনেকের অবশ্য গ্রিনল্যান্ডের বরফকে বাণিজ্যিকীকরণের ধারণা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের জিওলজিক্যাল সার্ভের হিমবাহ সংক্রান্ত বিদ্যার অধ্যাপক জেসন বক্স বলেন, ‘অনেক মানুষ হাহাকার করবেন। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে, বরফের প্রতি ভালোবাসা, বরফের আকৃতি এবং গল্পের নান্দনিকতা, পরিবেশগত উদ্বেগের চেয়েও বড় কিছু।’

একটি কোম্পানি গ্রিনল্যান্ড থেকে বরফ নিয়ে আসছে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। জাহাজে করে আনা হচ্ছে এ বরফ। কিন্তু কেন?
গ্রিনল্যান্ডের একটি কোম্পানি এই আর্কটিক বরফ আনছে দুবাইয়ে। উদ্দেশ্য সেখানকার বিভিন্ন পশ, নামী পানীয়গুলিকে শীতল করা।
দুবাইয়ের চকচকে, অভিজাত বারগুলিতে আসা মানুষদের তাই গ্রিনল্যান্ডের একটি আইসবার্গের অংশ ছিল এমন প্রাচীন আর্কটিক বরফের একটি কিউব দিয়ে ঠান্ডা করা পানীয় পান করতে পারবেন। সমুদ্রে অযথা গলে না গিয়ে একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল পানীয়তে পরিণত হচ্ছে এরা এখন।
আর্কটিক আইস নামের প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে ব্যয়বহুল বিভিন্ন বার এবং রেস্তোরাঁর জন্য এ বছর প্রায় ২২ টন গ্রিনল্যান্ডের বরফের প্রথম চালান দুবাইতে পাঠিয়েছে। ২০২২ সালে গ্রিনল্যান্ডের দুই নাগরিকের প্রতিষ্ঠিত আর্কটিক আইস বলা চলে খুব দ্রুত একটি আকর্ষণীয় তবে বিতর্কিত ব্যবসায়িক মডেলের সূচনা করেছে।
‘আমরা গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুকের নিকটবর্তী খাঁড়িতে এমন আইসবার্গ বা হিমশৈল খুঁজতে থাকি যেগুলো প্রাকৃতিকভাবে বরফের চাদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’ বলেন আইসবার্গ সহপ্রতিষ্ঠাতা মালিক বেহা সুইসন।
একবার তারা তাদের পছন্দের একটি আইসবার্গ দেখতে পেলে ক্রেন ব্যবহার করে এটিকে জাহাজে তুলে ফেলেন। তারপর ছোট ছোট টুকরা করা হয় এবং অন্তরিত বাক্সে সংরক্ষণ করে।
তবে এর আগে হিমশৈলটির একটি নমুনা গবেষণাগারে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া হয় কোনো অণুজীব বা ব্যাকটেরিয়া এর মধ্যেই নেই। তারপর বরফ গ্রিনল্যান্ড থেকে জাহাজে করে পাঠানো হয় দুবাই।
আর্কটিক আইসের দাবি, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করার অভিনব একটি উপায় এটি। নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির পাশাপাশি এটি আর্কটিক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াচ্ছে।
সমালোচকদের মতে, দুবাই ইতিমধ্যেই নিজস্ব বরফ তৈরি করছে। সে ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত জাহাজে হাজার হাজার মাইল দূরে এটি পাঠানোটা মোটেই কাজের কিছু নয়।
খুব কম লোকই সম্ভবত তাদের কোক, কফি বা ককটেলের বরফ কোথা থেকে আসছে তা নিয়ে চিন্তা করেন। তবে এটি যে একটি বড় ব্যবসা তাতে সন্দেহ নেই। ২০২২ সালে কিউব, ব্লক এবং চূর্ণ বরফের বাজারের মূল্য ছিল ৫০০ কোটি ডলারের বেশি।
প্রাকৃতিক বরফকে বাণিজ্যিকভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য গত কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন প্রচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সফলতা এসেছে সামান্যই। ২০১৫ সালে, একটি কোম্পানি উত্তর নরওয়ের একটি হিমবাহ থেকে সংগ্রহ করা বরফের কিউব বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয়দের বিরোধিতার মধ্যে পরিকল্পনাটি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়।
সুইসন মনে করেন সঠিক বাজার চিহ্নিত করে তাঁরা সফল হতে পরবেন।
তবে কোম্পানিটির ইনস্টাগ্রাম ভিডিওগুলির নিচে মন্তব্যগুলিতে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। সুইসন বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন তাতে তিনি হতবাক।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম যে সমালোচনা হবে। কিন্তু এটা মৃত্যু হুমকি এবং ক্রমাগত হয়রানির পর্যায়ে চলে যাবে তা আশা করিনি।’
আর্কটিক আইস বলেছে যে তাদের কাজগুলি ‘পরিবেশগত প্রভাবকে কমিয়ে আনার মতো’ করে করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত জাহাজের বদলে হাইব্রিড বা ব্যাটারিচালিত জাহাজ ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
এটি জাহাজ চলায় বায়ুমণ্ডলে যতটা কার্বন দূষণ ঘটায় তার তিনগুণ অপসারণ করতে চায়। যদিও এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা বান্তবায়ন কবে হবে তা নিশ্চিত নয়। কিছু বিশেষজ্ঞ এ বিষয়ে পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছেন না।
যেমন উডওয়েল ক্লাইমেট রিসার্চ সেন্টারের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী জেনিফার ফ্রান্সিস বলেন, ‘হিমায়িত জাহাজে দুবাইতে (বরফ) পরিবহনের জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হবে।’
বরফ এখনো প্রাকৃতিক উৎস যেমন দাবানলের ধোঁয়া, ধুলো এমনকি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে ছাই দ্বারাও দূষিত হতে পারে, ফ্রান্সিস যোগ করেছেন।
সুইসন এর বিরোধিতা করে পাল্টা যুক্তি দেন, প্রাচীন হিমবাহের বরফের সামান্য কিংবা একেবারেই স্বাদ নেই। যার অর্থ এটি গলে যাওয়ার পর পানীয়ের গন্ধকে প্রভাবিত করে না। কলের বা খনিজ পানি থেকে তৈরি বরফে যেটা হতে পারে। আর এর ঘন গঠন মানে এটি আরও ধীরে ধীরে গলে।
অনেকের অবশ্য গ্রিনল্যান্ডের বরফকে বাণিজ্যিকীকরণের ধারণা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের জিওলজিক্যাল সার্ভের হিমবাহ সংক্রান্ত বিদ্যার অধ্যাপক জেসন বক্স বলেন, ‘অনেক মানুষ হাহাকার করবেন। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে, বরফের প্রতি ভালোবাসা, বরফের আকৃতি এবং গল্পের নান্দনিকতা, পরিবেশগত উদ্বেগের চেয়েও বড় কিছু।’

একটি কোম্পানি গ্রিনল্যান্ড থেকে বরফ নিয়ে আসছে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। জাহাজে করে আনা হচ্ছে এ বরফ। কিন্তু কেন?
গ্রিনল্যান্ডের একটি কোম্পানি এই আর্কটিক বরফ আনছে দুবাইয়ে। উদ্দেশ্য সেখানকার বিভিন্ন পশ, নামী পানীয়গুলিকে শীতল করা।
দুবাইয়ের চকচকে, অভিজাত বারগুলিতে আসা মানুষদের তাই গ্রিনল্যান্ডের একটি আইসবার্গের অংশ ছিল এমন প্রাচীন আর্কটিক বরফের একটি কিউব দিয়ে ঠান্ডা করা পানীয় পান করতে পারবেন। সমুদ্রে অযথা গলে না গিয়ে একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল পানীয়তে পরিণত হচ্ছে এরা এখন।
আর্কটিক আইস নামের প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে ব্যয়বহুল বিভিন্ন বার এবং রেস্তোরাঁর জন্য এ বছর প্রায় ২২ টন গ্রিনল্যান্ডের বরফের প্রথম চালান দুবাইতে পাঠিয়েছে। ২০২২ সালে গ্রিনল্যান্ডের দুই নাগরিকের প্রতিষ্ঠিত আর্কটিক আইস বলা চলে খুব দ্রুত একটি আকর্ষণীয় তবে বিতর্কিত ব্যবসায়িক মডেলের সূচনা করেছে।
‘আমরা গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুকের নিকটবর্তী খাঁড়িতে এমন আইসবার্গ বা হিমশৈল খুঁজতে থাকি যেগুলো প্রাকৃতিকভাবে বরফের চাদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’ বলেন আইসবার্গ সহপ্রতিষ্ঠাতা মালিক বেহা সুইসন।
একবার তারা তাদের পছন্দের একটি আইসবার্গ দেখতে পেলে ক্রেন ব্যবহার করে এটিকে জাহাজে তুলে ফেলেন। তারপর ছোট ছোট টুকরা করা হয় এবং অন্তরিত বাক্সে সংরক্ষণ করে।
তবে এর আগে হিমশৈলটির একটি নমুনা গবেষণাগারে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া হয় কোনো অণুজীব বা ব্যাকটেরিয়া এর মধ্যেই নেই। তারপর বরফ গ্রিনল্যান্ড থেকে জাহাজে করে পাঠানো হয় দুবাই।
আর্কটিক আইসের দাবি, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করার অভিনব একটি উপায় এটি। নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির পাশাপাশি এটি আর্কটিক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াচ্ছে।
সমালোচকদের মতে, দুবাই ইতিমধ্যেই নিজস্ব বরফ তৈরি করছে। সে ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত জাহাজে হাজার হাজার মাইল দূরে এটি পাঠানোটা মোটেই কাজের কিছু নয়।
খুব কম লোকই সম্ভবত তাদের কোক, কফি বা ককটেলের বরফ কোথা থেকে আসছে তা নিয়ে চিন্তা করেন। তবে এটি যে একটি বড় ব্যবসা তাতে সন্দেহ নেই। ২০২২ সালে কিউব, ব্লক এবং চূর্ণ বরফের বাজারের মূল্য ছিল ৫০০ কোটি ডলারের বেশি।
প্রাকৃতিক বরফকে বাণিজ্যিকভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য গত কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন প্রচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সফলতা এসেছে সামান্যই। ২০১৫ সালে, একটি কোম্পানি উত্তর নরওয়ের একটি হিমবাহ থেকে সংগ্রহ করা বরফের কিউব বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয়দের বিরোধিতার মধ্যে পরিকল্পনাটি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়।
সুইসন মনে করেন সঠিক বাজার চিহ্নিত করে তাঁরা সফল হতে পরবেন।
তবে কোম্পানিটির ইনস্টাগ্রাম ভিডিওগুলির নিচে মন্তব্যগুলিতে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। সুইসন বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন তাতে তিনি হতবাক।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম যে সমালোচনা হবে। কিন্তু এটা মৃত্যু হুমকি এবং ক্রমাগত হয়রানির পর্যায়ে চলে যাবে তা আশা করিনি।’
আর্কটিক আইস বলেছে যে তাদের কাজগুলি ‘পরিবেশগত প্রভাবকে কমিয়ে আনার মতো’ করে করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত জাহাজের বদলে হাইব্রিড বা ব্যাটারিচালিত জাহাজ ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
এটি জাহাজ চলায় বায়ুমণ্ডলে যতটা কার্বন দূষণ ঘটায় তার তিনগুণ অপসারণ করতে চায়। যদিও এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা বান্তবায়ন কবে হবে তা নিশ্চিত নয়। কিছু বিশেষজ্ঞ এ বিষয়ে পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছেন না।
যেমন উডওয়েল ক্লাইমেট রিসার্চ সেন্টারের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী জেনিফার ফ্রান্সিস বলেন, ‘হিমায়িত জাহাজে দুবাইতে (বরফ) পরিবহনের জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হবে।’
বরফ এখনো প্রাকৃতিক উৎস যেমন দাবানলের ধোঁয়া, ধুলো এমনকি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে ছাই দ্বারাও দূষিত হতে পারে, ফ্রান্সিস যোগ করেছেন।
সুইসন এর বিরোধিতা করে পাল্টা যুক্তি দেন, প্রাচীন হিমবাহের বরফের সামান্য কিংবা একেবারেই স্বাদ নেই। যার অর্থ এটি গলে যাওয়ার পর পানীয়ের গন্ধকে প্রভাবিত করে না। কলের বা খনিজ পানি থেকে তৈরি বরফে যেটা হতে পারে। আর এর ঘন গঠন মানে এটি আরও ধীরে ধীরে গলে।
অনেকের অবশ্য গ্রিনল্যান্ডের বরফকে বাণিজ্যিকীকরণের ধারণা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের জিওলজিক্যাল সার্ভের হিমবাহ সংক্রান্ত বিদ্যার অধ্যাপক জেসন বক্স বলেন, ‘অনেক মানুষ হাহাকার করবেন। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে, বরফের প্রতি ভালোবাসা, বরফের আকৃতি এবং গল্পের নান্দনিকতা, পরিবেশগত উদ্বেগের চেয়েও বড় কিছু।’

একটি কোম্পানি গ্রিনল্যান্ড থেকে বরফ নিয়ে আসছে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। জাহাজে করে আনা হচ্ছে এ বরফ। কিন্তু কেন?
গ্রিনল্যান্ডের একটি কোম্পানি এই আর্কটিক বরফ আনছে দুবাইয়ে। উদ্দেশ্য সেখানকার বিভিন্ন পশ, নামী পানীয়গুলিকে শীতল করা।
দুবাইয়ের চকচকে, অভিজাত বারগুলিতে আসা মানুষদের তাই গ্রিনল্যান্ডের একটি আইসবার্গের অংশ ছিল এমন প্রাচীন আর্কটিক বরফের একটি কিউব দিয়ে ঠান্ডা করা পানীয় পান করতে পারবেন। সমুদ্রে অযথা গলে না গিয়ে একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল পানীয়তে পরিণত হচ্ছে এরা এখন।
আর্কটিক আইস নামের প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে ব্যয়বহুল বিভিন্ন বার এবং রেস্তোরাঁর জন্য এ বছর প্রায় ২২ টন গ্রিনল্যান্ডের বরফের প্রথম চালান দুবাইতে পাঠিয়েছে। ২০২২ সালে গ্রিনল্যান্ডের দুই নাগরিকের প্রতিষ্ঠিত আর্কটিক আইস বলা চলে খুব দ্রুত একটি আকর্ষণীয় তবে বিতর্কিত ব্যবসায়িক মডেলের সূচনা করেছে।
‘আমরা গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুকের নিকটবর্তী খাঁড়িতে এমন আইসবার্গ বা হিমশৈল খুঁজতে থাকি যেগুলো প্রাকৃতিকভাবে বরফের চাদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’ বলেন আইসবার্গ সহপ্রতিষ্ঠাতা মালিক বেহা সুইসন।
একবার তারা তাদের পছন্দের একটি আইসবার্গ দেখতে পেলে ক্রেন ব্যবহার করে এটিকে জাহাজে তুলে ফেলেন। তারপর ছোট ছোট টুকরা করা হয় এবং অন্তরিত বাক্সে সংরক্ষণ করে।
তবে এর আগে হিমশৈলটির একটি নমুনা গবেষণাগারে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া হয় কোনো অণুজীব বা ব্যাকটেরিয়া এর মধ্যেই নেই। তারপর বরফ গ্রিনল্যান্ড থেকে জাহাজে করে পাঠানো হয় দুবাই।
আর্কটিক আইসের দাবি, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করার অভিনব একটি উপায় এটি। নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির পাশাপাশি এটি আর্কটিক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াচ্ছে।
সমালোচকদের মতে, দুবাই ইতিমধ্যেই নিজস্ব বরফ তৈরি করছে। সে ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত জাহাজে হাজার হাজার মাইল দূরে এটি পাঠানোটা মোটেই কাজের কিছু নয়।
খুব কম লোকই সম্ভবত তাদের কোক, কফি বা ককটেলের বরফ কোথা থেকে আসছে তা নিয়ে চিন্তা করেন। তবে এটি যে একটি বড় ব্যবসা তাতে সন্দেহ নেই। ২০২২ সালে কিউব, ব্লক এবং চূর্ণ বরফের বাজারের মূল্য ছিল ৫০০ কোটি ডলারের বেশি।
প্রাকৃতিক বরফকে বাণিজ্যিকভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য গত কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন প্রচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সফলতা এসেছে সামান্যই। ২০১৫ সালে, একটি কোম্পানি উত্তর নরওয়ের একটি হিমবাহ থেকে সংগ্রহ করা বরফের কিউব বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয়দের বিরোধিতার মধ্যে পরিকল্পনাটি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়।
সুইসন মনে করেন সঠিক বাজার চিহ্নিত করে তাঁরা সফল হতে পরবেন।
তবে কোম্পানিটির ইনস্টাগ্রাম ভিডিওগুলির নিচে মন্তব্যগুলিতে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। সুইসন বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন তাতে তিনি হতবাক।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম যে সমালোচনা হবে। কিন্তু এটা মৃত্যু হুমকি এবং ক্রমাগত হয়রানির পর্যায়ে চলে যাবে তা আশা করিনি।’
আর্কটিক আইস বলেছে যে তাদের কাজগুলি ‘পরিবেশগত প্রভাবকে কমিয়ে আনার মতো’ করে করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত জাহাজের বদলে হাইব্রিড বা ব্যাটারিচালিত জাহাজ ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
এটি জাহাজ চলায় বায়ুমণ্ডলে যতটা কার্বন দূষণ ঘটায় তার তিনগুণ অপসারণ করতে চায়। যদিও এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা বান্তবায়ন কবে হবে তা নিশ্চিত নয়। কিছু বিশেষজ্ঞ এ বিষয়ে পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছেন না।
যেমন উডওয়েল ক্লাইমেট রিসার্চ সেন্টারের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী জেনিফার ফ্রান্সিস বলেন, ‘হিমায়িত জাহাজে দুবাইতে (বরফ) পরিবহনের জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হবে।’
বরফ এখনো প্রাকৃতিক উৎস যেমন দাবানলের ধোঁয়া, ধুলো এমনকি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে ছাই দ্বারাও দূষিত হতে পারে, ফ্রান্সিস যোগ করেছেন।
সুইসন এর বিরোধিতা করে পাল্টা যুক্তি দেন, প্রাচীন হিমবাহের বরফের সামান্য কিংবা একেবারেই স্বাদ নেই। যার অর্থ এটি গলে যাওয়ার পর পানীয়ের গন্ধকে প্রভাবিত করে না। কলের বা খনিজ পানি থেকে তৈরি বরফে যেটা হতে পারে। আর এর ঘন গঠন মানে এটি আরও ধীরে ধীরে গলে।
অনেকের অবশ্য গ্রিনল্যান্ডের বরফকে বাণিজ্যিকীকরণের ধারণা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের জিওলজিক্যাল সার্ভের হিমবাহ সংক্রান্ত বিদ্যার অধ্যাপক জেসন বক্স বলেন, ‘অনেক মানুষ হাহাকার করবেন। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে, বরফের প্রতি ভালোবাসা, বরফের আকৃতি এবং গল্পের নান্দনিকতা, পরিবেশগত উদ্বেগের চেয়েও বড় কিছু।’

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

একটি কোম্পানি গ্রিনল্যান্ড থেকে বরফ নিয়ে আসছে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। জাহাজে করে আনা হচ্ছে এ বরফ। কিন্তু কেন?গ্রিনল্যান্ডের একটি কোম্পানি এই আর্কটিক বরফ আনছে দুবাইয়ে। উদ্দেশ্য সেখানকার বিভিন্ন পশ, নামী পানীয়গুলিকে শীতল করা।
০২ মার্চ ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

একটি কোম্পানি গ্রিনল্যান্ড থেকে বরফ নিয়ে আসছে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। জাহাজে করে আনা হচ্ছে এ বরফ। কিন্তু কেন?গ্রিনল্যান্ডের একটি কোম্পানি এই আর্কটিক বরফ আনছে দুবাইয়ে। উদ্দেশ্য সেখানকার বিভিন্ন পশ, নামী পানীয়গুলিকে শীতল করা।
০২ মার্চ ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

একটি কোম্পানি গ্রিনল্যান্ড থেকে বরফ নিয়ে আসছে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। জাহাজে করে আনা হচ্ছে এ বরফ। কিন্তু কেন?গ্রিনল্যান্ডের একটি কোম্পানি এই আর্কটিক বরফ আনছে দুবাইয়ে। উদ্দেশ্য সেখানকার বিভিন্ন পশ, নামী পানীয়গুলিকে শীতল করা।
০২ মার্চ ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

একটি কোম্পানি গ্রিনল্যান্ড থেকে বরফ নিয়ে আসছে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। জাহাজে করে আনা হচ্ছে এ বরফ। কিন্তু কেন?গ্রিনল্যান্ডের একটি কোম্পানি এই আর্কটিক বরফ আনছে দুবাইয়ে। উদ্দেশ্য সেখানকার বিভিন্ন পশ, নামী পানীয়গুলিকে শীতল করা।
০২ মার্চ ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে