অনলাইন ডেস্ক
জাপানের ফুকুশিমা পারমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রর পানি সাগরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা কঠিন। বেশ কিছু কেলেঙ্কারির কারণে এবং স্বচ্ছতার অভাবে অকার্যকর ফুকুশিমা-দাইচি পারমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা টেপকো ও জাপান সরকার- দুটোর ওপর আস্থা নেমে গেছে। তবে ওই পানিতে আসলে কি আছে সে বিষয়ে মানুষের সচেতনতার মাত্রা অনেক কম।
ফুকুশিমা: প্রশান্ত মহাসাগরে পানি ছাড়া হচ্ছে কেন?
২০১১ সালের ভয়াবহ সুনামির সময় ধ্বংস হওয়ার পর ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লিগুলিকে ঠান্ডা করতে হয়েছে জাপানকে। এজন্য প্রতিদিন জাপানের ১৭০ টন ঠান্ডা পানি দরকার হয়।
সেখানে ১ হাজার ৪৬টি ড্রামে ১ হাজার ৩৪৩ মিলিয়ন ঘনমিটার পানি রয়েছে। ড্রামে তেজস্ক্রিয় পানি সংরক্ষণ সক্ষমতা ফুরিয়ে যাওয়ায় সাগরে ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান।
পানি পরিশোধনের পর নিরাপদ হলে এক কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরে ছাড়া হচ্ছে। এভাবে সব পানি ফেলতে আনুমানিক ৩০ বছর লাগতে পারে। তবে তেজস্ক্রিয় বর্জ্যগুলো জমিতেই থেকে যাবে।
জাপান কি তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়ার অনুমতি পেয়েছে?
তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়ার পরিকল্পনা জাপানের পরমাণু সংস্থা ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)- উভয়ই অনুমোদন করেছে। আইএইএ বলেছে, এক্ষেত্রে জাপান আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মান পূরণ করেছে। পরিশোধিত পানি সাগরে যতটুকু তেজস্ক্রিয়তা ছড়াবে মানুষ ও পরিবেশের উপর তার প্রভাব সামান্য।
আইএইএ বলেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ঠান্ডা পানি সাগরে ছেড়ে দেওয়ার চর্চা সাধারণভাবে সবই দেশই অনুসরণ করছে। তবে জাপান তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা কমিয়ে দেখাচ্ছে বলে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও প্রতিবেশী দেশগুলি অভিযোগ করেছে। সাগরের দূষণ, সম্ভাব্য পরিবেশগত ক্ষতি, মাছ না পাওয়া ও এর ক্ষতি নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন।
যেভাব তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়
সাগরে ছাড়ার আগে তেজস্ক্রিয় ঠান্ডা পানিকে ‘অ্যাডভান্সড লিকুইড প্রসেসিং সিস্টেমে’ (এএলপিএস) পরিশোধনের জন্য পাঠানো হয়। এএলপিএস ৬২ ধরণের তেজস্ক্রিয় উপাদান পরিশোধনে সক্ষম হলেও তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ট্রিটিয়াম পরিশোধন করতে পারে না। তাই সামুদ্রিক পানির সঙ্গে মিশিয়ে তেজস্ক্রিয়তা গ্রহণযোগ্য মাত্রায় নামিয়ে এনে পরে সাগরে ছাড়া হচ্ছে। টেপকো বলছে, পরিশোধনের পরেও ট্রিটিয়ামের মাত্রা বেশি ধরা পড়লে সাগরে ছাড়ার আগে একই প্রক্রিয়ায় আবার পরিশোধন করা হচ্ছে।
ট্রিটিয়াম কতটা বিপজ্জনক
হাইড্রোজেনের রূপে ট্রিটিয়াম পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রাকৃতিকভাবে থাকে। এটি তেজস্ক্রিয় হলেও জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সিজিয়াম-১৩৭ বা স্ট্রনটিয়াম-৯০- এর চেয়ে কম বিপজ্জনক।
ফুকুশিমা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির রেডিওকোলজিস্ট জর্জ স্টেইনহাউসার বলেন, পরিশোধন করা পানি সাগরে ছেড়ে দেওয়াই সর্বোত্তম সমাধান।
২০১৩ সালে ফুকুশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্ডকালীন অধ্যাপক থাকার সময় স্টেইনহাউসার ধ্বংস হওয়া পারমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় নমুনা সংগ্রহ করেন।
স্টেইনহাউসার বলেন, ট্রিটিয়াম নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন, তাঁরা না জেনেই উদ্বিগ্ন। ধীরে ধীরে মিশ্রিত আকারে পরিশোধন করে ছাড়া ট্রিটিয়াম বিপজ্জনক নয়, মানুষ বা পরিবেশের জন্যও নয়। এতে কারও ভয় পাওয়ার দরকার নেই।
ফুকুশিমার পানি নিয়ে বিকল্প কি করা যেত
পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর অভিযোগ, সংক্ষিপ্ত ও সস্তা সমাধান বেছে নিয়েছে জাপান। পানি সংরক্ষণের জন্য ড্রামের সংখ্যা বাড়ানো বা পানিকে বাষ্পীভূত করার মতো বিকল্প অনুসরণের পরামর্শ দেন তারা।
তবে অধ্যাপক স্টেইনহাউসার বলেন, বাড়তি ড্রাম ব্যবহারের পরিণতি ভালো নাও হতে পারে। কারণ, এ অঞ্চলে ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকি আছে। ড্রাম ফুটো হয়ে গেলে তেজস্ক্রিয় পানি ভূগর্ভস্থ পানির সাথে মিশে বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই পানি সাগরে ছেড়ে দেওয়াই পরিবেশ ও মানবতার জন্য সর্বোত্তম ও নিরাপদ সমাধান।
তবে অনেক গবেষক বিকল্প সমাধানে সমস্যা দেখেন। তাঁদের মতে, বাতাসে নির্গত তেজস্ক্রিয় হাইড্রোজেন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। বাতাস তেজস্ক্রিয় মেঘকে দূরবর্তী স্থানে নিয়ে যেতে পারে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
জাপানের ফুকুশিমা পারমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রর পানি সাগরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা কঠিন। বেশ কিছু কেলেঙ্কারির কারণে এবং স্বচ্ছতার অভাবে অকার্যকর ফুকুশিমা-দাইচি পারমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা টেপকো ও জাপান সরকার- দুটোর ওপর আস্থা নেমে গেছে। তবে ওই পানিতে আসলে কি আছে সে বিষয়ে মানুষের সচেতনতার মাত্রা অনেক কম।
ফুকুশিমা: প্রশান্ত মহাসাগরে পানি ছাড়া হচ্ছে কেন?
২০১১ সালের ভয়াবহ সুনামির সময় ধ্বংস হওয়ার পর ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লিগুলিকে ঠান্ডা করতে হয়েছে জাপানকে। এজন্য প্রতিদিন জাপানের ১৭০ টন ঠান্ডা পানি দরকার হয়।
সেখানে ১ হাজার ৪৬টি ড্রামে ১ হাজার ৩৪৩ মিলিয়ন ঘনমিটার পানি রয়েছে। ড্রামে তেজস্ক্রিয় পানি সংরক্ষণ সক্ষমতা ফুরিয়ে যাওয়ায় সাগরে ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান।
পানি পরিশোধনের পর নিরাপদ হলে এক কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরে ছাড়া হচ্ছে। এভাবে সব পানি ফেলতে আনুমানিক ৩০ বছর লাগতে পারে। তবে তেজস্ক্রিয় বর্জ্যগুলো জমিতেই থেকে যাবে।
জাপান কি তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়ার অনুমতি পেয়েছে?
তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়ার পরিকল্পনা জাপানের পরমাণু সংস্থা ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)- উভয়ই অনুমোদন করেছে। আইএইএ বলেছে, এক্ষেত্রে জাপান আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মান পূরণ করেছে। পরিশোধিত পানি সাগরে যতটুকু তেজস্ক্রিয়তা ছড়াবে মানুষ ও পরিবেশের উপর তার প্রভাব সামান্য।
আইএইএ বলেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ঠান্ডা পানি সাগরে ছেড়ে দেওয়ার চর্চা সাধারণভাবে সবই দেশই অনুসরণ করছে। তবে জাপান তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা কমিয়ে দেখাচ্ছে বলে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও প্রতিবেশী দেশগুলি অভিযোগ করেছে। সাগরের দূষণ, সম্ভাব্য পরিবেশগত ক্ষতি, মাছ না পাওয়া ও এর ক্ষতি নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন।
যেভাব তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়
সাগরে ছাড়ার আগে তেজস্ক্রিয় ঠান্ডা পানিকে ‘অ্যাডভান্সড লিকুইড প্রসেসিং সিস্টেমে’ (এএলপিএস) পরিশোধনের জন্য পাঠানো হয়। এএলপিএস ৬২ ধরণের তেজস্ক্রিয় উপাদান পরিশোধনে সক্ষম হলেও তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ট্রিটিয়াম পরিশোধন করতে পারে না। তাই সামুদ্রিক পানির সঙ্গে মিশিয়ে তেজস্ক্রিয়তা গ্রহণযোগ্য মাত্রায় নামিয়ে এনে পরে সাগরে ছাড়া হচ্ছে। টেপকো বলছে, পরিশোধনের পরেও ট্রিটিয়ামের মাত্রা বেশি ধরা পড়লে সাগরে ছাড়ার আগে একই প্রক্রিয়ায় আবার পরিশোধন করা হচ্ছে।
ট্রিটিয়াম কতটা বিপজ্জনক
হাইড্রোজেনের রূপে ট্রিটিয়াম পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রাকৃতিকভাবে থাকে। এটি তেজস্ক্রিয় হলেও জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সিজিয়াম-১৩৭ বা স্ট্রনটিয়াম-৯০- এর চেয়ে কম বিপজ্জনক।
ফুকুশিমা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির রেডিওকোলজিস্ট জর্জ স্টেইনহাউসার বলেন, পরিশোধন করা পানি সাগরে ছেড়ে দেওয়াই সর্বোত্তম সমাধান।
২০১৩ সালে ফুকুশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্ডকালীন অধ্যাপক থাকার সময় স্টেইনহাউসার ধ্বংস হওয়া পারমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় নমুনা সংগ্রহ করেন।
স্টেইনহাউসার বলেন, ট্রিটিয়াম নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন, তাঁরা না জেনেই উদ্বিগ্ন। ধীরে ধীরে মিশ্রিত আকারে পরিশোধন করে ছাড়া ট্রিটিয়াম বিপজ্জনক নয়, মানুষ বা পরিবেশের জন্যও নয়। এতে কারও ভয় পাওয়ার দরকার নেই।
ফুকুশিমার পানি নিয়ে বিকল্প কি করা যেত
পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর অভিযোগ, সংক্ষিপ্ত ও সস্তা সমাধান বেছে নিয়েছে জাপান। পানি সংরক্ষণের জন্য ড্রামের সংখ্যা বাড়ানো বা পানিকে বাষ্পীভূত করার মতো বিকল্প অনুসরণের পরামর্শ দেন তারা।
তবে অধ্যাপক স্টেইনহাউসার বলেন, বাড়তি ড্রাম ব্যবহারের পরিণতি ভালো নাও হতে পারে। কারণ, এ অঞ্চলে ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকি আছে। ড্রাম ফুটো হয়ে গেলে তেজস্ক্রিয় পানি ভূগর্ভস্থ পানির সাথে মিশে বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই পানি সাগরে ছেড়ে দেওয়াই পরিবেশ ও মানবতার জন্য সর্বোত্তম ও নিরাপদ সমাধান।
তবে অনেক গবেষক বিকল্প সমাধানে সমস্যা দেখেন। তাঁদের মতে, বাতাসে নির্গত তেজস্ক্রিয় হাইড্রোজেন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। বাতাস তেজস্ক্রিয় মেঘকে দূরবর্তী স্থানে নিয়ে যেতে পারে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
এবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
৩৯ মিনিট আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
২ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১৬ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১ দিন আগে