লিথিয়াম-কোবাল্টের মতো খনিজের সরবরাহ সংকট, হুমকিতে সবুজ জ্বালানি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৪, ১৯: ৩৯

জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার ইতি টানতে বিশ্ব বৈদ্যুতিক যান, বায়ুকল, সৌর প্যানেল এবং অন্যান্য ক্লিন এনার্জির প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। তবে এই যাত্রার সফলতার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা প্রয়োজনীয় খনিজগুলোর ঘাটতি। 

আজ শুক্রবার প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর লিথিয়াম, কোবাল্ট, নিকেল এবং গ্রাফাইটের দাম হ্রাস ক্রেতাদের জন্য সুখবর হলেও গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলো খনন ও উত্তোলনে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হয়েছে। 

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী তামার চাহিদার মাত্র ৭০ শতাংশ এবং লিথিয়ামের ৫০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হতে পারে। 

আইইএর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সৌর প্যানেল, বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং ব্যাটারির মতো প্রযুক্তির জন্য বিশ্বে নতুন খনিজ সম্পদের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। কিন্তু আমরা গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলোর নির্ভরযোগ্য এবং পর্যাপ্ত সরবরাহ ছাড়া এটি পূরণ করতে পারব না।’ 

আইইএ বলছে, বিরল খনিজগুলো উত্তোলনে বিনিয়োগ গত বছর ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ইতিবাচক হলেও ২০২২ সালের তুলনায় মন্থর। 

আইইএ পূর্বাভাস দিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের এখন থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে খনন প্রকল্পগুলোতে ৮০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। অন্যথায় বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি শিল্প বিপ্লবের পূর্বের স্তরের ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওপরে রাখা সম্ভবপর হবে না। 

আইইএ উল্লেখ করেছে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলোর দাম করোনা মহামারির আগের স্তরে ফিরে এসেছে। যা ব্যাটারির দাম হ্রাসের জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। 

আইইএ বলেছে, গত দুই বছরে চাহিদার অনুপাতে সরবরাহ ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে দামের পতন ঘটেছে। তবে বাজারে খনিজগুলোর জোগান ভবিষ্যতে একই রূপ নাও থাকতে পারে। কারণ দিনদিন বিরল খনিজগুলোর চাহিদা বাড়ছেই। 

উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ব ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যেই বৈশ্বিক উষ্ণতা রাখতে পদক্ষেপ নিলে ২০৪০ সালের মধ্যে গ্রাফাইটের চাহিদা বর্তমানের চেয়ে চারগুণ হবে। ২০২৩ সালে লিথিয়ামের দাম ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে কোবাল্ট, নিকেল এবং গ্রাফাইটের দাম ৩০ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। 

আইইএর তথ্য অনুসারে, এই মূল্যপতন ব্যাটারির দাম ১৪ শতাংশ কমাতে সাহায্য করেছে। 

সংরক্ষণ ও সরবরাহ ঝুঁকি
অল্পসংখ্যক দেশে এসব বিরল খনিজ সম্পদ রয়েছে। ফলে ওই দেশগুলোর ইচ্ছা-মর্জ্জির ওপর নির্ভর করবে বাজারে এসব পণ্যর জোগান ও মূল্য। ফলে এতে ঘাটতির ঝুঁকি রয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটি সতর্ক করেছে। 

প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, ২০৩০ সালের মধ্যে লিথিয়াম, নিকেল, কোবাল্টসহ বিরল খনিজগুলোর সরবরাহের ৭৫ শতাংশ বাড়বে। আর এসব আসবে গুটিকয়েক দেশ থেকে। ব্যাটারিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের গ্রাফাইটের প্রায় ৯৫ শতাংশ সম্ভবত চীন থেকে আসবে। 

সংস্থাটি বলেছে, এসব খনিজের সরবরাহ মুষ্টিমেয় দেশের কবজায় থাকায় বিকল্প শক্তির পথে বড় ঝুঁকি আছে। চরম আবহাওয়া, বাণিজ্য বিরোধ বা ভূ-রাজনীতিসহ নানা কারণে সরবরাহ ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের রেকর্ড ভাঙল ১৪ বছর পর

৩ মাসে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা

এয়ারক্র্যাফটে স্বর্ণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা: এনবিআর চেয়ারম্যান

রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

ছাত্র সমন্বয়ক আম্মারের শাস্তি চায় রাবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৪ সংগঠন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত