Ajker Patrika

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এআই ব্যবহার বাড়িয়েছে ভারত

আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১: ৪৮
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এআই ব্যবহার বাড়িয়েছে ভারত

বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বন্যা, খরা ও ভারী বৃষ্টিপাতের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে। ভারতের আবহাওয়াসংক্রান্ত সংস্থা সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের তথ্যমতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে চলতি বছরেই ভারতজুড়ে মারা গেছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ। তাই আবহাওয়ার পূর্বাভাস আরও উন্নত ও নিখুঁত করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়িয়েছে দেশটি।

ভারতের এক আবহাওয়া কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রায় ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে সঠিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দেশটিতে যেমন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি, তেমনি চাল, গম ও চিনি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়।

বিশ্বজুড়েই আবহাওয়া সংস্থাগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ানোর দিকে ঝুঁকছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারে খরচ, বাড়াতে পারে পূর্বাভাসের গতি। প্রচলিত পদ্ধতিতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে গুগলের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংবলিত পদ্ধতি। যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া দপ্তরের মতে, আবহাওয়া পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে গাণিতিক মডেলের ওপর ভিত্তি করে পূর্বাভাস প্রদান করে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। বিস্তৃত একটি পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কম খরচে পূর্বাভাসকেন্দ্রিক উঁচু মানের তথ্য-উপাত্ত তৈরি করায় সহায়তা করতে পারে এই মডেল।

আইএমডির জলবায়ু গবেষণা ও পরিষেবার প্রধান কে এস হোসালিকার রয়টার্সকে জানান, ভারতের আবহাওয়া দপ্তর আশা করছে যে, এআই-ভিত্তিক জলবায়ু মডেল আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, তাপপ্রবাহ ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগ সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সতর্কতা তৈরি করতে এআই ব্যবহার করেছে আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়া সম্পর্কিত পর্যবেক্ষণ বাড়িয়ে গ্রাম পর্যায়েও অধিক পরিমাণে তথ্য সরবরাহ করবে আইএমডি।

গত বৃহস্পতিবার ভারত সরকার বলেছে যে, প্রচলিত মডেলগুলোতে এআই যুক্ত করে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাস তৈরি করতে চায় তারা। সে উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কর্মশালা ও আলোচনাসভার মাধ্যমে ধারণাটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য একটি সংস্থাও স্থাপন করা হয়েছে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি দিল্লির সহকারী অধ্যাপক সৌরভ রাঠোর বলেন, এআই মডেলের জন্য সুপার কম্পিউটার চালাতে অনেক খরচ লাগে না। একটি ভালো মানের ডেস্কটপ কম্পিউটার দিয়েও এটি করা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এআইয়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার পেতে আরও নিখুঁত তথ্যের প্রয়োজন। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেটিওরোলজির জলবায়ু বিজ্ঞানী পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় বলেছেন, স্থান এবং সময়কেন্দ্রিক উঁচুমানের (হাই রেজুলেশন) তথ্য-উপাত্ত না থাকলে বিদ্যমান মডেলে এআই দিয়ে আবহাওয়ার অবস্থানকেন্দ্রিক নিখুঁত পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ১৪.৭, ঢাকায় ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সারা দেশে গতকালের তুলনায় আজ রোববার আবহাওয়ার খুব বেশি পরিবর্তন নেই; বরং কোথাও কোথাও তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সেটি বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইভাবে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেড়ে আজ হয়েছে ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশও আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ রোববার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সকাল ৬টায় রাজধানীতে তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রায় তেমন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এ ছাড়া আজ সূর্যাস্ত হবে ৫টা ১২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ১৫ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

ইরানে শতবর্ষের মধ্যে ভয়াবহতম খরা, তেহরানে বৃষ্টি প্রার্থনায় নামাজ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ২০
শুক্রবার জুমার দিন তেহরানে হাজার হাজার মানুষ বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। ছবি: এএফপি
শুক্রবার জুমার দিন তেহরানে হাজার হাজার মানুষ বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। ছবি: এএফপি

কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। এই গভীর সংকটের মুখে আল্লাহর করুণা চেয়ে গতকাল শুক্রবার জুমার দিনে তেহরানের উত্তরে একটি মসজিদে শত শত মানুষ বৃষ্টি কামনায় বিশেষ নামাজে অংশ নেন।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, এ বছর ইরানের রাজধানীতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ গত এক শতাব্দীর মধ্যে সর্বনিম্ন। দেশের প্রায় অর্ধেক প্রদেশ কয়েক মাস ধরে এক ফোঁটা বৃষ্টিরও দেখা পায়নি।

পানি সংকটের তীব্রতা মোকাবিলায় সরকার তেহরানের প্রায় ১ কোটি মানুষের জন্য পর্যায়ক্রমে পানির সরবরাহ সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পরিস্থিতি কতটা গুরুতর, তা প্রধান বাঁধগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানী তেহরানে পানীয় জল সরবরাহকারী পাঁচটি প্রধান বাঁধের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ খালি এবং অন্য একটি বাঁধে পানি ধারণক্ষমতার আট শতাংশেরও কম।

গত সপ্তাহে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সতর্ক করে দিয়েছিলেন, শীতের আগে বৃষ্টি না হলে তেহরানকে হয়তো কিছু মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার মতো সংকটের সম্মুখীন হতে হবে। যদিও পরে সরকার ব্যাখ্যা করে, প্রেসিডেন্ট কেবল বাসিন্দাদের পরিস্থিতির গুরুত্ব সম্পর্কে সতর্ক করতে চেয়েছিলেন এবং এটি কোনো বাস্তব পরিকল্পনা নয়।

এই কঠিন সময়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি কামনায় শুক্রবার তেহরানের এমামজাদেহ সালেহ মসজিদে পুরুষ ও নারীরা সম্মিলিতভাবে বিশেষ নামাজ (ইস্তিস্কার নামাজ) পড়েন। ইসলামি প্রথা মেনে নারীরা পর্দার আড়ালে পুরুষদের থেকে আলাদা স্থানে নামাজে অংশ নেন।

সাধারণত, আলবোর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত তেহরানে শরৎকালের বৃষ্টি এবং শীতের তুষারপাতের ফলে গরম ও শুষ্ক গ্রীষ্মের পর স্বস্তি আসে। কিন্তু এ বছর পর্বত চূড়াগুলো শুষ্ক রয়েছে গেছে, যদিও বছরের এ সময়টাতে চূড়ায় সাধারণত বরফ জমে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তেহরানের বাসিন্দারা দৈনিক প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানি ব্যবহার করে। অন্যদিকে, গোটা দেশে এ বছর বৃষ্টিপাতের স্তর মাত্র ১৫২ মিলিমিটার (৬ ইঞ্চি)-এ পৌঁছেছে, যা গত ৫৭ বছরের গড়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

বায়ুদূষণে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা দিল্লির, ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ২৮
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শীতের শুষ্ক মৌসুম এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। কিন্তু বর্ষা পেরোতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহর বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষ স্থান নিয়ে আছে। এর মধ্যে ভারতের দিল্লির অবস্থা বেশ কয়েক দিন ধরে দুর্যোগপূর্ণ। অন্যদিকে ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৭৫। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ঢাকার অবস্থান পঞ্চম।

অন্যদিকে শীর্ষ অবস্থানে থাকা দিল্লির একিউআই স্কোর ৫১৯। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।

বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো—

(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র‍্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৫০, খুব অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:

৬. হ্যানয়, ভিয়েতনাম (১৭৫)

৭. উহান, চীন (১৭০)

৮. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১৬২)

৯. মানামা, বাহরাইন (১৬০)

১০. মুম্বাই, ভারত (১৫৮)

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্‌রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

কার্তিকের শেষেই যেন নামছে শীত, ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ ১৮.৯ ডিগ্রি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫২
কুয়াশাভরা সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। খড়খড়ি বাইপাস বাজার এলাকা, রাজশাহী, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ছবি: মিলন শেখ
কুয়াশাভরা সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। খড়খড়ি বাইপাস বাজার এলাকা, রাজশাহী, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ছবি: মিলন শেখ

কার্তিকের শেষ দিন আজ। হেমন্তের ইতি টানতে বাকি আরও এক মাস। তবে এর মধ্যে প্রকৃতি জানান দিচ্ছে, শীতের বড় তাড়া। উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বেড়ে চলেছে শীতের তীব্রতা। পিছিয়ে নেই ঢাকাও। রাত বাড়তেই শীতল হাওয়া বইছে চারদিকে।

আজ শনিবার ভোরে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ। অন্যদিকে আজ সকাল ৬টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৮৮ শতাংশ।

আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া বুলেটিন থেকে জানা যায়, ঢাকায় আজ সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও আশপাশ এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত