মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
গত ২৪ বছরে সুন্দরবনে ২৬ বার আগুন লেগেছে। এতে সরকারি হিসাবে প্রায় ৭৫ একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। মুনাফালোভী মাছ ব্যবসায়ী ও অসৎ বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এবং অদক্ষ মৌয়ালদের কারণে সুন্দরবনে বারবার আগুন লাগছে। এর দায়ভার বন বিভাগ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
আজ রোববার সুন্দরবনে পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড বন্ধের দাবিতে আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির সামনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, মানবসৃষ্ট সুন্দরবনের পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড বন্ধে বন বিভাগসহ সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। সুন্দরবন সংরক্ষিত বনাঞ্চল হলেও আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি অঞ্চলে চোরা শিকারিসহ মানুষের অবাধ যাতায়াত রয়েছে।
পরিবেশকর্মী, সংবাদকর্মী, গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা এবং অতীতে সংঘটিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন না করার কারণেই সুন্দরবনের আমুরবুনিয়া এলাকায় চার বছর পরে আবারও অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হলো বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
সকাল ১০টায় মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক নূর আলম শেখ। সমাবেশে বক্তব্য দেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার শেখ রাসেল, স্থানীয় বাপা নেতা ওমর ফারুক, সুন্দরবন রক্ষায় আমরার লাকী বেগম, শহিদুল ফারাজী, মাসুদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমুরবুনিয়া এলাকায় দুই দিন আগে থেকে আগুন জ্বললেও বন বিভাগের উদাসীনতায় আগুন নেভানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আগুনে প্রায় তিন-চার একর বনভূমি পুড়ে গেছে। বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবন রক্ষায় বন বিভাগ, স্থানীয় জনগণ, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। সুন্দরবনের মধ্যে মুনাফালোভী ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। নীতিনির্ধারণী মহলের কাছে সুন্দরবন আজও গুরুত্বহীন। সুন্দরবন অক্সিজেন ও কার্বনের এক সুবিশাল ভান্ডার। প্রাণীর জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের আদান-প্রদানের মাধ্যমে সুন্দরবন স্থানীয় জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
সভাপতির বক্তব্যে নূর আলম শেখ বন বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সমালোচনা করে বলেন, কেবল বন বিভাগের কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করলে সুন্দরবনের আমুরবুনিয়ার অগ্নিকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে না। তাই এশিয়ার ফুসফুস সুন্দরবনের মানবসৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ড বন্ধে বন বিভাগ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পরিবেশকর্মী, সুন্দরবন গবেষক ও বিশেষজ্ঞ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার বেলা পৌনে ৩টায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে সন্ধ্যা হওয়ায় আগুন নেভানোর কার্যক্রম শুরু না করেই ফিরে যায় তারা। আজ সকাল থেকে আগুন নেভাতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চলছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী রাত ৮টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
গত ২৪ বছরে সুন্দরবনে ২৬ বার আগুন লেগেছে। এতে সরকারি হিসাবে প্রায় ৭৫ একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। মুনাফালোভী মাছ ব্যবসায়ী ও অসৎ বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এবং অদক্ষ মৌয়ালদের কারণে সুন্দরবনে বারবার আগুন লাগছে। এর দায়ভার বন বিভাগ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
আজ রোববার সুন্দরবনে পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড বন্ধের দাবিতে আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির সামনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, মানবসৃষ্ট সুন্দরবনের পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড বন্ধে বন বিভাগসহ সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। সুন্দরবন সংরক্ষিত বনাঞ্চল হলেও আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি অঞ্চলে চোরা শিকারিসহ মানুষের অবাধ যাতায়াত রয়েছে।
পরিবেশকর্মী, সংবাদকর্মী, গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা এবং অতীতে সংঘটিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন না করার কারণেই সুন্দরবনের আমুরবুনিয়া এলাকায় চার বছর পরে আবারও অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হলো বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
সকাল ১০টায় মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক নূর আলম শেখ। সমাবেশে বক্তব্য দেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার শেখ রাসেল, স্থানীয় বাপা নেতা ওমর ফারুক, সুন্দরবন রক্ষায় আমরার লাকী বেগম, শহিদুল ফারাজী, মাসুদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমুরবুনিয়া এলাকায় দুই দিন আগে থেকে আগুন জ্বললেও বন বিভাগের উদাসীনতায় আগুন নেভানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আগুনে প্রায় তিন-চার একর বনভূমি পুড়ে গেছে। বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবন রক্ষায় বন বিভাগ, স্থানীয় জনগণ, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। সুন্দরবনের মধ্যে মুনাফালোভী ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। নীতিনির্ধারণী মহলের কাছে সুন্দরবন আজও গুরুত্বহীন। সুন্দরবন অক্সিজেন ও কার্বনের এক সুবিশাল ভান্ডার। প্রাণীর জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের আদান-প্রদানের মাধ্যমে সুন্দরবন স্থানীয় জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
সভাপতির বক্তব্যে নূর আলম শেখ বন বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সমালোচনা করে বলেন, কেবল বন বিভাগের কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করলে সুন্দরবনের আমুরবুনিয়ার অগ্নিকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে না। তাই এশিয়ার ফুসফুস সুন্দরবনের মানবসৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ড বন্ধে বন বিভাগ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পরিবেশকর্মী, সুন্দরবন গবেষক ও বিশেষজ্ঞ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার বেলা পৌনে ৩টায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে সন্ধ্যা হওয়ায় আগুন নেভানোর কার্যক্রম শুরু না করেই ফিরে যায় তারা। আজ সকাল থেকে আগুন নেভাতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চলছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী রাত ৮টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
১০ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১৮ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
১৯ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে