নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের পর টানা এক সপ্তাহ ধরে সারা দেশে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে কমে যাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। ১৫ মে থেকে আবারও মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ বইতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ২০ মের পর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে অধিদপ্তর।
এদিকে টানা ৩৩ দিনের তাপপ্রবাহের পর দেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয় চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে। ধীরে ধীরে ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবে পশ্চিমাঞ্চলে (খুলনা ও রাজশাহী) বৃষ্টি শুরু হয় ৫ তারিখের পর। ৬ মে টানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহের পর চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টি হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত ৭ দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ৫ মে শ্রীমঙ্গলে ১২৪ মিলিমিটার, ৬ মে ফেনীতে ১৩০, চট্টগ্রামে ১১৮, ৭ মে রাজশাহীতে ৫১ মিলিমিটার এবং সর্বশেষ ১১ মে ঢাকায় ৮৭ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এপ্রিল মাসে দীর্ঘসময় তাপপ্রবাহ ছিল। এই সময়ে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল, যেটি গত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর সারা দেশে এক সপ্তাহের মতো বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অনেকটা কমে এসেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা একটু বেশি। তবে দক্ষিণাঞ্চলে কম।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের তাপপ্রবাহে রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে। ঢাকার তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ থেকে ৩৮ সেলসিয়াসের মধ্যে।
হাফিজুর রহমান বলেন, বৃষ্টিপাত কমে আসা মানেই গরম বাড়বে। এখন তাপপ্রবাহ নেই। তবে সামনে আশঙ্কা করা হচ্ছে আবার তাপপ্রবাহ আসবে। এপ্রিলের ১৫ তারিখের পর মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বিক্ষিপ্তভাবে আসতে পারে। তবে এই তাপপ্রবাহ দীর্ঘায়িত হবে না। আবার তীব্র বা অতি তীব্রও হবে না। এর ব্যাপ্তিও সারা দেশে বিস্তার লাভ করবে না। দেশের পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে বিস্তার লাভ করতে পারে। এটা চার থেকে পাঁচ দিন থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মে মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মাসের শেষ দিকে সাগরে একটি বা দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেখান থেকে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা তৈরি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না।
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগামী ২০ এপ্রিলের পর সাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। লঘুচাপ তৈরি হওয়ার পর বোঝা যাবে।’
এদিকে আজ সোমবার আবহাওয়ার নদ-নদীর সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালী ও নোয়াখালী অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামীকাল রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের পর টানা এক সপ্তাহ ধরে সারা দেশে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে কমে যাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। ১৫ মে থেকে আবারও মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ বইতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ২০ মের পর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে অধিদপ্তর।
এদিকে টানা ৩৩ দিনের তাপপ্রবাহের পর দেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয় চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে। ধীরে ধীরে ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবে পশ্চিমাঞ্চলে (খুলনা ও রাজশাহী) বৃষ্টি শুরু হয় ৫ তারিখের পর। ৬ মে টানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহের পর চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টি হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত ৭ দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ৫ মে শ্রীমঙ্গলে ১২৪ মিলিমিটার, ৬ মে ফেনীতে ১৩০, চট্টগ্রামে ১১৮, ৭ মে রাজশাহীতে ৫১ মিলিমিটার এবং সর্বশেষ ১১ মে ঢাকায় ৮৭ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এপ্রিল মাসে দীর্ঘসময় তাপপ্রবাহ ছিল। এই সময়ে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল, যেটি গত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর সারা দেশে এক সপ্তাহের মতো বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অনেকটা কমে এসেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা একটু বেশি। তবে দক্ষিণাঞ্চলে কম।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের তাপপ্রবাহে রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে। ঢাকার তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ থেকে ৩৮ সেলসিয়াসের মধ্যে।
হাফিজুর রহমান বলেন, বৃষ্টিপাত কমে আসা মানেই গরম বাড়বে। এখন তাপপ্রবাহ নেই। তবে সামনে আশঙ্কা করা হচ্ছে আবার তাপপ্রবাহ আসবে। এপ্রিলের ১৫ তারিখের পর মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বিক্ষিপ্তভাবে আসতে পারে। তবে এই তাপপ্রবাহ দীর্ঘায়িত হবে না। আবার তীব্র বা অতি তীব্রও হবে না। এর ব্যাপ্তিও সারা দেশে বিস্তার লাভ করবে না। দেশের পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে বিস্তার লাভ করতে পারে। এটা চার থেকে পাঁচ দিন থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মে মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মাসের শেষ দিকে সাগরে একটি বা দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেখান থেকে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা তৈরি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না।
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগামী ২০ এপ্রিলের পর সাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। লঘুচাপ তৈরি হওয়ার পর বোঝা যাবে।’
এদিকে আজ সোমবার আবহাওয়ার নদ-নদীর সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালী ও নোয়াখালী অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামীকাল রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
৩ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১২ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
১৩ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে