ঢেকুরে মিথেন কমাতে জিন পরিবর্তন, ‘পরিবেশবান্ধব’ হয়ে উঠছে গরু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৩, ০৯: ০০

আগামী বসন্তে যখন কানাডীয় গরু খামারি বেন লোউইথের বাছুর জন্মাবে, তখন তারা হবে বিশ্বের প্রথম গরুর জাত যাদের পেছনে নির্দিষ্ট পরিবেশগত উদ্দেশ্য রয়েছে। আর সেটি হলো—কম মিথেন নিঃসরণ করা। 

লোউইথ ওন্টারিওর লিন্ডেনের তৃতীয় প্রজন্মের একজন খামারি। গত জুনে তিনি ১০৭টি গরু ও বকনা বাছুরকে কম মিথেন নিঃসরণকারী জিনগত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ষাঁড়ের শুক্রাণু দিয়ে কৃত্রিম প্রজনন করান। 

তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন রেখে বেছে বেছে কম মিথেন নিঃসরণকারী গরু পালন করাটা সবার জন্য লাভজনক।’ 

বিজ্ঞানী ও গবাদি শিল্প বিশেষজ্ঞরা বলছে, কম মিথেন নিঃসরণকারী গবাদিপশু বাণিজ্যিকভাবে পালন করা গেলে তা গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃহৎ উৎসের একটি কমে আসবে। 

গবাদিপশুর উদ্গার বা ঢেকুর মিথেন নিঃসরণের সবচেয়ে বড় উৎস। লোউইথকে সিমেক্স নামের এক সংস্থা এই বিশেষ জাতের গরুর শুক্রাণু সরবরাহ করে। তারা বলছে, এই জাতের গরু পালনে কানাডার দুগ্ধ খামার থেকে মিথেন নিঃসরণের বাৎসরিক হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমবে। এবং এই হারের হ্রাস ২০৫০ সাল নাগাদ ২০ থেকে ৩০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। 

এই সংস্থার সহ–সভাপতি ড্রিউ স্লোন বলেন, এই বসন্তে সংস্থাটি কম মিথেন উৎপাদনের জন্য দায়ী জিন–সম্পন্ন ষাঁড়ের শুক্রাণু ৮০টি দেশে বাজারজাত করেছে। এর আগে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও শ্লোভাকিয়ার খামারে এই শুক্রাণু সরবরাহ করা হয়েছে। 

ক্যালিফোর্নিয়া ডেভিস বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু বিজ্ঞানের অধ্যাপক ফ্র্যাঙ্ক মিটলোহনার বলেন, ‘এই জিন–সম্পন্ন শুক্রাণু যদি ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয় তাহলে নিম্ন মিথেন নিঃসরণকারী জাত বৈশ্বিকভাবে গবাদিপশু পালনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।’ 

অবশ্য অনেক খামারি এবং এ শিল্পের যুক্ত ব্যক্তিরা নিম্ন মিথেন উৎপাদনকারী গবাদিপশুর এই জাতের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারছেন না। তাঁদের আশঙ্কা, এই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন পশুর হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত