নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পৌষের শেষে মাঘ এল বলে। এই অবস্থায় সারা দেশেই দিনের তাপমাত্রা কমেছে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সব অঞ্চলেই জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের গতকাল শুক্রবারের তথ্যমতে, এমন অবস্থা বিরাজ করবে আরও দুই থেকে তিন দিন। তবে এরপরেও স্বস্তি নেই। এরপর রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।
এদিকে ঢাকাতেও কমেছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। সারা দিনে ঘণ্টাখানেকের মতো সূর্যের দেখা মিলেছে। ছিল কুয়াশা ভাব, সেই সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, শীতের এই অবস্থা আরও দুই থেকে তিন দিন থাকতে পারে। ১৮ জানুয়ারির পরে সারা দেশেই হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আর একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।
তবে এই আবহাওয়াবিদ জানান, জানুয়ারি মাস অনুযায়ী তাপমাত্রা খুব বেশি কমেনি। বাতাসের কারণে শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। এই সময়ে এমন ঠান্ডা স্বাভাবিক ঘটনা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আর মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এদিকে হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন উত্তরের মানুষ। ঘন কুয়াশায় দেখা যায়নি সূর্যের আলো। উত্তরের জেলাগুলোতে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল, অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
উত্তরের পরিস্থিতি
নীলফামারীতে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলের তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। একই অবস্থা ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, পাবনার ঈশ্বরদী ও নীলফামারীর সৈয়দপুরেও।
দিনাজপুরের বিরামপুরের সিএনজি অটোরিকশার চালক খোকন মিয়া জানান, জীবিকার তাগিদে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন তিনি। কয়েক দিন থেকে খুব কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস; তাই বেশি ভাড়া পাচ্ছেন না।
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে চার দিন ধরে দেখা মেলেনি সূর্যের। কুয়াশা আর হিম ঠান্ডা বাতাসে কাজে বের হতে পারেননি শ্রমজীবীরা। রাস্তায় লোক চলাচল কমে গেছে। হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। চার দিন ধরে কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি হিমেল বাতাসের কারণে পাবনার ঈশ্বরদীতেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গতকাল দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদীতে।
শহরের ফতে মোহাম্মদপুর এলাকার দিনমজুর আলাউদ্দীন আলী গতকাল বাড়ি থেকে বের হননি। তিনি বলেন, ‘ভীষণ শীত পড়ছি আইজ। সে জন্য তীব্র শীতের মধ্যি আইজ আর ঘর থেইকা বের হই নাই। ঠান্ডায় হাত-পা জমি (জমে) যাওয়ার উপক্রম হইছে। সরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র পাই নাই আমি।’
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা
উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি শীত রয়েছে মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলেও। চুয়াডাঙ্গায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সেখানে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিন আগেও জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের ব্যবধানে হাড় কাঁপানো এই শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শুধু সদর হাসপাতালেই গত এক সপ্তাহে ২ হাজারের বেশি মানুষ ঠান্ডাজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তবে এর মধ্যেই শহরে ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছেন আমান আলী নামে এক চালক। তিনি বলেন, ‘কিচ্ছু করার নেই। খাতি গেলি ভ্যান চালাতি হবি। বাড়ি বইসে থাকলি তো কেউ পয়সা দেবে না। তাই কষ্ট হলিও বেরুতি হয়েছে। আমাদের কষ্ট দেখার লোক নেই।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের নিউমোনিয়ায় ভর্তি থাকা এক শিশুর মা আমেনা খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়ে কিছুদিন ধরে ঠান্ডা জ্বরে ভুগছে। পরীক্ষা করে নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। কিন্তু হাসপাতালে বেড না থাকায় আপাতত নিচেই আছি।’
পৌষের শেষে মাঘ এল বলে। এই অবস্থায় সারা দেশেই দিনের তাপমাত্রা কমেছে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সব অঞ্চলেই জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের গতকাল শুক্রবারের তথ্যমতে, এমন অবস্থা বিরাজ করবে আরও দুই থেকে তিন দিন। তবে এরপরেও স্বস্তি নেই। এরপর রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।
এদিকে ঢাকাতেও কমেছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। সারা দিনে ঘণ্টাখানেকের মতো সূর্যের দেখা মিলেছে। ছিল কুয়াশা ভাব, সেই সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, শীতের এই অবস্থা আরও দুই থেকে তিন দিন থাকতে পারে। ১৮ জানুয়ারির পরে সারা দেশেই হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আর একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।
তবে এই আবহাওয়াবিদ জানান, জানুয়ারি মাস অনুযায়ী তাপমাত্রা খুব বেশি কমেনি। বাতাসের কারণে শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। এই সময়ে এমন ঠান্ডা স্বাভাবিক ঘটনা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আর মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এদিকে হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন উত্তরের মানুষ। ঘন কুয়াশায় দেখা যায়নি সূর্যের আলো। উত্তরের জেলাগুলোতে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল, অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
উত্তরের পরিস্থিতি
নীলফামারীতে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলের তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। একই অবস্থা ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, পাবনার ঈশ্বরদী ও নীলফামারীর সৈয়দপুরেও।
দিনাজপুরের বিরামপুরের সিএনজি অটোরিকশার চালক খোকন মিয়া জানান, জীবিকার তাগিদে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন তিনি। কয়েক দিন থেকে খুব কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস; তাই বেশি ভাড়া পাচ্ছেন না।
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে চার দিন ধরে দেখা মেলেনি সূর্যের। কুয়াশা আর হিম ঠান্ডা বাতাসে কাজে বের হতে পারেননি শ্রমজীবীরা। রাস্তায় লোক চলাচল কমে গেছে। হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। চার দিন ধরে কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি হিমেল বাতাসের কারণে পাবনার ঈশ্বরদীতেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গতকাল দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদীতে।
শহরের ফতে মোহাম্মদপুর এলাকার দিনমজুর আলাউদ্দীন আলী গতকাল বাড়ি থেকে বের হননি। তিনি বলেন, ‘ভীষণ শীত পড়ছি আইজ। সে জন্য তীব্র শীতের মধ্যি আইজ আর ঘর থেইকা বের হই নাই। ঠান্ডায় হাত-পা জমি (জমে) যাওয়ার উপক্রম হইছে। সরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র পাই নাই আমি।’
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা
উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি শীত রয়েছে মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলেও। চুয়াডাঙ্গায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সেখানে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিন আগেও জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের ব্যবধানে হাড় কাঁপানো এই শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শুধু সদর হাসপাতালেই গত এক সপ্তাহে ২ হাজারের বেশি মানুষ ঠান্ডাজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তবে এর মধ্যেই শহরে ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছেন আমান আলী নামে এক চালক। তিনি বলেন, ‘কিচ্ছু করার নেই। খাতি গেলি ভ্যান চালাতি হবি। বাড়ি বইসে থাকলি তো কেউ পয়সা দেবে না। তাই কষ্ট হলিও বেরুতি হয়েছে। আমাদের কষ্ট দেখার লোক নেই।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের নিউমোনিয়ায় ভর্তি থাকা এক শিশুর মা আমেনা খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়ে কিছুদিন ধরে ঠান্ডা জ্বরে ভুগছে। পরীক্ষা করে নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। কিন্তু হাসপাতালে বেড না থাকায় আপাতত নিচেই আছি।’
আজারবাইজানের বাকুতে চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন কপ–২৯ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর)। উন্নত দেশগুলোর কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পোষাতে বছরে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৩০ হাজার কোটি) ডলার অর্থায়নের প্রস্তাব ছিল। এ আলোচনার কোনো সমাধান না পাওয়ায় সম্মেলনের সময় একদিন বাড়ানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি সময়ের সঙ্গে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এ দিকে আজ রোববার দেশের উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা পূর্বাভাস রয়েছে...
২ ঘণ্টা আগেআজারবাইজানের জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আরও একবার হতাশ করেছেন নীতিনির্ধারকেরা। সম্মেলনের শেষ দিনে এসে বার্ষিক ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার খসড়া উপস্থাপন করেছে কপ প্রেসিডেন্সি।
২ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে আজ আরও অবনতি ঘটেছে। বাতাসের মান সূচকে শীর্ষ ২ অবস্থান করছে। আজ ঢাকায় দূষণের মাত্রা ২৯১, যা অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে অবস্থান করছে পাকিস্তানের লাহোর। এর পরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপটও...
৩ ঘণ্টা আগে