প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার (সিলেট)
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের জানকিছড়া এলাকায় দুটি বিরল প্রজাতির বাঁশ ভালুক অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া বাঁশ ভালুক দুটিকে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করা হয়েছে। প্রাণী অবমুক্তকরণের উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোস্তফা ফিরোজ, ড. কামরুল হাসান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, লাউয়াছড়া বিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান ও বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব প্রমুখ।
গবেষকদের মতে, বাঁশ ভালুক দেখতে সাধারণ ভালুকের মতো হলেও এটা ভালুক প্রজাতির নয়। এরা দেখতে কুচকুচে কালো রঙের। এরা স্বভাবত খুবই নিরীহ এবং মুখের সামনে গোঁফ রয়েছে। এদের দৃষ্টি খুবই উৎসুক এবং চোখগুলো সব সময় চকচক করে। আর এদের লেজ প্রায় সব সময় নড়ে।
বাঁশ ভালুক সাধারণত কারও ক্ষতি করে না। এরা বিরল প্রজাতির প্রাণী। এখন এদের আর বাংলাদেশে খুব একটা দেখা যায় না।
একটি বাঁশ ভালুক ১০ বছর বেঁচে থেকে। প্রজননকাল ছাড়া এরা একাকী থাকতে পছন্দ করে। এরা মূলত নিশাচর প্রাণী এবং এরা কিছুটা লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে। আর দিনের বেলা গাছের ওপরে ঘুমায়। আর রাত হলে নেমে আসে। এরা এক গাছ থেকে আরেক গাছে লাফিয়ে যেতে পারে।
এটি ভাইবেরিটি গোত্রের অর্থাৎ ভোঁদড়ের কিছুটা কাছাকাছি এবং বিড়াল বা কুকুর থেকে আলাদা। এদের শরীর থেকে একটা গন্ধ বের হয় যা থেকে এগুলোকে গন্ধগোকুল গোত্রের বলা যায়। লেজের গোড়ায় এক ধরনের গ্র্যান্ড থাকে যা থেকে পারফিউমও তৈরি হয় বলে এরা আক্রমণের শিকার হতো। গেছো ও সর্বভুক এই প্রাণী মানুষকে আক্রমণ করে না কিন্তু অনেক সময় না বুঝে মানুষ এদের মেরে ফেলে। কারণ বাঁশ ভালুক আকারে দেখতে একটু বড় হয়।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, বিরল প্রজাতির দুটি বাঁশ ভালুক লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করা হয়েছে। বাঁশ ভালুক বিরল প্রজাতির একটা প্রাণী। মিশ্র চির সবুজ বনে পাওয়া যায়। এ ছাড়া কম্বোডিয়া, লাওস, নেপাল, ফিলিপাইন, বাংলাদেশ ও ভারতের মতো দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাঁশ ভালুকের দেখা মেলে।
গবেষকদের মতে-বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিশেষ করে পার্বত্য এলাকায় এর দেখা মিলতো। কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে সঠিক পন্থায় জরিপ করা হলে বাঁশ ভালুক আছে কিনা সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল জালালিয়া সড়কের শৌখিন পশুপাখি প্রেমী আবদুল হান্নানের পরিচালিত বার্ড হাউস থেকে গত ৪ আগস্ট বন বিভাগ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে দুটি বাঁশ ভালুক, একটি হিমালয়ান শকুন ও একটি খাটো লেজ বানর উদ্ধার করে লাউয়াছড়ার জানকী ছড়া রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে গবেষকদের সঙ্গে আলোচনা করে ঊর্ধ্বতন বিভাগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাঁশ ভালুকে দুটিকে লাউয়াছড়া বনে এবং শকুন ও খাটো লেজা বানরকে পাঠানো হয় গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে।
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের জানকিছড়া এলাকায় দুটি বিরল প্রজাতির বাঁশ ভালুক অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া বাঁশ ভালুক দুটিকে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করা হয়েছে। প্রাণী অবমুক্তকরণের উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোস্তফা ফিরোজ, ড. কামরুল হাসান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, লাউয়াছড়া বিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান ও বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব প্রমুখ।
গবেষকদের মতে, বাঁশ ভালুক দেখতে সাধারণ ভালুকের মতো হলেও এটা ভালুক প্রজাতির নয়। এরা দেখতে কুচকুচে কালো রঙের। এরা স্বভাবত খুবই নিরীহ এবং মুখের সামনে গোঁফ রয়েছে। এদের দৃষ্টি খুবই উৎসুক এবং চোখগুলো সব সময় চকচক করে। আর এদের লেজ প্রায় সব সময় নড়ে।
বাঁশ ভালুক সাধারণত কারও ক্ষতি করে না। এরা বিরল প্রজাতির প্রাণী। এখন এদের আর বাংলাদেশে খুব একটা দেখা যায় না।
একটি বাঁশ ভালুক ১০ বছর বেঁচে থেকে। প্রজননকাল ছাড়া এরা একাকী থাকতে পছন্দ করে। এরা মূলত নিশাচর প্রাণী এবং এরা কিছুটা লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে। আর দিনের বেলা গাছের ওপরে ঘুমায়। আর রাত হলে নেমে আসে। এরা এক গাছ থেকে আরেক গাছে লাফিয়ে যেতে পারে।
এটি ভাইবেরিটি গোত্রের অর্থাৎ ভোঁদড়ের কিছুটা কাছাকাছি এবং বিড়াল বা কুকুর থেকে আলাদা। এদের শরীর থেকে একটা গন্ধ বের হয় যা থেকে এগুলোকে গন্ধগোকুল গোত্রের বলা যায়। লেজের গোড়ায় এক ধরনের গ্র্যান্ড থাকে যা থেকে পারফিউমও তৈরি হয় বলে এরা আক্রমণের শিকার হতো। গেছো ও সর্বভুক এই প্রাণী মানুষকে আক্রমণ করে না কিন্তু অনেক সময় না বুঝে মানুষ এদের মেরে ফেলে। কারণ বাঁশ ভালুক আকারে দেখতে একটু বড় হয়।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, বিরল প্রজাতির দুটি বাঁশ ভালুক লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করা হয়েছে। বাঁশ ভালুক বিরল প্রজাতির একটা প্রাণী। মিশ্র চির সবুজ বনে পাওয়া যায়। এ ছাড়া কম্বোডিয়া, লাওস, নেপাল, ফিলিপাইন, বাংলাদেশ ও ভারতের মতো দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাঁশ ভালুকের দেখা মেলে।
গবেষকদের মতে-বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিশেষ করে পার্বত্য এলাকায় এর দেখা মিলতো। কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে সঠিক পন্থায় জরিপ করা হলে বাঁশ ভালুক আছে কিনা সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল জালালিয়া সড়কের শৌখিন পশুপাখি প্রেমী আবদুল হান্নানের পরিচালিত বার্ড হাউস থেকে গত ৪ আগস্ট বন বিভাগ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে দুটি বাঁশ ভালুক, একটি হিমালয়ান শকুন ও একটি খাটো লেজ বানর উদ্ধার করে লাউয়াছড়ার জানকী ছড়া রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে গবেষকদের সঙ্গে আলোচনা করে ঊর্ধ্বতন বিভাগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাঁশ ভালুকে দুটিকে লাউয়াছড়া বনে এবং শকুন ও খাটো লেজা বানরকে পাঠানো হয় গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে।
সারা দেশে আজ শীত আরেকটু বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কমতে পারে তাপমাত্রা। দেশের উত্তরাঞ্চলের দুই জেলায় চলমান শৈত্যপ্রবাহও অব্যাহত থাকতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে...
৩ ঘণ্টা আগেবায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়...
৬ ঘণ্টা আগেঅতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতিই পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয়...
১ দিন আগেঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বায়ুদূষণের সূচকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়। সকাল ৬টায় ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয় ২৯১। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়...
১ দিন আগে