সৌগত বসু ও শাহীন শাহ, টেকনাফ থেকে
ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আগেই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছাড়তে চায় অনেকেই। তবে সাগর উত্তাল থাকায় প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ত্যাগ করার কোনো উপায় নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এরই মধ্যে কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের উপকূলে ৮ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উপকূলে। রাত থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি ও বাতাস। গতকাল শুক্রবার অনেকেই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছেড়ে এসেছে। তবে তারা এসেছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, যাঁরা এখানে ব্যবসা করতে এসেছিলেন তাঁরা চলে গেছেন টেকনাফে। তবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার স্থায়ী বাসিন্দা রয়েছে প্রবাল দ্বীপটিতে। তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র। এসব আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা সব মিলিয়ে ৬ হাজার ৮০০ জন।
তবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, চলে আসতে চান তাঁরা। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর অবস্থা নড়বড়ে। ঝড়ের যে তীব্রতা থাকবে, তাতে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ থাকা যাবে না।
সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা জসীমউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোখার প্রভাব শুরু হওয়ার আগেই আমাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হোক।’
আরেক বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, তাঁরা এখানে নিরাপদ অনুভব করছেন না। তাঁরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছাড়তে চান। তবে তেমন কোনো উপায় নেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা আব্দুল মালেক লিখেছেন, সেন্ট মার্টিনের লোকজন বাঁচতে চায়। আর মাত্র ১১ ঘণ্টা সময় আছে। সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দাদের কথা শুনছে না কেউ।
তিনি লেখেন, সেন্ট মার্টিন উপকূলে দুটি জাহাজ এবং বিজেপি ও কোস্ট গার্ডের স্পিডবোর্ড আছে। তরা চাইলেই নিরাপদে নিয়ে যেতে পারে বাসিন্দাদের।
তবে ভিন্ন কথা বলছে স্থানীয় প্রশাসন। টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে আসা সম্ভব নয়। প্রশাসন থেকে এটা মানতে চাইবে না। তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন, তাঁরা যেন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাসিন্দাদের অনুপ্রাণিত করেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঝড়ের অগ্রভাগ প্রথমে আঘাত হানবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। এই দ্বীপে হতে পারে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন জলোচ্ছ্বাস হলে কমপক্ষে দুই-তিন তালার ওপরে থাকতে হবে আশ্রয়কেন্দ্রে।
মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল থেকে বিভিন্ন স্পিডবোট ও নৌকা চলাচল করছিল। তাদের বাধা দেওয়া হয়নি। সে সময় তেমন কেউ সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফে আসেনি। তবে বোর্ড মালিকদেরই লোকজন প্রশাসনকে জানিয়েছে যে সাগরের যে অবস্থা, তাতে চলাচলের উপযোগী নয়। সাগর উত্তাল আছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দা যারা আছে, তারা যদি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়, তাহলে নিরাপদে থাকবে।
এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরও বলেন, এখন যেসব অবকাঠামো সেন্ট মার্টিনে তৈরি হয়েছে, সেগুলো মজবুত আছে। বিশেষ করে সেন্ট মার্টিনে যে স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে, সেটির ধারণক্ষমতা ১ হাজারের ওপরে। এ ছাড়া কয়েকটি রিসোর্ট রয়েছে, যেগুলা দুই-তিন তালার বেশি উচ্চতা। আশা করা যাচ্ছে, তারা যদি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকলে বিপদ হবে না। বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা।
আরও পড়ুন:
ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আগেই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছাড়তে চায় অনেকেই। তবে সাগর উত্তাল থাকায় প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ত্যাগ করার কোনো উপায় নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এরই মধ্যে কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের উপকূলে ৮ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উপকূলে। রাত থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি ও বাতাস। গতকাল শুক্রবার অনেকেই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছেড়ে এসেছে। তবে তারা এসেছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, যাঁরা এখানে ব্যবসা করতে এসেছিলেন তাঁরা চলে গেছেন টেকনাফে। তবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার স্থায়ী বাসিন্দা রয়েছে প্রবাল দ্বীপটিতে। তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র। এসব আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা সব মিলিয়ে ৬ হাজার ৮০০ জন।
তবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, চলে আসতে চান তাঁরা। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর অবস্থা নড়বড়ে। ঝড়ের যে তীব্রতা থাকবে, তাতে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ থাকা যাবে না।
সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা জসীমউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোখার প্রভাব শুরু হওয়ার আগেই আমাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হোক।’
আরেক বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, তাঁরা এখানে নিরাপদ অনুভব করছেন না। তাঁরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছাড়তে চান। তবে তেমন কোনো উপায় নেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা আব্দুল মালেক লিখেছেন, সেন্ট মার্টিনের লোকজন বাঁচতে চায়। আর মাত্র ১১ ঘণ্টা সময় আছে। সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দাদের কথা শুনছে না কেউ।
তিনি লেখেন, সেন্ট মার্টিন উপকূলে দুটি জাহাজ এবং বিজেপি ও কোস্ট গার্ডের স্পিডবোর্ড আছে। তরা চাইলেই নিরাপদে নিয়ে যেতে পারে বাসিন্দাদের।
তবে ভিন্ন কথা বলছে স্থানীয় প্রশাসন। টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে আসা সম্ভব নয়। প্রশাসন থেকে এটা মানতে চাইবে না। তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন, তাঁরা যেন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাসিন্দাদের অনুপ্রাণিত করেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঝড়ের অগ্রভাগ প্রথমে আঘাত হানবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। এই দ্বীপে হতে পারে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন জলোচ্ছ্বাস হলে কমপক্ষে দুই-তিন তালার ওপরে থাকতে হবে আশ্রয়কেন্দ্রে।
মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল থেকে বিভিন্ন স্পিডবোট ও নৌকা চলাচল করছিল। তাদের বাধা দেওয়া হয়নি। সে সময় তেমন কেউ সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফে আসেনি। তবে বোর্ড মালিকদেরই লোকজন প্রশাসনকে জানিয়েছে যে সাগরের যে অবস্থা, তাতে চলাচলের উপযোগী নয়। সাগর উত্তাল আছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দা যারা আছে, তারা যদি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়, তাহলে নিরাপদে থাকবে।
এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরও বলেন, এখন যেসব অবকাঠামো সেন্ট মার্টিনে তৈরি হয়েছে, সেগুলো মজবুত আছে। বিশেষ করে সেন্ট মার্টিনে যে স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে, সেটির ধারণক্ষমতা ১ হাজারের ওপরে। এ ছাড়া কয়েকটি রিসোর্ট রয়েছে, যেগুলা দুই-তিন তালার বেশি উচ্চতা। আশা করা যাচ্ছে, তারা যদি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকলে বিপদ হবে না। বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা।
আরও পড়ুন:
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
১২ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
২০ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
২১ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে