নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানী ঢাকায় কংক্রিটের জঞ্জাল বাড়ছে, সমান তালে কমছে সবুজের পরিমাণ। এতে নগরীতে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে তাপমাত্রা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েক দশক আগেও নগর–পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা ও জলাশয় ছিল। কিন্তু সরকারি–বেসরকারি সংস্থাগুলোর স্থাপনা নির্মাণের কারণে উজাড় হয়েছে সবুজ এলাকা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) গবেষণা অনুসারে, ২৮ বছরে ঢাকায় সবুজ এলাকা কমে হয়েছে ৯ শতাংশ। অন্যদিকে দুই দশকে কংক্রিটের আচ্ছাদন বেড়ে হয়েছে ৮২ শতাংশ।
আজ শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারের বিআইপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ঢাকায় তাপদাহ: নগর–পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার দায় ও করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে এসব তথ্য উঠে আসে।
মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। উপস্থাপিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে সবুজ যেমন কমেছে, ঠিক তেমনি গত দুই দশকে বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ধূসর এলাকা ও কংক্রিটের পরিমাণ। যা নগর এলাকায় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে মারাত্মক হারে, বাড়ছে আরবান হিট আইল্যান্ডের প্রভাব।
২০১৯ সালে করা বিআইপির গবেষণা অনুসারে, কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ১৯৯৯ সালে ছিল ৬৪ দশমিক ৯৯ ভাগ, ২০০৯ সালে বেড়ে হয় ৭৭ দশমিক ১৮ ভাগ, আর ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশে।
২০২৩ সালে বিআইপির প্রকাশিত আরেকটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৮ বছরে রাজধানী ঢাকার সবুজ এলাকা কমে মাত্র ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জলাভূমি নেমে এসেছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশে। যদিও নগর–পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাশয়–জলাধার থাকার কথা। এরই পাশাপাশি ভবনের নকশায় প্রাকৃতিক আলো–বাতাস চলাচলকে ব্যাহত করে দিয়ে আবদ্ধ ঘর, কাচ নির্মিত ঘর ও এসি ব্যবহারকে মাথায় রেখে ভবন নির্মাণের প্রবণতার কারণে মহানগরীতে তাপমাত্রা বাড়ছে।
সংলাপে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও দাবদাহের প্রভাবের মূলে ভূমি আচ্ছাদনের (সবুজ, পানি ও ধূসর বা কংক্রিট আচ্ছাদন) মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট, কংক্রিটের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি, ভবনের নকশায় পরিবেশ ও জলবায়ুর ধারণা অনুপস্থিত, কাচ নির্মিত ভবন ও এসি–নির্ভর ভবনের নকশা তৈরি, খাল–পুকুর ভরাট, দখল ও ধ্বংস, সবুজ এলাকা নষ্ট করে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ, বনায়ন না করাসহ অনেক কারণ রয়েছে। ঢাকার বাতাসে উত্তাপ বাড়াচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর গ্যাস। ময়লার ভাগাড়, ইটভাটা, যানবাহন ও শিল্পকারখানার ধোঁয়া থেকে তৈরি হচ্ছে এসব গ্যাস।
অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় কংক্রিটের জঞ্জাল বাড়ছে। এতে পরিবেশ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। আমরা গবেষণার তথ্য–উপাত্ত উপস্থাপন তুলে ধরলেও সরকার কোনো কর্ণপাত করছে না। এভাবে চলতে থাকলে রাজধানীর পরিবেশ আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।’
অনুষ্ঠানে বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে পুরো পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১ থেকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার কথা বলা হলেও ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই তাপমাত্রা ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ মূলত ঢাকা শহরের আশপাশের প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার এবং নগরায়ণের নামে চালানো ধ্বংসযোগ্য।
সংলাপে নগর এলাকার প্রান্তে সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প করার দাবিসহ বিআইপির পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। এ সময় আরও বক্তব্য দেন পরিকল্পনাবিদ মো. আবু নাইম সোহাগ, পরিকল্পনাবিদ হোসনে আরা, মো. রেদওয়ানুর রহমান প্রমুখ।
রাজধানী ঢাকায় কংক্রিটের জঞ্জাল বাড়ছে, সমান তালে কমছে সবুজের পরিমাণ। এতে নগরীতে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে তাপমাত্রা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েক দশক আগেও নগর–পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা ও জলাশয় ছিল। কিন্তু সরকারি–বেসরকারি সংস্থাগুলোর স্থাপনা নির্মাণের কারণে উজাড় হয়েছে সবুজ এলাকা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) গবেষণা অনুসারে, ২৮ বছরে ঢাকায় সবুজ এলাকা কমে হয়েছে ৯ শতাংশ। অন্যদিকে দুই দশকে কংক্রিটের আচ্ছাদন বেড়ে হয়েছে ৮২ শতাংশ।
আজ শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারের বিআইপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ঢাকায় তাপদাহ: নগর–পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার দায় ও করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে এসব তথ্য উঠে আসে।
মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। উপস্থাপিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে সবুজ যেমন কমেছে, ঠিক তেমনি গত দুই দশকে বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ধূসর এলাকা ও কংক্রিটের পরিমাণ। যা নগর এলাকায় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে মারাত্মক হারে, বাড়ছে আরবান হিট আইল্যান্ডের প্রভাব।
২০১৯ সালে করা বিআইপির গবেষণা অনুসারে, কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ১৯৯৯ সালে ছিল ৬৪ দশমিক ৯৯ ভাগ, ২০০৯ সালে বেড়ে হয় ৭৭ দশমিক ১৮ ভাগ, আর ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশে।
২০২৩ সালে বিআইপির প্রকাশিত আরেকটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৮ বছরে রাজধানী ঢাকার সবুজ এলাকা কমে মাত্র ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জলাভূমি নেমে এসেছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশে। যদিও নগর–পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাশয়–জলাধার থাকার কথা। এরই পাশাপাশি ভবনের নকশায় প্রাকৃতিক আলো–বাতাস চলাচলকে ব্যাহত করে দিয়ে আবদ্ধ ঘর, কাচ নির্মিত ঘর ও এসি ব্যবহারকে মাথায় রেখে ভবন নির্মাণের প্রবণতার কারণে মহানগরীতে তাপমাত্রা বাড়ছে।
সংলাপে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও দাবদাহের প্রভাবের মূলে ভূমি আচ্ছাদনের (সবুজ, পানি ও ধূসর বা কংক্রিট আচ্ছাদন) মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট, কংক্রিটের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি, ভবনের নকশায় পরিবেশ ও জলবায়ুর ধারণা অনুপস্থিত, কাচ নির্মিত ভবন ও এসি–নির্ভর ভবনের নকশা তৈরি, খাল–পুকুর ভরাট, দখল ও ধ্বংস, সবুজ এলাকা নষ্ট করে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ, বনায়ন না করাসহ অনেক কারণ রয়েছে। ঢাকার বাতাসে উত্তাপ বাড়াচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর গ্যাস। ময়লার ভাগাড়, ইটভাটা, যানবাহন ও শিল্পকারখানার ধোঁয়া থেকে তৈরি হচ্ছে এসব গ্যাস।
অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় কংক্রিটের জঞ্জাল বাড়ছে। এতে পরিবেশ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। আমরা গবেষণার তথ্য–উপাত্ত উপস্থাপন তুলে ধরলেও সরকার কোনো কর্ণপাত করছে না। এভাবে চলতে থাকলে রাজধানীর পরিবেশ আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।’
অনুষ্ঠানে বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে পুরো পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১ থেকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার কথা বলা হলেও ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই তাপমাত্রা ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ মূলত ঢাকা শহরের আশপাশের প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার এবং নগরায়ণের নামে চালানো ধ্বংসযোগ্য।
সংলাপে নগর এলাকার প্রান্তে সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প করার দাবিসহ বিআইপির পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। এ সময় আরও বক্তব্য দেন পরিকল্পনাবিদ মো. আবু নাইম সোহাগ, পরিকল্পনাবিদ হোসনে আরা, মো. রেদওয়ানুর রহমান প্রমুখ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
১১ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১৯ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
২০ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে