অনলাইন ডেস্ক
গভীর সমুদ্রে পরিচালিত এক অভিযানে বিজ্ঞানীরা ১০০টি সম্ভাব্য নতুন প্রজাতির প্রাণী আবিষ্কার করেছেন। এর মধ্যে আছে স্টার ফিশ বা তারা মাছের সঙ্গে মিল আছে এমন রহস্যময় একটি প্রাণীও। নিউজিল্যান্ড উপকূলে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
সাউথ আইল্যান্ডের পূর্বে ৫০০ মাইল দীর্ঘ (৮০০ কিলোমিটার) বাউন্টি ট্রফ এলাকার অবস্থান। এর আগে সাগরের এই এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হয়েছে কমই। আর এখানেই এবার অভিযান পরিচালনা করেন সমুদ্র গবেষকেরা।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড এটমোসফিয়ার রিসার্চের গবেষণাকাজে ব্যবহার করা জাহাজ টাংগাওরা। এটিতে করেই গত ফেব্রুয়ারিতে তিন সপ্তাহর অভিযানটি পরিচালনা করেন বিজ্ঞানীরা।
দলটি সাগরের তিন মাইল (৪ হাজার ৮০০ মিটার) পর্যন্ত গভীরতা থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি নমুনা সংগ্রহ করে। মাছ, স্কুইড, মলাস্কা এবং প্রবালের এমন সব প্রজাতি খুঁজে পেয়েছেন, যা বিজ্ঞানের জন্য নতুন বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।
‘নিউজিল্যান্ডের পূর্ব উপকূলের এই বিশাল এলাকা সম্পর্কে তথ্যের অভাব প্রকট। আমরা এটি সম্পর্কে সে অর্থে কিছুই জানি না।’ বলেন ওশান সেনসাসের অভিযান বিজ্ঞান ব্যবস্থাপক ডা. ড্যানিয়েল মুর। ২০২৩ সালের এপ্রিলে চালু করা এই নতুন জোটের লক্ষ্য আগামী ১০ বছরে ১ লাখ অজানা প্রজাতি শনাক্ত করা। ‘এটি সত্যিকার অর্থেই চমৎকার ও উত্তেজনাপূর্ণ একটি অনুসন্ধান।’ বলেন তিনি।
দলের বিজ্ঞানীরা একটি আবিষ্কারে রীতিমতো হতবাক হয়ে পড়েছেন, যা তাঁরা প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলেন সামুদ্রিক তাঁরা মাছের মতো কিছু একটি।
তবে আসল কথা হলো, প্রাণীটি সম্পর্কে এখনো সেই অর্থে কিছুই জানা নেই বিজ্ঞানীদের। ‘এটি এখনো একটি রহস্য। এমনকি এটি কোন পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, তা-ও বলতে পারছি না আমরা। এখনো জানি না ট্রি অব লাইফের কোথায় এর অবস্থান। এটি তাই আকর্ষণীয় একটি বিষয় হতে যাচ্ছে।’ বলেন মুর।
কুইন্সল্যান্ড মিউজিয়াম নেটওয়ার্কের ট্যাক্সোনমিস্ট ড. মিশেলা মিচেল ওশান সেন্সাস প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেন, এটি অক্টোকোরাল নামের একধরনের গভীর সমুদ্রের প্রবাল হতে পারে।
‘আরও রোমাঞ্চকর বিষয় হলো, এটি অক্টোকোরালের বাইরে একটি সম্পূর্ণ নতুন গ্রুপের কিছু হতে পারে। যদি তা হয়, তবে এটি গভীর সমুদ্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান হবে। একই সঙ্গে আমাদের গ্রহের অনন্য জীববৈচিত্র্যের আরও স্পষ্ট চিত্র দিচ্ছে এটি।’ বিবৃতিতে বলেন তিনি।
বিজ্ঞানের জন্য নতুন বলে ধারণা করা হচ্ছে এমন দুটি ইলপাউস মাছও আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। বাউন্টি ট্রফে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১.৭ মাইল (২ হাজার ৭০০ মিটার) গভীরে একটি মাছের ফাঁদে বন্দী হয় এগুলো।
‘নতুন মেরুদণ্ডী প্রাণীর সন্ধান পাওয়া বিরল। সমুদ্রে এমন বহু অমেরুদণ্ডী প্রাণী রয়েছে, যা আমরা এখনো জানি না। আর মনে করি, সাগরে যেসব মেরুদণ্ডী প্রাণী আছে সেসম্পর্কে আমরা জানি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমরা তা জানি না।’ বলেন মুর।
নমুনা সংগ্রহ করার জন্য জাহাজটি সাগরতলের অবস্থার ওপর নির্ভর করে তিনটি ভিন্ন ধরনের স্লেজ নিয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে এ কাজে ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবহার করা বিম ট্রল। এর মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি জাল পাতা হয়। পাথুরে পৃষ্ঠের জন্য একটি স্লেজ এবং সমুদ্রতলের ঠিক ওপরে জলের নমুনা সংগ্রহের জন্য আরেকটি যন্ত্র নেওয়া হয়। আর ছিল পানির তলে ব্যবহার করা যায় এমন শক্তিশালী ক্যামেরা।
সমুদ্রের গভীরের প্রাণীজগৎ ও এদের অবস্থা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানে বিশাল ফাঁক রয়ে গেছে। পৃথিবীর মহাসাগরে বিদ্যমান ২২ লাখ প্রজাতির মধ্যে কেবল দুই লাখ ৪০ হাজারের বর্ণনা বিজ্ঞান দিতে পেরেছে বলে জানায় ওশান সেনসাস।
গভীর সমুদ্রে পরিচালিত এক অভিযানে বিজ্ঞানীরা ১০০টি সম্ভাব্য নতুন প্রজাতির প্রাণী আবিষ্কার করেছেন। এর মধ্যে আছে স্টার ফিশ বা তারা মাছের সঙ্গে মিল আছে এমন রহস্যময় একটি প্রাণীও। নিউজিল্যান্ড উপকূলে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
সাউথ আইল্যান্ডের পূর্বে ৫০০ মাইল দীর্ঘ (৮০০ কিলোমিটার) বাউন্টি ট্রফ এলাকার অবস্থান। এর আগে সাগরের এই এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হয়েছে কমই। আর এখানেই এবার অভিযান পরিচালনা করেন সমুদ্র গবেষকেরা।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড এটমোসফিয়ার রিসার্চের গবেষণাকাজে ব্যবহার করা জাহাজ টাংগাওরা। এটিতে করেই গত ফেব্রুয়ারিতে তিন সপ্তাহর অভিযানটি পরিচালনা করেন বিজ্ঞানীরা।
দলটি সাগরের তিন মাইল (৪ হাজার ৮০০ মিটার) পর্যন্ত গভীরতা থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি নমুনা সংগ্রহ করে। মাছ, স্কুইড, মলাস্কা এবং প্রবালের এমন সব প্রজাতি খুঁজে পেয়েছেন, যা বিজ্ঞানের জন্য নতুন বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।
‘নিউজিল্যান্ডের পূর্ব উপকূলের এই বিশাল এলাকা সম্পর্কে তথ্যের অভাব প্রকট। আমরা এটি সম্পর্কে সে অর্থে কিছুই জানি না।’ বলেন ওশান সেনসাসের অভিযান বিজ্ঞান ব্যবস্থাপক ডা. ড্যানিয়েল মুর। ২০২৩ সালের এপ্রিলে চালু করা এই নতুন জোটের লক্ষ্য আগামী ১০ বছরে ১ লাখ অজানা প্রজাতি শনাক্ত করা। ‘এটি সত্যিকার অর্থেই চমৎকার ও উত্তেজনাপূর্ণ একটি অনুসন্ধান।’ বলেন তিনি।
দলের বিজ্ঞানীরা একটি আবিষ্কারে রীতিমতো হতবাক হয়ে পড়েছেন, যা তাঁরা প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলেন সামুদ্রিক তাঁরা মাছের মতো কিছু একটি।
তবে আসল কথা হলো, প্রাণীটি সম্পর্কে এখনো সেই অর্থে কিছুই জানা নেই বিজ্ঞানীদের। ‘এটি এখনো একটি রহস্য। এমনকি এটি কোন পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, তা-ও বলতে পারছি না আমরা। এখনো জানি না ট্রি অব লাইফের কোথায় এর অবস্থান। এটি তাই আকর্ষণীয় একটি বিষয় হতে যাচ্ছে।’ বলেন মুর।
কুইন্সল্যান্ড মিউজিয়াম নেটওয়ার্কের ট্যাক্সোনমিস্ট ড. মিশেলা মিচেল ওশান সেন্সাস প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেন, এটি অক্টোকোরাল নামের একধরনের গভীর সমুদ্রের প্রবাল হতে পারে।
‘আরও রোমাঞ্চকর বিষয় হলো, এটি অক্টোকোরালের বাইরে একটি সম্পূর্ণ নতুন গ্রুপের কিছু হতে পারে। যদি তা হয়, তবে এটি গভীর সমুদ্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান হবে। একই সঙ্গে আমাদের গ্রহের অনন্য জীববৈচিত্র্যের আরও স্পষ্ট চিত্র দিচ্ছে এটি।’ বিবৃতিতে বলেন তিনি।
বিজ্ঞানের জন্য নতুন বলে ধারণা করা হচ্ছে এমন দুটি ইলপাউস মাছও আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। বাউন্টি ট্রফে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১.৭ মাইল (২ হাজার ৭০০ মিটার) গভীরে একটি মাছের ফাঁদে বন্দী হয় এগুলো।
‘নতুন মেরুদণ্ডী প্রাণীর সন্ধান পাওয়া বিরল। সমুদ্রে এমন বহু অমেরুদণ্ডী প্রাণী রয়েছে, যা আমরা এখনো জানি না। আর মনে করি, সাগরে যেসব মেরুদণ্ডী প্রাণী আছে সেসম্পর্কে আমরা জানি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমরা তা জানি না।’ বলেন মুর।
নমুনা সংগ্রহ করার জন্য জাহাজটি সাগরতলের অবস্থার ওপর নির্ভর করে তিনটি ভিন্ন ধরনের স্লেজ নিয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে এ কাজে ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবহার করা বিম ট্রল। এর মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি জাল পাতা হয়। পাথুরে পৃষ্ঠের জন্য একটি স্লেজ এবং সমুদ্রতলের ঠিক ওপরে জলের নমুনা সংগ্রহের জন্য আরেকটি যন্ত্র নেওয়া হয়। আর ছিল পানির তলে ব্যবহার করা যায় এমন শক্তিশালী ক্যামেরা।
সমুদ্রের গভীরের প্রাণীজগৎ ও এদের অবস্থা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানে বিশাল ফাঁক রয়ে গেছে। পৃথিবীর মহাসাগরে বিদ্যমান ২২ লাখ প্রজাতির মধ্যে কেবল দুই লাখ ৪০ হাজারের বর্ণনা বিজ্ঞান দিতে পেরেছে বলে জানায় ওশান সেনসাস।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
২৬ মিনিট আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
৯ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
১০ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে